Tag Archives: Manasa Devi

Bangla Video: চলন্ত বাস থামিয়ে যান পুজো! এই লৌকিক দেবীর মাহাত্ম্য অবাক করবে

ঝাড়গ্রাম: সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, ভক্তির মধ্য দিয়ে প্রসার পায় লৌকিক দেবতা। মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে দেব-দেবীর মাহাত্ম্য। যার ফলে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। নিজেদের ইচ্ছে পূরণ হলে ফের পুজোও দেন। এভাবেই ধীরে ধীরে ব্যপ্তি ঘটে গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন লৌকিক দেবদেবীর। প্রচলিত নানান বিশ্বাসে শুধু জেলা নয়, জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা কিংবা ভিন রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসেন পুজো দিতে। শুধু নিজেদের মনস্কামনা জানিয়ে পুজো নয়, মন্দিরের পাশ দিয়ে কোনও বাস কিংবা গাড়ি যাওয়ার সময় মন্দিরের কাছে দাঁড়িয়ে প্রণাম করে কিংবা পুজো দিয়ে তবে যান। এমনই এক লৌকিক দেবতাকে ঘিরে যুগ যুগ ধরে বহু মানুষের ভক্তি এবং বিশ্বাস মিলে মিশে এক হয়েছে।

ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের আরাধ্য দেবতা হলেন গ্রামে থাকা লৌকিক দেবী বা দেবতা। তেমনই ঝাড়গাম জেলার রগড়া এলাকায় রয়েছেন লৌকিক এক দেবী। যিনি মনসা রূপে পুজো পান। মোটা পুরানো তেঁতুল গাছের নিচে দেবীর অবস্থান। বহু যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় এই দেবীর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের বিশ্বাস, এই মনসা দেবীর কাছে যা মানত করা হয় তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়। শুধু তাই নয় বিভিন্ন বিপদ থেকেও তিনি নাকি রক্ষা করেন।

আর‌ও পড়ুন: গুম্ফায় গুম্ফায় চলছে ‘সাগা দাবা’ উৎসব, কথাটা কোথা থেকে এসেছে জানেন?

রগড়া এবং কুঁকড়াখুপি এলাকার মধ্যে রয়েছে এই লৌকিক দেবীর মন্দির। যা এলাকায় প্রচলিত ভুঁইধরণী দেবী হিসেবে। বংশ পরম্পরায় ব্রাহ্মণ নয়, মাঝি সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে পুজিত হন দেবী। প্রতিদিন ভিড় থাকলেও শনি, মঙ্গলবার এবং সংক্রান্তির দিনগুলোতে বেশ ভিড় জমে এখানে। হাতি-ঘোড়া এবং লাল রেশম দিয়ে মানত করতে হয় দেবীর কাছে। ভক্তদের বিশ্বাস দেবীর কাছে মনস্কামনা জানিয়ে পুজো দিলে পূরণ হয় মনের ইচ্ছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরের গা ঘেঁষে চলেছে রাজ্য সড়ক। রাজ্য সড়ক দিয়ে যাওয়া বাসও কোনও স্টপেজ ছাড়া দাঁড়িয়ে যায় এখানে। নেমে আসেন চালক কিংবা হেলপার। পুজো দিয়ে, প্রণাম করে তবে আবার বাস নিয়ে যান গন্তব্যে। বিশ্বাস যে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেন দেবী।

ফল, অন্ন প্রসাদের পাশাপাশি সংক্রান্তির দিনেও বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীর কাছে। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরের পাশাপাশি ওড়িশা রাজ্যের বহু মানুষ আসেন দেবীর পুজো দিতে। এভাবেই গ্রামীণ এলাকার ভূঁইধরণী দেবীর ব্যপ্তি ঘটেছে দূর দূরান্ত পর্যন্ত।

রঞ্জন চন্দ