দক্ষিণবঙ্গ, পুরুলিয়া Jalebi: এই খাবারটি খেয়েছেন কখনও? বছরে দু-তিন’দিন মেলে, একবার খেলে মুগ্ধ হয়ে যাবেন Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk পুরুলিয়া: শিল্প সংস্কৃতি ঐতিহ্য পরিপূর্ণ লাল মাটির জেলা পুরুলিয়া। এই জেলার সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে বৈচিত্র। ভাদু ও বিশ্বকর্মা উৎসব চলছে গোটা জেলা জুড়ে। দু’দিনব্যাপী জেলার সমস্ত প্রান্ত উৎসবে মেতে উঠেছে। এই উৎসবের সময়তে পুরুলিয়ার ঝালদায় বৃহদাকারের জিলাপি দেখতে পাওয়া যায়। ঝালদার প্রায় বেশিরভাগ মিষ্টির দোকানে বড় বড় জিলাপি তৈরি হতে দেখা যায়। আর যা কিনতে রীতিমত ক্রেতারা ভিড় জমান দোকানে। মূলত ভাদু ও বিশ্বকর্মা পুজোর সময়তে এই জিলাপি চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই পুজো উপলক্ষ্যেই স্পেশ্যাল ভাবে এই জিলাপি তৈরি হয়। এ বিষয়ে ক্রেতারা বলেন, ঐতিহ্য মেনে উৎসবের এই সময়টাতে ঝালদা শহরে প্রায় বেশিরভাগ মিষ্টির দোকানে বৃহদাকারের জিলাপি তৈরি হয়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী জিলাপি তৈরি করা হয় এখানে। যথেষ্টই চাহিদা রয়েছে এই জিলাপির। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে এই জিলাপি কিনতে আসেন। এটা এই পুজোর একটা অন্যতম ঐতিহ্য। জিলাপির রূপ ও স্বাদ দুটোই অতুলনীয় হয়। পুরুলিয়া জেলার অন্যান্য উৎসব গুলির মতই ভাদু ও বিশ্বকর্মা উৎসব। এই দুটো দিন একেবারেই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে সকলে। বেশিরভাগ জায়গাতেই এই সময় বিশ্বকর্মা পুজো হতে দেখা যায়। এরই পাশাপাশি ভাদু আরাধনা চলে গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতে। তারই সঙ্গে চলে বড় আকারে জিলাপি ও খাজা কেনার হিড়িক। আর তাই তো বছরের এই দুটো দিনেই ঝালদার বিভিন্ন মিষ্টির দোকান গুলিতে এই অভিনব জিলাপি পাওয়া যায়।
দক্ষিণবঙ্গ, বাঁকুড়া Big Jalebi: বছরের এই সময়ে মাত্র ১৫ দিনের জন্য ভাজা হয় এই জাম্বো জিলিপি! খেতে দারুণ আর সাইজ একেবারে উ লা লা Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk বাঁকুড়া: দেখুন থালার সাইজের জিলিপি। এরকম অতিকায় জিলিপি কোনদিন দেখেছেন? এক একটা জিলিপির ওজন প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি। কে খাবে এত বড় জিলিপি? একমাত্র কুম্ভকর্ণই বোধ হয় খেতে পারবেন এই অতিকায় জিলিপি। বাঁকুড়া জেলায় পাওয়া যাচ্ছে ‘জাম্বো জিলিপি।’ ছোট গাড়ির চাকার সমান এক থেকে দু’কিলো সাইজের অতিকায় জিলিপি তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া ১ ব্লকের কেঞ্জাকুড়া গ্রামে। বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া গ্রাম বিখ্যাত মুড়ির মেলার জন্য। কিন্তু আপনি জানেন কি এই গ্রামেই বছরের পর বছর এক বিশেষ সময়ে তৈরি হয় অতিকায় জিলিপি? ভাদ্র সংক্রান্তিতে বিশ্বকর্মা পূজো এবং ভাদু পুজো উপলক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন তৈরি করা হয় এই জাম্বো জিলিপি। দূর দূরান্ত মানুষ আসেন এই জিলিপি কিনতে। বাঁকুড়া জেলা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ভিড় জমান জিলিপি প্রেমী মানুষরা। বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুরা গ্রামে বিভিন্ন মিষ্টান্ন ভান্ডারে তৈরি করা হয় এই অতিকায় জিলিপি । এদের মধ্যে অন্যতম হল দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার। প্রতিদিন প্রায় ১০০টা করে এই রকম বড় বড় জিলিপি ভাজছেন তারা। প্রতিটা জিলিপি ভাজতে সময় লাগছে প্রায় ১৫ থেকে কুড়ি মিনিট। প্রতি কেজি ১৬০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে জিলিপি। বিশেষভাবে করা হয় প্যাকেজিং। ছোট ছোট গোল গোল জিলিপি আমরা সবাই খেয়েছি। এই বিশেষ মিষ্টি আমাদের প্রত্যেকেরই দুর্দান্ত লাগে। কিন্তু ভাবুন তো একবার যদি এই দানব জিলিপি আপনাকে দেওয়া হয় তাহলে আপনি এটাকে খেয়ে শেষ করতে পারবেন কিনা। একা নয় পরিবারের সঙ্গেভাগ করে খাওয়ার জন্যই বহু মানুষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই অতিকায় জিলিপি । তাছাড়া এক দর্শনীয় জিনিসও বটে। যদি জিলিপি খেতে আর গ্রাম বাংলার উৎসব ভালোবাসেন তাহলে এক্ষুনি চলে আসুন বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরায়। আর মাত্র কয়েকদিন তারপরেই বন্ধ হয়ে যাবে এই অতিকায় জিলিপি ভাজা। হয়তো আবার এক বছর অপেক্ষা করতে হবে জাম্বো জিলিপির দর্শন পাওয়ার জন্য। Input- Neelanjan Banerjee
পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Quiz: মিষ্টির পোকা, শেষ পাতে চাই! কিন্তু জাতীয় মিষ্টির নামে ঢোক গিলছেন! ৯৯ শতাংশ মানুষই উত্তর দিতে মাথা চুলকোবেন Gallery August 29, 2024 Bangla Digital Desk দেশের একটি জাতীয় খেলা হকি, একটি জাতীয় পশু বাঘ বা জাতীয় সবজি কুড়ো, তেমনই ভারতের জাতীয় মিষ্টিও রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। নানা ধরনের কুইজ শোয়ের মধ্যে আমারা এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে থাকি৷ যদি আপনি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, এটি আপনার জন্য খুব আকর্ষণীয় প্রশ্ন! বিশেষ করে আমাদের দেশে যে কোনও উৎসবে মিষ্টিমুখ করা হয়। এমনকী সুখবরে মিষ্টি খাওয়ানোর রীতি রয়েছে৷ আমাদের দেশে, বিভিন্ন প্রান্তে অনেক সুস্বাদু মিষ্টি রয়েছে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এত ধরনের মিষ্টির মধ্যে দেশের জাতীয় মিষ্টি কী? বিশ্বাস করুন বা না করুন, বাংলার রসগোল্লা নিয়ে এত আলোচনা হয় যে আপনি ভাবতে পারেন যে এটি আমাদের দেশের জাতীয় মিষ্টি। কিন্তু, একদম ভুল। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন যে সত্যিই কী কোনও জাতীয় মিষ্টি আছে? জাতীয় মিষ্টি, জাতীয় প্রাণী, জাতীয় ফুল বা জাতীয় ফলের মতো আলোচনা করা হয় না। মজার ব্যাপার হল এই মিষ্টি আপনি নিশ্চয়ই অনেকবার খেয়েছেন। এটি ব্রেকফাস্টের সঙ্গে বেশি পরিবেশন করা হয়। এবং উত্তর ভারতে এর চল বেশি৷ বাংলাও কম নয় যদিও৷ আমাদের দেশের জাতীয় মিষ্টি হল জিলিপি বা জলেবি। এটি একটি ইরানি মিষ্টান্ন হিসাবে বিবেচিত। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, অনেক প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে জিলিপির উল্লেখ রয়েছে। জিলিপি বা জালেবির মতো মিষ্টিকে ‘কুণ্ডলিকা’ বা ‘জলবল্লিকা’ বলা হয়। জিলিপি অতি প্রাচীন মিষ্টি৷ দেশের মানুষ জিলিপি খেতে খুবই ভালবাসেন৷