Tag Archives: Indian Super League

দুরন্ত জয়ে ৩ নম্বরে মোহনবাগান, জোড়া গোলে ওড়িশা বধের নায়ক দিমিত্রি

এটিকে মোহনবাগান – ২
( দিমিত্রি)

ওড়িশা এফসি – ০

#কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান নকআউট এ যাবে কিনা তার অনেকটাই নির্ভর করেছিল শনিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচটার ওপর। ঘরের মাঠে মুম্বই এর কাছে হার, তারপর চেন্নাই গিয়ে ড্র – সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না সমর্থকরা। তাই এদিনের ম্যাচটা যে এটিকে মোহনবাগানের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটা বলাই বাহুল্য।

কোচ হুয়ান ফেরান্ডোর ওপর চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছিল। আজ প্রথম লিস্টন, পুইতিয়াকে দলে রাখেননি মোহনবাগান কোচ। তাদের বদলি হিসেবে গোয়া থেকে আসা গ্লেন মার্টিন্স এবং আশিক ছিলেন। গ্লেন দলে আসার ফলে মাঠের মাঝখানে বলের দখল রাখার ক্ষেত্রে এগিয়েছিল মোহনবাগান।

৩ মিনিটে লিড নেয় সবুজ মেরুন। মনবীরের ক্রস থেকে দিমিত্রির প্লেসমেন্ট জড়িয়ে যায় জালে। এর কিছুক্ষণ পর দিমিত্রির একটি বুদ্ধিদীপ্ত শট বাঁচিয়ে দেন ওড়িশার গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়টা দাপট বেশি ছিল মোহনবাগানের। বিরতির পরেও জারি থাকলেও সবুজ মেরুনের প্রেসিং ফুটবল।

ওড়িশাকে বল পেলে বেশি সময় না দেওয়াই আজ লক্ষ্য ছিল প্রীতম, শুভাশিস, আশিষদের। ম্যাক হিউ অসাধারণ খেললেন। ৬১ মিনিটে দুটি পরিবর্তন নিয়েছিলেন ওড়িশার ম্যানেজার। পেড্রো এবং নিখিলকে নিয়ে আসেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে নিয়ে আসা হয় অনিকেত যাদবকে।

৭৮ মিনিটে মনবীরের জায়গায় লিস্টন আসেন। এক মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেয়ে গেল সবুজ মেরুন। হুগর পাস ধরে আশিসের ক্রস থেকে ট্যাপ করে গোল করেন দিমিত্রি। বুমুর জায়গায় আসেন গালেগো। লিস্টনের শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান বাড়তেই পারত। আজ সব মিলিয়ে গোটা ম্যাচে প্রায় নিখুঁত ফুটবল তুলে ধরল সবুজ মেরুন।

এই জয় তাদের অনেকটা আত্মবিশ্বাস দেবে। প্রথম ছয় এর মধ্যে থাকার ক্ষেত্রে আজকের পারফরম্যান্স মনে রাখার মত হতে পারে। তবে ম্যাচ শেষে মোহনবাগানের কোচ জানিয়ে দিলেন তিনি মনে করেন তার দল আরো ভালো খেলার ক্ষমতা রাখে। পরের ম্যাচে এই পারফরম্যান্স বজায় রাখতে হবে। একটা তিন পয়েন্ট এর প্রয়োজন ছিল। সেটা আজ পাওয়া গিয়েছে। শেষ দিকে মারপিটে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের আশিক। ৩ পয়েন্ট পাওয়ার দিনে এইটুকু দাগ পড়ে গেল পারফরম্যান্সে।

মোহনবাগানের সামনে আজ ওড়িশার চ্যালেঞ্জ, জিতে নক আউটের রাস্তায় থাকতে চান হুয়ান

#কলকাতা: মোহনবাগান সমর্থকরা শেষ কয়েকটা ম্যাচ ধরে প্রচন্ড বিরক্ত তাদের কোচ হুয়ান ফেরান্ডোকে নিয়ে। তার অন্যতম কারণ স্ট্রাইকার না নিয়ে তিনি আবার মিডফিল্ডার নিয়েছেন। তাই গোল না হওয়ার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। মরশুমের শুরু থেকেই দক্ষ স্কোরারের অভাবে ভুগছে এটিকে মোহনবাগান। পরিসংখ্যান বলছে, ১৪ ম্যাচে ১৪৮টি সুযোগ তৈরি করেছেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা।

অথচ গোল এসেছে মাত্র ১৭টি! ওড়িশা ম্যাচের আগে এই প্রসঙ্গ উঠতেই কোচ ফেরান্দোর সাফ জবাব, গত দু’ম্যাচে আমরা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। আমার কাজ ছেলেদের পাশে থেকে ভুলত্রুটি শুধরে দেওয়া। গত কয়েকদিন অনুশীলনে সেটাই চেষ্টা করেছি। ওড়িশা যথেষ্ট ভাল দল। একাধিক ভালোমানের ফুটবলার রয়েছে।

তবে আমরা জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। হোক বা রনজি ট্রফি। শনিবার আরও এক বাংলা-ওড়িশা দ্বৈরথ। আইএসএলে ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে নামবে এটিকে মোহন বাগান। লিগ টেবিলে প্রথম ছয়ে থাকার নিরিখে দু’দলের কাছেই মাস্ট উইন ম্যাচ। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের সঙ্গে থাকবে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা। গত দু’ম্যাচে জয় অধরা তাদের। বারবার প্রশ্ন উঠছে কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে।

এমন পরিস্থিতিতে ওড়িশার বিরুদ্ধে জয় কিছুটা অক্সিজেন জোগাবে হুয়ান ফেরান্দোকে। আর সে জন্য শনিবার জিতে নক-আউটের আশা জিইয়ে রাখাই লক্ষ্য বোমাস-দিমিত্রিদের। ছাড়া কিছুই ভাবছি না। গত বছর মোহনবাগানের হয়ে দারুণ ফুটবল খেলেছিলেন লিস্টন কোলাসো।

এবার প্রত্যাশার ধারে কাছে নেই এই গোয়ান ফুটবলার। এমনকী, কিয়ান নাসিরি, আশিক কুরুনিয়ানরাও ভরসা জোগাতে ব্যর্থ।বেঙ্গালুরুর কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ওড়িশা। প্রথম সাক্ষাতে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করেছিল তারা। দলটার মধ্যে একটা লড়াকু স্পিরিট কাজ করে।

ইংলিশ স্ট্রাইকারকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল, ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন কোচ স্টিফেন

#কলকাতা: দিন, মাস, বছর চলে যায়, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য বদল হয় না। সেই ব্যর্থতাই নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সমর্থকদের। পরের সপ্তাহে হয়ত জ্যাক জার্ভিস খেলতে পারবেন ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ভারতে চলে এলেও নিয়মে আটকে গিয়ে সই করতে পারছিলেন না তিনি। আজ সেই সমস্যা মিটে গেল।

জার্ভিস দলে যোগ দেওয়ার ফলে আক্রমণ ভাগের শক্তি বাড়বে বলাই যায়। তার সঙ্গে সিলভার বোঝাপড়া তৈরি হলে উপকৃত হবেন বাকি ফুটবলাররা। গোয়ার বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে হারতে হয়েছে লাল হলুদকে। প্লেঅফে খেলা কার্যত অসম্ভব। ক্লাবে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। এমন সময়ে ইস্টবেঙ্গলের ট্রান্সফার ব্যান তুলে দিল ফিফা।

তাতে খুশি ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। এই মরশুমে ১১ নম্বর ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল। পরপর চারটি ম্যাচ হারল মশাল বাহিনী। পারফরম্যান্স নিয়ে কনস্ট্যান্টাইন বলেন, প্রথমার্ধে আমরা খেলতেই পারিনি। বিরতির পরে ওরা একটা ফ্রি কিক পায়। যা কাজে লাগিয়ে ওরা ৪-০ করে। আমরাও দুই গোল করেছি। হয়ত একটা পেনাল্টিও পেতে পারতাম আমরা।

কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। কোনও দল দু-তিন গোলের লিড নিয়ে এগিয়ে গেলে, সেই ম্যাচে কিছু করার থাকে না। পুরো মরশুম ধরেই এমনটা চলছে। দলে বেশ কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন স্টিফেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা করতে হবে।

ইস্টবেঙ্গলের সামনে আজ গোয়া, ম্যানেজমেন্টর বিরুদ্ধে তোপ দেগে ভিলেন কোচ স্টিফেন

#কলকাতা: কোচ তাড়িয়ে লাভ নেই। বরং সময় দেওয়া হোক স্টিফেনকে। এমনটাই বিশ্বাস করেন বেশিরভাগ ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। কারণ সব দল যখন বৈজ্ঞানিকভাবে একটা পথ অনুসরণ করেছে, তখন শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্টিফেনকে কোচ করা হয়েছে। তিনি ম্যাজিশিয়ান না। করোনার জেরে গত দু’বছর গোয়ার মাটিতে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে আয়োজিত হয়েছিল আইএসএল।

তবে চলতি আসরে যৌব সুরক্ষার বলয় থেকে বেরিয়ে চেনা ছন্দে ফিরেছে ভারতীয় ফুটবল। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গল যে তিমিরে ছিল, সেখানেই রয়েছে। পারফরম্যান্সে তেমন কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। ১৪ ম্যাচে মাত্র ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের নবম স্থানে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল।

আরও পড়ুন – দেনার দায় বিক্রির পথে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, মালিকানার দৌড়ে ফেসবুক এবং অ্যাপেল

প্রতি ম্যাচে গড়ে দু’টি করে গোল হজম করেছে রক্ষণ। আপফ্রন্টে ক্লেটন সিলভা ছাড়া কারও পারফরম্যান্স পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়। এমনকী, নির্বাসনের জেরে ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোনও ফুটবলার সই করাতে ব্যর্থ টিম ম্যানেজমেন্ট। ব্রিটিশ স্ট্রাইকার জ্যাক জার্ভিস কবে মাঠে নামবেন তা জানা নেই কারও।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মারগাওয়ের ফাতোরদা স্টেডিয়ামে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে প্রিয় দল জিতবে, তা অতি বড় ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকও আশা করেন না। এদিকে, ব্যর্থতার জন্য ঘুরিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করলেন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে সই করানোর পরিকল্পনা ছিল।

ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হতে আর এক সপ্তাহ বাকি নেই। হয়তো এই দল নিয়েই আমায় চলতে হবে। একটু থেমে তাঁর সংযোজন, ‘লিগের বেশিরভাগ দলই কোর গ্রুপ ধরে রেখেছে। আর আমায় শুরু করতে হয়েছে শূন্য থেকে। মুহূর্তের ভুলে আরও বেশ কিছু পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে। না হলে লিগ টেবিলে এই জায়গায় থাকতাম না। জানি, প্রথম ছয়ের মধ্যে থাকার পথ খুবই কঠিন।

আপাতত আমাদের লক্ষ্য, বাকি ম্যাচগুলিতে বেশি সংখ্যক পয়েন্ট অর্জন করা। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে শেষ মুহূর্তের গোলে গোয়ার কাছে হারতে হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গলকে। অ্যাওয়ে ম্যাচে পুরো পয়েন্ট তুলে নিতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড। এরজন্য দলের প্রতিটি ফুটবলারকে সেরাটা মেলে ধরতে হবে বলেই জানালেন কোচ স্টিফেন।

ইস্টবেঙ্গলের সামনে কলকাতায় আজ শক্তিশালী হায়দারাবাদ! হিসেব বদলাতে মরিয়া লাল হলুদ ব্রিগেড

#কলকাতা: সময় বদলায়, বছর বদলায় কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বদল হয় না। শেষ তিন বছর ধরে এক গল্প। সমর্থকরাও যেন হতাশ হতে হতে সহ্য করে নিয়েছেন। চলতি আইএসএলে ১৩ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে হেরেছে ইস্ট বেঙ্গল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর মধ্যে তিনটিতে লিড নিয়েও ধরে রাখতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ডিফেন্স। অপর তিনটিতে শুরুটা ভালে করেও দুম করে তাল কাটে। স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলারদের মানসিকতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

প্রতি ম্যাচেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলেও বিন্দুমাত্র তাপ-উত্তাপ নেই ইভান-লিমাদের মধ্যে। তাই বৃহস্পতিবার অনুশীলনের শুরুতে ফুটবলারদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনকে। মাঠের মাঝেই মিনিট দুয়েকের বৈঠক সারলেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকেও লাল-হলুদ ব্রিটিশ কোচের সাফ কথা, ইস্টবেঙ্গল জার্সির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।

এর ওজন বইতে না পারলে দলে জায়গা নেই। প্রতি ম্যাচে নিজেদের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে। শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্ট বেঙ্গলের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। প্রথম লেগে নিজামের শহরে ০-২ গোলে বশ মেনেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। শুরুটা দারুণ লড়াই করলেও দ্বিতীয়ার্ধে স্নায়ুর চাপে ভুগেছিলেন সুহেররা।

শুধু হায়দরাবাদ নয়, প্রতি ম্যাচেই একই ভুলের চালচিত্র। গোল করে দলকে এগিয়ে দিচ্ছেন ক্লেটন সিলভা। তবে বাকিরা তা ধরে রাখতে ব্যর্থ। তাই শুক্রবার সতীর্থদের থেকে আরও একটু বেশি তাগিদ চাইছেন লাল-হলুদ অধিনায়ক। ক্লেটনের কথায়, ‘দল হিসেবে আমরা সেরাটা মেলে ধরতে পারছি না।হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে মানসিকতায় পরিবর্তন আনা খুবই দরকার।

গোল যে কেউ করতে পারে। কিন্তু তা ধরে রাখার জন্য সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। চোটের জন্য হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নেই অঙ্কিত মুখার্জি। তবে ইভান গঞ্জালেসের খেলা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। লাল-হলুদ জার্সিতে এখনও সেভাবে ভরসা জোগাতে ব্যর্থ এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। তবে শুক্রবার হায়দরাবাদের ওগবেচেকে রোখার জন্য আরও একবার তাঁর উপরই ভরসা রাখতে চলেছেন স্টিফেন।

দিমিত্রির চোট গুরুতর নয়, চিন্তা কমল মোহনবাগান কোচ ফেরান্ডোর! চেন্নাই ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু

#কলকাতা: প্রথম চারের মধ্যে থাকা এবং আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব বলেই মনে করেন এটিকে মোহনবাগান দলের কোচ। পড়ন্ত বিকেলে মোহনবাগান তাঁবুতে একে একে প্রবেশ হুগো বোমাস, শুভাশিস বসুদের। সবার শেষে দিমিত্রি পেত্রাতোস। কোচের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনার পর তিনি হাঁটা দিলেন সাইডলাইনে। তা দেখে গ্যালারিতে বসে থাকা সবুজ-মেরুন জনতার কপালে চিন্তার ভাঁজ।

একজন তো বলেই ফেললেন, তাহলে দিমিত্রির চোটের শঙ্কাটাই সত্যি হল! গত শনিবার মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচে কোমরে চোট পেয়েছেন অজি তারকা স্ট্রাইকার। এদিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি তিনি। পুরো সময়টা সাইডলাইনে সাইক্লিং এবং দলের প্র্যাকটিস দেখে কাটালেন। বলাই বাহুল্য, আগামী শনিবার চেন্নাইয়ান এফসি’র বিরুদ্ধে অনিশ্চিত সবুজ-মেরুন আপফ্রন্টের প্রধান ভরসা।

যদিও টিম সূত্রে খবর, দিমিত্রির চোট গুরুতর নয়। স্ক্যান রিপোর্ট দেখে সেটাই মনে হয়েছে। সেটা দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। তবে কিছুটা ব্যথা রয়েছে তার। মুম্বই সিটি এফসির গাঁট গত শনিবারও টপকাতে ব্যর্থ এটিকে মোহনবাগান। হারের হতাশা কাটাতে ছেলেদের দু’দিন বিশ্রাম দিয়েছিলেন সবুজ-মেরুন কোচ।

মঙ্গলবার পুরোদমে চেন্নাইয়ান ম্যাচের মহড়া শুরু করে দিলেন তিনি। এদিন ক্লাবের মাঠে সিচুয়েশন প্র্যাকটিসের উপর জোর দেন ফেরান্দো। শুরুতে পাসিং অনুশীলন। তারপর দু’টি দলে ভাগ করে খেলালেন। শেষে শ্যুটিং প্র্যাকটিস। গত ম্যাচে শেষের দিকে নেমে নজর কেড়েছিলেন গ্যালেগো। চেন্নাইয়ান ম্যাচে একান্ত দিমিত্রি না খেলতে পারলে উরুগুয়ের এই মিডিও শুরু থেকে দলে আসতে পারেন।

কার্ড সমস্যায় পরের ম্যাচে নেই আশিক কুরুনিয়ানও। চোট সারিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন সুমিত রাঠিও। এদিকে, রক্ষণে সমস্যা মেটাতে আগামী মরশুমে আনোয়ার আলিকে সই করাতে চলেছে এটিকে মোহনবাগান। চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গিয়েছে। ২২ বছর বয়সি এই সেন্টার ব্যাকের এফসি গোয়াতে মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে।

অন্যদিকে, দু’বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে ওড়িশা এফসিতে যোগ দিতে চলেছেন উইঙ্গার অনিকেত যাদব। তবে মোহনবাগানের অস্ট্রেলিয়ার দিমিত্রি নিজে জানিয়েছেন তিনি মরিয়া চেন্নাই ম্যাচ খেলতে। সেটা মাথায় রেখেই নিজেকে তৈরি করছেন। পুরো ৯০ মিনিট না হলেও অন্তত একটা অর্ধ মাঠে থাকতে চান।

মোহনবাগান কোচ বলছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়া অসম্ভব নয়! মুম্বইয়ের কাছে হেরেও আশাবাদী সবুজ মেরুন

#কলকাতা: আইএসএলর ইতিহাসে একমাত্র দল মুম্বই সিটি এফসি যাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এটিকে মোহনবাগানের। শনিবার রাতেও মুম্বই জুজু কাটেনি, সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। প্রথমার্ধটা জঘন্য ফুটবল খেললেও, সেকেন্ড হাফে দারুণ কামব্যাক ঘটায় জুয়ান ফেরান্ডোর দল। আর এটাই আশাবাদী করছে স্প্যানিশ ম্যানেজারকে।

যুবভারতীতে লড়াই করে হেরে যাওয়ার পর হুয়ান জানিয়েছেন দল যে ফুটবল খেলেছিল, তাতে কমপক্ষে ড্র করা উচিত ছিল তাদের। কিন্তু এটাই ফুটবল। সুযোগ নষ্ট করলে তার খেসারত দিতেই হয়। শেষ ১০-১২ মিনিট গালেগোকে নামিয়েছিলেন। উরুগুয়ের ফুটবলারটিকে কি আরেকটু আগে নামানো যেত না?

হুয়ান বলছেন গালেগোর প্রথম ম্যাচ ছিল এটা। তাছাড়া প্রতিপক্ষ যখন মুম্বই সিটি এফসি, তখন একজন ফুটবলার ফিটনেস এবং দক্ষতার শীর্ষে না থাকলে নেমে ভাল কিছু করে দেখানো কঠিন। তাছাড়া উরুগুয়ের ফুটবলারটি একটি বড় চোট কাটিয়ে ফিরেছেন। তাকে বুঝে ব্যবহার করবেন।

আরও পড়ুন – এশিয়া কাপ খেলতে আসার জন্য এবার ভারতের হাতে পায়ে ধরছে পাকিস্তান

তবে শুধু মোহনবাগান কোচ নন, পরের ম্যাচগুলোতে দলের উন্নত পারফমেন্স তুলে ধরার ব্যাপারে আশাবাদী সিনিয়র ফুটবলার কার্ল ম্যাক হিউ। তার মনে হচ্ছে যত সময় যাবে তত ভাল খেলবে এই দল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কিছুতেই জয় আসছে না এটা সমর্থকদের জন্য দুঃখের ব্যাপার মানছে ম্যানেজমেন্ট। তবে এটাও ঠিক মোহনবাগানের দুর্ধর্ষ ফুটবল মন কেড়েছে সমর্থকদের।

লিস্টন, হুগো, শুভাশিস, আশিক প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন মুম্বইকে হারাতে। গোলরক্ষক বিশাল কৈথ একাধিক সেভ করেছেন। এখন লক্ষ্য একটাই। পরের শনিবার চেন্নাইকে হারানো। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের প্রাথমিক লক্ষ্য প্রথম চারের মধ্যে থাকা। প্লে অফ নিশ্চিত করা। তারপর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়াই করা।

মোহনবাগানের মুম্বই জুজু কাটল না, লড়াই করেও ঘরের মাঠে ফের হার লিস্টনদের

এটিকে মোহনবাগান – ০

মুম্বই সিটি এফসি – ১
( চাংতে)

#কলকাতা: নতুন বছরে শনিবার ঘরের মাঠে প্রথমবার নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ ছিল ‘জুজু’ মুম্বই সিটি এফসি। আইএসএলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত অপরাজেয়। চলতি আসরে এখনও হারের মুখ দেখেনি মুম্বই সিটি এফসি। ১৩ ম্যাচের দশটিতে জিতে মগডালে ডেস বাকিংহামের দল (৩৩ পয়েন্ট)। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট কম পেয়ে মোহনবাগান চতুর্থ স্থানে।

তাই শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে রীতিমতো অ্যাসিড টেস্ট ছিল দিমিত্রি পেত্রাতোসদের। ম্যাচের প্রথম থেকেই চাপ ছিল মুম্বইয়ের। প্রথম দশ মিনিটে মুম্বই এগিয়ে যেতে পারত দুই গোলে। বিপিন মিস না করলে তিনটি গোল হয়ে যেত তাদের। ২৮ মিনিটের মাথায়, মুম্বইকে এগিয়ে দেন চাংটে। স্টুয়ার্ট, নগুয়েরা হয়ে বল পেয়ে জোরালো শট নিলেন চাংতে।

আরও পড়ুন – আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তদন্ত করবে ফিফা! গুরুতর অভিযোগ মেসির দলের বিরুদ্ধে

বিশাল কাইথের হাতের নাগালের বাইরে বল জড়িয়ে গেল জালে। তবে প্রথম অর্ধে বিশাল তিনটি দুর্দান্ত সেভ করে লজ্জা বাঁচান মোহনবাগানের। দিমিত্রি, হুগো এবং লিস্টন হাফ চান্স তৈরি করেছিল। পুটিয়াকে প্রথম থেকে নামালেও দ্বিতীয়ার্ধ তুলে নিতে হল। লেনি নামলেন।

সেকেন্ড হাফের প্রথম থেকেই আক্রমণ শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। হুগোর শট সেভ হয়। দিমিত্রি, লিস্টন, ম্যাক হিউদের আক্রমণ হচ্ছিল, কিন্তু গোল হচ্ছিল না। শেষ ১০ মিনিটে উরুগুয়ের গালেগো এবং কিয়ানকে নিয়ে আসেন মোহনবাগান কোচ। দুটো উইং ব্যবহার করে এবং মাঝখান দিয়ে টানা আক্রমণ চালিয়েও সফল হতে পারল না সবুজ মেরুন।

মর্তদা ফলকে নামিয়ে দিয়ে ডিফেন্স শক্ত করল মুম্বই। বলা ভাল, দ্বিতীয় অর্ধে একতরফা খেলে গিয়েও কাজের কাজ করতে পারল না হুয়ান ফেরান্ডর দল। এই জয়ের পরে মুম্বই সিটি প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলল। মোহনবাগান রয়ে গেল ৪ নম্বরে।

ইস্টবেঙ্গলের চ্যালেঞ্জ আজ জামশেদপুরের সঙ্গে! ওড়িশা হার ভুলে জয় চায় লাল হলুদ

#কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল আবার কবে জয় ফিরবে? এটাই আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সমর্থকদের মনে। জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে প্রথম লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল পেয়েছিলেন ক্লেটন সিলভা। শুক্রবার ঘরের মাঠে জয়ের জন্য আরও একবার এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের দিকে তাকিয়ে লাল-হলুদ অনুরাগীরা। তবে কোচ স্টিফেন জানান, জয়ের জন্য প্রত্যেককে সেরাটা মেলে ধরতে হবে।

আরও সংঘবদ্ধ হতে হবে ডিফেন্ডারদের। বৃহস্পতিবার অনুশীলনে ইভান-জেরিদের সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন ব্রিটিশ কোচ। চোটের জেরে গত কয়েকটি ম্যাচে অনিয়মিত ছিলেন চারালাম্বোস কিরিয়াকৌউ। তবে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঝমাঠে তাঁর অন্তর্ভুক্তি কিছুটা হলেও চিন্তা কমাবে কোচ স্টিফেনের। গত ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে স্ন্যাচারের অভাবে ভুগতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে।

সাইপ্রাসের ফুটবলারটিও মাঠে নামতে তৈরি। ১২ ম্যাচে মাত্র চারটি জয়। আটটিতে হার। ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ন’নম্বরে রয়েছে দল। অতীতে এমন পরিস্থিতিতে কোচ বদলের রব উঠত ইস্টবেঙ্গলে। এখন পরিস্থিতি অবশ্য বদলেছে। তবে এমন চলতে থাকলে তাঁর চাকরিও যে সুরক্ষিত নয়, তা ভালোভাবেই জানেন স্টিফেন।

East Bengal looks to secure maximum points against Jamshedpur FC tonight in Indian super leagueতাই অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে শুক্রবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জয় পেতে মরিয়া লাল-হলুদ কোচ। জামশেদপুরের পারফরম্যান্স গ্রাফ অনেকটাই পড়েছে। ১৩ ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দশম স্থানে এডি বুথরডের দল। তিনি মানছেন ইস্টবেঙ্গল যতই খারাপ ফর্মে থাক, আজ যুবভারতীতে মরিয়া হবে লাল হলুদ ব্রিগেড।

মোহনবাগানের মিশন মুম্বই শুরু ! টাচ এবং স্কিলে মন জয় উরুগুয়ের গালেগোর

#কলকাতা: বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরেছে মোহনবাগান। সামনে লক্ষ্য একটাই। প্রথম দুইয়ে থাকা এবং মুম্বই সিটি এফসিকে হারানো। চারটি কোণে সাজানো মিনি গোলপোস্ট। বর্গক্ষেত্রাকার ছোট মাঠে দু’টি টাচ এবং তারপরেই চকিতে শট। শুক্রবার ক্লাবের মাঠে ভেদশক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। সম্প্রতি আইএসএলে একাধিকবার পেনিট্রেটিং জোনে এসে লিস্টন, মনবীররা খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে দিমিত্রি পেত্রাতোসের সাজিয়ে দেওয়া বল ফাঁকায় পেয়ে ছ’গজ দূর থেকে লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ আশিক কুরুনিয়ান। সেই দুর্বলতা কাটাতেই ছেলেদের সিচুয়েশন প্র্যাকটিস করালেন স্প্যানিশ কোচ। আগামী ১৪ জানুয়ারি পরবর্তী ম্যাচে মোহন বাগানের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসি। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত বাণিজ্য নগরীর দলকে একবারও হারাতে পারেনি সবুজ-মেরুন দল। তাই ইতিহাস বদলাতে মরিয়া কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

নতুন বছরের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবারই অনুশীলন শুরু করেছে মোহন বাগান। প্রথম দিনে হাল্কা গা ঘামিয়েছিলেন শুভাশিস বসুরা। তবে এদিন ছেলেদের পুরোদমে অনুশীলন করালেন ফেরান্দো। মোহন বাগানের প্র্যাকটিস দেখতে মাঠে এসেছিলেন সবুজ-মেরুনের ‘ঘরের ছেলে’ সুব্রত ভট্টাচার্য।

এদিন শুরুতে ওয়ার্ম আপের পর প্লেয়ারদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে পাসিংয়ের দিকে বিশেষ নজর দেন ফেরান্দো। অনুশীলনের শেষদিকে দিমিত্রি, লিস্টনদের স্পটকিক এবং পেনাল্টি শ্যুট। চোটগ্রস্ত মনবীর সিং অবশ্য বল নিয়ে আলাদা অনুশীলন করলেন। তবে ছুটি কাটিয়ে ব্র্যান্ডন হ্যামিল, হুগো বোমাস ও কার্ল ম্যাকহ্যাগ এখনও ফেরেননি। তাঁরা রবিবার অনুশীলনে যোগ দেবেন।

নতুন দুই বিদেশি মন্টেনেগ্রোর স্লাভকো ডামজানোভিচ ও উরুগুয়ের ফেডেরিকো গ্যালোগের দিকে বিশেষ নজর ছিল গ্যালারিতে উপস্থিত সবুজ-মেরুন জনতার। গ্যালোগো হয়তো সামান্য ওজন বৃদ্ধি করেছেন, কিন্তু সেটা কয়েকদিনের অনুশীলনে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। উরুগুয়ের ফুটবলারটির স্কিল এবং টাচ কিন্তু দেখার মত। সেটা দেখেই হাততালি দিচ্ছেন দর্শকরা।