Tag Archives: Indian Super League

কাল মোহনবাগানের বাঁচা – মরার লড়াই! ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট লক্ষ্য দিমিত্রি, আশিকদের

কলকাতা: কেরল ব্লাস্টার্স এবং কলকাতা ডার্বি জয় এখন স্মৃতির পাতায়। পিছনে ফিরে দেখতে রাজি নয় এটিকে মোহনবাগান। তাদের লক্ষ্য এখন শুধুই ওড়িশা ম্যাচ। কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবুজ মেরুন। অনুশীলন তখন প্রায় শেষ। গোটা দলকে দু’টি ভাগে ভাগ করে শুরু হল পেনাল্টি শ্যুট আউট। কেউ লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হলেই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হল অন্য প্রান্তে।

বাড়তি পাওনা সতীর্থদের টিপ্পনি। শেষ পর্যন্ত দিমিত্রি, শুভাশিস ও নিনগোম্বা এঞ্জসন সিং প্রতিটি শট জালে জড়ালেন। বাকিরা মিস করে এসে একে পৌঁছলেন মাঠের অপর গোলপোস্টে। তারপর লক্ষ্যভেদে সফল হলেই মিলল ছুটি। ওড়িশা ম্যাচের আগে এভাবেই ফুটবলারদের চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করলেন এটিকে মোহন বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

আরও পড়ুন – রোনালদিনহোর ছেলে এখন বার্সেলোনার ফুটবলার ! বাবার স্মৃতি ফেরাতে পারবেন কী?

লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে শেষ করেও সরাসরি সেমি-ফাইনালের টিকিট মেলেনি। ওই পর্যায়ে খেলতে হলে একটি নক-আউট ম্যাচের গণ্ডি টপকাতে হবে হুগো বোমাসদের। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বে জোসেফ গোম্বাউ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে দু’ম্যাচেই অপরাজিত ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

প্রথম লেগে কটকে গোলশূন্য শেষ হয় ম্যাচ। ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফেরান্দোর দল। তবে নক-আউটে পর্বের লড়াইটা পুরোপুরি আলাদা। প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন পালতোলা নৌকার স্প্যানিশ কোচ। বড় ম্যাচে জয়ের পর ছেলেদের মধ্যে যাতে কোনওরকম আত্মতুষ্টি না দেখা দেয়, সেদিকেও নজর রয়েছে ফেরান্দোর।

গ্রুপ পর্বে প্রান্তিক আক্রমণে বেশ বেগ দিয়েছিল ওড়িশা। তাই নক-আউট ম্যাচের আগে এই দিকে বাড়তি নজর দিলেন মোহন কোচ। পাশাপাশি চলে সেট-পিস অনুশীলন। ব্যক্তিগত সমস্যায় দেশে ফিরেছেন ব্রেন্ডন হামিল। ফলে ওড়িশার বিরুদ্ধে আরও একবার রক্ষণে শুরু থেকে দেখা যাবে বড় ম্যাচের নায়ক স্লাভকো ডামজানোভিচকে।

ডার্বিতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে দলকে জেতাতে পেরে আপ্লুত এই সার্বিয়ান ডিফেন্ডার। তিনি ডার্বিতে প্রমাণ করেছেন চাপ নিয়ে খেলতে পারেন। ফলে সার্বিয়ান ডিফেন্ডারের ওপর ওড়িশা ম্যাচের জন্য ভরসা রয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। ওড়িশা এই ম্যাচ জয়ের জন্য মরিয়া হবে। তাদের ব্রাজিলীয় তারকা মরিসিও গোল করতে সিদ্ধহস্ত।

ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে ভাসছে হাই প্রোফাইল ম্যানেজারের নাম, সিলভাকে রেখে দিল লাল হলুদ

কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলের সব খারাপের মধ্যে একমাত্র উজ্জ্বল আলো ছিলেন তিনি। ১২ গোল করে আইএসএলর মঞ্চ মাতিয়ে দিয়েছিলেন ক্লেটন সিলভা।
আইএসএলে আরও এক হতাশার মরশুম শেষ করেছে ইস্টবেঙ্গল। গত দু’বারের তুলনায় জয়ের সংখ্যা বাড়লেও, সার্বিকভাবে দলের পারফরম্যান্স সমর্থকদের ভরসা জোগাতে ব্যর্থ। মূলত ফুটবলারদের ধারাবাহিকতার অভাবে ডুবতে হয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দলকে।

তবে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ক্লেটন সিলভা। ২০ ম্যাচে ১২ গোল করে লিগে সর্বাধিক গোলদাতার তালিকায় যুগ্মভাবে শীর্ষে এই ব্রাজিলিয়ান তারকা স্ট্রাইকার। তাই মরশুম শেষ হতেই তাঁর সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি নবীকরণ করল টিম ম্যানেজমেন্ট। ২০২৩-২৪ মরশুম পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন ক্লেটন।

আরও পড়ুন – Messi I Phone: আর্জেন্টিনা দলের সকলকে সোনার আইফোন উপহার মেসির, আবেগপ্রবণ লিও

বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হওয়ায় খুবই ভাল লাগছে। আশা করি, আগামী মরশুমে আরও ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারব। এদিকে, কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের পারফরম্যান্সে খুব একটা খুশি নয় লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশেষত লিগের শেষ দিকে বারবার দলের বাজেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাঁর উপর ক্ষুব্ধ টিম ম্যানেজমেন্ট।

এবার সম্ভবত বরখাস্ত করা হতে পারে স্টিফেনকে। বোর্ড মিটিংয়ে কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন ক্লাব ও বিনিয়োগকারীর কর্তারা। ক্লেটনদের পরবর্তী কোচের দৌড়ে নাম ভাসছে খালিদ জামিলের। অতীতে লাল-হলুদে কোচিং করিয়েছেন এই মুম্বইকর। তাঁর প্রশিক্ষণে অল্পের জন্য আই লিগ হাতছাড়া করে দল।

খালিদও কলকাতায় ফিরতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই দায়িত্ব ছেড়েছেন বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের। যদিও মুম্বইকর কোচের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। আবার কোথাও শোনা যাচ্ছি ফিলিপ ডি রাইডার এর নাম। উঠে এসেছে অতীতে এটিকেকে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ মোলিনার নাম। তবে ইস্টবেঙ্গল কাকে চূড়ান্ত করে সেটা সময়ের অপেক্ষা।

ইস্টবেঙ্গলের ভরসা আজ ব্রাজিলিয়ান সিলভা, মোহনবাগানের জয়ের কান্ডারী হতে চান অজি তারকা দিমি

কলকাতা: চার মাস আগের কথা। যুবভারতীতে সেদিন হুগো বুমু এবং মনবীর সিংয়ের গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দুটো দল অনেক উত্থান পতন দেখেছে। মোহনবাগান হয়তো প্লে অফ এ জায়গা পাকা করে নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সেটা পারেনি। কিন্তু শেষ ম্যাচে এই মুহূর্তে দেশের সেরা দল মুম্বইকে হারিয়ে চমক দিয়েছে তারা।

আজ আবার একটা বড় ম্যাচ। মোহনবাগানের তিন বিদেশি ফুটবলার খেলতে পারবেন না শোনা যাচ্ছে। দুজন নিশ্চিত পারবেন না। বুমুকে শেষ মুহূর্তে একটা চেষ্টা করা হবে। না পারলে তিনজন বিদেশি নিয়ে খেলতে হবে সবুজ মেরুনকে। এক্ষেত্র ক্লেটন সিলভা, জ্যাক জার্ভিস, ইভান গঞ্জালেস, জর্ডান, লিমা, কিরিয়াকু – ৫ বিদেশি হাতে নিয়ে নামতে পারবে ইস্টবেঙ্গল।

আরও পড়ুন – অপারেশন টেবিল থেকে মাঠে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন! জাদেজার লড়াই দেখে চোখে জল স্ত্রী রিভাবার

ইস্টবেঙ্গলের আসল ভরসা ক্লেটন সিলভা। লিগ টেবিলে লাল হলুদের পজিশন যতই খারাপ হোক, সিলভা এক ডজন গোল করে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ স্কোরার। দুর্ধর্ষ ছন্দে আছেন ব্রাজিলিয়ান। তাকে আটকানো মোহনবাগান ডিফেন্স এর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে মোহনবাগানের এই ম্যাচের ভরসা অস্ট্রেলিয়ান তারকা দিমিত্রি পেত্রাতস। তিনি হয়তো স্কোরার খুব ভাল নন।

কিন্তু তবুও সবুজ মেরুন দলের সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন দিমিত্রি (৭)। বক্স স্ট্রাইকার না হলেও বুদ্ধি করে খেলতে জানেন। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল দলের মহেশ এবং জেরি বাঁদিক দিয়ে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিচ্ছেন। এই জায়গাটা নিয়েও চিন্তা আছে। মোহনবাগানকে মহেশের দৌড় সামলাতে হলে আশীষ রাইকে ব্যবহার করতেই হবে।

আইএসএল ঢোকার পর থেকে আজ পর্যন্ত মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। আজ কিছুটা হলেও সুযোগ থাকছে চাকা ঘোরানোর। এই ধরনের ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ বলে কিছু হয় না। কিন্তু তবু ও হাতে বিদেশি বেশি থাকার কারণে কিছুটা হলেও এগিয়ে শুরু করবে লাল হলুদ।

তবে শেষ পর্যন্ত সিলভার সাম্বা ম্যাজিক ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ডার্বি জয়ের আনন্দ এনে দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার। স্ট্রাইকার জ্যাক জার্ভিসও ভরসা লাল হলুদের। অন্যদিকে মোহনবাগানকে ডার্বিতে ৮-০ করতে হলে তাকিয়ে থাকতেই হবে দিমিত্রির দিকে।

মুম্বইকে হারিয়ে দিয়ে চমক ইস্টবেঙ্গলের, ডার্বির আগে মশাল জ্বলে উঠল আরব সাগরের ধারে

কলকাতা: আজ ইস্টবেঙ্গলের সামনে ছিল ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। লাল হলুদের ব্রাজিলীয় তারকা ক্লেটন সিলভাকে নিয়ে প্রবল চিন্তায় ছিলেন স্টিফেন। একটা হলুদ কার্ড দেখলেই কলকাতা ডার্বিতে খেলা হত না তার। খেলতে পারেনি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেসও। কদিন আগে সংবাদমাধ্যমে রটে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেনের সঙ্গে নাকি লম্বা চুক্তিতে যাচ্ছে ক্লাবের ইনভেস্টর সংস্থা।

কিন্তু কোচ নিজে জানিয়েছেন এমন কোন প্রস্তাব তিনি পাননি। ব্রিটিশ কোচ জানেন কিছুটা সম্মান নিয়ে শেষ করতে না পারলে পরের বার চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই রবিবার এক নম্বর দল মুম্বই সিটিএফটির বিরুদ্ধে কিছুটা সম্মানজনক প্রদর্শন করতে চেয়েছিল লাল হলুদ। প্রথম সাক্ষাৎকারে কলকাতার মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ উড়িয়ে দিয়েছিল শীর্ষস্থানে থাকা মুম্বই।

চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে গত দু’বারের তুলনায় যা ভাল। তবে একইসঙ্গে হারের নিরিখে লজ্জার নজির গড়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের ছেলেরা। ১৮ ম্যাচে ১২টি’তে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ক্লেটন সিলভাদের।

তবে যেহেতু মুম্বই কোয়ালিফাই করে গিয়েছে এবং লিগ, শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে – তাই আজ স্টুয়ার্ট, গ্রিফিথ, আপুইয়াদের মতো প্রথম দলের ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছিল তারা। ছিলেন না বিক্রম প্রতাপ, মেহতাব সিং ও। প্রথমার্ধে গোল করার তিনটে সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই। চংটে, বিপিনরা বল জালে পাঠাতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করছিল বটে, কিন্তু সেভাবে ওপেন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না।

কিন্তু হঠাৎ করেই গতির বিপরীতে ৫২ মিনিটে গোল করে দিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের মাইনাস সুহের ফলস দিলে মহেশ জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। কিছুই করার ছিল না মুম্বই গোল রক্ষকের। মাঠে উপস্থিত অল্প কয়েকজন লাল হলুদ সমর্থক এরপর ইস্টবেঙ্গলকে মোটিভেট করতে থাকেন। তবে গোল খেয়ে মুম্বই মরিয়া হয়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিত বেশ কিছু ভাল সেভ করেন।

কলকাতা ডার্বিতে নেই মোহনবাগানের বিদেশি ডিফেন্ডার ! হা হুতাশ করতে রাজি নন কোচ হুয়ান

কলকাতা: শনিবার রাতে যুবভারতীতে অবশেষে তিন ম্যাচ পরে জয় পেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বিরক্তিকর একটা সময় কাটিয়ে আবার ৩ পয়েন্ট এসেছে ঘরে। কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে নিজেদের শেষ ৬ নিশ্চিত করেছে সবুজ মেরুন। তবুও চিন্তায় মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডার্বিতে খেলতে পারবেন না বিদেশি ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হামিল।

কার্ড দেখার কারণে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে নেই তিনি। নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার এই তারকার ডিফেন্ডার না থাকার কারণে সবুজ মেরুন শিবিরে কিছুটা হতাশা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ভয় পেতে রাজি নন কোচ হুয়ান ফেরান্ডো। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ডার্বি অন্য ম্যাচ। হমিল যখন নেই তখন তৈরি রাখতে হবে স্লাভকো ডামজানোভিচকে।

মন্টিনিগ্রর ডিফেন্ডারকে শেষ কয়েকটা ম্যাচে কিছুক্ষণ পরে খেলিয়ে প্রস্তুত করেছেন স্পেনিশ কোচ। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন এই ম্যাচের গুরুত্ব। ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় এবং হাই প্রোফাইল ম্যাচে স্লাভকো নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে মোহনবাগান সমর্থকদের মনে জায়গা পেয়ে যাবেন বোঝানো চলছে। একটা সুবিধা এর আগে চেন্নাইতে খেলে গিয়েছেন তিনি। তাই ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তার জ্ঞান যথেষ্ট।

স্লাভকো নিজেও জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচের গুরুত্ব তার অজানা নয়। তিনি নিজের সেরাটা দেবেন। প্রীতম, শুভাশিস, আশিষদের সঙ্গে তার বোঝাপড়া তৈরি হচ্ছে। মাঝের সময়টা অনুশীলনের মাধ্যমে সেই বোঝাপড়া বাড়িয়ে নেবেন। হুয়ান মনে করেন শেষ ছয় নিশ্চিত হয়ে গেলেও সমর্থকদের জন্য এবং ফুটবলারদের নিজেদের জন্য ডার্বি ম্যাচ জয় সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ সাক্ষাৎকারে কলকাতায় হুগো এবং মনবীর গোল করে ২-০ জিতিয়েছিলেন মোহনবাগানকে। এবার অবশ্য ফরাসি ফুটবলার চোটে ভুগছেন। তবে ডার্বির জন্য সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবেন আশা সমর্থকদের। মনবীরও নিজের হারানো ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন।

পাশাপাশি উরুগুয়ের প্লে মেকার গায়েগো রয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আইএসএলে আসার পর কোলকাতা ডার্বির সব ম্যাচ যেমন জিতেছে মোহনবাগান, সেটাই তারা বজায় রাখতে চায় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি।

চেন্নাই এক্সপ্রেসের ধাক্কায় বেসামাল ইস্টবেঙ্গল, আবার হেরে লজ্জা বাড়ল স্টিফেনের দলের

চেন্নাই – ২
ইস্টবেঙ্গল – ০

চেন্নাই: চলতি আইএসএলে ধারাবাহিকতার অভাবে বারবার ভুগতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেই ‘লাস্ট বয়’ নর্থইস্টের কাছে পয়েন্ট খুইয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল। চলতি আইএসএলে টানা দু’ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন এখনও অধরা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। যদিও পরিসংখ্যান ভুলে কোচ স্টিফেনের লক্ষ্য, লিগের বাকি তিন ম্যাচে ভাল ফল করে সম্মানজনকভাবে অভিযান শেষ করা।

রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ছিল পয়েন্ট টেবিলে অষ্টম স্থানে থাকা চেন্নাইয়ান এফসি। দক্ষিণের দলটি শেষ আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। ছন্নছাড়া চেন্নাইকে হারিয়ে লিগ টেবিলে অবস্থানের উন্নতি করাই লক্ষ্য ছিল ক্লেটন সিলভাদের। আইএসএলের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আপফ্রন্টকে একার কাঁধে টানছেন ক্লেটন সিলভা।

এই মুহূর্তে লিগের টপ স্কোরার তিনিই। নামের পাশে ১২ গোল। গত দু’ম্যাচে জ্যাক জার্ভিসের অন্তর্ভূক্তিতে অনেকটা চাপমুক্ত দেখিয়েছে ক্লেটনকে। স্টিফেনও মানছেন, ব্রিটিশ স্ট্রাইকারটি আসায় আপফ্রন্টে ভারসাম্য বেড়েছে। এদিনও প্রথমদিকে জ্যাক জার্ভিস গোলের সুযোগ হারালেন। সুহেরও মিস করলেন। চেন্নাই যে সুযোগ পায়নি এমন নয়।

৪৮ মিনিটে এগিয়ে গেল চেন্নাই। থাপর সেন্টার থেকে গোল করে গেলেন কারিকারি। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স ধরতেই পারেনি জার্মান ফুটবলার জুলিয়াসের ফ্রিকিক। তবে এরপরেও যে ইস্টবেঙ্গল খেলা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল সেটা বলা যাবে না। জেরি, মবাশির, জর্ডান, জ্যাক চেষ্টা করলেন, কিন্তু কিছুতেই গোল আসছিল না। সুযোগ পেলেই কাউন্টার আক্রমণ তুলে আনছিল দক্ষিণের দল।

আজকেও ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে প্রচুর পরিশ্রম করলেন মহেশ। লড়াই করলেন বাংলার সার্থক। কিন্তু আজ ক্লেটন সিলভা নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না। কি যেন বল না পান সেদিকে বিশেষ নজর ছিল চেন্নাইয়ের। তাই তিনি বল ধরলেই দুজন করে ডিফেন্ডার জায়গা নিয়ে নিচ্ছিলেন।

ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে প্রথম দিকে ভালো খেললেও চুনুঙ্গার পারফরম্যান্স প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে গেল চেন্নাই। এদুইনের পাস থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ালেন রহিম আলি। এখানেই শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের লড়াই। আমার একটা হার। আবার লজ্জা। এটাই হয়তো লাল হলুদের ভবিতব্য।

দুবার এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের, কাজে এল না ক্লেটন, জার্ভিসের গোল

কলকাতা: লিগ টেবিলের ‘লাস্ট বয়’, ডার্বিতে টানা হার— একাধিক লজ্জায় মুখ পুড়েছে মশাল বাহিনীর। চলতি মরশুমেও দলের খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব সুস্পষ্ট। ১৬ ম্যাচে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল জিতেছে মাত্র ৫টিতে। এই মুহূর্তে নবম স্থানে ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অবশ্য পরিকল্পিত ফুটবল খেলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। টানা চার ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটায় ফুটবলারদের মধ্যে ফিরেছে আত্মবিশ্বাস।

সেই ছন্দ ধরে রেখেই টানা দু’টি জয়ের খোঁজে ছিল ইস্টবেঙ্গল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইএসএলে পরপর দু’টি ম্যাচে তিন পয়েন্ট কখনও পায়নি লাল-হলুদ ব্রিগেড! বুধবার প্রতিপক্ষ লিগ টেবিলে সবার শেষে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেড। প্রথম লেগে গুয়াহাটিতে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল স্টিফেন-ব্রিগেড। ঘরের মাঠেও সেই ধারা বজায় রেখে মরশুমের ষষ্ঠ জয় তুলে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল ক্লেটন-লিমাদের।

প্রথমার্ধে চারটে গোল। ক্লেটন সিলভার হেডে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ১১ নম্বর গোল হয়ে গেল তার। এরপর দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে গোল করে পার্থিব ১-১ করেন। জিতিন ২-১ এগিয়ে দেন নর্থ ইস্টকে। তবে একটা পেনাল্টি পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে জেক জার্ভিস একটা ব্যাক ভলিতে দুর্দান্ত গোল করে সমতা ফিরিয়ে আনলেন ম্যাচে। যেন যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন দীর্ঘকায় স্ট্রাইকার।

ভিড়ের মধ্যে কিভাবে শরীর ব্যবহার করতে হয় দেখালেন তিনি। বিরতির পর ইস্টবেঙ্গল মরিয়া হবে জানা ছিল। ৬৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে সিলভাকে ফাউল করেন সাজি। পেনাল্টি দিতে ভুল করেনি রেফারি। ক্লেটন অরিন্দমের বাঁদিক দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। একের পর এক আক্রমণ তুলে এনে নর্থ ইস্ট ডিফেন্সকে চাপে ফেলতে থাকে লাল হলুদ।

কিন্তু এরপর নাটক বাকি ছিল। ৮৫ মিনিটে ইমরান গোল করে আবার ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন নর্থ ইস্টকে। ৩-৩ হয়ে গেল। আবার সুযোগ হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। জর্ডানের শট দুর্দান্ত বাঁচিয়ে দেন অরিন্দম। অতিরিক্ত ৬ মিনিট আর কিছু হয়নি। দুবার লিড নিয়েও জেতা ম্যাচ মাঠে রেখে ফিরল ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গলের নতুন ব্রিটিশ স্ট্রাইকারের প্রশংসায় নায়ক ক্লেটন! স্টিফেনের লক্ষ্য সব ম্যাচ জয়

#কলকাতা: এই ইস্টবেঙ্গল দলটার একমাত্র আশার আলো বলতে তিনি। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা যতই খারাপ হোক, ক্লেটন সিলভা দশটা গোল করে ফেলেছেন। এটাই বা কম কিসের? অবশেষে জয়ে ফেরা। স্বাভাবিকভাবেই কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের চোখেমুখে স্বস্তির ঝলক। আর তাই প্রথমবার তাঁকে ফুটবলারদের কোয়ালিটি নিয়ে অভিযোগ করতে শোনা গেল না, বরং ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়।

তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের কী পরিস্থিতি ছিল, তা সবারই জানা। আমাদের নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। তবে ছেলেরা প্রতিনিয়ত কঠিন পরিশ্রম করেছে। তার ফলও মিলল হাতেনাতে। কেরলের বিরুদ্ধে গোটা ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছি। এরকম লড়াকু মানসিকতাই তো ফুটবলারদের থেকে চেয়েছিলাম। মরশুমের শুরু থেকে প্রায় একার কাঁধে ইস্টবেঙ্গল আপফ্রন্টকে টানছেন ক্লেটন সিলভা।

আরও পড়ুন – সপ্তাহে ১০ বার যৌন মিলন! ঘানার তারকা ফুটবলারের স্ত্রীর শারীরিক চাহিদায় শেষ হয়ে গিয়েছিল ক্যারিয়ার

তাঁর পারফরম্যান্স অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কেরলের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জিতিয়ে ৩৬তম জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। ফেরালেন লাল-হলুদ জনতার মুখে হাসি। এই সাফল্যের জন্য ইস্টবেঙ্গলের নতুন রিক্রুট জ্যাক জার্ভিসকে কৃতিত্ব দিলেন ক্লেটন। তাঁর কথায়, জ্যাক যোগ দেওয়ায় আক্রমণে ধার বেড়েছে। ও লম্বা, শক্তিশালী।

বুদ্ধিমানও বটে। ও ডিফেন্ডারদের বিব্রত করায় আমি ফাঁকা জায়গা পেয়েছি। এদিকে, শুক্রবার শুরুতে তুলে নেওয়ায় কোচের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন অঙ্কিত মুখ্যার্জি। ডাগ-আউটে জার্সি ছুড়ে ফেলেন তিনি। কার প্রশ্রয়ে তাঁর এমন আচরণ? অল্প কয়েকদিন খেলেই এতটা ঔদ্ধত্য দেখানোর সাহস তিনি কীভাবে পেলেন? প্রশ্ন উঠছে সমর্থকমহলে।

এই প্রসঙ্গে স্টিফেনের মন্তব্য, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ও এমন আচরণ করল। ক্লাব নিশ্চয়ই অঙ্কিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। মনে হয় না, ইস্টবেঙ্গলে ওর ভবিষ্যৎ রয়েছে।যদিও নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অঙ্কিত। তবে অনেক প্রাক্তন বাঙালি ফুটবলার জ্যাকের প্রথম ম্যাচের পারফরমেন্স দেখে খুশি হতে পারেননি। সম্পূর্ণ ফিট মনে হয়নি ব্রিটিশ স্ট্রাইকারকে। কিন্তু সিলভা বলছেন যত সময় যাবে জ্যাক মানিয়ে নেবে দলের সঙ্গে।

জন্মদিনে ইস্টবেঙ্গলের মশাল জ্বালালেন ব্রাজিলিয়ান ক্লেটন সিলভা, কেরলকে হারাল লাল হলুদ

#কলকাতা: শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কেরল ব্লাস্টার্স চ্যালেঞ্জ ছিল ইস্টবেঙ্গলর সামনে। শেষ চারটি ম্যাচে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল লাল হলুদ ব্রিগেডকে। তাই এদিন কিছু পরিবর্তন হয় কিনা সেটাই দেখার ছিল। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার আজ প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গল দলের ছিলেন নতুন ব্রিটিশ স্ট্রাইকার জ্যাক জার্ভিস। তিনি কেমন পারফর্ম করেন সেটাই ছিল দেখার।

সত্যি কথাই বলতে প্রথম ম্যাচ নজর টানতে ব্যর্থ তিনি। তিন থেকে চার বার সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারলেন না ব্রিটিশ স্ট্রাইকার। তাকে দেখে সম্পূর্ণ ফিট বলেও মনে হয়নি। এদিন ম্যাচের ১৫ মিনিটে অঙ্কিত মুখার্জিকে তুলে নিলেন কোচ স্টিফেন। লাল হলুদ জার্সি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন বাঙালি ফুটবলারটি।

তার বদলি হিসেবে নেমে বরং ভাল ফুটবল খেললেন রকিপ। এমনিতে শেষ ছয়ের মধ্যে থাকতে গেলে ইস্টবেঙ্গলকে হাতে থাকা সব ম্যাচ এখন জিততে হত। তারপরেও অন্য দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। বরং ব্রাজিলীয় ক্লেটন সিলভা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও সঙ্গীর অভাবে ফিনিশ করতে পারলেন না। সুহের নিজের পুরন ফর্মে নেই।

তিনি একটি গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। কিরিয়াকু আগে আক্রমণে সাহায্য করতেন। কিন্তু এখন সেটা পারেন না। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিত দেখার মত কিছু সেভ করেন। ৭৫ মিনিটে জার্ভিসকে তুলে নিলেন স্টিফেন। নামলেন সুমিত পাসি। এলেন অস্ট্রেলিয়ার জর্ডান।

এক মিনিটের মধ্যে গোল পেল ইস্টবেঙ্গল। সুমিতের একটা ফ্লিক ধরে বাঁদিক থেকে মহেশের একটা দুর্দান্ত দৌড় নড়িয়ে দিল কেরল ডিফেন্সকে। নিশু কুমারকে গতিতে হারিয়ে তিনি মাইনাস করলেন। সিলভা দানিশ ফারুক বল ক্লিয়ার করার আগে ফিনিশ করলেন। আজ ছিল ব্রাজিলিয়ান তারকার জন্মদিন। নিজের দশ নম্বর গোলটা পেয়ে গেলেন তিনি।

ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে আজ অভিষেক নতুন স্ট্রাইকারের, কেরলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ ম্যাচ লাল হলুদের

#কলকাতা: আর নতুন করে হতাশ হন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। কারণ তারা বুঝে গিয়েছেন জঘন্য দল থাকলে তার ফল কি হতে পারে। যেটা হওয়ার সেটাই হচ্ছে। এ যেন হারতে হারতে হারান হওয়ার অবস্থা। শেষ চারটি ম্যাচে মাথা হেঁট করে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিং-রুমে। প্রতিপক্ষ বা ভেন্যু বদলালেও, ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ইস্ট বেঙ্গলেই। আর কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন এখনও অজুহাত দিতে ব্যস্ত।

কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচে নামার আগে বিদেশি কোচের নিশানায় কর্মকর্তারা। বললেন, শেষবেলায় বাজার করতে গেলে তাজা জিনিস মেলে না। দলগঠনে দেরি হওয়ায় এই অবস্থা। জানি, সাফল্য এনে দিতে না পারলে পরের মরশুমে চাকরি হারাব। তাই দল প্রথম ছয়ে থাকুক, এটা আমার চেয়ে বেশি কেউই চায় না। ছেলেরা ভালো পারফর্ম না করতে পারলে রাতে ঘুমোতে পারি না।

 জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডো নিয়েও ইস্টবেঙ্গলে কম জলঘোলা হয়নি। শেষবেলায় ব্যান উঠলে, জ্যাক জার্ভিসকে সই করানো হয়। এই প্রসঙ্গে স্টিফেনের মন্তব্য, ‘জ্যাক খুবই ভালো সংযোজন। কিন্তু ওকে আমি ওড়িশা ম্যাচে খেলাতে পারলাম না। এর দায় কে নেবে? তাছাড়া কনস্টানটাইন মনে করেন, তাঁর অধীনেই আইএসএলে ইস্ট বেঙ্গলের সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে।

প্রথম লেগে কলকাতার এই প্রধানকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল কেরল। তাহলে এটা ইস্ট বেঙ্গলের কাছে বদলার ম্যাচ? ফুটবলার কিংবা কোচেদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে অবশ্য তা মনে হল না। স্টিফেন বললেন, বদলা হিসেবে ভাবছি না। ম্যাচটা আমাদের খেলতেই হবে। প্রথম লক্ষ্য থাকবে না হারা।

এদিকে, শুক্রবারই ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে জ্যাক জার্ভিসের অভিষেক হবে। আপফ্রন্টে তিনি ক্লেটনকে কতটা সঙ্গত করতে পারেন, সেটাই দেখার। ইস্টবেঙ্গল অবশ্যই একটা মরণ কামড় দেবে কেরালকে হারাতে।