কলকাতা: সামনেই দেশের স্বাধীনতা দিবস৷ ছুটির দিনে কেমন থাকবে মেট্রো পরিষেবা? কলকাতা মেট্রো কতৃপক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, ওই দিন মেট্রো চলবে৷ তবে সংখ্যায় অনেক কম থাকবে৷
মেট্রো কতৃপক্ষ তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দিন দক্ষিণেশ্বর থেকে গড়িয়া স্টেশন অবধি মোট ১৮৮টি মেট্রো চালানো হবে৷ এক-একটি দিকে ৯৪ টি করে মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ সাধারণ দিনে এই রুটে মোট ২৮৮টি মেট্রো চালানো হয়৷
আরও পড়ুন: পাঁচ তলার উপর থেকে নীচে পড়ল গোল্ডেন রেট্রিভার, মৃত ১ শিশু, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও
ওই দিন সকাল ৬:৫০এর দিকে গড়িয়া ও দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম মেট্রো চলাচল শুরু হবে ৷ শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯:৪০ মিনিটে৷ তবে সাধারণ দিনের মতো রাত ১০:৪০ মিনিটে রাতের মেট্রোটি সেদিনও চলবে৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৈরি তাঁতসামগ্রী ব্যবহারের আহ্বান, তাঁতশিল্প প্রসারে উদ্যোগ মানিক সাহার
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাও কম থাকবে সেই দিন৷ সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত ১৫ অগাস্টে ১০৬ টার বদলে ৯০ টা মেট্রো চলাচল করবে৷ হাওড়া ময়দান থেকে-এসপ্ল্যানেডেও কম মেট্রো চলবে৷ এই রুটে ১৩০টার মধ্যে মাত্র ৯০ টা মেট্রো চালানো হবে৷
হাওড়া: গঙ্গার নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় এবার আরও ভাল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে মেট্রোয়। ফলে হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুটে পুরোটাই এবার থেকে যাত্রীরা প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন। কারণ গঙ্গার তলা দিয়ে যাওয়ার জন্য যখন টানেলের মধ্যে মেট্রো প্রবেশ করবে তখনও আর নেটওয়ার্কের সমস্যা হবে না।
মাসখানেক আগে হুগলি নদীর নিচে দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। ফলে খুব সহজেই হাওড়া-কলকাতা দুই শহর যুক্ত হয়েছে মেট্রো পরিষেবার মাধ্যমে। অল্প দিনে এই মেট্রো রুট দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই মেট্রো রুট ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। অনেকে আবার গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো করে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য এই রুটে মেট্রোয় চেপে বসছেন।
আরও পড়ুন: পাট্টা বিলি নিয়ে বিলম্ব, নিশানায় ভূমি সংস্কার দফতর
তবে এই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার মধ্যেই যাত্রীদের একটি অভিযোগ ছিল গোড়া থেকেই। সিঁড়ি বেয়ে ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে পৌঁছলেই অনেক সময় মোবাইলের নেটওয়ার্ক চলে যায়। বিশেষ করে গঙ্গার নিচে মেট্রো প্রবেশ করলে তখন আর এক ফোঁটাও নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীর স্বাচ্ছন্দের দিকে তাকিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নদীর তলদেশ দিয়ে এই ৪.৮ কিমি রুটে নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর, এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি টেলিকম সংস্থা কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি স্টেশনেই সেই কাজ চলছে। যার মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ রুটে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ শেষ হবে বলে খবর।
রাকেশ মাইতি
Just another WordPress site