Tag Archives: Joint Entrance

Success Story: জয়েন্টে প্রথম, আইআইটি বম্বে-তে পড়াশোনা, এখন কী করছেন প্রণব গোয়েল?

আইআইটি থেকে যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাঁরা নবম-দশম শ্রেণী থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেন। কারণ জেইই মেইন এবং অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নাহলে আইআইটি-তে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা প্রণব গোয়েল (Pranav Goyal)। মেধাবী ছাত্র। আইআইটি-তে ভর্তির জন্য কঠোর পরিশ্রমই ছিল তাঁর হাতিয়ার।
আইআইটি থেকে যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাঁরা নবম-দশম শ্রেণী থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেন। কারণ জেইই মেইন এবং অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নাহলে আইআইটি-তে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা প্রণব গোয়েল (Pranav Goyal)। মেধাবী ছাত্র। আইআইটি-তে ভর্তির জন্য কঠোর পরিশ্রমই ছিল তাঁর হাতিয়ার।
মানসিক চাপ কাটাতে পৌরাণিক উপন্যাস পড়তেন। মাঝে মধ্যে দেখতেন সিনেমাও। ২০১৮ সালে জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষা দেন প্রণব। প্রথম হন। আইআইটি রুরকি জোন থেকে ৩৬০-এর মধ্যে পেয়েছিলেন ৩৩৭ নম্বর। Photo Courtesy: ANI
মানসিক চাপ কাটাতে পৌরাণিক উপন্যাস পড়তেন। মাঝে মধ্যে দেখতেন সিনেমাও। ২০১৮ সালে জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষা দেন প্রণব। প্রথম হন। আইআইটি রুরকি জোন থেকে ৩৬০-এর মধ্যে পেয়েছিলেন ৩৩৭ নম্বর। Photo Courtesy: ANI
সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র ছিলেন প্রণব। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় নন মেডিক্যাল স্ট্রিমে ট্রিসিটি (চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা এবং মোহালি) টপার হওয়ার পাশাপাশি ২০১৮ সালে জেইই মেইন পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। ম্যাট্রিকুলেশনে তাঁর স্কোর ছিল সিজিপিএ ১০। Photo: Collected
সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র ছিলেন প্রণব। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় নন মেডিক্যাল স্ট্রিমে ট্রিসিটি (চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা এবং মোহালি) টপার হওয়ার পাশাপাশি ২০১৮ সালে জেইই মেইন পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। ম্যাট্রিকুলেশনে তাঁর স্কোর ছিল সিজিপিএ ১০। Photo: Collected
বাবার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি: পঞ্চকুলার সেক্টর ১৫-এর ভবন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন প্রণব। নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি। এ কথা খোলাখুলিই বলেছেন তিনি। Photo: Collected
বাবার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি: পঞ্চকুলার সেক্টর ১৫-এর ভবন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন প্রণব। নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি। এ কথা খোলাখুলিই বলেছেন তিনি। Photo: Collected
প্রণবের বাবা পঙ্কজ ও মা মমতা গোয়েল ব্যবসায়ী। দু’জনে একসঙ্গে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি চালান। প্রণব বলছেন, “যখন প্রস্তুতি শুরু করি, প্রথম ১০ জনের মধ্যে থাকার লক্ষ্য নিয়েছিলাম। যত সময় গেল, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস বাড়ল। জেইই-তে শীর্ষে থাকার লক্ষ্য নিয়ে এগোতে শুরু করলাম।” Photo: Collected
প্রণবের বাবা পঙ্কজ ও মা মমতা গোয়েল ব্যবসায়ী। দু’জনে একসঙ্গে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি চালান। প্রণব বলছেন, “যখন প্রস্তুতি শুরু করি, প্রথম ১০ জনের মধ্যে থাকার লক্ষ্য নিয়েছিলাম। যত সময় গেল, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস বাড়ল। জেইই-তে শীর্ষে থাকার লক্ষ্য নিয়ে এগোতে শুরু করলাম।” Photo: Collected
মানসিক চাপ দূর করতে পৌরাণিক উপন্যাস: প্রণব বলেন, “বাবা-মা এবং শিক্ষকরা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমার প্রতিটা পদক্ষেপে সমর্থন এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’’ মানসিক চাপ কাটাতে পৌরাণিক উপন্যাস পড়তেন বলে জানিয়েছেন প্রণব। মাঝে মধ্যে সিনেমাও দেখতেন। তাঁর কথায়, “টপারদের সম্পর্কে যে ধারণা রয়েছে আমি সে রকম নই। টানা পড়াশোনায় আমার খুব একটা আগ্রহ ছিল না। শুধু চেয়েছিলাম প্রয়োজনের সময় যেন শুধু পড়াশোনাতেই মন দিতে পারি।’’ Photo: Collected
মানসিক চাপ দূর করতে পৌরাণিক উপন্যাস: প্রণব বলেন, “বাবা-মা এবং শিক্ষকরা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমার প্রতিটা পদক্ষেপে সমর্থন এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’’ মানসিক চাপ কাটাতে পৌরাণিক উপন্যাস পড়তেন বলে জানিয়েছেন প্রণব। মাঝে মধ্যে সিনেমাও দেখতেন। তাঁর কথায়, “টপারদের সম্পর্কে যে ধারণা রয়েছে আমি সে রকম নই। টানা পড়াশোনায় আমার খুব একটা আগ্রহ ছিল না। শুধু চেয়েছিলাম প্রয়োজনের সময় যেন শুধু পড়াশোনাতেই মন দিতে পারি।’’ Photo: Collected
আইআইটি বম্বে থেকে বি.টেক পড়েছেন: জেইই-তে প্রথম হওয়ার পর প্রণব আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি.টেক করেন। লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে প্রণব কোয়ান্টেটিভ ট্রেডার হিসাবে কাজ করছেন।
আইআইটি বম্বে থেকে বি.টেক পড়েছেন: জেইই-তে প্রথম হওয়ার পর প্রণব আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি.টেক করেন। লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে প্রণব কোয়ান্টেটিভ ট্রেডার হিসাবে কাজ করছেন।

JEE Result 2024: জয়েন্টে তৃতীয় কৃষ্ণনগরের বিভাসন! শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা শুনলে চমৎকৃত হবেন

কৃষ্ণনগর: রাজ্য জয়েন্টে তৃতীয় স্থান অধিকার কৃষ্ণনগরের বিভাসন বিশ্বাসের। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্টের ফল। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা সাংবাদিক বৈঠক করে ফল প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, বিকেল চারটে থেকে পড়ুয়ারা ব়্যাঙ্ক কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে। এবছর ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯৪ জন পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেছিল। তার মধ্যে ৮৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। যাঁরা প্রথম দশে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে চারজন পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের, চারজনই সিবিএসই বোর্ডের, দুজন আইএসসি বোর্ডের।

এবছর মোট ৩২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় এবং ১,৪২,৬৯৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৯৯,৫,৭৪ জন ছাত্র এবং ৪৩,১২০ জন ছাত্রী ছিলেন। এবারে আন্দামান থেকে ১২, দমনের ৬, জম্মুর ৩৮ জন শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া মিজোরাম থেকে বহু ছাত্রী ছাত্র যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১,১২,৯৬৩ পড়ুয়া সফল হন। বোর্ড জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সেলিং শুরু হবে। তিনটি পদ্ধতিতে কাউন্সেলিং হবে।

আরও পড়ুন: বিরাট খবর! নিজের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ না মিলতেই বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের! তোলপাড় পড়ল দেশে

কৃষ্ণনগরের বিভাসন বিশ্বাস এবছর তৃতীয় স্থান অধিকার করে রাজ্য স্তরের জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ১৭২.৯১ । কৃষ্ণনগর বিশপ মোরো স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে সে জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। অবশেষে আজ তারই সাফল্য মিলল হাতে। স্বাভাবিকভাবেই তার এই সাফল্যে খুশি তার পরিবারসহ স্কুলের শিক্ষক
শিক্ষিকারাও।

কৃষ্ণনগর বিশপ মোরো স্কুলের শিক্ষিকা ইন্দিরা সরকার জানান, “ভীষণই ভাললাগছে। ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত ভালো বিভাসন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রত্যেকেই ওকে খুবই ভালোবাসে। ও নিজেও সকলকে স্নেহ করে। শান্তশিষ্ট চুপচাপ মুখে সবসময় লেগে থাকত সবসময় হাসি।” এছাড়াও তিনি জানান, “ও নিজে যে বিজ্ঞান বিষয়ে ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও এ বছর স্কুলের এক্সিবিশনে ও ভূগোল বিভাগের এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ নিয়েছিল। তার কারণ ও একটা বার্তা দিতে চেয়েছিল যে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে গেলেই সেই পড়ুয়ারা ভালো হবে তা নয়, কলা বিভাগ কিংবা বাণিজ্যিক বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করলেও তারও মান সমতুল্য।”

তার এই সাফল্যে খুশি পরিবারসহ সকলেই। এরপর তার ইচ্ছে রয়েছে, বোম্বে আইআইটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার। আপাতত বিভাসনের এই সাফল্যে গর্বিত কৃষ্ণনগরসহ গোটা নদিয়াবাসী।

—- Mainak Debnath