Tag Archives: Medicine Plants

Medicinal Plant: অযত্নে বেড়ে ওঠা এই গাছই মহৌষধি! সারিয়ে তোলে এক নয় একাধিক রোগ, চিনে নিন মুক্তঝুরি গাছ

অযত্নে বেড়ে ওঠা মুক্তঝুরি গাছেই রয়েছে অসম্ভব ঔষধি গুণ। বাড়ির আনাচে-কানাচে রাস্তার ধার বা পতিত জমিতে অযত্নে বেড়ে ওঠে। এই গাছের পাতার পাশ থেকে কান্ড থেকে ঝুড়ি বের হয়।
অযত্নে বেড়ে ওঠা মুক্তঝুরি গাছেই রয়েছে অসম্ভব ঔষধি গুণ। বাড়ির আনাচে কানাচে রাস্তার ধার বা পতিত জমিতে অযত্নে বেড়ে ওঠে। এই গাছের পাতার পাশ কান্ড থেকে ঝুড়ি বের হয়।
এই গাছের উপকারী গুণ রয়েছে বহু। শিশুর শক্ত মলের সমস্যার ক্ষেত্রে দারুন কার্যকরী। দুই থেকে তিন বছরের শিশুর কষা পটির সমস্যা সমাধানে দারুন কার্যকর। এই গাছের সামান্য মূল বেটে খেলেই উপকার পাওয়া যেতে পারে।
এই গাছের উপকারী গুণ রয়েছে বহু। শিশুর শক্ত মলের সমস্যার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী। দুই থেকে তিন বছরের শিশুর কষা মলের সমস্যা সমাধানে দারুণ কার্যকর। এই গাছের সামান্য মূল বেটে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
কৃমি দূর করতেও দারুন কার্যকরী এই মুক্তঝুরি গাছের পাতা। ২০-২৫ ফোঁটা পাতার রস গরম করে সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
কৃমি দূর করতেও দারুণ কার্যকরী এই গাছের পাতা। ২০-২৫ ফোঁটা পাতার রস গরম করে সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
সর্দি ও বুকে জমা কফ তুলতে মুক্তঝুরি গাছের জুড়ি নেই। শুকনো গাছের সবুজ অংশ বা পাতা দু গ্রাম নিয়ে সামান্য জলের সঙ্গে ফুঁটিয়ে ছেঁকে খেতে পারলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
সর্দি ও বুকে জমা কফ তুলতে মুক্তঝুরি গাছের জুড়ি নেই। শুকনো গাছের সবুজ অংশ বা পাতা দু গ্রাম পরিমাণ নিয়ে সামান্য জলের সঙ্গে ফুঁটিয়ে ছেঁকে খেতে পারলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও টিউবারকুলোসিস বা টিবি রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই গাছ।
এছাড়া টিউবারকুলোসিস বা টিবি রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই গাছ।
এ প্রসঙ্গে ডাক্তার সৌরেন্দু শেখর বিশ্বাস জানান, গ্রাম বাংলায় অযত্নে বেড়ে ওঠা মুক্তঝুরি গাছে রয়েছে বহু উপকারী গুণ। বুকে জমা কফ দূর করে, শিশুর কষা পটির সমস্যা দূর করে। এছাড়াও টিউবারকুলোসিস বা টিবি রোগ সারাতে দারুন কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই গাছ।
এ প্রসঙ্গে ডাক্তার সৌরেন্দু শেখার বিশ্বাস জানান, গ্রামবাংলায় অযত্নে বেড়ে ওঠা মুক্তঝুরি গাছে রয়েছে বহু উপকারী গুণ। বুকে জমা কফ দূর করে, শিশুর কষা পটির সমস্যা দূর করে। এছাড়াও টিউবারকুলোসিস বা টিবি রোগ সারাতে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

Medicinal Plant: ফল হাতেনাতে! নিমেষেই গায়েব ‘ব্যথা’! বাড়ির পাশের ‘এই’ গাছের পাতাই গাঁটের ‘প্রতিরোধী’

তীব্র শীতের দাপট বেড়েই চলেছে। আর এই সময় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পায়ের ব্যথাও। বিশেষ করে গাঁটের যন্ত্রণা। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ফুলছে হাঁটুও। ফলে কাবু করছে হাঁটুর ব্যথাও।
তীব্র শীতের দাপট বেড়েই চলেছে। আর এই সময় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পায়ের ব্যথাও। বিশেষ করে গাঁটের যন্ত্রণা। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ফুলছে হাঁটুও। ফলে কাবু করছে হাঁটুর ব্যথাও।
আর যাঁরা ঠান্ডার দাপটে ব্যথায় কাবু, তাঁদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদন খুবই উপযোগী হতে চলেছে। আসলে এই ব্যথার জন্য ওষুধও খেতে হবে না। সহজ টোটকাতেই হবে সমস্যার সমাধান।
আর যাঁরা ঠান্ডার দাপটে ব্যথায় কাবু, তাঁদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদন খুবই উপযোগী হতে চলেছে। আসলে এই ব্যথার জন্য ওষুধও খেতে হবে না। সহজ টোটকাতেই হবে সমস্যার সমাধান।
পড়শি রাজ্য বিহারের সিমরাহি নগর পঞ্চায়েত ওয়ার্ড নম্বর ৮-এর আয়ুর্য়োগা রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আয়ুর্বেদাচার্য রীতেশ মিশ্র জানান যে, শীতের মরশুমে গাউটের প্রভাব বাড়ে।
পড়শি রাজ্য বিহারের সিমরাহি নগর পঞ্চায়েত ওয়ার্ড নম্বর ৮-এর আয়ুর্য়োগা রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আয়ুর্বেদাচার্য রীতেশ মিশ্র জানান যে, শীতের মরশুমে গাউটের প্রভাব বাড়ে।
এর ফলে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণাও বাড়তে থাকে। অনেক সময় গাউট রোগীদের হাঁটু ফুলে যায়। ফলে ব্যথাও অসহনীয় হয়ে ওঠে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে একটি গাছের পাতা।
এর ফলে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণাও বাড়তে থাকে। অনেক সময় গাউট রোগীদের হাঁটু ফুলে যায়। ফলে ব্যথাও অসহনীয় হয়ে ওঠে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে একটি গাছের পাতা।
রীতেশ বলেন যে, ঠান্ডার মরশুমে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়তে থাকে। যার জেরে হাঁটাচলা করতে সমস্যার সম্মুখীন হয় মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রেড়ি গাছের পাতা ভাল ওষুধ হতে পারে।
রীতেশ বলেন যে, ঠান্ডার মরশুমে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়তে থাকে। যার জেরে হাঁটাচলা করতে সমস্যার সম্মুখীন হয় মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রেড়ি গাছের পাতা ভাল ওষুধ হতে পারে।
রেড়িকে আবার এরন্ডা আর ভেরেন্ডা নামেও ডাকা হয়। আর সবথেকে বড় কথা হল, গাছটা বেশ সহজলভ্য। আমাদের বাড়ির আশপাশেই দেখা মিলবে রেড়ি বা ভেরেন্ডা গাছের।
রেড়িকে আবার এরন্ডা আর ভেরেন্ডা নামেও ডাকা হয়। আর সবথেকে বড় কথা হল, গাছটা বেশ সহজলভ্য। আমাদের বাড়ির আশপাশেই দেখা মিলবে রেড়ি বা ভেরেন্ডা গাছের।
কিন্তু এই গাছ কীভাবে গাঁটের যন্ত্রণা দূর করবে? সেটাই জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদাচার্যের কাছ থেকে।রীতেশ মিশ্রর কথায়, ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রেড়ি পাতার পাশাপাশি প্রয়োজন হবে খাঁটি সর্ষের তেলের।
কিন্তু এই গাছ কীভাবে গাঁটের যন্ত্রণা দূর করবে? সেটাই জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদাচার্যের কাছ থেকে।রীতেশ মিশ্রর কথায়, ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রেড়ি পাতার পাশাপাশি প্রয়োজন হবে খাঁটি সর্ষের তেলের।
এই টোটকা বানানোর জন্য সর্ষের তেল ঈষদুষ্ণ গরম করে নিতে হবে। আর তা রেড়ি গাছের পাতায় মাখাতে হবে। এবার সেই হালকা গরম তেল মাখানো পাতাটি সুতির কাপড় দিয়ে ফোলা বা ব্যথার জায়গায় বেঁধে রাখতে হবে।
এই টোটকা বানানোর জন্য সর্ষের তেল ঈষদুষ্ণ গরম করে নিতে হবে। আর তা রেড়ি গাছের পাতায় মাখাতে হবে। এবার সেই হালকা গরম তেল মাখানো পাতাটি সুতির কাপড় দিয়ে ফোলা বা ব্যথার জায়গায় বেঁধে রাখতে হবে।
সকাল-সন্ধ্যায় এই ওষুধ প্রয়োগ করলে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এতে দ্রুত ব্যথা এবং ফোলাভাব কমে যায়। এক সপ্তাহ বা ২ সপ্তাহ টানা এই দাওয়াই প্রয়োগ করে গেলেই ব্যথা উপশম হবে।
সকাল-সন্ধ্যায় এই ওষুধ প্রয়োগ করলে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এতে দ্রুত ব্যথা এবং ফোলাভাব কমে যায়। এক সপ্তাহ বা ২ সপ্তাহ টানা এই দাওয়াই প্রয়োগ করে গেলেই ব্যথা উপশম হবে।

 

 

Medicinal Plant: গাছ তো নয়, যেন অমৃতের ভাণ্ডার! সর্বরোগ হরণ করে হিমালয়ের এই ভেষজ

আজও হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। এইসব স্থানে প্রাকৃতিক গাছ ও লতা-পাতা নিয়ে নানা গবেষণা পরিচালিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে একথা প্রমাণিত যে, এইসব অঞ্চলের মানুষ নানান ভেষজ গাছ ও শাক-সবজির উপর নির্ভর করেই নিজেদের জীবনকে সুস্থ রেখেছেন। হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে এই রকম অনেক ঔষধি গাছ পাওয়া যায়, যেগুলো আমাদের খাবারের জন্যও ব্যবহৃত হয়। এই রকম একটি ঔষধি গাছ হল গন্দ্রায়ণ যা চোরু নামেও পরিচিত। শিকড় থেকে পাতা পর্যন্ত এই গাছের প্রতিটি অংশই অমৃতের ভাণ্ডার। খাবারের স্বাদ বাড়াতেও অনেক স্থানে চোরু ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহার খাবারের স্বাদ বদলে দেয় এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

চোরু বা গন্দ্রায়ণ, উত্তরাখণ্ড সহ অন্যান্য হিমালয়ের সমস্ত রাজ্যেই পাওয়া যায়। রাজমা, অড়হর ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হলে এটি খাবারের সুগন্ধ এবং গন্ধকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এটি উত্তরাখণ্ডে সাধারণ গৃহস্থ বাড়িতে পাওয়া যায়, তবে বাজারে এর দাম অনেকটাই বেশি। এটি উত্তরাখণ্ডের আঞ্চলিক খাবারে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হেপ্রেক ইনস্টিটিউটের ডা. রাজীব রঞ্জন গত ১০ বছর ধরে হিমালয়ের ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে, যেহেতু এটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তাই অনেকে এই উদ্ভিদটি ব্যবসায়িক ভাবে চাষও করেন।

ডা. রাজীব রঞ্জন আরও বলেন যে, চোরু বিভিন্ন নামে পরিচিত। চোরুর বোটানিক্যাল নাম অ্যাঞ্জেলিকা গ্লাউকা। আয়ুর্বেদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্ভিদ। এর ব্যবহার ক্ষুধা বাড়াতে এবং চর্মরোগ নিরাময়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এতে অ্যাঞ্জেলিক অ্যাসিডের উপস্থিতি এবং এর শিকড় থেকে নির্গত রাইজোম তেলও খুব উপকারী। চোরুর মূলের গুঁড়ো এক থেকে দুই গ্রাম গরম জলে মিশিয়ে পান করলে বদহজম বা ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পিত্তজনিত রোগের উপশমে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন : ছোট এই বীজেই মুক্তি পিরিয়ডের ব্যথা থেকে, বলছেন চিকিৎসকরাই

আয়ুর্বেদ বর্ণনা করে যে, এটি বিভিন্ন চর্মরোগ, পোকামাকড়ের কামড়, বদহজম সারাতে সাহায্য করে, ক্ষুধা বাড়ায়, জ্বর ও মানসিক রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরাও এইসব ঔষধি গাছ চাষে নিয়োজিত হচ্ছেন, যার ফলে তাঁরা ভাল আয়ও করছেন এবং হিমালয়ের দুর্লভ ভেষজগুলিও সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে।

Medicinal Plant: আগাছা ভেবে উচ্ছেদ…! মাত্র ২ মাস পাওয়া যায় আয়ুর্বেদের ‘এই’ মহৌষধ! চমকে দেবে ভেষজ গুণের ভাণ্ডার

ভেষজ গুণে ভরপুর। কিন্তু স্বাস্থ্য উপকারিতার নিরিখে অমৃত সমান এই শাক অত্যন্ত বিরল। আর পাওয়া যায় খুব অল্প সময়। 'চক্রমর্দ', 'চাকুন্দা' বা 'বন চাকুন্দা'-র গুনাগুন শুনলে চমকে যাবেন। একাধিক রোগে মহৌষধের মতো কাজ করে এই শাক। দেখতে অনেকটা কাসুন্দির মতো। এই শাকে আছে একটি অদ্ভুত গন্ধ।
ভেষজ গুণে ভরপুর। কিন্তু স্বাস্থ্য উপকারিতার নিরিখে অমৃত সমান এই শাক অত্যন্ত বিরল। আর পাওয়া যায় খুব অল্প সময়। ‘চক্রমর্দ’, ‘চাকুন্দা’ বা ‘বন চাকুন্দা’-র গুনাগুন শুনলে চমকে যাবেন। একাধিক রোগে মহৌষধের মতো কাজ করে এই শাক। দেখতে অনেকটা কাসুন্দির মতো। এই শাকে আছে একটি অদ্ভুত গন্ধ।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অতি পরিচিত গাছ চাকুন্দা। শহরের পতিত জমিতেও এর উপস্থিতি দেখা যায়। এক ধরনের গুল্ম এটি। আগাছা হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে এর ঔষধি গুনাগুণ জানলে গাছটিকে আর আগাছা বলবেন না নিশ্চয়ই।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের অতি পরিচিত গাছ চাকুন্দা। শহরের পতিত জমিতেও এর উপস্থিতি দেখা যায়। এক ধরনের গুল্ম এটি। আগাছা হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে এর ঔষধি গুনাগুণ জানলে গাছটিকে আর আগাছা বলবেন না নিশ্চয়ই।
চক্রমর্দ বা চিরউতা বা চাকুন্দা সাধারণত রোপণ করা হয় না। তবে বর্ষাকালে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির পরেই আপনা থেকেই বাংলার মাঠে ঘাটে, নদীনালার আসে পাশে বেড়ে ওঠে এই শাক। এতে কোনও ধরনের যত্নের প্রয়োজনই হয় না। খুব কম পরিচিত এই সবুজ উদ্ভিদ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু জানেন না।
চক্রমর্দ বা চিরউতা বা চাকুন্দা সাধারণত রোপণ করা হয় না। তবে বর্ষাকালে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির পরেই আপনা থেকেই বাংলার মাঠে ঘাটে, নদীনালার আসে পাশে বেড়ে ওঠে এই শাক। এতে কোনও ধরনের যত্নের প্রয়োজনই হয় না। খুব কম পরিচিত এই সবুজ উদ্ভিদ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু জানেন না।
অথচ আয়ুর্বেদে বহু রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় চক্রমর্দ। এই গাছের নরম পাতা ছিঁড়ে সবুজ শাকসবজি তৈরি করা হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই পুষ্টিকর। সবুজ শাক ছাড়াও পাওন্দ বা চক্রমর্দ কফি তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলা হয়।
অথচ আয়ুর্বেদে বহু রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় চক্রমর্দ। এই গাছের নরম পাতা ছিঁড়ে সবুজ শাকসবজি তৈরি করা হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই পুষ্টিকর। সবুজ শাক ছাড়াও পাওন্দ বা চক্রমর্দ কফি তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলা হয়।
চক্রমর্দ বা চেরাউতা বা বন চাকুন্দা:চক্রমর্দ ৩০-১২০ সেমি. লম্বা, সুগন্ধি গুল্ম হিসাবে বেড়ে ওঠে গ্রামাঞ্চলের পথে ঘাটে। গ্রামাঞ্চলে এর পাতা টেনে বর্ষার দিনে ছানার ডাল দিয়ে খুব সুস্বাদু শাক তৈরি করা হয়। চক্রমর্দ গাছে হলুদ রঙের ফুল ফোটে। সেই ফুল শুকিয়ে গেলে তা থেকে ফল বের হয়। চক্রমর্দের ফল হুবহু মেথির বীজ ও ফলের মতো দেখতে। চক্রমর্দ বীজ অনেক ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
চক্রমর্দ বা চেরাউতা বা বন চাকুন্দা:
চক্রমর্দ ৩০-১২০ সেমি. লম্বা, সুগন্ধি গুল্ম হিসাবে বেড়ে ওঠে গ্রামাঞ্চলের পথে ঘাটে। গ্রামাঞ্চলে এর পাতা টেনে বর্ষার দিনে ছানার ডাল দিয়ে খুব সুস্বাদু শাক তৈরি করা হয়। চক্রমর্দ গাছে হলুদ রঙের ফুল ফোটে। সেই ফুল শুকিয়ে গেলে তা থেকে ফল বের হয়। চক্রমর্দের ফল হুবহু মেথির বীজ ও ফলের মতো দেখতে। চক্রমর্দ বীজ অনেক ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
এই শাকের পাতা থেকে বীজ, এমনকি শিকড়ের রয়েছে নানা স্বাস্থ্য সুরক্ষাগত বৈশিষ্ট্য। আয়ুর্বেদ, ইউনানি এবং চীনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে স্বীকৃত এই উদ্ভিদ অবশ্য খুবই বিরল। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বিভাস দেশকার তাঁর পরামর্শে বলেন, “এই উদ্ভিদের পাতা কুষ্ঠরোগ, দাদ সংক্রমণ, চক্ষুরোগ, চর্মরোগ, শ্বেতী এবং যকৃতের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদ অন্ত্রের উপর শীতল প্রভাবের জন্য এই উদ্ভিদটিকে বিশেষ স্বীকৃতি দেয়।"
এই শাকের পাতা থেকে বীজ, এমনকি শিকড়ের রয়েছে নানা স্বাস্থ্য সুরক্ষাগত বৈশিষ্ট্য। আয়ুর্বেদ, ইউনানি এবং চীনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে স্বীকৃত এই উদ্ভিদ অবশ্য খুবই বিরল। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বিভাস দেশকার তাঁর পরামর্শে বলেন, “এই উদ্ভিদের পাতা কুষ্ঠরোগ, দাদ সংক্রমণ, চক্ষুরোগ, চর্মরোগ, শ্বেতী এবং যকৃতের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, আয়ুর্বেদ অন্ত্রের উপর শীতল প্রভাবের জন্য এই উদ্ভিদটিকে বিশেষ স্বীকৃতি দেয়।”
কী ভাবে চক্রমর্দ শাক বানাবেন :চক্রমর্দ শাক তৈরিতে প্রথমে নরম পাতা ছিঁড়ে, মিহি করে কেটে ধুয়ে ফেলুন। এর থেকে গন্ধ এবং তিক্ততা দূর করতে গরম জলে তিন থেকে চারবার পাতা ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে কিছু ছোলার ডাল ভিজিয়ে রাখুন এবং যখন এটি ভিজে যাবে, তখন চক্রমর্দ শাক এবং ছানার ডাল কুকারে দিয়ে একটি সিটি দিয়ে দিন।
কী ভাবে চক্রমর্দ শাক বানাবেন :
চক্রমর্দ শাক তৈরিতে প্রথমে নরম পাতা ছিঁড়ে, মিহি করে কেটে ধুয়ে ফেলুন। এর থেকে গন্ধ এবং তিক্ততা দূর করতে গরম জলে তিন থেকে চারবার পাতা ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে কিছু ছোলার ডাল ভিজিয়ে রাখুন এবং যখন এটি ভিজে যাবে, তখন চক্রমর্দ শাক এবং ছানার ডাল কুকারে দিয়ে একটি সিটি দিয়ে দিন।
এরপরে একটি প্যানে বা কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে জিরা, সরিষা, লাল মরিচ ও রসুন দিয়ে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তাতে সেদ্ধ করা চক্রমর্দ শাক দিয়ে ভাল করে রান্না করুন। রান্না করার পর স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও হলুদ দিন। কিছুক্ষণ মাঝারি আঁচে সবজি ভাল করে রান্না করুন এবং রান্নার পর ভাত ও রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
এরপরে একটি প্যানে বা কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে জিরা, সরিষা, লাল মরিচ ও রসুন দিয়ে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তাতে সেদ্ধ করা চক্রমর্দ শাক দিয়ে ভাল করে রান্না করুন। রান্না করার পর স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও হলুদ দিন। কিছুক্ষণ মাঝারি আঁচে সবজি ভাল করে রান্না করুন এবং রান্নার পর ভাত ও রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।