জলপাইগুড়ি:ডুয়ার্সে ফের খাঁচা বন্দি চিতাবাঘ। গত কিছুদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করার পর অবশেষে ধরা পড়ল চিতাবাঘটি। বেশ কিছুদিন ধরে ডুয়ার্সের মরাঘাট চা বাগানে চিতাবাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করছিলেন চা শ্রমিকরা। চিতা বাঘের আক্রমণে দুদিন আগেও জখম হয়েছিল একজন শ্রমিক। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গোটা বাগান জুড়ে।
চিতাবাঘ ধরতে বাগানের তরফে বন দফতরের কাছে আবেদন করা হয়। প্রায় মাস খানেক আগে মরাঘাট চা বাগানের এনজি-৬ নম্বর সেকশনে খাঁচা পাতে বন দফতর। লম্বা প্রতীক্ষার পর অবশেষে এল সাফল্য।সোমবার ভোরে বন দফতরের পাতা খাঁচায় বন্দি হল একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। এদিন প্রথমে বাগানের শ্রমিকদের নজরে আসে একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে।
চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি অবস্থায় দেখে শ্রমিকরাই বন দফতরে খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা। তাঁরা চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এদিকে চিতাবাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে মরাঘাট চা বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলি।
জলপাইগুড়ি: খাঁচা বন্দি ওটা কী? সামনে সামনে গিয়ে দেখতেই অবাক হয়ে গেল সবাই। খাঁচায় ধরা পড়া ফুট ফুটে ওটা আসলে চিতাবাঘের শাবক! খানিক স্বস্তিই পেলেন এলাকাবাসীরা।
উত্তরবঙ্গের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় হাতি, চিতাবাঘ, বাইসনের মত বন্যপ্রাণীদের হামলার খবর হামেশাই পাওয়া যায়। জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের দক্ষিণ হাসখালি মৌজার লোকালয়ে গত কয়েকদিন ধরেই একটি চিতাবাঘ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। ফলে বেশ আতঙ্কেই দিন কাটাতে হচ্ছিল স্থানীয়দের। এমনকি এলাকা সংলগ্ন চা বাগান থেকে প্রতি নিয়ত ছাগল, গরুর মত গবাদি পশুদের উপর একের পর এক আঘাত নেমে আসছিল। ওই চিতাবাঘের আক্রমণে বেশ কয়েকটি গবাদি পশুর মৃত্যুও হয়। এই নিয়ে স্থানীয়দের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বনকর্মীরা কড়া নজর রাখতে শুরু করেন এই এলাকার উপর।
অবশেষে বন কর্মীদের তৎপরতায় শুক্রবার সাত সকালে খাঁচাবন্দি হল এই চিতাবাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি ব্লকের দক্ষিণ হাসখালি মৌজায়। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গফুর, সোহেল রানারা জানান, কয়েকদিন ধরে এলাকার চা বাগান থেকে প্রতিনিয়ত ছাগল, গরু টেনে নিয়ে যাচ্ছিল এই চিতাবাঘটি। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় চিতাবাঘ ধরার খাঁচা পাতা হয়। অবশেষে দিন চারেক পর মিলল সাফল্য।
আলিপুরদুয়ার: কয়েক মিনিট ধরে চলল যমে-মানুষে লড়াই, থুড়ি বাঘে-মানুষের টানাটানি। একজন যখন প্রাণ বাঁচাতে মরণপণ লড়াই লড়ছেন তখন বাঘ মামা সেই প্রাণ নিতেই মরিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত চিৎকার চেঁচামেচিতে গ্রামের সবাই বেরিয়ে আসায় হাতে পেয়েও শিকার ছেড়ে পালাতে হল চিতাবাঘ’কে। কালচিনির ঘটনা।
চিতাবাঘের হানায় প্রাণে বাঁচলেও মারাত্মক জখম হয়েছেন অভিষেক ওঁরাও নামে এক যুবক। প্রাণপণে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেও ওই যুবকের মুখের এক পাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের আটিয়াবাড়ি চা বাগানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সাইকেলে চেপে বেরিয়েছিলেন এলাকার যুবক অভিষেক ওঁরাও। সেই সময় আটিয়াবাড়ি চা বাগানের ভেতর থেকে একটি চিতাবাঘ এক লাফে বেরিয়ে এসে অভিষেককে আক্রমণ করে। তবে তাতে ঘাবড়ে না গিয়ে ওই যুবক প্রাণপণ লড়াই করতে থাকেন। কয়েক মিনিট চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই চলে। এরপর অভিষেকের চিৎকারে এলাকাবাসীরা বেরিয়ে এলে চিতাবাঘটি শিকার ফেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিষেক মারাত্মকভাবে জখম হন।
স্থানীয়রা ওই যুবককে উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। যদিও গোটা ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক বিহ্বল হয়ে পড়েছেন অভিষেক।