Tag Archives: IPL 2020

ম্যাচ জিতে আরসিবিকে ট্যুইটে খোঁচা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের !

 #আবুধাবি: এই নিয়ে দু’বার। গতকাল, বৃহস্পতিবার আবু ধাবির মাটিতেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ধরাশায়ী করল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। আর ম্যাচের হিরো সেই  কেএল রাহুল। আগের বার আরসিবির বিরুদ্ধে তিনি ৬৯ বলে ১৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। গতকাল ৬১ রান করেন। ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হন। আরসিবির বিরুদ্ধে এই মরশুমে পর পর দু’বার জেতার পর এ বার মজার ট্যুইট কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির নামে ব্যঙ্গ করে পঞ্জাব পরাজিত দলকে বুঝিয়ে দিল গতকালের সাফল্যের স্বাদ।

বৃহস্পতিবার ম্যাচ জেতার পর নিজেদের ট্যুইট অ্যাকাউন্টে সরব হয় কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। কে এল রাহুল ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন গতকালের ম্যাচে। অধিনায়কের সেই ছবি পোস্ট করে কিংস ইলেভেন যেন ব্যঙ্গ করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। কিংস ইলেভেনের বার্তা – “@klrahul11 sure loves a royal challenge, doesn’t he,”। এ নিয়ে দুই দলের ফ্যানেদের মধ্যেও চলে ট্যুইট-রিট্যুইটের খেলা। কমেন্টের ছড়াছড়ি।

প্রসঙ্গত, এ নিয়ে চলতি IPL-এ দু’বার মুখোমুখি হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। আর দুটি ম্যাচই জিততে সফল পঞ্জাব। এর আগের ম্যাচে ৯৭ রানে জিতেছিল পঞ্জাব। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ অনেকটাই রোমাঞ্চকর ছিল।

টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনারদের ব্যাট চলেনি গতকাল। দেবদূত পারিক্কল ও অ্যারন ফিঞ্চ দু’জনেই তাড়াতাড়ি মাঠ ছাড়েন। সাত ওভারের মধ্যেই দু’জন ওপেনার প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দলের স্কোর তখন ৬২। এর পর ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৩৯ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। কিন্ত ইনিংসে তেমন গতি ছিল না। ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে একটা ছোট্ট পার্টনারশিপ গড়ে উঠলেও তা কাঙ্ক্ষিত রূপ পায়নি। মাত্র ১৪ রানে ফিরে যান ওয়াশিংটন । এর পর ডেভিলিয়ার্সের ব্যাটও চলেনি। জাদু দেখাতে পারেননি মিস্টার ৩৬০। একই ভাবে শিবম দুবেও খুব তাড়াতাড়ি ফিরে যান। ১৯ বলে ২৩ রান করেন তিনি। কোহলি আউট হওয়ার পর দলের মোট রান কত হতে পারে, তা নিয়েও একটা শঙ্কা ছিল বেঙ্গালুরু শিবিরে । তবে ক্রিস মরিসের ৮ বলে ২৫ আর ইসুরু উদানার ৫ বলে ১০ রানের সুবাদে ১৭০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নিজেদের ইনিংস অনেকটা মজবুত করে ফেলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। পাওয়ার প্লে-তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন অধিনায়ক-ওপেনার কে এল রাহুল ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল। শুধুমাত্র পাওয়ার প্লে-তে ৫৬ রান করে ফেলেন দু’জনে। ২৫ বলে ৪৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান ময়াঙ্ক আগরওয়াল। এর পর ক্রিজে আসেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। স্বমহিমায় না হলেও গেলের ৪৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ। তবে ময়ঙ্ক ও গেইলের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ বের করে দেন কে এল রাহুল। শেষের দিকে তিনি আউট হয়ে গেলেও পঞ্জাবের লক্ষ্যপূরণ আটকাতে পারেনি কোহলি ব্রিগেড। শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচ গড়ালেও ছয় মেরে রাজকীয় কায়দায় জয় ঘোষণা করেন ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরাণ।

একই দিনে দিল্লির কাছে দু’বার ধরাশায়ী রাজস্থান রয়্যালস! কিন্তু কী ভাবে?

শুনলে খানিকটা হকচকিয়ে উঠবেন। তবে এ কথা সত্যি! একদিনেই গতকাল দিল্লির কাছে দু’বার হারল রাজস্থান রয়্যালস। একবার মাঠের লড়াইয়ে আর একবার সোশ্যাল মিডিয়ার ভার্চুয়াল লড়াইয়ে। কী ভাবে? জানতে হলে ডুব দিত হবে দুই দলের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে আর তাদের ফ্যানেদের রিট্যুইট ও কমেন্টবক্সে। দেখে নিতে হবে ট্যুইটের মজাদার জবাবগুলিকে।

মাঠের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও দুই IPL টিমের ম্যাচ জমে উঠেছে। হাড্ডাহাড্ডি পোস্ট ও কমেন্টের এই লড়াইকে ইতিমধ্যে উপভোগ করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। যেমন গতকালের ম্যাচের শুরুতেই রাজস্থান ট্যুইট করে বসে- আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। বরাবরের মতো আমরা আবার ফিরে আসব। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্টিভ স্মিথের ২০০ ম্যাচ পূর্ণ হওয়াকে সেলিব্রেট করে আরও ট্যুইট করা হয় রাজস্থানের তরফে। বলা হয় অধিনায়কের এই রেকর্ডকে আজ জয়ের মধ্য দিয়ে সেলিব্রেট করা হবে। এর পর এ নিয়ে ট্যুইট-রিট্যুইটে জমে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। ম্যাচ শেষে রাজস্থানের ট্যুইটের জবাবে দিল্লির তরফে ব্যঙ্গ করে বলা হয়, পরের বার এত কিছু না বলে শুধুমাত্র অল দ্য বেস্ট বললেই ভালো হয়। পাশাপাশি একটি ছবি শেয়ার করা হয়, যেখানে গাল হাত দেওয়া দু’জনকে রাজস্থানের ট্যুইট অ্যাকাউন্টের অ্যাডমিন ও ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। দিল্লির এই ট্যুইট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

তবে, শুধুমাত্র দুই টিমই নয়, এই ভার্চুয়াল লড়াইতে অংশগ্রহণ করেছেন দুই দলের ফ্যানেরাও। চলছে ট্যুইট আর রিট্যুইট। এক দিল্লি ফ্যান বলে বসেন, অনেক IPL ম্যাচের থেকেও বেশি মজাদার রাজস্থান রয়্যালসের ট্যুইট। তারা আগাম অনেক কিছু ট্যুইট করে বসে। যার উল্টোটা ঘটে ম্যাচের পর!

চলতি IPL সিজনের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারায় রাজস্থান রয়্যালস। ২২ সেপ্টেম্বর শারজা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে রাজস্থান করেছিল ২১৬ রান। অন্য দিকে ২০০ রানেই থেমে যায় চেন্নাই। এর পর ২৭ সেপ্টেম্বর ২২৩ রান তাড়া করে তিন বল বাকি থাকতেই জিতে যায় রাজস্থান। সঞ্জু স্যামসন ও রাহুল তেওটিয়ার ব্যাটে ভর দিয়ে ২২৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রয়্যালসরা। বলা বাহুল্য, চেন্নাই সুপার কিংস ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে পর পর দুটি ম্যাচ জেতার পর রাজস্থানের অফিসিয়াল ট্যুইটারে ফ্যানেদের সঙ্গে সেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়া হয়। ১০০ শতাংশ রেকর্ডের কথা উল্লেখ করে ২৯ সেপ্টেম্বরের ট্যুইটে রাজস্থান ফ্যানেদের উদ্দেশ বলেছিল- হাল্লা বোল!

এ বার রাজস্থানকে কটাক্ষ করে দিল্লি ক্যাপিটালস। পরের দিকের ম্যাচগুলিতে হারের পরিসংখ্যানকে তুলে ধরে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যঙ্গ করে দিল্লি ক্যাপিটালস। পুরোনো টুইটের weLLL শব্দটিকে মজার আকারে ব্যাখ্যা করা হয় দিল্লির তরফে। এখানে পর পর L গুলির অর্থ পর পর হার।

এ পর্যন্ত দু’টি ম্যাচেই দিল্লির কাছে হেরেছে রাজস্থান। এর আগে শুক্রবার ৯ অক্টোবর রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৬ রানে হারিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিসের পারফরম্যান্স ছিল মনে রাখার মতো। ৩৯ রানের পাশাপাশি দুটি উইকেটও নেন তিনি। এর পর গতকালও দিল্লির কাছে হেরে যায় রাজস্থান।

বুধবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে যায় রাজস্থান। টসে জিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৬৭ রান করে দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্টোকস ও বাটলার ছাড়া কাউকেই তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। মাঝে উত্থাপা ৩২ রান করেন, তবে ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি। ১৪৮ রানে থেমে যায় রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস।

প্রসঙ্গত, ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অন্য দিকে পাঁচটি হার ও মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শেষ থেকে দুই নম্বরে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।

 

ধোনির সুপার ফ্যানের কীর্তি, CSK-এর সমর্থনে বদলে গেল বাড়ির রঙ, দেওয়ালে ছবি-স্লোগান, খরচ যা পড়ল জানলে অবাক হবেন!

আরব আমিরশাহির মাটিতে এ বারের IPL কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেয়নি চেন্নাই সুপার কিংস-কে। অধিনায়ক ধোনিকেও তেমন ছন্দে দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তা বলে চেন্নাই ফ্যানেদের উন্মাদনায় কোনও ঘাটতি নেই। সম্প্রতি তারই এক দৃষ্টান্ত মিলল। ক্যাপ্টেন কুল মহেন্দ্র সিং ধোনির এক ভক্ত চেন্নাইয়ের রঙেই রাঙিয়ে তুলেছেন নিজের বাড়়ি। দেওয়াল জুড়ে রয়েছে ধোনির ছবি। লেখা রয়েছে ট্যাগ লাইন হুইসল পোড়ুও।

গোপীকৃষ্ণণ। ধোনির এই ফ্যানের বাড়ি তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরে। আগে কর্মসূত্রে দুবাইতে ছিলেন। দুবাইতে থাকাকালীন IPL-র প্রতিটি সিজনেই চেন্নাইয়ের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন তিনি। গ্যালারিতে বসে ধোনির খেলা দেখেছেন। তবে এ বার ভাগ্য বিরূপ। কারণ করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে তিনি এখন কুড্ডালোরে। তাই এ বার আর নিজের প্রিয় টিম ও ধোনিকে দেখা হল না। কিন্তু তাতে কী? দলকে ভালোবেসে নিজের বাড়ি দলের রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন।

চেন্নাই সুপার কিংসের রং হলুদেই পুরো বাড়ি রং করা হয়েছে। বাড়ির সামনের উপরের দু’দিকে রয়েছে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ছবি। দেওয়াল জুড়ে লেখা রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের ট্যাগলাইন Whistle Podu। আঁকা হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের লোগোও। গোপীকৃষ্ণণ জানিয়েছেন, এই বাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোম অফ ধোনি ফ্যান’। পুরো বাড়ি রং করতে তাঁর খরচ হয়েছে ১.৫ লক্ষ টাকা। তবে আফসোসও করেছেন ক্যাপ্টেন কুলের এই ফ্যান। তিনি জানিয়েছেন, এ বছর মহেন্দ্র সিং ধোনিকে লাইভ খেলতে দেখতে পারছেন না তিনি। পাশাপাশি এ বার লোকে যে ভাবে ধোনির সমালোচনা করছেন, তাতে বড় দুঃখ পেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, তিনি ধোনিকে এই সমস্ত কিছু দেখাতে চান। বোঝাতে চান যে ধোনির কত বড় ফ্যান তিনি।

সম্প্রতি পুরো বাড়ির একটি ভিডিও ও একাধিক ছবি নিজেদের অফিসিয়াল Twitter ও Instagram অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। যা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে চেন্নাই ফ্যানেদের।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ধোনি। চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও খুব একটা ফর্মে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। বলা বাহুল্য অধিনায়ক ধোনির পাশাপাশি IPL-র অন্যতম সেরা টিম চেন্নাইও চলতি সিজনে ছন্দে নেই। আর এর পর থেকেই নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে ধোনিকে নিয়ে। চেন্নাইকে নিয়ে একাধিক ট্রোলও চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলকাতার বিরুদ্ধে ম্যাচ হারার পর দিন কয়েক আগে ধোনির পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে কালকের ম্যাচে জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালকের ম্যাচে জেতার পর কিছুটা হলেও প্লে অফে যাওয়ার লড়াইয়ের স্বপ্নকে জিইয়ে রাখল চেন্নাই।

IPL 2020: ধোনির ধ্যাঁতানি! আম্পায়রের সিদ্ধান্ত বদল, জেনে নিন কেসটা কী

#দুবাই: চেন্নাই সুপার কিংস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএল ২০২০ ম্যাচে নাটকীয় ঘটনা এক চরম পর্বে পৌঁছল৷ ম্যাচের ১৯ তম ওভারে SRH-স্কোর তাড়া করছিল৷ সেখানে আম্পায়র পল রাইফেল নিজের হাত বাড়িয়ে ওয়াইড দিতে চাইছিলেন তখনই এমএস ধোনি-শার্দুল ঠাকুর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুরু করলে তিনি সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন!

এসআরএইচের ১১ বলে তখন ২৫ রান দরকার ছিল৷ শার্দুল সেই সময় ওয়াইড ইয়র্কার দিয়েছিলেন রশিদ খানকে ৷ তিনি স্ট্রেচ করেও বলের কাছে পৌঁছতে পারেননি৷ রাইফেল নিজের ওয়াইড বলের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন৷ ধোনি ও ঠাকুর বুঝিয়ে দেন যে ব্যাটসম্যান নিজের জায়গা থেকে সরে গিয়েছেন৷ এরপরেই রাইফেল নিজের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন৷

নিজের ডাগআউটে রীতিমতে ক্ষোভ উগড়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নার৷ সিএসকে ম্যাচ ২০ রানে ম্যাচ জিতে যায় ৷ এদিনের ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান করেছিল সিএসকে৷

তবে আম্পায়ররা নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হলে বদলাতেই পারেন৷ রাইফেল যেহেতু সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ঝট করে সিদ্ধান্ত বদলে নেন৷

সেকশন ২.১২ আইপিএল ম্যাচ প্লেয়িং কন্ডিশনের নিয়ম –

“Umpire’s decision: An umpire may alter any decision provided that such alteration is made promptly. This apart, an umpire’s decision, once made, is final.” অর্থাৎ ‘ আম্পায়রের সিদ্ধান্ত- একজন আম্পায়র নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতেই পারেন যদি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল করে নেন, এছাড়া একজন আম্পায়রের একবারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বিষয়৷ ’

এর কিছুক্ষণ পরেই রশিদ ডিপে দীপক চাহারের হাতে ধরা পড়েন৷ সেই হিট উইকেটও হয়েছিলেন তিনি কারণ তাঁর পা লেগে স্টাম্প পড়ে যায়৷ সেই একই বল ফিল্ডারের হাতে তালুবন্দী হয়ে যায়৷

সেকশন ৩৩.৫ নিয়মে  আইপিএলের ম্যাচ কন্ডিশান অনুযায়ী- “If the criteria of clause 33.1are met and the striker is not out Bowled, then heis out Caught,even though a decision against either batsman for another method of dismissal would be justified.”- ‘৩৩.১ ক্লজ অনুযায়ী ৩৩.৫ এবং ৩৩.১ ধারা এই বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছে। সোজা কথায় বললে, যদি কোনও ব্যাটসম্যান একই বলে বোল্ড হওয়া বাদে অন্য কোনও রকম ভাবে আউট হন এবং পাশাপাশি ক্যাচ আউটও হন, তা হলে তাঁকে কট আউট হিসাবেই গণ্য করতে হবে।

IPL 2020: ড্রেসিংরুমে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা, অধিনায়কের কথায় হাততালির ঝড়

#দুবাই:  গত IPL ফাইনালেরই কি পুনরাবৃত্তি হবে এ বছর? চ্যাম্পিয়ন হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স?  টুর্নামেন্ট যত এগোচ্ছে, চড়ছে উত্তেজনার পারদ।  প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে নিজের দলকে এগিয়ে রাখা কতটা জরুরি, সেই নিয়ে মুখ খুললেন Mumbai Indians – র অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই রোহিত বলেছেন যে, এতদিন তাঁরা ভালোই খেলেছেন, অনেকটা পথ এসেছেন, তবে এত দূর এসে এই সময়েই চ্যালেঞ্জ বাড়তে শুরু করে। এখনই তাঁদের প্রতিদ্বন্দীদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে হবে।

দিল্লি ক্যাপিটালস-কে হারিয়ে এখন পয়েন্টের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রবিবারের ম্যাচে চমৎকার হাফ সেঞ্চুরি করেছেন কুইন্টন ডিকক এবং সূর্যকুমার যাদব।

আরও পড়ুন – IPL 2020: শারজায় ফের ঝড়, ডেভিলিয়ার্স ধামাকায় রুদ্ধ হল যানচলাচল, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

রোহিতের মতে এটা খেলার শুরুও না, শেষও না। মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছেন তাঁরা। এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ফোকাসড থাকা। পরবর্তী সাতটা ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের জন্য। তবে খেলাটা উপভোগ করতে ভুলে গেলে চলবে না। এটা একটা কঠিন টুর্নামেন্ট। তবে এর মাঝেও নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টা মজা করার দরকার, বন্ডিংটা মজবুত করা জরুরি।

ভারতীয় তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করলেন সম্প্রতি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ১৫০ ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই অধিনায়ক। রবিবার আবু ধাবির আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালস-এর বিপক্ষে IPL কেরিয়ারে ১৫০তম ম্যাচ খেললেন রোহিত শর্মা।

এ দিন প্রথমে ব্যাট করে শ্রেয়স আয়ারের নেতৃত্বাধীন দিল্লি তোলে ৪ উইকেটে ১৬২ রান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বই দুই বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। তবে IPL-এর ১৩ আসরের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি, মানে ৫ হাজার ৬৩৫ রান সংগ্রহ করেছেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৬৮ রান করেছেন সুরেশ রায়না। ৫ হাজার ১১৪ রান করে তৃতীয় পজিশনে রয়েছেন রোহিত শর্মা।

১৩ তম IPL এ বছর হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হচ্ছে ম্যাচ। মোট আটটি দল রয়েছে- মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস, কিংস ১১ পঞ্জাব, কলকাতা নাইট রাইডার্স, সানরাইজ হায়দরাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস। র‍্যাঙ্কিং-এর শীর্ষে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, একেবারে তলায় রয়েছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।

IPL 2020: শারজায় ফের ঝড়, ডেভিলিয়ার্স ধামাকায় রুদ্ধ হল যানচলাচল, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

#শারজা:  IPL -র ২৮ তম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮২ রানে হারিয়েছে ৷ এই বড় জয়ে আরসিবি ক্রিকেটার এবি ডেভিলিয়ার্সের বিস্ফোরক ব্যাটিং একেবারে ল্যান্ডমার্ক হয়েছে৷ শারজা স্টেডিয়ামের এই ম্যাচে তিনি কার্যত বিপক্ষের বোলারদের ক্লাবস্তরে নামিয়ে এনেছেন৷ তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জেরে কিছুক্ষণের জন্য শারজার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷

ডেভিলিয়ার্স এদিন ৩৩ বলে ঝকঝকে ৭৩ রান করেন৷ নিজের ধামাকা ইনিংসে ৫ টি চার ও ৬ টি ছক্কা মারেন৷ একাধিকবার তাঁর ছক্কার স্টেডিয়াম পেরিয়ে রাস্তায় গিয়ে পড়ে৷

যখন ডেভিলিয়ার্স ক্রিজে এসেছিলেন তখন তাঁর স্কোর ২ উইকেটে ৯৪ রান ছিল৷ কিন্তু এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটিতে দলের রান ১৯৪ তে পৌঁছে দেন৷ তিনি কোহলির সঙ্গে জুটিতে ৪৬ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপ করেন৷ ডেভিলিয়ার্সের ব্যাট এদিন ছক্কার বৃষ্টি করছিল৷ এই ছক্কার বৃষ্টির সময়েই ২ বার বল মাঠের বাইরে গিয়ে পড়ে৷ ম্যাচের ১৬ তম ওভারে কমলেশ নাগরকোটি -র বল মাঠের বাইরে পৌঁছয়৷ সেই বল লং অনের ওপর দিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে চলে যায়৷ ২ বারই ডেভিলিয়ার্সের বল ব্যস্ত রাস্তায় পড়ে৷ এরফলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা শুরু হয় ডেভিলিয়ার্স নিজের ধামাকা ব্যাটিংয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির গতিও রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন৷

এদিন টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমেছিল আরসিবি৷ নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ১৯৪ রান করে ৷ জয়ের জন্য কেকেআরকে ১৯৫ রান করতে হত৷ এত বড় লক্ষ্যের চাপে শুরু থেকেই কুঁকড়ে যায় কেকেআর৷ নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রানই করতে পেরেছিল তারা৷

এই জয়ের ফলে আরসিবি পয়েন্ট টেবলে মুম্বই ইন্ডিয়ন্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের পরে তিন নম্বর জায়গায় আসে৷ কোহলি এদিন ৬ জন বোলারকে ব্যবহার করেছেন৷ সব বোলারই এদিন চাপে থাকা কেকেআরের বিরুদ্ধে সাফল্য পান৷ ক্রিস মরিস ও ওয়াশিংটন সুন্দর ২ টি করে উইকেট নেন৷ এছাড়া নভদীপ সাইনি, মহম্মদ সিরাজ, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ইসরু উদানা একটি করে উইকেট পান৷

IPL 2020: বেল জ্বলে উঠেও পড়ল না, ভাগ্যের ভরসায় ম্যাচের হিরো হয়ে উঠলেন রাহুল তেওটিয়া!

দুবাই: পর পর হারের পর গতকাল জয়ের স্বাদ পেল রাজস্থান। আর এ বারেও ম্যাচের কাণ্ডারি রাহুল তেওটিয়া। পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও বিপক্ষের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন তিনি। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের ২৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস গতকাল নজর কাড়ল। তবে ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণীয় ঘটনা হল রাহুল তেওটিয়ার স্টাম্পিং। না, আউট হননি তিনি। উইকেটের বেল জ্বলে উঠলেও বিপক্ষের ভাগ্যের আলো জ্বলেনি।

ঘটনার সূত্রপাত রশিদ খানের ১৮ নম্বর ওভারে। বিপক্ষের অন্যতম বিপজ্জনক বোলারকেও তোয়াক্কা করেননি রাজস্থানের তরুণ রাহুল তেওটিয়া। পর পর তিনটি বাউন্ডারি। কিন্তু ওভারের পাঁচ নম্বর বলকে ঘিরে যাবতীয় জল্পনার সূত্রপাত। তখনও ১৪ বলে ২৩ রান দরকার রাজস্থানের। রাহুল তেওটিয়ার ব্যাট পেরিয়ে বল গিয়ে উইকেট কিপার বেয়ারস্টোর প্যাডে লাগে। এ দিকে বল কোথায়, তা না দেখেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান রাহুল। আর বেয়ারস্টোর প্যাড থেকে বল সরাসরি উইকেটে গিয়ে লাগে। বেল জ্বলে ওঠে। কিন্তু বেল জ্বলে উঠলেও, উইকেট থেকে পড়েনি। উইকেটের উপরের খাঁজেই আটকে থেকে যায়। আর নতুন জীবন পান রাহুল। বলা বাহুল্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে এর পর আরও একবার আশায় বুক বেঁধেছিল রাজস্থান। আর সেই আশা সার্থক হয়। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন রাহুল। ম্যাচটি জিতে যায় রাজস্থান।

এই দৃশ্যটি দেখার পর কোচ থেকে শুরু করে কমেন্টের- কেউই নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। নেটিজেনদের কথায় কাল রাহুলের দিন ছিল। তাই হায়দরাবাদের আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

গতকাল দুবাইয়ের মাটিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৮ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ওপেনিংয়ে ওয়ার্নারের ৩৮ বলে ৪৮ রান, পরে মণীশ পাণ্ডের ৪৪ বলে ৫৪ রানই সামলে নেয় হায়দরাবাদকে। পরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। ওপেনাররা চলেনি। অধিনায়ক স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসনও অল্প রানে ফিরে যান। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ যখন প্রায় হাতছাড়া, তখনই হাল ধরেন রাহুল তেওটিয়া ও রিয়ান পরাগ। দলের এই তরুণ খেলোয়াড়দের হাত ধরে এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।  রাহুল তেওটিয়া ২৮ বলে ৪৫ রান ও ২৬ বলে ৪২ রান করেন রিয়ান পরাগ। বলা বাহুল্য, এর আগে এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা আর গতকাল আবারও একটি ম্যাচ উইনিং ইনিংসের জেরে রীতিমতো চর্চায় রয়েছেন রাহুল তেওটিয়া।

IPL 2020: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়ে বিহুর ছন্দে মাতলেন রিয়ান পরাগ, দেখুন ভিডিও!

চলতি IPL সিজনে পর পর চারবার হারের পর খানিকটা ছন্দ হারিয়েছিল। তবে গতকাল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের মাটিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় কিছুটা হলেও অক্সিজেন দিল রাজস্থান রয়্যালসকে। শুরুটা নড়বড়ে হলেও রাহুল তেওয়াটিয়া ও রিয়ান পরাগের নেতৃত্বে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল রাজস্থান। আর তার পর তরুণ রিয়ান পরাগের বিহু নাচ মন জিতে নিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। ইতিমধ্যেই রিয়ানের এই নাচ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ওপেনিংয়ে জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট না চললেও ওয়ার্নার স্বমহিমায় ছিলেন। প্রথমে ওয়ার্নারের ৩৮ বলে ৪৮ রান, পরে মণীশ পাণ্ডের ৪৪ বলে ৫৪ রানের সুবাদে হায়দরাবাদের স্কোর ১৫০ পেরিয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। বেন স্টোকস বা বাটলার কারও ব্যাটই চলেনি গতকাল। ৫ রানে আউট হয়ে যান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও। ভালো ফর্মে থাকা সঞ্জু স্যামসনও মাত্র ২৬ রানে ফিরে যান। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একটা সময় রাজস্থানের জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছিল। এই সময় ম্যাচের হাল ধরেন রাহুল তেওটিয়া ও তরুণ খেলোয়াড় রিয়ান পরাগ। দলের তরুণ ব্রিগেডের হাত ধরে ছয় নম্বর উইকেটে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। রাহুলের ২৮ বলে ৪৫ রানের পাশাপাশি ২৬ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রিয়ান।

 

View this post on Instagram

 

When you’re happy and you know it ☺️???#Dream11IPL #SRHvRR

A post shared by IPL (@iplt20) on

তবে শেষ ওভারে জমে ওঠে ম্যাচ। পাঁচ উইকেট বাকি থাকতে ১৯ ওভারের পাঁচ নম্বর বলে খলিল আহমেদকে ছয় উপহার দেন রিয়ান। আর এর পরের মুহূর্ত গতকালের ম্যাচে স্মরণীয় হয়ে যায়। অসমের ১৮ বছরের তরুণ ব্যাট হেলমেট ছেড়ে মেতে ওঠেন বিহুর ছন্দে। তাঁর এই সেলিব্রেশন স্টাইল ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।

ম্যাচের শেষে নিজের বিহু নিয়ে অবশ্য অকপট এই তরুণ ক্রিকেটার। তাঁর কথায়, এই কঠিন পরিস্থিতিগুলি ভালোবাসেন তিনি। যখনই দল তাঁকে চায়, তিনি সর্বতো ভাবে চেষ্টা করেন লক্ষ্যপূরণের । আর লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেলেই আনন্দে মেতে ওঠেন। কাল তারই এক ঝলক দেখা গেল অসমের ঐতিহ্যশালী বিহু নাচে।

ম্যাচে মাঝের সময়টায় কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে কথাও বলছিলেন রিয়ান পরাগ। তিনি জানান, শেষ চার ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ হাতে মাত্র চার ওভার। এর মধ্যে রশিদ খানেরও একটা ওভার ছিল। তাই রাহুল তেওটিয়ার সঙ্গে পরিকল্পনা করেই এগোতে হচ্ছিল। রশিদ খানের ওভারটায় রান করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাহুল। শেষমেশ পুরো পরিকল্পনা সফল হল। এক বল থাকতেই জিতল রাজস্থান।

 

IPL 2020 : একেই বলে অর্ধাঙ্গিনী, প্রেগন্যান্ট অনুষ্কা স্ট্যান্ডে স্বামীকে ছুঁড়ে দিলেন ভালোবাসা

#: অনুষ্কা শর্মার মুখে হাজার ওয়াটের হাসি৷ বিরাট কোহলির দারুণ ইনিংস যেমন ঝকঝকে, তেমনই ক্লাসিক৷ প্রেগন্যান্ট অনুষ্কা এদিন চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ দেখতে স্ট্যান্ডে হাজির হয়েছিলেন৷  এমএস ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে নিজের সেরাটা বার করে আনলেন বিরাট কোহলি৷

৯০ রানের ঝকঝকে ইনিংস তাঁর চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে এখনও অবধি সর্বোচ্চ স্কোর৷এদিন একেবারে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেই দলকে জয় এনে দেন৷ এদিন বিরাটের ব্যাটেই আইপিএলের দুবাই ভ্যেনুতে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান করে আরসিবি৷

এদিকে বিরাটের এদিনের চমৎকার ইনিংসের সাক্ষী ছিলেন অনুষ্কা শর্মা৷ আর তা নজর এড়িয়ে যায়নি নেটিজেনদের৷ বলিউডের তারকা অভিনেত্রীকে এদিন ট্যুইটারে ভরিয়ে দিলেন তিনি৷ তাঁকে গ্যালারিতে হাততালি দিতে, গলা ফাটাতে আবার বিরাটের পারফরম্যান্সের পর ফ্লাইং কিস দিতেও দেখা যায়৷

সেই ছবি এই মুহূর্তে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এদিকে বিরাটও তাঁর প্রিয়তমার দিকে প্রেম বার্তা দিতে ভোলেননি৷ দুবাইতে শুরু থেকেই আছেন অনুষ্কা৷ তবে রোজ দিন ম্যাচের সময় মাঠে আসেননি৷ তবে সিএসকে ম্যাচে মাঠে থেকেই স্বামীর দলকে চিয়ার করতে এসেছিলেন৷ ফের একবার সফল বিরাটের লেডিলাক ৷

IPL 2020: মুজিবুর রহমানের DRS নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, বিদ্রুপ ছাড়াল শালীনতার মাত্রা!

#কলকাতা: দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফের হারের মুখ দেখল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। নিকোলাস পুরন ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেও বাকিরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাট হাতে ম্যাক্সওয়েলও ব্যর্থ হয়েছেন। এর মাঝে একটি আউটের সিদ্ধান্ত আর DRS নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ট্রোল শুরু হয়েছে। এই আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই মুজিবুর রহমানকে ঘিরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি শেয়ার করা হয়েছে। অনেকের মতে, ম্যাচে পুরো বিষয়টি কী ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

হায়দরাবাদ ও পঞ্জাব ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস। বড় রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভারে ব্যাট করছেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মুজিবুর রহমান। ও পারে বল হাতে খলিল আহমেদ। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকঠাক যোগোযাগ হয়নি। বল ব্যাট ছুঁয়ে ততক্ষণে সোজা জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে। এর পরই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। স্বভাবতই আউটের আবেদন করা হয় হায়দরাবাদের তরফে। নট আউট না আউট সেই বিভ্রান্তির মাঝেই থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন আর এক অন ফিল্ড আম্পায়ার। এ বার বাম্প বল কি না তা দেখার জন্য, সিদ্ধান্তকে একটু খতিয়ে দেখেন থার্ড আম্পায়ার। দেখা যায় বল মাটি ছোঁয়নি। তাই ফুটেজ দেখার পর আউট দেওয়া হয় মুজিবুরকে। তবে এই ফাঁকে আলাদা করে আর আল্ট্রা এজ চেক করেননি থার্ড আম্পায়ার। প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটতে শুরুই করেছিলেন মুজিবুর, তবে এ বার এক নতুন জটিলতা তৈরি হয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। নেওয়া হয় DRS রিভিউ। এ বার থার্ড আম্পায়ার আবার নতুন করে ফুটেজ দেখতে শুরু করেন। স্নিকোমিটারের সাহায্যে খতিয়ে দেখা হয় আলট্রা এজ। দেখা যায় মুজিবুরের ব্যাট ছুঁয়ে বেরিয়েছে বল। শেষমেশ আবার আউট দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই এই আউটের ঘটনাটিকে নিয়ে ট্রোল করা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। অনেকে সানি দেওলের বিখ্যাত ডায়ালগ তারিখ পে তারিখের সঙ্গে DRS পে DRS মিলিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। কেউ আবার নানা মিম ক্যারেক্টারের সঙ্গে এই DRS-এর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।

তবে অনেকে অবশ্য এই মিম ও মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের কথা, প্রথমে থার্ড আম্পায়ার বাম্প বলের পরীক্ষা করেছেন। পরে ব্যাটে বলে সংযোগ হয়েছে কি না তা দেখার জন্য আলট্রা এজ চেক করা হয়। এর জেরে একটি সঠিক ও নিঁখুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কোনও ভুল নেই।

উল্লেখ্য, অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জেরেই গতকালের ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টোর ৫৫ বলে ৯৭ রান ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৪০ বলে ৫৫ রানের উপর ভর করে পঞ্জাবের সামনে ২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। পরে বল হাতে রশিদ খান একাই বিপক্ষকে ধরাশায়ী করেন। হাত খুলে খেলতে গিয়েও পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা তাঁর ওভারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। গতকাল নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন রশিদ। অন্য দিকে পঞ্জাবের হয়ে নিকোলাস পুরন লড়াইটা ভালো শুরু করলেও পরের দিকে পার্টনারশিপের অভাবে অসহায় হয় পড়েন। তাঁর ৩৭ বলে ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংসও দলকে রক্ষা করতে পারেনি।