Tag Archives: Mobile Network

Call Drop: কল ড্রপ কেন হয় এবং কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন? জেনে নিলে আর সমস্যায় পড়তে হবে না

কল ড্রপের সমস্যা সাধারণত দুর্বল কানেক্টিভিটি এলাকায় দেখা দেয়, তবে বাড়িতে বা অফিসেও এই সমস্যা কানেক্টিভিটিকে ব্যাহত করতে পারে। দূরবর্তী বা জনাকীর্ণ এলাকায় প্রচলিত দুর্বল নেটওয়ার্ক সংকেত সহ কল ড্রপের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণ দায়ী। এছাড়া, সফ্টওয়্যারের ত্রুটি, ঘন ঘন আপডেটের সমস্যা নেটওয়ার্কের স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করতে পারে।

নেটওয়ার্ক কনজেশন, একই সঙ্গে একই টাওয়ারে বেশি পরিমাণ ব্যবহারকারীদের প্রবেশের কারণ এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই সময় আপডেট করা বা নেটওয়ার্ক সংযোগগুলি রিফ্রেশ করতে ফোন এক বার সুইচ অফ করে পুনরায় চালু করা যেতে পারে।

কল ড্রপের সাধারণ কারণ

• দুর্বল কানেক্টিভিটি

কল ড্রপের একটি ঘন ঘন কারণ হল দুর্বল কানেক্টিভিটি। ফোনের স্ট্যাটাস বারে প্রদর্শিত বারের সংখ্যা দ্বারা আমরা নেটওয়ার্কের শক্তি দ্রুত পরীক্ষা করতে পারি, তবে বারগুলির সংখ্যার মান একেকটি কোম্পানির ক্ষেত্রে একেক রকম। যেমন, Airtel-এর জন্য একটি বার, Jio-এর জন্য তিনটি বারের সমান হতে পারে।

আরও পড়ুন: হ‍্যান্ডসাম অভিনেতা থেকে আইএএস অফিসার! সাফল‍্য সত‍্যিই ‘হাতের মুঠোয়’ আইআইটি খড়্গপুরের এই ছাত্রের, র‍্যাঙ্ক জানলে ছিটকে যাবেন

• সফ্টওয়্যারের সমস্যা

মাঝে মাঝে, সফ্টওয়্যার আপডেটগুলি নেটওয়ার্ক সংযোগকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, Google-এর পিক্সেল সিরিজের ফোনের ব্যবহারকারীরা এমন সমস্যা রিপোর্ট করেছেন যেখানে তাঁদের ফোন নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যার আপডেটের পরে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ করতে অক্ষম ছিল৷

• নেটওয়ার্ক কনজেশন

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, উচ্চ নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের কারণে কল ড্রপ হতে পারে। এটি সাধারণত ঘটে যখন একটি নির্দিষ্ট এলাকার অনেক ব্যবহারকারী একই টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেন এবং একই সঙ্গে নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করেন।

কীভাবে কল ড্রপ প্রতিরোধ করা যায়

যদিও কল ড্রপ সম্পূর্ণরূপে দূর করার কোনও নিশ্চিত উপায় নেই, তবুও নিম্নলিখিত টিপস এবং কৌশলগুলি সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে৷

• ভিন্ন নেটওয়ার্কে স্যুইচ করা

বাড়িতে বা অফিসে দুর্বল সিগন্যালের সম্মুখীন হলে অন্য নেটওয়ার্কে স্যুইচ করা সাহায্য করতে পারে। সুইচ করার আগে, নিশ্চিত করতে হবে যে, উপলব্ধ সমস্ত প্ল্যান চেক করা হয়েছে এবং এলাকায় টেলিকম অপারেটরের নেটওয়ার্ক গুণমান সম্পর্কে অন্যদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। কিছু টেলিকম প্রদানকারী, যেমন Airtel, মানচিত্র প্রদান করে যা নির্দিষ্ট এলাকায় নেটওয়ার্ক কভারেজ পরীক্ষার সুযোগ দেয়।

আরও পড়ুন: রাস্তার ধারেই ওঁতপেতে…এক ছোবলেই মৃত‍্যু! সাপ কামড়ে দিলে ১০০ মিনিটের মধ‍্যে অবশ‍্যই করুন এই কাজ, জানালেন চিকিত্‍সক

• ফোন আপডেট করা

সর্বশেষ সফ্টওয়্যার ভার্সনে ফোন আপডেট করা নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে৷ যদি ঘন ঘন কল ড্রপ হয়, তবে ফোন সর্বশেষ সফ্টওয়্যার ভার্সনে আপডেট করা হয়েছে কি না তা যাচাই করা উচিত।

• ফোন রিস্টার্ট করা

নেটওয়ার্ক সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য একটি সাধারণ পদ্ধতি হল ফোন রিস্টার্ট করা।

• Wi-Fi কলিং ডিসএবেল করা

স্মার্টফোন Wi-Fi-এর মাধ্যমে কলিং-এ স্যুইচ করতে পারে। যদিও এই ফিচারটি দরকারি, তবে এটি কখনও কখনও কল ড্রপের কারণ হতে পারে।

East-West Metro: গঙ্গার তলাতেও এবার মেট্রোয় নেটওয়ার্ক থাকবে

হাওড়া: গঙ্গার নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় এবার আরও ভাল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে মেট্রোয়। ফলে হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুটে পুরোটাই এবার থেকে যাত্রীরা প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন। কারণ গঙ্গার তলা দিয়ে যাওয়ার জন্য যখন টানেলের মধ্যে মেট্রো প্রবেশ করবে তখনও আর নেটওয়ার্কের সমস্যা হবে না।

মাসখানেক আগে হুগলি নদীর নিচে দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। ফলে খুব সহজেই হাওড়া-কলকাতা দুই শহর যুক্ত হয়েছে মেট্রো পরিষেবার মাধ্যমে। অল্প দিনে এই মেট্রো রুট দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই মেট্রো রুট ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। অনেকে আবার গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো করে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য এই রুটে মেট্রোয় চেপে বসছেন।

আর‌ও পড়ুন: পাট্টা বিলি নিয়ে বিলম্ব, নিশানায় ভূমি সংস্কার দফতর

তবে এই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার মধ্যেই যাত্রীদের একটি অভিযোগ ছিল গোড়া থেকেই। সিঁড়ি বেয়ে ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে পৌঁছলেই অনেক সময় মোবাইলের নেটওয়ার্ক চলে যায়। বিশেষ করে গঙ্গার নিচে মেট্রো প্রবেশ করলে তখন আর এক ফোঁটাও নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীর স্বাচ্ছন্দের দিকে তাকিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নদীর তলদেশ দিয়ে এই ৪.৮ কিমি রুটে নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর, এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি টেলিকম সংস্থা কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি স্টেশনেই সেই কাজ চলছে। যার মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ রুটে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ শেষ হবে বলে খবর।

রাকেশ মাইতি

Lok Sabha Election 2024: ৮৭ ভোটকেন্দ্রে মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করবে না, সবেধন নীলমণি আরটি সেট

পুরুলিয়া: এখানে না আছে আধুনিকতার ছোঁয়া, না আছে সেই স্বাচ্ছন্দ্য। এই এলাকায় না আছে ইন্টারনেট, না আছে টাওয়ার। কিন্তু এখানে ভোট হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন এই জায়গার মানুষ। তবে এমন নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন এলাকায় আজকের দিনে ভোট করানোটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে।

পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের একদা মাওবাদী উপদ্রুত ধানচাটানি গ্রামের খুরুজারা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের জন্য তাই বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়েছে কমিশনকে। সব মিলিয়ে জেলার এমন ৮৭ টা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে মোবাইল শ্যাডো জোনের আওতায় রাখা হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আরটি সেটের ভরসায় যাবতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Lok Sabha Election 2024 West Bengal

আর‌ও পড়ুন: ভোটের বায়না পেয়ে হাসি ফুটেছে ওঁদের মুখে

সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে প্রশাসন তথা কমিশনের কাছে এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতাটাই চ্যালেঞ্জ। ভোটারদের দু’কিমির নয়া বিধিতে এবারই খুরুজারা স্কুলে বুথ হচ্ছে। তাই অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায় ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এরিয়া ডমিনেশন চলছে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বুথে আরটি সেটের ব্যবস্থা থাকবে। পুরুলিয়া সেক্টর থেকে এখানে আসতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়।

এই কেন্দ্রে আসতে হলে ২ দিন আগে থেকেই ভোট কর্মীদের রওনা হতে হবে তেমনটা নয়। কিন্তু পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা এই বুথে যাওয়ার ঝক্কিও কম নয়। দুর্গম না হলেও পাহাড়ি পথ ভাঙলে তবেই পৌঁছনো যাবে ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। সিরকাবাদ থেকে ছাতনি হয়ে প্রায় সাত কিমি পাকদন্ডি বেয়ে অযোধ্যা হিলটপ। তারপরে বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড়ের পুনিয়াশশান, উসুলডুঙরির জঙ্গল পেরিয়ে বাঁ দিকে ধানচাটানি গ্রাম। স্বাভাবিকভাবেই এখানে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতা আছে। যদিও এই ঘন জঙ্গল আর পাহাড়ে আগের মত পায়ে পায়ে মাও আতঙ্ক নেই। কিন্ত তা না থাকলেও হাতির আতঙ্ক এখন প্রবল আকার ধারণ করেছে।

আর‌ও পড়ুন: রমজান মাসে জমে উঠেছে সিমাই-লাচ্ছার বাজার

এই ব্যাপারে আড়শার বিডিও গোপাল সরকার জানিয়েছেন, ধানচাটানির খুরুজারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবারই প্রথম বুথ হচ্ছে। সিরকাবাদ ব্লক কার্যালয় থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত জায়গাটি। জেলার মানুষের মধ্যে অনেকেই বলছেন, মাও হিংসা আজ অতীত হলেও, ধানচাটানি গ্রামে পা রাখলেই গা ছমছম করে আজও। তাই ভোটের ২ মাস আগে থেকেই আড়শা থানার পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এই এলাকায় ‘কনফিডেন্স বিল্ড আপ’ চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য প্রথমবার হওয়া এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানো।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি