Tag Archives: North East United

Durand Cup 2024 Final: প্রতিবাদে মুখর ডুরান্ড ফাইনাল! দু’গোলে এগিয়ে থেকেও টাইব্রেকারে হার মোহনবাগানের

কলকাতা: টানা দ্বিতীয়বার ডুরান্ড ফাইনাল খেলতে নেমে শুরু থেকে মরিয়া হয়ে খেলছিল মোহনবাগান। ১০ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন জেসন কামিংস। প্রথম থেকেই মোহনবাগানের একের পর এক আক্রমণে চাপে পড়ে যায় নর্থইস্ট।

বিরতির আগে আবার গোল করে ব্যাবধান বাড়ায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে সাহাল গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ ব্যাবধানে এগিয়ে যান। তবে মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলের পরেই মরিয়া হয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে নর্থইস্ট। ৫৫ মিনিটেই তার ফলও পায় নর্থইস্ট। আজারাইয়ের গোলে খেলায় ফেরে নর্থইস্ট। তিন মিনিট পরে নর্থইস্টের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে সমতা ফেরান গুলেরমো। ৯০ মিনিট পরেও খেলার ফয়সালা না হওয়ায় খেলা যায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে নর্থইস্টের কাছে হারল মোহনবাগান।

আরও পড়ুন: পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী! সন্দেহের বশেই বউয়ের দু’হাত কেটে দিল স্বামী

—- Polls module would be displayed here —-

কিন্তু ডুরান্ড কাপে ইস্ট-মোহনের ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে টিফোয় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। প্রতিটি ম্যাচেই টিফোয় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ নিয়ে নানা বার্তা তুলে ধরছেন সমর্থকরা। ডুরান্ড ফাইনালেও তার অন্যথা হল না।

হারল মোহনবাগান।
হারল মোহনবাগান।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, গোপালিকার মেয়াদবৃদ্ধিতে অনুমোদন দিল না কেন্দ্র

জাস্টিস ফর আরজি কর হ্যাশট্যাগ লিখে প্রতিবাদের ধ্বনি লেখা “যাঁদের অতীত সোনায় মোড়া/ বাবলু চুনী মান্না/ তাদের রাতের ঘুম করেছে/ তিলোত্তমার কান্না/ রক্তচক্ষু ভয় না পাই না/ বোনের বিচার চাই/ দোষীর মুখোঁশ খুলব টেনে/ থামার প্রশ্ন নাই”। শুধু তাই নয়, আরও একটি টিফোতে দেখা যায় প্রতিবাদ। সেখানে ভিক্টোরিয়ার পরির সামনে ‘রাত দখল’-এর বার্তা। নীচে লেখা, “তোর ভয় নেই বোন, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি”।

East Bengal: আইএসএলে ঐতিহাসিক জয় ইস্টবেঙ্গলের, ৫-০ গোলে নর্থইস্টকে উড়িয়ে দিল লাল-হলুদ ব্রিগেড

কলকাতা: অবশেষে আইএসএলে লাল-হলুদ ঝড়। প্রতিযোগিতায় ক্লাবের ইতিহাসে সব থেকে বড় জয় পেল পেল ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীতে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ম্যাচে জোড়া গোল করে নায়ক ক্লেইটন সিলভা ও নন্দ কুমার। অপর একটি গোল করেন বোরহা হারেরা।

সোমবার যুবভারতীতে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে লাল-হলুদের অ্য়াটাকিং লাইন। ম্যাচে ১৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোলের মুখ খোলেন বোরহা হারেরা। বিষ্ণুর বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের শটে হেরেরা বল জড়িয়ে দেন নর্থ-ইস্টের জালে। প্রথম গোলের ১০ মিনিটের মাথায় আসে দ্বিতীয় গোল। ক্লেইটন সিলভার গোলে ব্যবধান ২-০ করে ইস্টবেঙ্গল। বাঁ-দিক থেকে মান্দারের ভাসানো বল হেডে নর্থ-ইস্টের জালে জড়িয়ে দেন সিলভা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও সঙ্ঘবদ্ধ ফুটবল উপহার দেয় কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। সেভাবে ম্যাচে পাওয়াই যায়নি নর্থইস্টকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে তৃতীয়বার জালে বল জড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। মহেশের ক্রস থেকে বল ধরে ডান পায়ের আলতো ছোঁয়ায় গোল করেন নন্দ কুমার। ৪ মিনিটের মধ্যেই আসে চতুর্থ গোল। পোস্টের ঠিক সামনে নন্দর ক্রস থেকে বল ধরে গোল করেন ক্লেইটন সিলভা।

আরও পড়ুনঃ IPL 2024 Auction-এ ৫ ভারতীয় তারকা পেতে পারেন রেকর্ড টাকা, দেখে নিন তালিকায় কারা

এরপরও একাধিক আক্রমণ গড়ে তোলে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৮১ মিনিটে পঞ্চম গোল পায় লাল-হলুদ। মহেশের পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশ করেন নন্দ কুমার। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি নর্থইস্ট। ৫-০ গোলে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে থাকল  ইস্টবেঙ্গল।

BFC vs NEUFC match: গোল পেলেন না সুনীল, নর্থইস্টকে হারিয়ে আইএসএলে যাত্রা শুরু বেঙ্গালুরুর

বেঙ্গালুরু -৪
নর্থইস্ট -২

#গোয়া: বেঙ্গালুরু কোচ মার্কো পেজ্জাইয়ুলি বলে দিয়েছিলেন ‍প্রথম লক্ষ্য হল সেমিফাইনালে যাওয়া। কারণ, গত দু’মরসুম ধরে সেমিফাইনাল যেতে পারেনি দল। সেভাবে সাফল্যও মেলেনি। আমাদের কিছু পরিবর্তন ধীরে ধীরে করতে হবে। তবে সবার আগে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে লড়ে তিন পয়েন্ট আনতে হবে। বেঙ্গালুরু এফসি অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলসংখ্যায় লিয়োনেল মেসিকে স্পর্শ করার পাশাপাশি ‍‘খেলরত্ন’ সম্মান পেয়েছেন।

আরও পড়ুন – Ballon d Or 2021 nominee: নতুন বছরের ব্যালন ডি ওরের দৌড়ে চার মহারথী, শেষ পর্যন্ত জিতবে কে? জানুন

খালিদ জামিল। যিনি কলকাতায় প্রশিক্ষক হিসেবে সাড়া না পেলেও প্রতিবেশী রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে গিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। গত বছর দলের প্রধান কোচ হিসেবে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত দু’দলের সাক্ষাতে ১০ বারের মধ্যে মাত্র এক বার বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছে নর্থ ইস্ট। কিন্তু সেই রেকর্ডকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি বেঙ্গালুরু কোচ।

কোচের এই ধারণা কতটা সঠিক বোঝা গেল ম্যাচ শুরু হতেই। প্রথম থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। গোলও হল বৃষ্টির মত।শনিবার গোয়ার বাম্বোলিমের মাঠে বেঙ্গালুরু বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচটা প্রথম থেকেই ওপেন ফুটবলের দেখা মিলল। দুই দলই গুটিয়ে থেকে নয়, আক্রমনাত্মক ফুটবল উপহার দিল। ১৩ মিনিটের মাথায় বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলীয় ফুটবলার ক্লেটন। উদন্তর পাস ধরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিয়ে জালে বল খেলতে ভুল করেননি তিনি।

১৭ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনে নর্থইস্ট। সুহেরের পাস থেকে গোল করেন জামাইকান স্ট্রাইকার দেশন ব্রাউন। আবার এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। আত্মঘাতী গোল করেন নর্থইস্ট ডিফেন্ডার মাশুর শারিফ। আবার নর্থইস্টকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন কুরিয়ার। প্রথমার্ধেই পাঁচটি গোল। কিন্তু সুনীল ছেত্রী ছিলেন একেবারেই ম্রিয়মাণ। বলের সাপ্লাই আসছিল না তার কাছে। অনেকটা নীচ থেকে খেলছিলেন তিনি।

৪২ মিনিটে ডিফেন্স থেকে একটা বল এলে দুরন্ত ফ্লিক করে দেন ক্লেটন। জয়েস রানের শট গোলরক্ষক শুভাশিসকে পরাস্ত করে আশ্রয় নেয় জালে। ৩-২ এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয়ার্ধে মশুরকে তুলে নিয়ে শাহনাজ সিং কে নামালেন খালিদ। বেঙ্গালুরুর দুই প্রান্তে আশিক এবং অজিত চাপ তৈরি করছিলেন নর্থইস্ট ডিফেন্সে। প্রেসিং ফুটবল বাড়িয়ে দিল বেঙ্গালুরু।

মিডফিল্ডে ব্রাজিলীয় ফুটবলার রামিরেজ খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। বেঙ্গালুরু দুটো পরিবর্তন করল। প্রতিক চৌধুরি এবং লিওন অগাস্টিনকে নামালেন বেঙ্গালুরু কোচ। কিন্তু ভাগ্য খারাপ লিওনের। চোট পেয়ে বাইরে চলে গেলেন। তার জায়গায় নামলেন কঙ্গোর প্রিন্স ইবারা। ৮০ মিনিটে গোল করলেন দুরন্ত শটে।