একবার চার্জ দিলেই ফোন চলবে টানা ৫০ বছর। এবার বাজারে আসছে নিউক্লিয়ার ব্যাটারি। মনে করে ফোনে চার্জ দেওয়ার পর্ব এবার শেষ হতে চলেছে। সৌজন্যে বেজিংয়ের একটি সংস্থা।
*স্মার্টফোন এখন আমাদের প্রয়োজনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এটি সর্বদা যাতে সঠিক ভাবে চলে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করি। একটি নতুন ফোন কেনার সঙ্গে সঙ্গেই স্ক্রিনে যাতে স্ক্র্যাচ না পড়ে, তার জন্য আমরা একটি কভার এবং একটি স্ক্রিন গার্ড ব্যবহার করে থাকি। যাতে ফোনের ডিসপ্লে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিন্তু ফোন যখন পুরনো হতে শুরু করে, তখন কিছু সাধারণ সমস্যায় পড়তে হয় প্রায় সকলকেই। সংগৃহীত ছবি।*ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে সাধারণ যে সমস্যার মুখোমুখি হন, সেটি হল – মোবাইল ফোনে চার্জিংয়ের সমস্যা। আসলে ফোন যত পুরনো হয়, ফোনের চার্জের গতিও ধীর হতে শুরু করে। অথবা ব্যাটারিও দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের মনে হয় যে, যখন এমন সমস্যা হচ্ছে, তবে তার মানে ফোনটি পুরনো হতে শুরু করেছে। অথবা ফোনের কোনও সমস্যার কারণেই এমনটা ঘটছে। সংগৃহীত ছবি।*তবে বলে রাখা ভাল যে, সব সময় ফোনের সমস্যার কারণে এমনটা ঘটে না। ব্যবহারকারীদের কিছু বদ অভ্যাসের কারণেও ফোনের ব্যাটারিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ব্যাটারি দ্রুত নিঃশেষ হতে শুরু করে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কী কী ভুল এড়িয়ে চলা উচিত। আর এই ভুলগুলি এড়িয়ে চললে গ্রাহকরা নিজেদের ফোনের ব্যাটারিকে নতুনের মতো ভাল রাখতে পারবেন। সংগৃহীত ছবি।*গরমের দিনে ফোন অনেক সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। তা নিয়ে গ্রাহকদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। আবার ফোন চার্জ করার সময়েও ব্যাটারি গরম হয়ে যেতে পারে। আসলে কেস বা কভারের মধ্যে ফোন রেখে চার্জ করলে এমনটা হতে পারে। কারণ কেস থাকার কারণে চার্জ দেওয়ার সময় ব্যাটারি থেকে যে তাপ নির্গত হয়, তা বাইরে বার হতে পারে না। সংগৃহীত ছবি।*ব্যাটারি গরম হয়ে গেলে চার্জিংও বন্ধ হয়ে যায়। আর ব্যাটারির % বৃদ্ধির পরিবর্তে তা কমে যেতে শুরু করে। তাই ব্যবহারকারীদের এই পরামর্শ দেওয়া হয় যে, যখনই তাঁরা ফোনটি চার্জিংয়ে রাখবেন (বিশেষ করে গরমকালে), তখন ফোনের কেস/কভারটি সরিয়ে ফেলা আবশ্যক। সংগৃহীত ছবি।*অনেক সময় ব্যবহারকারীরা ফোনের ব্যাটারি খুব কমে যাওয়ার পরেই ফোনটিকে চার্জে বসানোর কথা ভাবেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটারি কত শতাংশ চার্জ করা উচিত, সেটা জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগৃহীত ছবি।*বলা হয়, ব্যবহারকারী যদি ফোনের ব্যাটারি ১০-১৫%-য় পৌঁছনোর পরেই চার্জ করতে শুরু করেন, তাহলে তা ব্যাটারির উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। ফলে ধীরে ধীরে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। সংগৃহীত ছবি।*সারা রাত ফোন চার্জে বসিয়ে রাখাও উচিত নয়। আসলে ফোনের ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ করাও ফোনের ব্যাটারির স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে প্রমাণিত হয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যেতে শুরু করে। সংগৃহীত ছবি।
গরমের সময় ফোন অতিরিক্ত গরম হচ্ছে, তাহলে প্রথমেই খুঁজে বের করুন আসল সমস্যাটি। এই সময় পরিবেশ অত্যন্ত গরম থাকায় হতে পারে এই সমস্যা।সরাসরি সূর্যের আলো থেকে স্মার্টফোনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ফোনের উপর সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়লে ফোন বেশ গরম হয়ে যায়।বেশি সময় ধরে ফোন ব্যবহার করলে তা গরম হয়ে ওঠে। তখন অবশ্যই ফোনের কেস খুলে রাখুন। নয়তো আরও গরম হয়ে উঠবে ফোন।ফোন গরম হয়ে গেলে কুলিং ফ্যান দিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া যেতে পারে। শুধু ফোনের জন্যই বাজারে নানারকম কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। সেগুলি দিয়ে ফোন ঠান্ডা রাখতে পারেন।ফোন অতিরিক্ত চার্জ করলে গরম হতে পারে ফোন। সেজন্য ফোন ৮০ শতাংশ চার্জ হলেই চার্জার খুলে দিতে হবে।চার্জিংয়ের সময় ফোনে কথা বললে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলেও ফোন গরম হতে পারে। এরকম হলে কিছু সময়ের জন্য মোবাইলের পাওয়ার বাটন অফ করে দিলেও কাজ হবে।
পয়সার থেকেও ছোট আকারের নিউক্লিয়ার বা পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি তৈরি করেছে চিনের বেটাভোল্ট টেকনোলজি। ছোট এই ব্যাটারি স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যাবে।বেটাভোল্টের দাবি, একবার চার্জ করে টানা ৫০ বছর পর্যন্ত এই ব্যাটারি ফোন চালাতে পারবে। এটি দৈর্ঘ্যে ১৫ মিলিমিটার ও চওড়ায় ১৫ মিলিমিটার। ব্যাটারিটির পুরুত্ব ৫ মিলিমিটার।বেটাভোল্ট টেকনোলজির জানিয়েছে, পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি তৈরির কার্যক্রম এখনেও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্মার্টফোন ও ড্রোনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে এ ব্যাটারি তৈরি করা হবে।তবে এই ব্যাটারি মহাকাশ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আধুনিক সেন্সর, রোবটসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাযন্ত্রেও ব্যবহার করা সম্ভব। ২০২৫ সাল থেকে এই ব্যাটারি তৈরির কার্যক্রম শুরু হবে।পরমাণু ব্যাটারি নিশ্চিতভাবেই নতুন প্রযুক্তি। তবে চিনের আগেই এই পরমাণু ব্যাটারি তৈরির দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ইরান। তবে এই দেশগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে এই ব্যাটারির ব্যবহার করছে।জানা গিয়েছে, বেটাভোল্টের পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি থেকে আগুন লেগে যাওয়ার বা বিস্ফোরণের কোনো শঙ্কা নেই। শুধু তাই নয়, হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাতেও কাজ করতে পারবে ব্যাটারিটি। আর তাই নতুন এ ব্যাটারি তৈরি করা সম্ভব হলে তা ইলেকট্রনিক যন্ত্র চার্জিংয়ে বিপ্লবের সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এর ফলে চার্জার ও বহনযোগ্য পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে। এমনকি অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার ফলে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার শঙ্কাও কমে যাবে।