Tag Archives: Nabanna Abhijan

Nabanna Abhijan: ডাঙায় পুলিশ, জলেও পুলিশ! নবান্ন অভিযানে এসে গঙ্গায় নেমে বেকায়দায় যুবক, দেখুন ভিডিও

কলকাতা: এ যেন আক্ষরিক অর্থেই জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ৷ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে এসে এমনই অবস্থা হল কয়েকজন বিক্ষোভকারীর৷ পুলিশের তাড়া খেয়ে প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে দু-তিন জন বিক্ষোভকারী নেমে পড়েছিলেন গঙ্গায়৷

তবে গঙ্গায় নেমে চোখে মুখে কাঁদানে গ্যাসের জ্বলুনি কমলেও জল থেকে উঠে আসার সময় হল বিপদ৷ কারণ ততক্ষণে গঙ্গার পাড়ে চলে এসেছেন পুলিশকর্মীরা৷ আবার ওয়াটার স্কুটি নিয়ে গঙ্গা দিয়েই এগিয়ে আসছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ৷ এই পরিস্থিতিতে কী করবেন, সেটা ভেবেই বেকায়দায় পড়েছিলেন এক বিক্ষোভকারী৷

মঙ্গলবার বিকেলে এমনই দৃশ্য দেখা গেল বাবুঘাটের কাছে প্রিন্সেপ ঘাটে৷ নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় প্রিন্সেপ ঘাট চত্বর৷ বাবুঘাটের দিক থেকে স্ট্র্যান্ড রোড ধরে এগনোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীদের মিছিল৷ পাল্টা প্রতিরোধ করে পুলিশ৷ ফাঁটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল৷

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম, একমঞ্চে মমতা-অভিষেক! বুধবারেই পাল্টা জবাব?

সেই সময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গঙ্গায় নেমে পড়েন দু তিন জন বিক্ষোভকারী৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক যুবক৷ প্রিন্সেপ ঘাটের কাছে গঙ্গায় নেমে পড়া ওই যুবককে সাহায্য করতে অবশ্য এগিয়ে আসেন কয়েকজন পুলিশকর্মীই৷ যদিও ওই যুবক পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ভয়ে গঙ্গা থেকে উঠে আসছিলেন না৷ বারবারই পুলিশকর্মীরা তাঁকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন৷

ততক্ষণে অবশ্য ওই যুবককে উদ্ধার করতে গঙ্গা দিয়ে ওয়াটার স্কুটি নিয়ে এগিয়ে আসেন রিভার ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য৷ তখন বাধ্য হয়েই গঙ্গা ধার ঘেঁষে কোনওক্রমে উঠে আসেন ওই যুবক৷ যদিও পিচ্ছিল গঙ্গার পাড় বেয়ে উঠে আসতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় তাঁকে৷ বেশ কয়েকবার পড়েও যান তিনি৷

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাবুঘাট এলাকা৷ পুলিশের দুটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা৷ পুলিশের গাড়ি, কিয়স্কও ভাঙচুর করা হয়৷

Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে অশান্তি পাকাল কারা? পুলিশের ভরসা সেই ফেসবুক, দায়ের ১১টি মামলা

কলকাতা: নবান্ন অভিযানে পুলিশের উপরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মতো অভিযোগ এনে একাধিক মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ৷ সবমিলিয়ে এগারোটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে৷

এর মধ্যে হেস্টিংস থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ আলিপুর, ময়দান, হেয়ার স্ট্রিট, মুচিপাড়া, আহমার্স্ট স্ট্রিট, বড়বাজার, উত্তর বন্দর এবং জোড়াসাঁকো থানায় একটি করে মামলা দায়ের করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷ রাতে নিউ মার্কেট থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়৷

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম, একমঞ্চে মমতা-অভিষেক! বুধবারেই পাল্টা জবাব?

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় রাত পর্যন্ত অন্তত দেড়শো জনকে আটক করা হয়েছে৷ পুলিশের উপরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে আরজি কর ভাঙচুর কাণ্ডের মতোই এবারেও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ছবি দিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সাধারণ মানুষের সাহায্য চাওয়া হয়েছে৷ আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনাতেও একই পন্থা অবলম্বন করে অনেককেই চিহ্নিত করতে পেরেছিল কলকাতা পুলিশ৷

নবান্ন অভিযানে অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে অন্তত ২৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে অনেকের আঘাতই গুরুতর৷ দেবাশিস চক্রবর্তী নামে কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন৷ শহরের একটি বেসরকারি চোখের হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে৷

এ দিন পুলিশের বিরুদ্ধে যেমন বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে, একই ভাবে বাবুঘাট, প্রিন্সেপ ঘাটের মতো এলাকায় পাল্টা পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন লাগানো, গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে৷

Nabanna Abhijan: পুলিশের তাড়া খেয়ে সোজা গঙ্গায় ঝাঁপ যুবকের! সাহায্য করতে এগিয়ে এল সেই পুলিশই, দেখুন ভিডিও

কলকাতা: নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম হয়েছে কলকাতায়। পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে মঙ্গলবার তপ্ত হয়েছে মহানগর। দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, আহত হয়েছেন কয়েকজন বিক্ষোভকারীও। এর মধ্যেই ঘটল এক মজার ঘটনা। কাদানে গ্যাস এবং পুলিশের তাড়া খেয়ে সোজা গঙ্গায় নেমে পড়লেন এক বিক্ষোভকারী। নিজে সেখান থেকে উঠে আসার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ে কয়েকজন পুলিশকর্মীও তাঁর দিকে সাহাজ্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

Nabanna Abhijan: বাঁ চোখে দৃষ্টিশক্তি হারালেন কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট, গুরুতর আহত আরও পুলিশকর্মী

কলকাতা: নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল কলকাতা এবং হাওড়ার একাধিক এলাকা৷ মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারী এবং পুলিশকর্মীরা৷ পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোয় যেমন বহু বিক্ষোভকারী আহত, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, সেরকমই এ দিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পুলিশকর্মী৷ যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে৷ তাঁদের কারও মাথা ফেটেছে, আবার কারও দৃষ্টিশক্তিই হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷

আহত পুলিশকর্মীদের অন্যতম কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী৷ এ দিন হেস্টিংসে কর্তব্যরত অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে বাঁ চোখে আঘাত পান তিনি৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হলেও ওই পুলিশকর্মী বাঁ চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷ রাতেই এসএসকেএম থেকে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি চোখের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: বুধবার বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ, ঘোষণা করলেন সুকান্ত মজুমদার

এর পাশাপাশি গুরুতর আহত অবস্থায় আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মঙ্গলবার রাতেই তাঁদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান নগরপাল বিনীত গোয়েল৷ আহত পুলিশকর্মীদের রয়েছেন আনন্দপুর থানার ওসি সুমনকুমার দে সহ বেশ কয়েকজন৷ তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে৷ প্রিন্সেপ ঘাট এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ দিন ওই পুলিশকর্মীরা আহত হন৷

এ ছাড়াও এসটিএফ-এর এক পুলিশকর্মীর পা ভেঙেছে৷ তাঁকে অবশ্য রাতেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷

Nabanna Abhijan: পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ, রাজ‍্য সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ বিজেপির! নবান্ন অভিযানের আঁচ পূর্ব মেদিনীপুরেও

পূর্ব মেদিনীপুর: নবান্ন অভিযানে ছাত্রদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে এবার মেচেদা-হলদিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। তমলুকে এই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনি।

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া-সাঁতরাগাছি চত্বর। সেই বিক্ষোভের আঁচ দেখা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকেও। অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে ব্যস্ততম রাস্তা তমলুক হলদিয়া মেছেদা রাজ্য সড়কে।

আরও পড়ুন: আন্দোলনের জেরেই বড় সিদ্ধান্ত জেলার স্কুলগুলি নিয়ে! শিক্ষা দফতরের কোন নির্দেশিকা বাতিল করলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক?

ইতিমধ‍্যেই নবান্ন অভিযানে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ এবং বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এ দিন নবান্ন অভিযানের পর এই ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন: কলে ভাল করে শুনতে পান না, স্মার্টফোনের স্পিকার ঠিকমতো কাজ করে না? সহজ টিপস্ মেনে সারিয়ে ফেলুন

বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘এই বনধকে সর্বাত্মক করুন৷ স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করুন৷ মানুষ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছেন না৷ এর প্রতিবাদ করতে, বাংলায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে, আগামিকালের বনধকে সবাই সফল করুন৷’

Police on Nabanna Abhijaan: ‘ওদের টার্গেট ছিল কোনও বডি পড়ে যায়,’ নবান্ন অভিযানকে দুষ্কৃতী আন্দোলন আখ্যা দিল পুলিশ

কলকাতা: ‘অশান্তিপূর্ণ আন্দোলন, দুষ্কৃতী আন্দোলন বলা যায়। পুলিশকে যে ভাবে মারলেন নিন্দনীয়’। শুধু তাই নয়, এডিজি সাউথ বেঙ্গলের কথায়, ‘‘আন্দোলনের যে চেহারা দেখলাম, পশ্চিমবঙ্গের কোনও ছাত্রছাত্রী এই ধরনের গুন্ডামি, অসভ্যতামি করতে পারে না আমরা এটা জানি।’’ অর্থাৎ, ছাত্রছাত্রী বা পড়ুয়া নন, পুলিশ দাবি করলেন মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের পিছনে দায়ী অন্যেরা এবং তাঁদের দুষ্কৃতীসুলভ মানসিকতা৷

মঙ্গলবারে নবান্ন অভিযানের পরে একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করলেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা এবং ডিসি সাউথ৷ জানা গেল, এদিনের অভিযানে রাজ্য পুলিশের অধীনে গ্রেফতার হয়েছে ৯৪ এর বেশি৷ গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা ছিল ২৫, কলকাতা পুলিশের অধীনে আজ গ্রেফতার ১২৬।

পাশাপাশি, রক্তাক্ত হয়েছে পুলিশও৷ ১১ জন পুলিশকর্মী এদিনের নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে৷

আরও পড়ুন: ‘বনধ নিয়ে কেমন কাঁপুনি হচ্ছে…,’ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ‘বেআইনি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

এডিজি আইনশৃঙ্খলা বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা ছিল এটা (নবান্ন অভিযান) শান্তিপূর্ণ হবে না। গতকাল আমাদের বেশি অ্যারেস্ট হয়েছে। ওদের টার্গেট ছিল কোনও বডি পড়ে যায়। আজকের আন্দোলন এর নেচার কী ছিল সেটা নিয়ে আমার আর বলার নেই।’’

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি সাউথ বেঙ্গল বলেন, ‘‘প্রায় ২৫ জনকে গেফতার করেছি গতকাল থেকে অশান্তি বাঁধানোর অভিযোগে। গতকাল হাওড়া স্টেশন থেকে ৪ জন গ্রেফতার করেছি। আগ্নেয়াস্ত্র, নিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে আমরা প্রমাণ দেব।’’

শুধু তাই নয়, অস্ত্র বোমা, গুলি নিয়ে আসার চক্রান্ত ছিল বলেও জানান তিনি৷ অন্যদিকে, ডিসি সেন্ট্রালের বক্তব্য, ‘‘আজ কলকাতা পুলিশের তরফে বারবার বলেছি পুলিশের উপর আক্রমণ করবেন না। ব্যারিকেড টপকে যা করল, পেট্রল বোমাও আমরা পেয়েছি।’’

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেন, ‘‘আমাদের আজ পর্যাপ্ত পুলিশ ব্যবস্থা ছিল। আন্দোলন কতটা শান্তিপূর্ণ ছিল আপনারা দেখেছেন। পুলিশ বারবার বলেছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। সাঁতরাগাছি দিয়ে শুরু ব্যারিকেড ভাঙা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, বেপরোয়া, বেলাগাম তাণ্ডব আমরা দেখলাম পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে।’’

আরও পড়ুন: এবার আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ! আরজি কর কাণ্ডে যোগ করা হল আরও কড়া ধারা, ধীরে ধীরে জাল গুটোচ্ছে সিবিআই

নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকার বিরোধিতা করে আগামিকাল বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ যদিও রাজ্যে তরফে এই বনধের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করা হয়েছে৷ পুলিশের তরফেও সাংবাদিক বৈঠকে বনধ নিয়ে মন্তব্য করা হয়৷

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ জানান, ‘‘ বনধ ডাকা বেআইনি।এটা আমরা বলছি না, কোর্টের অর্ডার বলছে। কাল প্রশাসন সেটা প্রতিহত করবে। বাংলা সচল করার জন্য সব ধরনের প্রয়াস থাকবে। আমরা ধন্যবাদ জানাই প্রকৃত মানুষদের। পুলিশ কাল বন্ধুর মতো পাশে থাকবে।’’

Kunal Ghosh on BJP Bangla Bandh: বিজেপির বাংলা বনধের ডাক ব্যর্থ করবেন মানুষ, পাল্টা আক্রমণ কুণালের

এটা ‘নবান্ন অভিযান’ নয়, ‘সমাজবিরোধীদের অভিযান’। বিজেপির বাংলা বনধের ঘোষণার পরেই প্রতিক্রিয়ায় ফেটে পড়লেন কুণাল ঘোষ। বিজেপিকে চরম নিশানা করে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, ‘কি ভেবেছিল? নবান্ন অভিযান ডাকবে আর পুলিশ থাকবে না?’ আন্দোলনকারীরা প্রথম কাজ করেছে ব্যরিকেড ভাঙা। এরপরে পুলিশকে পাথর, ইট মারা হল। একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।’ মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান নিয়ে কুণালের তীব্র তোপ,’ পুলিশ প্রথমে কিছু বলেনি। আপনাদের ইচ্ছা মতো বেড়াতে যাবেন নাকি নবান্নে? বিজেপি গুণ্ডা আর সিপিএমের ডিএ মঞ্চের ক্যাডাররা করল এই অভিযান। এর পর আবার বাংলা বনধ ডাকল। এখন আর জাস্টিস চাইছে না। এখন চেয়ার চাইছে। এটা একটা বড় প্লট, ষড়যন্ত্র। পুলিশ রক্তাক্ত হয়েও সংযম দেখিয়েছে। গায়ে আজ রক্ত মেখেছে পুলিশ। ৯৩ সালের ২১ জুলাই হত না যদি পুলিশ এমন সংযত থাকত।

Nabanna Abhijan: রণক্ষেত্র হাওড়া-সাঁতরাগাছি! ইটবৃষ্টি, কাঁদানে গ‍্যাস, লাঠিচার্জ…নবান্ন অভিযানে এখন কী পরিস্থিতি?

হাওড়া: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্নে যাওয়ার ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অভিযান ঘিরে তুলকালাম। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোঁড়া হয়। অভিযোগ, সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতেই পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। ফাটানো হয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল।

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মিছিল পৌঁছতেই হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে নবান্নের রাস্তায় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এরপর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও তাদের পিছনে ছুটতে শুরু করে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ ও ধস্তাধস্তিতে ভাঙে পুলিশের ব্যারিকেড ৷ চলল লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ৷

আরও পড়ুন: নবান্নের সামনেই চলে এল বিক্ষোভকারীরা! দফায় দফায় ইটবৃষ্টি, রেড রোড বন্ধ, ছুটে গেল বিরাট পুলিশ বাহিনী

জাতীয় পতাকা হাতে করে এগোতে যান আন্দোলনকারীরা।হাওড়া ব্রিজেও চলছে তুমুল অশান্তি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশের জলকামান। ফোরশোর রোডেও ধরা পড়ে একই অশান্তির ছবি। অন্যদিকে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুুলিশের লাঠিচার্জ এবং বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে  বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ডাকল বিজেপি। মঙ্গলবার বিকেলে দলের সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ধর্মঘট। সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে বনধ সফল করতে আবেদন জানিয়েছেন সুকান্তবাবু। এদিন মোতায়েন ছিল ৬,০০০ পুলিশকর্মী। হাওড়া যাওয়ার পথে ব্যারিকেড করা হয় কমবেশি ১৯টি জায়গায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার একাধিক জায়গায় বড় ব্যারিকেড তৈরির পাশাপাশি নামানো হয় পুলিশ, র‍্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্স। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফরশোর রোড এবং লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরি করা হয় ।

নবান্নের আশপাশে গলির মুখগুলোও ঘিরেও ফেলা হচ্ছে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে হাওড়ায় জখম হয়েছেন ব়্যাফের এক জওয়ানের। মাথা ফেটে গিয়েছে চণ্ডীতলা থানার সিআইয়ের। আহত পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করলেন আন্দোলনকারীরাই। খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি হাওড়া এবং সাঁতরাগাছিতে। খিদিপুর মনসাতলায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ইট ছোঁড়াছুঁড়ি। রেড রোড বন্ধ করে চলছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে মাথা ফাটল এক পুলিশ।

আরও পড়ুন: কলে ভাল করে শুনতে পান না, স্মার্টফোনের স্পিকার ঠিকমতো কাজ করে না? সহজ টিপস্ মেনে সারিয়ে ফেলুন

বেলা যত গড়ায় ততই ঝাঁজ বাড়ে আন্দোলনের। বেলা আড়াইটে নাগাদ নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় একদল আন্দোলনকারী। নবান্ন থেকে তাঁদের দূরত্ব ছিল মাত্র ১০০ মিটার। যদিও মিনিট তিনেকের মধ্যেই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। বেলা গড়াতেই খিদিরপুর, হেস্টিংস, রেড রোড, এম জি রোড দিয়ে মিছিল নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেয়। হেস্টিংস, রেড রোড এবং এম জি রোডে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। ফের জলকামান চালাতে শুরু করে তারা। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। শুধু তাই নয়, একের পর এক গার্ডরেল কার্যত উপড়ে ফেলেন জনতা। জাতীয় পতাকা ওড়াতে শুরু করেন তাঁরা। অপরদিকে পুলিশও আন্দোলনকারীদের কার্যত বোঝাতে থাকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এর পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ায় পুলিশ। এ দিকে, গার্ডরেল ভেঙে ফেলতেই ময়দানে নামে পুলিশের র‌্যাফ। ছোড়া হয় জলকামান। আর পুলিশের বাহিনী এগিয়ে যেতেই পিছু হটতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। তবে শুধু সাঁতরাগাছি নয়, হাওড়া ব্রিজের উপরে থাকা গার্ডরেলও সরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ‘বুক পেতেছি গুলি কর, জাস্টির ফর আরজি কর’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিসের’ মতো স্লোগান তুলে ধেয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: ঘটনার দিন নিয়ে ৭ ‘জরুরি’ প্রশ্ন, এবার সিবিআই জেরার মুখে কলকাতা পুলিশের অফিসার! যা ঘটল…

পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে কখনও আন্দোলনকারীদের চাপে, পাথর বৃষ্টির মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। যদিও পর মুহূর্তেই আবার নতুন রণসজ্জায় এগিয়ে আসে উর্দিধারীরা। সকাল থেকেই হাওড়া ময়দানে মিছিল করতে দেখা যায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকেও। দেখা যায় মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষকেও। আহত পুলিশ কর্মীর পাশেও হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তুমুল ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে। লাগাতার কাঁদানে গ্যাস চার্জের মধ্যে রাস্তা আকড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বহু আন্দোলনকারীকে। পুলিশ-আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ফরশোর রোডও।

রাকেশ মাইতি

State Government Employee Must Attendance: বুধবার অনুপস্থিত থাকলেই ‘শোকজ’! বিজেপির ডাকা বনধের পরে নির্দেশিকা অর্থ দফতরের

কলকাতা: আগামিকাল রাজ্যে বনধ হবে না, জানিয়ে দিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার রাজ্যের অর্থ দফতর থেকেও এল নির্দেশিকা। সরকারি কর্মীদের কেউ যদি বুধবার অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তাঁকে শোকজ করা হবে। আজ যাঁরা ছুটিতে আছেন, কাল তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর থেকে।

আরও পড়ুন- বনধ হবে না রাজ্যে, বাংলাকে সচল রাখতে হবে! সাফ জানালেন আলাপন

বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি৷ এ দিন নবান্ন অভিযানের পর এই ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বনধকে সর্বাত্মক করার আহবান জানিয়েছেন তিনি৷ যদিও সেই আহ্বান নস্যাৎ করে আলাপন জানালেন, সরকার এই বন্ধ মানবে না। আগামিকাল সারা রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে বলেই ঘোষণা আলাপনের।

আরও পড়ুন- মমতার কালীঘাটের বাড়ির পাহারায় বিশাল পুলিশবাহিনী! বন্ধ রাস্তা, আক্রমণের উপায় নেই

বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ নবান্ন অভিযানে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ এবং বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে এই বনধ। যদিও আলাপনের নির্দেশ, সরকারি কর্মীদের আগামিকাল অফিসে আসতেই হবে। দোকানপাটো থাকবে খোলা। তাঁর কথায়, “সরকার নিরাপত্তা, আইনানুগ ব্যবস্থা করবে। ক্ষতি হলে সরকার সেদিকটাও দেখবে।”

আজ মঙ্গলবার যেমন নেট পরীক্ষা ছিল, আগামিকালও সকাল ৯’টা থেকে ১২টা ও দুপুর ৩টে থেকে ৬টা দুটি ধাপে ইউজিসি নেট পরীক্ষা আছে। ইকোনমিকস সহ একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে বুধবার। এ নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেন আলাপন।

আলাপন বলেন, “আজ সারাদিন ধরে রাজ্যে দফায় দফায় অশান্তির চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা আছে। সিবিআই-এর কাছে তদন্ত ভার আছে। কিন্তু আজ মহানগরকে ও কাল বাংলাকে স্তব্ধ করার যে চেষ্টা, তা অসমর্থন যোগ্য।” এর পরই তিনি জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে যে আগামিকাল বনধ মানা হবে না।

আলাপন বলেন, “সকলকে অনুরোধ বনধ মেনে নেবেন না। বনধ তথা আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের জনজীবন স্তব্ধ করা বেআইনি। রাজ্য সরকারের সব দফতর খোলা থাকবে। কারও কোনও ক্ষতি হলে সরকার দেখবে। প্রাইভেট বাস-সহ সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে। বাংলা কে সচল রাখতে হবে। পুলিশ আজ যথা সাধ্য শান্ত থাকছে। কাল জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে।”

TMC on Nabanna Abhijan: ‘লাশ চেয়েছিল, হল না!’, বুধবারের বনধ আসলে ষড়যন্ত্র, বিজেপি-কে ঝাঁঝাল আক্রমণ ব্রাত্য-চন্দ্রিমার

কলকাতা: নবান্ন অভিযান ‘ফ্লপ শো’, ‘বনধ এখানে হচ্ছে না, হবে না,’ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ডাকা বনধের বিরোধিতায় স্পষ্টভাবে এমনই বার্তা দিতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে৷ মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেনকে পাশে নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করার সময় চন্দ্রিমা রেল কর্তৃপক্ষের কাছেও আবেদন করেন, আগামিকাল, ২৮ অগাস্ট, বুধবার যেন রেল বন্ধ না রাখেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, কারণ ওই দিন তাঁদের দলের ছাত্রশাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক অনুষ্ঠান রয়েছে৷

এদিন সকাল থেকে ‘ছাত্রসমাজে’র ডাকা নবান্ন অভিযানকে প্রতিহত করতে চতুর্দিকে ব্যারিকেড করেছিল পুলিশ, মোতায়েন ছিল বাহিনী৷ মিছিল শুরু হতেই অবশ্য ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি৷ পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে বিক্ষোভকারীদের৷ আক্রান্ত হয় পুলিশ৷ পোড়ানো হয় পুলিশের বাইক৷ অন্যদিকে, বিক্ষোভে আটক ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের ছাড়াতে লালবাজার অভিযান ও অবস্থান করেন সুকান্ত৷ নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে আগামিকাল, বুধবার রাজ্যজুড়ে বনধও ডাকেন তিনি৷

বিজেপি রাজ্য সভাপতির বনধ ডাকার কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য রাজ্য সরকারের তরফে উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার এই বনধ মানছে না৷ সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, পাশাপাশি, দোকানপাট, পরিবহণ সবকিছুই খোলা থাকবে রোজের মতো৷

আরও পড়ুন: এবার রাস্তার মাঝেই বসে পড়লেন সুকান্ত! পুলিশ বিরোধী স্লোগানে তপ্ত লালবাজার চত্বর, বিক্ষোভকারীদের ছাড়াতে অবস্থান

তৃণমূলের তরফে অভিযোগ ওঠে আগামিকাল তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সমাবেশের দিনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই বনধ ডাকা হয়েছে বিজেপির তরফে৷ এর গোটাটাই ষড়যন্ত্র৷

এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আজ আপনারা জানেন অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল অরাজকতা তৈরি করার জন্য, বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা হয়েছে। গুন্ডা আমদানি করা হয়েছে। পুলিশকে অনেক জায়গায় আন্দোলনের শিকার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ তার ধৈর্য্য হারায়নি। ওদের অবশ্য চাহিদা ছিল লাশ চাই, কিন্তু আজ সেই লাশটা হল না।’’

মন্ত্রী জানান, ‘‘আর একটা অরাজকতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা হল ১২ ঘন্টার বনধ৷ পুজোর আগে অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। সেটা বন্ধ করে দিতে হবে। তারই চেষ্টা৷ কীসের জন্য এই বনধের ডাক সবাই বুঝতে পারছেন। আজ যে আন্দোলনের ডাক ছিল তাতে সাধারণ মানুষের অংশ ছিল না। মানুষ জানে এখানে বনধের রাজনীতি চলে না। এই বনধের পিছনে অভিসন্ধি আছে।’’

আরও পড়ুন: ‘পুলিশের জলকামানের জল শেষ, টিয়ার গ্যাস শেষ…!’ বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তভার ইতিমধ্যেই হাতে তুলে নিয়েছে সিবিআই৷ দিন সেই মনে করিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের কাছে যান, সিজিওতে যান৷ কী ধরনের আন্দোলন আপনারা করতে চেয়েছিলেন মানুষ তাতে বুঝেছে। রেল কে বলেছি কাল রেল বন্ধ করবেন না। কাল আরও একটা কর্মসূচি আছে।’’

বিক্ষোভে জাতীয় পতাকার ব্যবহার নিয়েও মন্তব্য করেন মন্ত্রী৷ তাঁর হুঁশিয়ারি জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে। এটাও তাঁরা নজরে রেখেছেন। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন৷

বুধবার, অর্থাৎ, ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচির দিনই রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ এদিন বিষয়টিকে অভিসন্ধি বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও৷ তিনি বলেন, ‘‘সবাই যখন বিচার চাইছেন তখন ওরা লাশের সন্ধানে বেরিয়ে গেলেন। নবান্ন অভিযানের নাম নৈরাজ্য করার চেষ্টা করলেন। বাংলাবাসীকে বনধ ট্যাবলেটের নাম করে গেলাতে চেষ্টা করছেন। কাল ২৮ অগাস্ট টিএমসিপির কর্মসূচি আছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ছাত্র রা আসছে। আমরা মনে করছি এর পিছনে গভীর চক্রান্ত আছে। যাতে আমাদের নেতারা বার্তা না দিতে পারেন। কাল আমাদের নেতানেত্রী বক্তব্য রাখবেন।’’

ব্রাত্য বসু জানান, মৃত দেহের সন্ধান করে যে অভিসন্ধি লক্ষ করেছি সেই ফাঁদে পা দেবেন না। ইউজিসির নেট ছিল, সেখানে তো সমস্যা হওয়ার কথা,,, কাল সমস্ত বাস থাকবে। প্রশাসন ছাত্র ছাত্রীদের পাশে থাকবে।