Tag Archives: Mathabhanga

Hospital Problem: ছাদের দিকে তাকালেই আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার যোগাড়! প্রাণ হাতে নিয়েই চলছে চিকিৎসা

কোচবিহার: মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন বহু রোগী আসেন। যদিও ধীরে ধীরে এখানে রোগীর সংখ্যা কমেছে। তার অন্যতম কারণ হল প্রতিটা মুহূর্ত দুশ্চিন্তায় কাটাতে হয় এখানে ভর্তি রোগী ও হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সদের। কারণ হাসপাতাল ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু অংশ ভেঙেও পড়েছে। যেকোনও মুহূর্তে ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা সকলের। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আহত’ও হয়েছেন।

এই বিপদ প্রসঙ্গে মাথাভাঙা হাসপাতালের রোগী সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, শারীরিক সমস্যার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে। তবে হাসপাতালের ছাদের যা পরিস্থিতি যেকোনও মুহূর্তে মাথার উপর ভেঙে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছাদের দিকে তাকালেই আতঙ্ক ঘিরে ধরে। এই নিয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে চলছে পুলিশ ফাঁড়ি!

এই বিপদ প্রসঙ্গে মাথাভাঙা হাসপাতালের ডেপুটি নার্সিং সুপার কাকলী দাস জানান, কর্তব্যরত অবস্থায় প্রতিমুহূর্তে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। যেকোনও মুহূর্তে একটি বড় বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে তাঁরা দৌড়ে পালাতে পারবেন। কিন্তু রোগীদের ক্ষেত্রে সেই সুবিধাটুকু থাকে না। ফলে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিমুহূর্তে চিন্তা করতে হয়। হাসপাতালের সুপার মাসুদ হাসান জানান, ইতিমধ্যেই এই সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এই কাজটি পূর্ত দফতরের অধীনে থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

যতক্ষণ না হাসপাতাল ভবনের সংস্কার হচ্ছে ততদিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই রোগী ও চিকিৎসা কর্মীদের চলতে হবে মাথাভাঙা হাসপাতালে।

সার্থক পণ্ডিত

Cooch Behar News: মাছ ধরতে গিয়ে যা দেখে চমকে উঠলেন মৎস্যজীবী! তড়িঘড়ি জাল নিয়ে নদীতে হাজির পুলিশ

মাথাভাঙা: আচমকাই এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার হল মাথাভাঙা মহকুমা এলাকায়। ঘটনায়  তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়ে গোটা এলাকা জুড়ে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা ২ ও ১ নং ব্লকের ফুলবাড়ির তপসিতলা এবং গিলাডাঙার মাঝে জলঢাকা নদী থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রাতেই ছুটে যায় মাথাভাঙা থানার পুলিশ। মুণ্ডুহীন ওই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: মিনিটখানেকের ধ্বংসলীলায় বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির আবহাওয়া এখন কেমন?

স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায়, এদিন তপসিতলা এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি মাছ ধরতে জলঢাকা নদীতে যান। আচমকাই তিনি জালে আটকে থাকতে দেখেন এক মহিলার মুণ্ডহীন দেহ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তিনি এলাকার লোকেদের ডেকে আনেন। তারপর স্থানীয়রা খবর পাঠান ঘোকসাডাঙা থানায়। তবে এলাকাটি মাথাভাঙা ২ ও ১ নং ব্লকের ফুলবাড়ির তপসিতলা এবং গিলাডাঙার মাঝে। তাই এলাকাটি মাথাভাঙা থানার অন্তর্গত। সেজন্য পরবর্তীতে মাথাভাঙা থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: গঙ্গায় সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত, ভয়ে কাঁটা এলাকাবাসী! মালদহের মানিকচক জুড়ে শোরগোল

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নদীটির যেই এলাকা থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই এলাকাটি মাথাভাঙা থানার অন্তর্গত। তাই ঘোকসাডাঙা থানায় খবর পাঠানো হলেও ঘটনাস্থলে মাথাভাঙা থানার পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে এবং দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙা মর্গে পাঠানো হয়। গোটা ঘটনার একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে নদী থেকে আচমকাই এভাবে মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

Sarthak Pandit