ব্যবসা-বাণিজ্য LIC Policy: আপনার ল্যাপসড হওয়া LIC পলিসি ফের চালু করা সম্ভব? জেনে নিন সমস্ত নিয়ম Gallery May 6, 2024 Bangla Digital Desk লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ LIC-এর অনেকগুলি পলিসি রয়েছে। যা গ্রাহকরা তাদের সুবিধা এবং প্রয়োজন অনুসারে গ্রহণ করে। অনেক সময়, পলিসির পরিমাণ পরিশোধ না করা হলে, বা রিনিউ না করলে, পলিসিটি বাতিল হয়ে যায়। অনেক সময়, সময়মতো প্রিমিয়াম পরিশোধ না করার কারণে লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার পলিসি বন্ধ হয়ে যায়। একেই বলে পলিসি ল্যাপস হয়ে যাওয়া। বর্তমান সময়ে নিজেকে এবং নিজেদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আর্থিক নীতি গ্রহণ করা খুবই জরুরি। আর্থিক সুবিধাগুলি পেতে, নিজেদের পলিসির পরিমাণ সময়মতো পরিশোধ করা গুরুত্বপূর্ণ৷ এখানে আমরা বলছি কীভাবে বাতিল হয়ে যাওয়া পলিসি পুনরায় চালু করা যেতে পারে। বিলম্বে পরিশোধের সঙ্গে প্রিমিয়াম দিতে হবে –কেউ যদি কোনও এলআইসি পলিসি নিয়ে থাকে, তবে তা সময়মতো পুনর্নবীকরণ করা উচিত। যখন একটি পলিসি বন্ধ হয়ে যায়, LIC এটিকে ২ বছরের জন্য রিনিউ করার সুযোগ দেয়। এর মানে হল যে গ্রাহক প্রিমিয়ামের সঙ্গে দেরিতে পেমেন্ট ফি প্রদান করে তার পলিসি পুনরায় চালু করতে পারে। একটি ল্যাপস নীতি –একটি ল্যাপস পলিসি হল, এমন একটি যা প্রিমিয়াম পরিশোধ না করার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে এর সুবিধাগুলি আর পাওয়া যাবে না। তারপর সব পলিসি রিস্টার্ট করতে হবে এবং বকেয়া প্রিমিয়াম ও সুদ দিতে হবে। লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার পলিসিটিকে রিনিউ বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রয়েছে। ল্যাপসড হওয়া পলিসি পুনরায় চালু করতে কী করতে হবে –পলিসিধারককে তার সমস্ত সুদ পরিশোধ করতে হবে। পলিসি শুধুমাত্র বিমা কোম্পানি দ্বারা জারি করা শর্তাবলীর ভিত্তিতে পুনরায় চালু করা যেতে পারে। পলিসিটি পুনরায় চালু করতে, পলিসিধারককে এজেন্ট বা শাখার কাছে যেতে হবে এবং এলআইসি পলিসি পুনর্নবীকরণের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ারে কল করেও খোঁজ নেওয়া যেতে পারে। দেরি হওয়ার জন্য জরিমানাও দিতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC Policy: এই LIC স্কিম থেকে ১ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে, দেখে নিন হিসেব Gallery April 30, 2024 Bangla Digital Desk LIC Jeevan Shiromani Plan হল এলআইসির একটি নন-লিঙ্কড প্ল্যান। যে কেউ ১৪,১৬,১৮,২০ বছরের পলিসির মেয়াদের সঙ্গে এটি নিতে পারেন। লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এলআইসি) দেশের মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের বিকল্প প্রদান করে। যাঁরা একটি নির্দিষ্ট হারের সঙ্গে একটি পরিকল্পনা খুঁজছেন, তাঁদের জন্য সেরা বিকল্প হল এই LIC Jeevan Shiromani Plan। এলআইসির এই LIC Jeevan Shiromani Plan একটি নন লিঙ্কড প্ল্যান। এই প্ল্যানে বিভিন্ন ধরনের সুদের বিকল্প পাওয়া যায়। এছাড়াও এই প্ল্যানে বাম্পার রিটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বেনিফিট পাওয়া যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই LIC Jeevan Shiromani Plan এর সমস্ত খুঁটিনাটি। LIC Jeevan Shiromani Plan –LIC Jeevan Shiromani Plan হল নন-লিঙ্কড, পার্টিসিপেটিং, ইন্ডিভিজুয়াল, লাইফ অ্যাসুরেন্স সেভিংস প্ল্যান। এটি লিমিটেড পেমেন্ট মানি ব্যাক লাইফ অ্যাসুরেন্স প্ল্যান। এত টাকার লোন নেওয়া যেতে পারে –কেউ যদি LIC-এর এই প্ল্যানটি নিতে চান, তাহলে তাঁকে এই প্ল্যানটিতে অন্তত এক কোটি টাকার অ্যাসিওরড নিয়ে নিতে হবে। এতে কোনও ম্যাক্সিমাম লিমিট নেই। এতে বার্ষিক এবং মাসিক ভিত্তিতে এই প্ল্যানের প্রিমিয়াম দেওয়া যেতে পারে। এই প্ল্যান নেওয়ার বয়স –LIC Jeevan Shiromani Plan কেনার জন্য একজনের বয়স ১৮ বছর হতে হবে। ৪৫ বছরের কম বয়সী ব্যক্তি ২০ বছরের মেয়াদে এই পলিসি নিতে পারেন। অন্য দিকে, ৪৫-৪৮ বছর বয়সী ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ ১৮ বছর বয়সের জন্য এই পলিসি নিতে পারেন। একই সময়ে, ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৪ বছরের পলিসি মেয়াদ সহ এই পলিসি নেওয়া যেতে পারে। এইভাবে কেউ এটিকে ১৪,১৬,১৮,২০ বছরের পলিসির মেয়াদেও কিনতে পারেন। LIC Jeevan Shiromani Plan-এ লোন নেওয়া যেতে পারে –এই প্ল্যানের সঙ্গে লোনের সুবিধাও পাওয়া যায়। এতে কমপক্ষে এক বছরের জন্য প্রিমিয়াম পরিশোধ করার পরে লোন নেওয়া যেতে পারে। এতে শুধুমাত্র প্ল্যানের সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকরা বিনা খরচে লোন নিতে পারবেন। কত প্রিমিয়াম দিতে হবে ১ কোটি টাকার জন্য –এলআইসি ক্যালকুলেটর অনুসারে, যদি একজন ২৯ বছর বয়সী এই পলিসিটি নেন, তবে তাঁকে ১৬ বছরের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হবে। তাঁকে প্রথম বছরের জন্য প্রতি মাসে কর সহ ৬১,৪৩৮ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। একই সময়ে, প্রতি বছর প্রতি মাসে ৬০,১১৪.৮২ টাকা প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। ম্যাচিউরিটির সময়ে পাওয়া যাবে ১,৩৪,৫০,০০০ টাকা। এই প্ল্যানের পলিসি-হোল্ডাররা সারভাইভাল বেনিফিটের সুবিধাও পেতে পারেন। এছাড়াও এই পলিসি চলাকালীন পলিসি-হোল্ডারদের মৃত্যু হলে নমিনি করা ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিমানে টাকা পেতে পারেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC Policy: শুধু পাঁচটা বছর ধৈর্য ধরতে পারবেন? তাহলেই LIC-র এই প্ল্যানে হবে টাকা ডবল ! Gallery April 26, 2024 Bangla Digital Desk পনেরো-কুড়ি বছর আগের কথা। কিষাণ বিকাশ পত্রে পাঁচ বছরে টাকা ডবল হত। আজ আর সে দিন নেই। কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা দ্বিগুণ হতে এখন দশ বছর সময় লাগে। তবে পাঁচ বছরে টাকা ডবল করার কিছু স্কিম এখনও আছে। এর মধ্যে এলআইসি-র ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যান অন্যতম। এলআইসি ইনভেস্ট প্লাস প্ল্যান হল ইউলিপ, নন-পার্টিসিপেন্ট, একক প্রিমিয়াম জীবন বিমা পরিকল্পনা। একক প্রিমিয়াম পেমেন্ট করলে পলিসির মেয়াদে বিমা-সহ বিনিয়োগ কভার প্রদান করা হয়। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও এই প্ল্যান কেনা যায়। এত বছরে টাকা দ্বিগুণ হবে: আগেই বলা হয়েছে, এলআইসি-র ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যানে একক প্রিমিয়াম প্ল্যান। অর্থাৎ একলপ্তে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। বলে রাখা ভাল, এই বিনিয়োগে ঝুঁকি আছে। বিনিয়োগকারী ঝুঁকি নিতে পারলে ১৫ শতাংশ এনএভি বৃদ্ধির ভিত্তিতে ৫ বছরে টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ঝুঁকি কম নিতে চাইলে রিটার্নও কম হবে। বিমা কভারও মিলবে: এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে জীবন বিমা এবং দুর্ঘটনা বিমা কভারও পাওয়া যায়। বিমা কভারের টাকা নির্ভর করে বিনিয়োগের পরিমাণের উপর। অর্থাৎ বিনিয়োগ যত বেশি হবে, বিমা কভারও তত বাড়বে। ধরা যাক, কেউ ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেন। তিনি ৩,৭৫,০০০ টাকা দুর্ঘটনা কভারেজ পাবেন। ডেথ বেনিফিট: এলআইসি ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যানে ঝুঁকি শুরু হওয়ার আগে মৃত্যু হলে মনোনীত ব্যক্তি শুধুমাত্র ইউনিট তহবিলের টাকা পাবেন। ঝুঁকি শুরু হওয়ার পর মৃত্যু হলে বিমার টাকা এবং ইউনিট তহবিল, উভয়ই মিলবে। ম্যাচিউরিটির সুবিধা: বিনিয়োগকারী যদি লাইফ অ্যাসিওর্ড ম্যাচিউরিটির তারিখ পর্যন্ত বেঁচে থাকেন তাহলে লাইফ অ্যাসিওর্ড ম্যাচিউরিটি বেনিফিট হিসেবে ইউনিট ফান্ড ভ্যালুর সমান পরিমাণ পাবেন। পলিসি সারেন্ডার: বিনিয়োগকারী চাইলে পলিসি সারেন্ডার করতে পারেন। প্রাথমিক ৫ বছরের প্ল্যান সারেন্ডার করলে ডিসকাউন্ট চার্জ কেটে ইউনিট ফান্ডের মূল্য দেওয়া হয়। লক ইন পিরিয়ড (৫ বছর) শেষ হওয়ার পর পলিসি সারেন্ডার করলে পুরো ইউনিট ফান্ড ভ্যালু প্রদান করা হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC Policy: প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন চান? LIC-র এই পলিসিতে বিনিয়োগ করলে অবসরের চিন্তা করতে হবে না Gallery April 24, 2024 Bangla Digital Desk অবসরের পর আয় কোথা থেকে আসবে? দৈনন্দিন খরচ চলবে কীভাবে? এর জন্যই রয়েছে পেনশন স্কিম। মোটা টাকা দিয়ে অ্যানুইটি প্ল্যান কিনতে হয়। বদলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেয় কোম্পানি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধুমাত্র সঞ্চয়ের উপর ভরসা করে অবসর জীবন কাটবে না। কারণ পর্যাপ্ত রিটার্ন নাও মিলতে পারে। এর সঙ্গে যোগ হবে মুদ্রাস্ফীতি। তাই সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা উচিত। এখানে এলআইসি-র কিছু পেনশন প্ল্যানের হদিশ দেওয়া হল। প্রতি মাসে মিলবে ১ লাখ টাকা পেনশন: এলআইসি-র এমন কিছু স্কিম রয়েছে যেখানে কম টাকা বিনিয়োগ করেও ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। ফলে অবসর জীবনের জন্য নিশ্চন্তে কাটাতে পারেন গ্রাহক। এলআইসি দেশের সুপরিচিত জীবন বিমা কোম্পানি। বেশ কিছু স্কিম রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করে গ্রাহক প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন পেতে পারেন। এলআইসি জীবন উৎসব প্ল্যান: এলআইসি সম্প্রতি জীবন উৎসব প্ল্যান নামে নতুন পলিসি নিয়ে এসেছে। নিশ্চিত রিটার্ন মেলে। সীমিত সময়ের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হয়। এর সঙ্গে গ্রাহক ১০ শতাংশ আয়ের সুবিধাও পান। এই পলিসিতে ৫ থেকে ১৬ বছরের জন্য প্রিমিয়াম দিতে হয়। মেয়াদ শেষে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পেনশন মেলে। বিমার সঙ্গে নিশ্চিত রিটার্ন: এলআইসি জীবন উৎসব প্ল্যান পলিসি হোল্ডার ডেথ বেনিফিটের সুবিধাও পান। অর্থাৎ পলিসি চলাকালীন পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলে প্রাথমিক পরিমাণ বা বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৭ গুণ, যেটা বেশি হয়, দেওয়া হয়। এছাড়া পলিসি হোল্ডার যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য পলিসি চালিয়ে যেতে চান, তাহলে আয় হিসেবে মূল বিমা করা অর্থের ১০ শতাংশ দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন হল, এত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে যখন, প্রিমিয়ামও নিশ্চয় বেশি দিতে হবে। এলআইসি জীবন উৎসব প্ল্যানে বয়স এবং আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়। যদি কারও বয়স ২৫ বছর হয় এবং তিনি ১০ লক্ষ টাকার বিমা চান এবং ১২ বছর প্রিমিয়াম দেন, তাহলে তাঁকে ২৫ বছর থেকে ৩৬ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে। প্রথম বছরে ৯২,৫৩৫ টাকা এবং দ্বিতীয় বছর থেকে ১২ বছর ৯০৫৪২ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। এরপর ৩৯ বছর থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত টানা এক লাখ টাকা প্রিমিয়াম পাবেন পলিসি হোল্ডার।
ব্যবসা-বাণিজ্য আপনি LIC-তে বিনিয়োগ করেন, কিন্তু LIC আপনার টাকা নিয়ে কী করে জানেন কি? Gallery April 24, 2024 Bangla Digital Desk জীবন বিমার কথা বললে সবার আগে মাথায় আসে এলআইসি-র নাম। দেশের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। ভারতে ৪টি জীবন বিমা বিক্রি হলে ৩টি থাকে এলআইসি পলিসি। গ্রাহক টাকা দিয়ে এলআইসি-র থেকে পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, এলআইসি সেই টাকা কোথায় খাটায়? এলআইসি টাকা পায় মূলত নন-লিঙ্কড পলিসি থেকে। বিমা কভার থেকে রিটার্ন দেওয়া হয় গ্রাহককে। মূলধন সুরক্ষা এলআইসি-র কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই কারণেই তারা ২০ লক্ষ কোটি টাকা সরকারি সিকিউরিটিজে রেখেছে। প্রযুক্তিগতভাবে এটাই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। এরপর সামান্য ঝুঁকি নেয় এলআইসি। পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। যেমন মালিকানাধীন স্টক। ২০২০ সালের মার্চের শেষ দিকে তাঁদের ৪.৩ লাখ কোটি টাকার শেয়ার ছিল। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ তা বেড়ে ৫.৮ লক্ষ কোটি টাকা হয়। অর্থাৎ কয়েক মাসের মধ্যে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি। এলআইসি-র চেয়ারম্যান মিঃ কুমারের বিনিয়োগ দর্শন হল, “বাজার যখন পড়ে, আমরা তখন কিনি। তবে পলিসি হোল্ডারের স্বার্থ সবসময় মাথায় থাকে”। যাইহোক, এলআইসি-র অধিকাংশ বিনিয়োগই ব্লু-চিপ কোম্পানিতে। যেমন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে ৫.৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তাদের। জুলাই মাসে সেই শেয়ারের মূল্য বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। আবার আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কথা ভাবা যাক। টালমাটাল পরিস্থিতি চলছিল। ঠিক সেই সময় ২১,৬০০ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় এলআইসি। হইচই পড়ে গিয়েছিল। তবে এলআইসি বলেছিল, “কৌশলগত বিনিয়োগ”। তারা আশা করেছিল, আইডিবিআই-এর ৮০০ শাখা এলআইসি-কে বিমা পলিসি বিক্রি করতে সাহায্য করবে। যদিও অনেকে বলেন, এলআইসিকে কিনতে হয়েছিল কারণ সরকার চেয়েছিল যে কেউ ব্যাঙ্কটিকে বাঁচাক। যাইহোক, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে কিংবা দেউলিয়া হওয়ার মতো অবস্থা, এমন কিছু সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছে এলআইসি। ডিএইচএলএল, রিলায়েন্স ক্যাপিটাল, ইয়েস ব্যাঙ্ক, রিলায়েন্স হোম ফিনান্স, আইএল অ্যান্ড এফএস এবং জেপি ইনফ্রাটেক-এর কথাই ধরা যাক। এই সমস্ত নামী কোম্পানিতে এলআইসি-র বিনিয়োগ রয়েছে এবং সেই টাকা নাও মিলতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, এরকম বিনিয়োগের পরিমাণ কত? ২০১৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী ৩২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। টাকার অঙ্কটা বিশাল মনে হলেও, মাথায় রাখতে হবে, এটা এলআইসি-র সম্পূর্ন পোর্টফোলিওর (৩০ লক্ষ কোটি) মাত্র ১ শতাংশ। মোদ্দা কথা হল, বড়, তার চেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বড়র পর আসে এলআইসি।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC-তে প্রতিদিন ২০০ টাকা জমা করে মিলবে ২৮ লক্ষ টাকা, দেখে নিন কীভাবে Gallery April 9, 2024 Bangla Digital Desk যখন অর্থ বিনিয়োগের কথা আসে, তখন বেশিরভাগ লোকেরা শুধুমাত্র LIC-র বিকল্প বেছে নেন। যদিও LIC-র স্কিমগুলি দেশ জুড়ে খুব জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন আয়ের গ্রুপ অনুসারে বিভিন্ন ধরনের স্কিম শুরু করেছে, কিন্তু, আজ সবাই একটি বিশেষ ধরনের স্কিম সম্পর্কে তথ্য পেতে চলেছেন, যা জানার পরে যে কেউ নিজেদের অর্থ এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। স্কিমটির নাম –LIC-র এই স্কিমের নাম LIC Jeevan Pragati Plan। অনেক লোক এই স্কিমে যোগদান করে তাঁদের অর্থ বিনিয়োগ করছেন। তাই এই স্কিমে যোগ দিয়ে সকলের অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত। কারণ বিনিয়োগকারীর অর্থ এখানে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে৷ বিনিয়োগের পরিমাণ –যাঁরা এই স্কিমে যোগ দিতে চান তাঁদের ২০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ তাঁদের প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা জমা করতে হবে এবং এর জন্য তাঁদের দৈনিক ২০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এই স্কিমে ১২ বছর বয়স থেকেও যোগ দেওয়া যেতে পারে। এর বাইরে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত লোকেরা এই স্কিমে যোগ দিতে পারেন। এই স্কিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নথি –জীবন প্রগতি প্ল্যানে লিঙ্ক করতে, আবেদনকারীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে হবে। যেমন – আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ফটো, ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক পাসবুক ইত্যাদি। ২৮ লক্ষ টাকা পাওয়ার উপায় –যদি এই স্কিমের তহবিল গণনা করতে হয়, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ টাকা জমা করেন। তাহলে এই অনুসারে, পুরো মাসে ৬০০০ টাকা জমা হবে। তাহলে পুরো বছরে মোট ৭২,০০০ টাকা হবে এবং এটিতে ২০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগ হবে ১৪,৪০,০০০ টাকা। এর মাধ্যমে ২৮ লক্ষ টাকার একটি তহবিল গড়ে উঠবে। আবেদন করার উপায় –জীবন প্রগতি স্কিমের জন্য আবেদন করতে, বিনিয়োগকারীকে LIC-র অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে তাঁদের আবেদনপত্রটি নিতে হবে। তারপরে সেই আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং উপরে উল্লিখিত সমস্ত নথি সংযুক্ত করতে হবে। এর পরে, প্রিমিয়ামের পরিমাণ সহ আবেদনপত্রটি LIC-র অফিসে জমা দিতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC-র এই স্কিম অনেকের স্বপ্ন পূরণ করছে; মাত্র ১৫১ টাকায় পাওয়া যেতে পারে ৩১ লক্ষ টাকা Gallery March 28, 2024 Bangla Digital Desk LIC অর্থাৎ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির এই স্কিম অনেকের স্বপ্ন পূরণ করছে। LIC-র এই স্কিমে ১৫১ টাকার বিনিয়োগে বিনিয়োগকারীরা পাবেন ৩১ লক্ষ টাকা। LIC-র এই স্কিমের বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কারও বাড়িতে যদি বোন বা মেয়ে থাকে, তাহলে এই স্কিমের মাধ্যমে তাঁদের ভাগ্য উজ্জ্বল হতে পারে। কারণ এখন তাঁদের বিয়ে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এঁদের জন্য একটি বড় স্কিম সরকার চালাচ্ছে এবং এই স্কিমে কেউ যদি দৈনিক ১৫১ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে একবারে ৩১ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক LIC-র এই স্কিম সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি। ১৫১ টাকার বিনিয়োগে ৩১ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে –LIC-র এই স্কিমের তথ্যের জন্য, জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কেউ যদি LIC-র এই কন্যাদান পলিসি নিতে চান, তবে তার জন্য বয়স কমপক্ষে ৩০ বছর এবং সন্তানের বয়স কমপক্ষে ১ বছর হওয়া উচিত। LIC-র এই কন্যাদান পলিসি ২৫ বছরের জন্য। যেটিতে প্রিমিয়াম হিসাবে ২২ বছর টাকা দিতে হবে এবং বাকি ৩ বছরের জন্য কোনও প্রিমিয়াম দিতে হবে না। LIC-র এই কন্যাদান পলিসির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র – – শিশুর জন্ম শংসাপত্র– পিতামাতার আধার কার্ড, প্যান কার্ড– মায়ের আধার কার্ড– পাসপোর্ট সাইজ ছবি– ব্যাঙ্ক পাসবুক LIC-র কন্যাদান পলিসিতে প্রতিদিন ১৫১ টাকা দিতে হবে এবং প্রতি মাসে ৪৫৩০ টাকা জমা দিতে হবে। এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন যে কারও বেতন যদি ১৫,০০০ টাকা হয় তাহলে তিনি তাঁর মেয়ের নামে কন্যাদান পলিসি নিতে পারেন। এতে তাঁকে ২২ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে। এর পরে ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে তিনি ৩১ লক্ষ টাকা পাবেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC-র পলিসি করিয়েছেন ? এই বিষয়গুলো জানেন তো ? Gallery March 18, 2024 Bangla Digital Desk ভারতের প্রথম সারির বিমাকারীদের মধ্যে অন্যতম হল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এলআইসি)। কয়েক কোটি গ্রাহককে নানা ধরনের বিমা পলিসির সুবিধা দিয়ে থাকে তারা। বর্তমানে অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে সময়ে সময়ে পলিসি স্টেটাস চেক করা যাবে। এর জন্য কোনও জোনাল কিংবা ব্রাঞ্চ অফিসে যাওয়ারও প্রয়োজন হবে না। নতুন ইউজাররা যেভাবে এলআইসি পলিসি স্টেটাস অনলাইনে চেক করতে পারেন: ১. এলআইসি ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ওয়েবপেজে যেতে হবে। এরপর অনলাইন সার্ভিস-এ ক্লিক করতে হবে।২. এবার ই-সার্ভিস পেজের অধীনে কাস্টমার পোর্টালে যেতে হবে।৩. সাইন-আপ প্রক্রিয়ার জন্য নিউ ইউজারে ক্লিক করতে হবে।৪. অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্মে বিশদ তথ্য পূরণ করতে হবে।৫. ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড বেছে নিতে হবে।৬. রেজিস্ট্রেশন সফল ভাবে সম্পন্ন হলে গ্রাহক নিজের রেজিস্টার্ড মেল আইডি-তে ভেরিফিকেশন ইমেল পাবেন।৭. ভেরিফিকেশনের পরে নতুন ইউজার নিজেদের নতুন অ্যাকাউন্ট থেকে পলিসি সংক্রান্ত তথ্য চেক করতে পারেন। রেজিস্টার্ড ইউজাররা যেভাবে এলআইসি পলিসি স্টেটাস অনলাইনে চেক করতে পারেন: ১. এলআইসি-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং অনলাইন সার্ভিসেসের আওতায় থাকা কাস্টমার পোর্টালে ক্লিক করতে হবে।২. লগ-ইন পেজে গিয়ে রেজিস্টার্ড ইউজার বিকল্প বেছে নিতে হবে।৩. এবার ইউজার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করতে হবে।৪. অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে হবে এবং ভিউ এনরোলড পলিসিস বেছে নিতে হবে। ৫. এবার ড্রপডাউন মেন্যুতে সমস্ত এলআইসি পলিসি দেখা যাবে।৬. নিজের পলিসি বেছে নিয়ে সমস্ত তথ্য চেক করে নেওয়া যাবে।৭. পলিসি সংক্রান্ত জরুরি তথ্য এবং স্টেটাস স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। অনলাইন ছাড়া এলআইসি পলিসি স্টেটাস চেক করার উপায়: ১. এসএমএস পরিষেবার মাধ্যমে এলআইসি পলিসি স্টেটাস চেক করা সম্ভব। এর জন্য “ASKLIC” লিখে টেক্সট পাঠাতে হবে এবং এনকোয়ারি কোড দিতে হবে। নিজের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর থেকে “9222492224” or “56767877” এই নম্বরে মেসেজ পাঠাতে হবে।ইনস্টলমেন্ট প্রিমিয়াম – ASKLIC PREMIUMরিভাইভ্যাল অ্যাকাউন্ট – ASKLIC REVIVALবোনাস অ্যাডিশনস – ASKLIC BONUSঅ্যামাউন্ট অফ লোন অ্যাভেলেবেল – ASKLIC LOANনমিনেশন ডিটেলস – ASKLIC NOM ২. কলসেন্টারের মাধ্যমেও এলআইসি পলিসি চেক করা সম্ভব। এলআইসি-র রয়েছে ভেরি রেসপন্সিভ ইন্টিগ্রেটেড রেসপন্স সিস্টেম। যা আইভিআরএস নামে পরিচিত। BSNL & MTNL ব্যবহারকারীদের 1251 নম্বর ডায়াল করতে হবে। অন্যান্য নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা সিটি কোড ১২৫১ লিখে সিটি কোড দিয়ে পাঠিয়ে দিতে পারেন।ভারতের প্রতিটি শহরেই রয়েছে আইভিআরএস সিস্টেম। যা আটটি জোনে বিভক্ত: ১. ইস্ট জোন২. ওয়েস্ট জোন৩. সাউথ জোন৪. নর্থ জোন৫. ইস্ট সেন্ট্রাল জোন৬. ওয়েস্ট সেন্ট্রাল জোন৭. সাউথ সেন্ট্রাল জোন৮. নর্থ সেন্ট্রাল জোন
ব্যবসা-বাণিজ্য এই ৫ LIC পলিসি সম্পর্কে জেনে রাখুন, ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পেতে পারেন Gallery March 15, 2024 Bangla Digital Desk জীবন বিমা বললে আজও সবার আগে এলআইসি-র নামই আসে। কারণ এতে ঝুঁকি কম, মোটা অঙ্কের বিমা কভার মেলে সঙ্গে ম্যাচিউরিটিতে নিশ্চিত রিটার্ন। পরিবারের সুরক্ষিত ভবিষ্যত এবং আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ৫টি দুর্দান্ত পলিসি রয়েছে এলআইসি-র। এতে ৫০ লাখ টাকার বিমা পাওয়া যায়। এলআইসি এসআইআইপি: এলআইসি-র এসআইআইপি স্কিমে প্রতি বছর ৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। মেয়াদ ২১ বছর। অর্থাৎ প্রতি বছর ৪৮ হাজার টাকা এবং ২১ বছরে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০,০৮,০০০ টাকা। মেয়াদপূর্তিতে হাতে আসবে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এলআইসি নিউ জীবন আনন্দ: ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ নিউ জীবন আনন্দ পলিসিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। পলিসির মেয়াদ ১৫ থেকে ৩৫ বছর। ৭৫ বছর বয়সে পলিসি হোল্ডার ম্যাচিউরিটির টাকা পাবেন। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে কোটি টাকাও রিটার্ন পাওয়া যায়। এলআইসি নিউ জীবন শান্তি: এলআইসি নিউ জীবন শান্তি পলিসিতে সর্বনিম্ন ১.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। এই পলিসির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, আজীবন ১১,১৯২ টাকা পেনশন পাওয়া যায়। এলআইসি ধন বর্ষা: এই স্কিমে দুটি বিনিয়োগ বিকল্প দেওয়া হয়। প্রথমটি প্রিমিয়ামের ১.৫ গুণ পর্যন্ত রিটার্ন। দ্বিতীয়টি প লিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলে ১০ গুণ পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া হবে নমিনিকে। পলিসি হোল্ডার পলিসি শুরুর দশ বছর পর মারা গেলে নমিনি ৯১,৪৯,৫০০ টাকা পাবেন। ১৫ তম বছরে মৃত্যু হলে নমিনির পাওনা হবে ৯৩,৪৯,৫০০ টাকা। এলআইসি জীবন উমঙ্গ: ২৫ বছর বয়সে কেউ যদি ৬ লাখ টাকার বিমা-সহ এলআইসি-র জীবন উমঙ্গ পলিসি কেনেন তাহলে তাঁকে প্রতি মাসে ১৬৩৮ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন ৫৪.৬ টাকা। পলিসির অর্থপ্রদানের মেয়াদ ৫৫ বছর বয়সে শেষ হওয়ার পরে, তিনি ম্যাচিউরিটি পর্যন্ত প্রতি বছর ৪৮ হাজার টাকা পাবেন। উপরের ৫টি পলিসিই ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জীবন বিমা-সহ ডিজাইন করা হয়েছে। অর্থাৎ পলিসি হোল্ডার মারা গেলে কোম্পানি নমিনিকে ৫০ লক্ষ টাকা দেবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য LIC-র এই পলিসিতে ৫ বছরে ডবল হবে আপনার টাকা ? Gallery March 15, 2024 Bangla Digital Desk অল্প সময়ে টাকা ডবল করতে কে না চায় ? সকলেই এই উদ্দেশ্য নিয়ে বিনিয়োগ শুরু করে যে কম সময়ে মোটা টাকা রিটার্ন ৷ সে ক্ষেত্রে শেয়ার বাজার আপনার জন্য সেরা অপশন হতে পারে ৷ তবে যাঁরা রিস্ক নিতে ভয় পান তাদের জন্য শেয়ার বাজার একদমই ভাল অপশন না ৷ টাকা সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি ভাল রিটার্ন পেতে চাইলে রয়েছে অন্যান্য স্কিম যার মধ্যে এলআইসি সবচেয়ে জনপ্রিয় ৷ পনেরো-কুড়ি বছর আগের কথা। কিষাণ বিকাশ পত্রে পাঁচ বছরে টাকা ডবল হত। আজ আর সে দিন নেই। কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা দ্বিগুণ হতে এখন দশ বছর সময় লাগে। তবে পাঁচ বছরে টাকা ডবল করার কিছু স্কিম এখনও আছে। এর মধ্যে এলআইসি-র ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যান অন্যতম। এলআইসি ইনভেস্ট প্লাস প্ল্যান হল ইউলিপ, নন-পার্টিসিপেন্ট, একক প্রিমিয়াম জীবন বিমা পরিকল্পনা। একক প্রিমিয়াম পেমেন্ট করলে পলিসির মেয়াদে বিমা-সহ বিনিয়োগ কভার প্রদান করা হয়। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও এই প্ল্যান কেনা যায়। এত বছরে টাকা দ্বিগুণ হবে: আগেই বলা হয়েছে, এলআইসি-র ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যানে একক প্রিমিয়াম প্ল্যান। অর্থাৎ একলপ্তে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। বলে রাখা ভাল, এই বিনিয়োগে ঝুঁকি আছে। বিনিয়োগকারী ঝুঁকি নিতে পারলে ১৫ শতাংশ এনএভি বৃদ্ধির ভিত্তিতে ৫ বছরে টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ঝুঁকি কম নিতে চাইলে রিটার্নও কম হবে। বিমা কভারও মিলবে: এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে জীবন বিমা এবং দুর্ঘটনা বিমা কভারও পাওয়া যায়। বিমা কভারের টাকা নির্ভর করে বিনিয়োগের পরিমাণের উপর। অর্থাৎ বিনিয়োগ যত বেশি হবে, বিমা কভারও তত বাড়বে। ধরা যাক, কেউ ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেন। তিনি ৩,৭৫,০০০ টাকা দুর্ঘটনা কভারেজ পাবেন। ডেথ বেনিফিট: এলআইসি ইনভেস্টমেন্ট প্লাস প্ল্যানে ঝুঁকি শুরু হওয়ার আগে মৃত্যু হলে মনোনীত ব্যক্তি শুধুমাত্র ইউনিট তহবিলের টাকা পাবেন। ঝুঁকি শুরু হওয়ার পর মৃত্যু হলে বিমার টাকা এবং ইউনিট তহবিল, উভয়ই মিলবে। ম্যাচিউরিটির সুবিধা: বিনিয়োগকারী যদি লাইফ অ্যাসিওর্ড ম্যাচিউরিটির তারিখ পর্যন্ত বেঁচে থাকেন তাহলে লাইফ অ্যাসিওর্ড ম্যাচিউরিটি বেনিফিট হিসেবে ইউনিট ফান্ড ভ্যালুর সমান পরিমাণ পাবেন। পলিসি সারেন্ডার: বিনিয়োগকারী চাইলে পলিসি সারেন্ডার করতে পারেন। প্রাথমিক ৫ বছরের প্ল্যান সারেন্ডার করলে ডিসকাউন্ট চার্জ কেটে ইউনিট ফান্ডের মূল্য দেওয়া হয়। লক ইন পিরিয়ড (৫ বছর) শেষ হওয়ার পর পলিসি সারেন্ডার করলে পুরো ইউনিট ফান্ড ভ্যালু প্রদান করা হয়।