মহাবিড়ম্বনায় পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দারা। কারণ তাঁদের বাড়িতে কতগুলি টয়লেট সিট রয়েছে, তার ভিত্তিতেই কর ধার্য করা হচ্ছে। আসলে এই রাজ্যে সুখবিন্দর সিং সুখু সরকার আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে সম্প্রতি একটা বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
নিকাশি ব্যবস্থা এবং জলের বিল সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়িতে যতগুলি টয়লেট সিট রয়েছে, তাঁর উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক টয়লেট সিটের জন্য ২৫ টাকা করে ফি দিতে হবে। এদিকে নিকাশি বিলের পাশাপাশি এই অতিরিক্ত ফি জল শক্তি দফতরের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে যে, জলের বিলের ৩০ শতাংশ হবে নিকাশি বিল। যাঁরা নিজস্ব উৎস থেকে জল ব্যবহার করেন এবং শুধুমাত্র সরকারি দফতরের নিকাশি কানেকশন ব্যবহার করেন, তাঁদের প্রতি মাসে বাড়ির প্রতিটি টয়লেট সিটের জন্য ২৫ টাকা করে দিতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর করার জন্য সমস্ত বিভাগীয় আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছে দফতর।
আগে জলের বিল হিমাচল প্রদেশে জারি করা হয়নি। হিমাচল প্রদেশে সুখু সরকার এখন নির্দেশ জারি করে জানিয়েছে যে, প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে জলের বিল দিতে হবে। অক্টোবর মাস থেকেই এই নয়া নিয়ম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- বলুন তো ভারতে কোন রংয়ের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ? চালালেই তুমুল ভোগান্তি! বহু ভারতীয়ই জানেন না কিন্তু
যাঁরা রাজ্যের শহরাঞ্চলে বসবাস করেন, তাঁদের উপর পড়তে চলেছে সরকারের এই নতুন চার্জের ভার। এর কারণ হল – মানুষ সাধারণত নিজেদের বাড়িতে একাধিক ওয়াশরুম নির্মাণ করেন। এখন প্রত্যেক টয়লেট সিটের উপর একটা ফি ধার্য হবে।
আরও পড়ুন- সব অপেক্ষার অবসান… নতুন বছরে নতুন পথচলা শুরু করবেন দেব-রুক্মিণী জুটি, সামনে এল ‘তারিখ’
হিমাচল প্রদেশে রয়েছে মোট ৫টি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, ২৯টি মিউনিসিপ্যালিটি এবং ১৭টি নগর পঞ্চায়েত। আর এই রাজ্যে বাস করেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। তবে সরকারের এই নয়া নির্দেশিকার প্রভাব যে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষের উপর পড়তে চলেছে, তা বেশ স্পষ্ট।