Tag Archives: Jangalmahal

Lok Sabha Election 2024: ভোটের আগে কী কী দাবি জঙ্গলমহলের মানুষের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: সরকারের পালা বদলের পর জঙ্গলমহলের মানুষের জীবন যাত্রার বদল ঘটেছে। বদল হয়েছে রাস্তাঘাট এবং জনজীবনেরও। এককালের মাটির পথ কোথাও হয়েছে ঢালাই, আবার কোথাও পিচের রাস্তা। সরকারি নানান সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে রেশন, কিংবা নানান সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। তবে গ্রামীণ এলাকায় লোকসভা নির্বাচনের আগে মানুষের একাধিক দাবি-দাওয়া রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নতি, পানীয় জলের ব্যবস্থা যুবকদের কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

জঙ্গলমহলের মানুষের প্রধান রুটি রুজির মাধ্যম জঙ্গলের পাতা, কাঠ। শাল পাতার থালা তৈরি করে কিংবা জঙ্গলের কাঠ বিক্রি করে সংসার চালাতে হয় তাঁদের। দু’বেলা দুমুঠো অন্ন জোগাড় করতে গিয়ে হয় না ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষা। এছাড়াও দারিদ্র‌ও একটি বড় ফ্যাক্টর জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক দাবি দাওয়া রয়েছে গ্রামের মানুষের।

আরও পড়ুন: গরমে এই ফল চাষ করলে লাভের টাকায় উপচে পড়বে পকেট

পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়ি ব্লকের সাতশোল গ্রাম জঙ্গল লাগোয়া। লোধা জনজাতির মানুষের বাস এখানে। এখানে মূল রাস্তা ঢালাই হলেও গ্রামীণ রাস্তা বেশ খারাপ। রাস্তাঘাট মেরামতের পাশাপাশি প্রধান সমস্যা জলের, সুবন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ। শুধু তাই নয় সামাজিক জনজীবনের উন্নতির দাবি জানিয়েছেন তারা।

এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং আর্থসামাজিকতার বদলে দাবি জানিয়েছেন জঙ্গলমহলের মানুষেরা। দিন কয়েক পরেই নির্বাচন। ভোট উৎসবে অংশ নেবেন তারাও। তবে আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো এবং এলাকার উন্নয়নের দাবি সকলের। কতটা তাদের দাবি মানা হয় তা বলবে সময়।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Elections 2024: জঙ্গলমহলের কোন পাঁচ বুথে বিশেষ নজর প্রশাসনের?

বাঁকুড়া: শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এই আস্থার সঞ্চার করতে এবার একসঙ্গে পা মেলালেন বাঁকুড়ার ডি এম এবং এস পি, সঙ্গে রুট মার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৫ মে বাঁকুড়া জেলায় ভোট। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন জানান, নির্বাচন কমিশন এর নির্দেশ মত বাঁকুড়ার শালবনীতে এই রুট মার্চ এর আয়োজন করা হয়েছে যাতে উদ্বুদ্ধ হন সাধারণ মানুষ।

এছাড়াও জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার কথা বললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। শুনলেন তাদের অসুবিধার কথা। সঙ্গে বুথে বুথে গিয়ে পরিদর্শন করে দেখলেন পরিকাঠামো। সব মিলিয়ে যেন ভোটের দামামা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ ধারন করছে জেলায়। বাড়ছে প্রশাসনের তৎপরতাও।

আরও পড়ুনIndian Railways: চলন্ত ট্রেনের বন্ধ বাথরুমে রমরমিয়ে চলছিল ‘এই কাণ্ড’! TTE দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ, যা হল তারপর…

নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক তৎপরতা ততই বেড়ে চলেছে। এই দিন বাঁকুড়া সদর থানার শালবনী গ্রামে যৌথ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন এবং পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়াড়ি এলাকায় টহল দেন।বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, ২০১৯ এর লোকসভা, ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের সব তথ্য খতিয়ে দেখে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং সেই হিসেবেই তৎপর থাকবে প্রশাসন যাতে সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারেন। এছাড়াও জঙ্গলমহলে থাকছে বিশেষ প্রস্তুতি। জঙ্গলমহলের পাঁচটি স্পেশাল থানায় থাকবে সেন্ট্রাল ফোর্স এবং নাকা চেকিং। এছাড়াও ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে করা হবে কঠোর পেট্রোলিং। মোট ৩৮০ টি স্পর্শ কাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাঁকুড়ায় ভোটের ঘণ্টা বাজল বলে। মানুষের মধ্যেও একটি উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার তুলে ধরতে প্রস্তুত বাঁকুড়ার মানুষ। সঙ্গে প্রশাসনের তরফ থেকে চলছে বহুমুখী সচেতনতা মূলক ,অস্থামূলক প্রচার এবং টহলদারি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Lok Sabha Election 2024: গভীর জঙ্গলে বাস, জলের কষ্ট বারোমাস

পশ্চিম বর্ধমান: সবুজ ঘন জঙ্গল ভেদ করে চলে গিয়েছে কালো পিচের রাস্তা। এই রাস্তা ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় কাঁকসার জঙ্গলমহলের একাধিক গ্রামে। রয়েছে একাধিক আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। যাদের জীবন চালানোর মূল কেন্দ্র জঙ্গলকে নির্ভর করে। তবে সেখানেও এসেছে উন্নতির ছোঁয়া। হয়েছে রাস্তাঘাট। স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিদ্যালয় এখন আর খুব দূরে নয়।

কিন্তু এত কিছুর পরেও সমস্ত অভাব যে মিটে গিয়েছে এমনও নয়। এই সমস্ত গ্রামের বাসিন্দাদের মূল জীবিকা কৃষিকাজ। বর্ষাকাল সহ কৃষির সময় তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় মাঠে-ঘাটে কাজ করতে যান। অন্য দিকে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা কেউ কেউ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন। আর পরিবারের মহিলা সদস্যদের এই সময় জঙ্গল থেকে পাতা সংগ্রহ করেন। তারপর সেই পাতা বাড়ি নিয়ে এসে সেলাই করেন। এরপর সেলাই করা পাতা চলে যায় সোজা বাজারে। তাতে হাতে আসে অর্থ। জীবন, জীবিকা চালানো কিছুটা সহজ হয় তাতে।

আর‌ও পড়ুন: যন্ত্রণার নাম রেলগেট, সমাধানের ওভারব্রিজ যেন ভোটের ‘মোয়া’

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। গত পাঁচ বছরে জঙ্গলের মধ্যে বসবাসরত এই মানুষগুলো কী পেয়েছেন? তাঁদের দাবি কী? সেইসব খোঁজখবর করতেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম জঙ্গলমহলের এমনই একটি গ্রামে। সেই গ্রামে ঢুকতেই দেখা গেল বিভিন্ন মহিলা সদস্য এক জায়গায় বসে পাতা সেলাই করছেন। তাঁদের সমস্যা, চাহিদা নিয়ে প্রশ্ন করি আমরা। আর তাতে গভীর জঙ্গলে বসবাসরত এই সরল মানুষগুলির সহজ উত্তর, গ্রামে মাত্র একটাই সাবমারসিবল আছে। তার উপর নির্ভর করে বহু পরিবার। সকাল এবং বিকেল মাত্র এক ঘণ্টা করে জল দেওয়া হয়। এই গরমে তাতে চলে না বিকল্প ব্যবস্থা করলে খুব ভাল হয়।

আর‌ও পড়ুন: সারনা ধর্মের স্বীকৃতি না মেলায় ভোট বয়কটের ডাক আদিবাসী সংগঠনের

তবে গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। ঢালাই করা রাস্তা পেয়েছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ আগের থেকে ভাল হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্বও অল্প। কিন্তু জল নিয়ে সমস্যা যেন কিছুতেই কাটছে না। এই গরমে জলের জন্য তাঁদের হাহাকার লেগেই রয়েছে। এই ভয়াবহ গরমেও জল সঙ্কটের কারণে খুব মেপে জল খরচ করতে হয়।

নয়ন ঘোষ

Elephant: ভোটের মরশুমে ‘ওরা’ ফের দলবেঁধে জঙ্গলমহলের গ্রামে

ঝাড়গ্রাম: দল বেঁধে ‘ওরা’ এসেছে গ্রামে। দেখে হয়ত মনে হতেই পারে ভোট প্রচারে এসেছে। কিন্তু না, সামনের লোকসভা নির্বাচনে এদের কোনও প্রার্থী নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাও নয়। ওরা জঙ্গলের নেতা। জঙ্গলেই থাকে। কিন্তু আচমকাই এসে পৌঁছেছে লোকালয়ে। যদিও কেন তাদের লোকালয়ে আসা তা নিয়ে কিছুই জানায়নি।

এই ‘ওরা’-টা হল জঙ্গলের দলমা দাঁতাল। সকাল সকাল জঙ্গলমহলের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে তারা। তাতে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। ওদের জন্য সাতসকালে ভয়ে ভয়ে ঘুম থেকে ওঠে গ্রামের মানুষ। চোখ খুলতেই হাতির দলকে দেখে ভয়ে তটস্থ সবাই। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিচিড়া এলাকায় সকাল সকাল ঢুকে পড়ে একদল দাঁতাল। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। খাবারে খোঁজেই লোকালয়ে এই হাতির পাল চলে এসেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আর‌ও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে হঠাৎই সীমান্তের গ্রামে জেলাশাসক

প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বিভিন্ন সময়ে প্রবেশ করে হাতির দল। ভেঙে ফেলে মাটির বাড়ি, ক্ষয়ক্ষতি করে ফসলেরও। এদিনের হাতির দলটিতে বেশ কয়েকটি বাচ্চা হাতিও ছিল।বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গল ধ্বংস করা, জঙ্গলে আগুন লাগানো এবং অযাচিতভাবে বন্যপ্রাণকে উত্তক্ত করার জন্যই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ক্রমশ লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতি। এছাড়াও বেশ কিছু সময়ে খাবারের সন্ধানেও তারা লোকালয়ে আসে।

রঞ্জন চন্দ