বর্ষাকাল হোক শীত যে কোনও রোগ থেকেই শরীরকে ভাল রাখতে নিমের কোনও বিকল্প নেই৷ শরীরের সঙ্গে সুস্থ থাকে ত্বকও৷ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সর্বেশ কুমারের মতো ত্বক থেকে শরীর, সুস্থ থাকতে গেলে নিম পাতার কোনও জুড়ি নেই৷ডায়াবিটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য নিম পাতা অব্যর্থ৷ এই পাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে৷নিম পাতা প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার, ট্যানিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ৷নিম প্রকৃতিগত ভাবেই শীতল৷ তাই অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা, হজমের সমস্যায় এই পাতা কাজে লাগে৷নিম পাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগান৷ এই পাতায় প্রচুর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকায় ব্রণ, ফুসকুরির মতো ত্বকের নানা সমস্যায় ম্যজিকের মতো কাজ করে৷
*বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় বহু মানুষের চর্ম রোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসুখ লেগেই থাকে। তবে প্রকৃতিক একটি উপাদান এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে পারে।*অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুখদেব শর্মা জানান, ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিম পাতার ব্যবহার করা হয় দীর্ঘ প্রাচীন সময় থেকে। তাই এই পাতার গুণাগুণ রয়েছে প্রচুর এটুকু নিঃসন্দেহে বলা যায়।*নিমপাতার মধ্যে রয়েছে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী গুণাগুন। ফলে এটি ত্বকের সুরক্ষায় অনেকটাই উপকারী ভূমিকা নেয়। ব্রণর সমস্যায় নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়।*মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি হয়। নিমপাতার রস যদি মাথায় নিয়মিত লাগানো যায়, তবে এই চুলকানি কমে যায় এবং চুলও শক্ত হয়। এছাড়া নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।*শুধুমাত্র চুলের নয়, ত্বকের চুলকানিতেও নিমপাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে সামান্য কাঁচা হলুদ বেটে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিনটোন ভাল হয়।*নিমের পাতা খেলে শরীরের পরিপাক তন্ত্রের গতি বাড়ে। এছাড়া বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় এবং রক্তের শুদ্ধতা বেড়ে ওঠে অনেকটাই। ফলে রোগ জীবাণু শরীর থেকে দূরে থাকে ও শরীর সুস্থ থাকে।*নিমপাতা সেদ্ধ করা জল স্নানের জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নান করলে স্কিন ইরিটেশন এবং চুলকানিতে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া গায়ের দুর্গন্ধের পরিমাণ কমে যায় অত্যন্ত সহজেই।
NCBI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যার ৫ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। হার্ট, রক্তচাপ, কিডনি এবং চোখের অঙ্গগুলি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়।ডাব্লুএইচওর পরিসংখ্যান অনুসারে, বিশ্বে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, এছাড়াও প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।বর্তমানে, প্রায় ৮ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং অনুমান অনুসারে, ২০৪৫ সালের মধ্যে ভারতে ১৩ কোটিরও বেশি লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবে। কিন্তু, ডায়াবেটিসে কী করবেন জানিয়ে দিল আয়ুর্বেদিক ডাক্তার পঙ্কজ কুমার।আমরা সবাই জানি যে ডায়াবেটিস একটি জীবনধারা সম্পর্কিত রোগ। ডায়াবেটিস হল রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া। কিন্তু লাইফস্টাইল গুছিয়ে নিলে তা থেকে ব্লাড সুগার বাদ দেওয়া যায়।আমরা সবাই জানি যে ডায়াবেটিস একটি জীবনধারা সম্পর্কিত রোগ। ডায়াবেটিস হল রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া। কিন্তু লাইফস্টাইল গুছিয়ে নিলে তা থেকে ব্লাড সুগার বাদ দেওয়া যায়।NCBI-এর সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, কিছু ঔষধি পাতা চিবিয়ে খেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই তিনটি পাতা-অ্যালোভেরা পাতা: এনসিবিআই (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) এর গবেষণা অনুসারে, অ্যালোভেরার হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় সকালে খালি পেটে ইনসুলিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করবে।চিতই পাতা: চিতই একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ফল। NCBI-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, চিতই পাতায় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ রয়েছে। এটি ব্লাড সুগারও কমায়।নিম পাতা: নিম সাধারণত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, তবে NCBI-এর গবেষণায় দেখা গেছে যে নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সকালে খালি পেটে নিম পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। অগ্ন্যাশয় তার কাজ সঠিকভাবে করবে যার কারণে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইনসুলিন তৈরি হয়। নিম পাতায় এমন অনেক গুণ পাওয়া গেছে যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ( Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
