অবসরের পর আমাদের আয় বন্ধ হয়ে যায়। তাই আয় চলাকালীনই আমাদের যাবতীয় প্ল্যান করে রাখতে হবে। আগে সাধারণত ব্যাঙ্কেই বিনিয়োগ করা হত। তবে বর্তমানে এনপিএসের সহায়তায় অনেকেই এখন ব্যাঙ্কের পরিবর্তে এনপিএসে নিয়োগ করছেন। আজ আমরা এনপিএস নিয়োগ করার পাচঁটি লাভজনক দিকের কথা বলব।
ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের তুলনায় কম চার্জ – সাধারণত এনপিএসে নিয়োগ করার প্রধান কারণ হল এটি খুব কম চার্জ ধার্য করে। অন্য দিকে, বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডগুলি প্রচুর চার্য ধার্য করে। তাই এনপিএস ইকুইটি ফান্ড খুব দ্রুত লার্জ ক্যাপ ইকুইটিতে বদলে যেতে পারে।
ট্যাক্স বেনিফিট – যদিও বা এনপিএস টায়ার ২ কোনও রকমের ট্যাক্স বেনিফিট দেয় না কিন্তু এনপিএস টায়ার ১ আমাদের নানা ধরনের ট্যাক্স ইনসেনটিভ দেয়। এই ক্ষেত্রে তিন রকম ভাবে ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়া যায়, যেমন সেকশন ৮০সি-এর অধীনে ক্লেইম ডিডাকশন, সেকশন ৮০সিসিডি (১বি) এবং সেকশন ৮০সিসিডি (২)।
বিশেষ করে গত বছরে ডিএসপি পেনসন ফান্ড শুরু হওয়ার পর এবার থেকে ১১টি এনপিএস ফান্ড থেকে ইচ্ছে অনুযায়ী নিয়োগ করা যেতে পারে।
বর্তমানে ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের ওপর ৫০% ক্যাপের সীমা বাড়িয়ে ৭৫% করা হয়েছে। অন্য দিকে, বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৭০ বছর পর্যন্ত এনপিএসে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এছাড়াও বিনিয়োগকারীরা ৭০ বছর পর্যন্ত এনপিএসের ৬০% ট্যাক্স ফ্রি অর্থ উইথড্র করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে যে, বিনিয়োগকারীরা যদি তিন বছর ধরে এনপিএসের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সম্পূর্ণ এনপিএস সময়সীমার মধ্যে মাত্র তিন বার এই অর্থ উইথড্র করতে পারবেন।
অবসরের পর বিনিয়োগকারীদের অন্তত ৬০% টাকা এনপিএসে রাখতে হবে, এটিই হবে তাঁদের পেনসনের মূল উৎস।
ভ্যারিয়েবল অ্যানুইটি -আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই এই ভ্যারিয়েবল অ্যানুইটি প্ল্যান প্রকাশ হতে চলেছে। এটি একটি কমপাউন্ড অর্থলগ্নিমূলক প্ল্যান।
বিভিন্ন সময়ে মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। তেমনই একটি প্রকল্প হল ‘মুখ্যমন্ত্রী একল নারী সম্মান পেনশন যোজনা’। বিধবা, বিবাহবিচ্ছিন্না বা বিয়ের পর কোনও কারণে একা থাকতে বাধ্য হয়েছেন যে সব মহিলারা, তাঁদের এই প্রকল্পে ভাতা দেওয়া হয়।
বর্তমানে এই স্কিম বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে চালু রয়েছে। রাজস্থানে এই প্রকল্পের নাম ‘মুখ্যমন্ত্রী একল নারী সম্মান পেনশন স্কিম’।
আগেই বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে বিধবা, বিবাহবিচ্ছিন্না এবং নিঃসঙ্গ মহিলাদের (যে মহিলারা বিয়ের পর একা থাকতে বাধ্য হন) পেনশন দেয় রাজস্থান সরকার। বয়স অনুপাতে পেনশনের পরিমাণ নির্ভর করে। যাতে একাকী মহিলারা গৃহস্থালির খরচ চালাতে পারেন, কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয়।
এই প্রকল্পের অধীনে, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা, ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের ৭৫০ টাকা এবং ৬০ থেকে ৭৫ বছর বয়সী মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। যে সব মহিলাদের বয়স ৭৫ বছরের বেশি, তাঁরা প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে পেনশন পান।
প্রকল্পে আবেদন করার জন্য বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার বেশি। তাছাড়া রাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র এবং নথিও পেশ করতে হবে। এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার জন্য মহিলা আবেদনকারীদের রাজস্থানের বাসিন্দা হওয়া বাধ্যতামূলক।
জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত আয়ের কোনও উৎস নেই, এমন মহিলারাই এই স্কিমে আবেদন করতে পারেন। একমাত্র দরিদ্র মহিলারাই এই স্কিমে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। আরও স্পষ্ট করে বললে, যে সব মহিলার বার্ষিক আয় ৪৮ হাজার টাকার কম, তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
আবেদন করার জন্য, দুঃস্থ মহিলাদের অফিসিয়াল পোর্টালে দেওয়া আবেদনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে (https://ssp.rajasthan.gov.in/LoginContent/MidLogin.aspx)।
এরপর আবেদনপত্র-সহ একটি পৃষ্ঠা খুলে যাবে। এতে যাবতীয় তথ্য পূরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অ্যাটাচড করে দিতে হবে। আবেদন করার সময় আধার কার্ড, জন্ম শংসাপত্র, রেশন কার্ড, আবাসিক শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ (কারণ টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে), আবেদনকারী মহিলার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং মহিলার আয় ঘোষণার ফর্ম প্রয়োজন।
কেউ যদি অবসর গ্রহণের পরে পেনশন পেতে নয়, তাহলে এই সরকারি প্রকল্পে টাকা জমা দিয়ে প্রতি মাসে ভাল পরিমাণ টাকা পাওয়া যেতে পারে। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পেতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই সরকারি চাকরি করতে হবে।
এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এই প্রকল্পের অধীনে চাকরিহীনরাও পেনশন পেতে পারে। এই সরকারি প্রকল্পে, কেউ প্রতি মাসে ২১০ টাকা জমা রাখতে পারেন এবং যখন এই প্রকল্পের অধীনে পেনশন পাওয়ার সময় আসবে, তখন তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসতে শুরু করবে।
জেনে নেওয়া যাক এই সরকারি স্কিম নিয়ে- অবসর গ্রহণের সময় বা অবসর গ্রহণের পরে যাঁরা তাঁদের ব্যয় মেটাতে সক্ষম নন বা যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান, তাঁদের জন্য অটল পেনশন স্কিম অর্থাৎ APY চালু করা হয়েছে। ১৮ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে যে কোনও ব্যক্তি অটল পেনশন স্কিমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এর জন্য তাঁদের ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে যেতে হবে। দেশের যে কোনও নাগরিক এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।
অটল পেনশন প্রকল্পের সুবিধা – এই স্কিমের সুবিধাগুলি পেতে, একজনকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত প্রিমিয়াম দিতে হবে। এর পরে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসিক পেনশন শুরু হবে। মেয়াদের উপর নির্ভর করে, ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে পেনশন দেওয়া হয়। APY স্কিম আয়করের ধারা ৮০সিসিডি-এর অধীনে ছাড় প্রদান করে। এর সঙ্গে এতে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর সুবিধা পাওয়া যায়।
স্বামী-স্ত্রী পেনশন পাবে ১০ হাজার টাকা –
কেউ যদি ১৮ বছর বয়স থেকে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা শুরু করেন এবং যখন তিনি বিবাহিত হয়, স্বামী এবং স্ত্রী প্রতি মাসে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে হবে। তারপর ৬০ বছর বয়সে তাঁরা এই স্কিমের অধীনে মাসিক পেনশন পেতে পারেন। প্রতি মাসে ন্যূনতম ৫০০০ টাকা পেনশনের নিশ্চয়তা রয়েছে।
এই স্কিমে শুধুমাত্র ২১০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। মাসিক ১০ হাজার টাকা পেতে, স্বামী এবং স্ত্রী উভয়কেই প্রতি মাসে ২১০ টাকা করে অটল পেনশন স্কিমে ওপেন করা অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে হবে।
অবসর শব্দটার মধ্যেই কোথাও একটা লুকিয়ে রয়েছে সুখের ইঙ্গিত। কর্মজীবনের ভার এই সময়ে আর থাকে না, থাকে না তেমন সাংসারিক দায়িত্বও। মনে করাই হয় যে অবসর হবে স্বাচ্ছন্দ্যের সময়, নিজের মতো করে কাটানোর দিন।
কিন্তু, হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকে, তাহলে তা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে, অবসর সুখের নয়, বরং দুশ্চিন্তার সময় বয়ে নিয়ে আসবে জীবনে। কেন না, কাজ থাকবে না, ফলে, থাকবে না উপার্জনও। যে টাকা জমানো হয়েছিল, তা খরচ হতে থাকবে একটু একটু করে, বাড়বে দিনযাপনের অসুবিধা।
যাঁরা পেনশন লাভ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে চিন্তা কিছু কম। কিন্তু যাঁদের সে উপায় নেই, তাঁদের অবসরের আগে থেকেই ভাবতে হবে একটা তহবিল গড়ে তোলার কথা। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই কাজে আসতে পারে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম, সংক্ষেপে এনপিএস।
বিগত ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক ভাবে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) চালু করা হয়েছিল। মূলত সরকারি কর্মীদের রাজ্য সরকারি এবং কেন্দ্রীয় সরকারি পেনশন ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করার জন্যই এটা আনা হয়। ২০০৯ সাল থেকে অবসরকালীন বিনিয়োগ পরিকল্পনাকারী অন্যান্যদেরও এই স্কিমে টাকা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে এখন বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগী কর্মী এবং স্বনির্ভর মানুষরাও এনপিএস ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যান্য বিনিয়োগের মতো এক্ষেত্রেও কিছু শর্ত এবং যোগ্যতা রয়েছে। সেটা হল – বয়স, নথিপত্র ইত্যাদি। এনপিএস-এ বিনিয়োগ শুরু করার আগে সেই যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। তাই যদি এনপিএস-এ বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা থাকে, তার জন্য নিম্নোক্ত যোগ্যতাগুলি থাকা বাঞ্ছনীয়:
১. এনপিএস আবেদন জমা দেওয়ার কালে বিনিয়োগকারীর বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে আর ৭০ বছরের নিচে হতে হবে। ২. এর জন্য ভারতে বসবাসকারী, এনআরআই হওয়া আবশ্যক। ৩. এনপিএস আবেদনের সময় আধার কার্ড, প্যান কার্ড ইত্যাদির মতো বৈধ কেওয়াইসি নথিপত্র জমা করতে হবে। ৪. তৃতীয় ব্যক্তির হয়ে কিন্তু কোনও এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
৫. হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (এইচইউএফ), ভারতীয় বংশোদ্ভূত (পার্সনস অফ ইন্ডিয়ান অরিজিন) এবং ওভারসীজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া (ওসিআই) এনপিএস-এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।
এনআরআই-দের ক্ষেত্রে এনপিএস-এ অ্যাকাউন্ট খোলার যোগ্যতা: কোনও নন-রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান বা এনআরআই এনপিএস অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা সেটা করতেই পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে কয়েকটি যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। সেগুলি কী কী। সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
১. এনপিএস অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারী এনআরআই-এর বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। ২. কেওয়াইসি সংক্রান্ত নথি সঠিক ভাবে পূরণ করা আবশ্যক। ৩. এনআরআই বিনিয়োগকারীর একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা জরুরি। ৪. এর পাশাপাশি এনপিএস বিনিয়োগে ইচ্ছুক এনআরআই বিনিয়োগকারীর একটি বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও থাকতে হবে। সেটা নন-রেসিডেন্ট এক্সটার্নাল অ্যাকাউন্ট অথবা নন-রেসিডেন্ট অর্ডিনারি অ্যাকাউন্ট হবে।
৫. এনআরআই-এর ভারতীয় নাগরিকত্ব আর না থাকলে তাঁর এনপিএস অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। শর্তাবলী এবং যোগ্যতার কথা আপাতত স্পষ্ট। এর ঠিক পরেই যে অবধারিত প্রশ্নটা মাথাচাড়া দেয়, তা হল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে একটা অ্যাকাউন্ট কীভাবে খুলতে হয়? সুবিধার ব্যাপার এই যে এখন অনলাইন আর অফলাইন, উভয় মাধ্যমেই ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। সবার প্রথমে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে অনলাইনে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
একটি এনপিএস অ্যাকাউন্ট অনলাইনে খোলার জন্য, আমাদের অবশ্যই সেন্ট্রাল রেকর্ডকিপিং এজেন্সির (সিআরএ) একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। কেন না, এই সংস্থাগুলি ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম ডেটাবেসের তত্ত্বাবধান যেমন করে, তেমনই অন্য দিকে অ্যাকাউন্ট খোলার এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রক্রিয়াগুলিকে পরিচালিত করে। অতএব, দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি সেন্ট্রাল রেকর্ডকিপিং এজেন্সির তালিকা: – Computer Age Management Services – KFin Technologies – Protean eGov Technologies
অনলাইনে এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি: ১. সবার প্রথমে উপরে উল্লিখিত সেন্ট্রাল রেকর্ডকিপিং এজেন্সির মধ্যে যে কোনও একটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। ২. দিতে হবে একে একে মোবাইল নম্বর, প্যান নম্বর এবং ই-মেল আইডি, এটা না থাকলে আগে একটা ই-মেল আইডি তৈরি করে নিতে হবে। ৩. মোবাইল নম্বরে যে ওটিপি আসবে, সেটা দিতে হবে। ৪. ফলো অপশনে ক্লিক করে স্ক্রিনে প্রদর্শিত নির্দেশাবলী যথাযথ ভাবে পূরণ করতে হবে। ৫. সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে একটা পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর, সংক্ষেপে PRAN পাওয়া যাবে। এটাই এনপিএস অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে তার প্রমাণ, এর ভিত্তিতেই অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা যাবে, সব কাজ করা যাবে।
আর কেউ যদি অফলাইনে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্ট খুলতে চান? এনপিএস অ্যাকাউন্ট অফলাইনে খোলার জন্য আমাদের নিকটবর্তী পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স, সংক্ষেপে PoP সেন্টারে যেতে হবে। এই PoP-গুলোই আমাদের ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সে কারণে এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সহায়তার অনুমোদিত জায়গাও এগুলোই। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস এবং কিছু সরকারি অফিস। কোথায় গেলে ভাল হয়, তা জানার জন্য আমরা CRA-এর ওয়েবসাইট যেমন NSDL e-Gov বা KFin Tech বা পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, সংক্ষেপে PFRDA ওয়েবসাইটের মাধ্যমে PoP-এর একটি তালিকা দেখে নিতে পারি।
অফলাইনে এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি: ১. বুঝে নিতে অসুবিধা নেই যে অফলাইনে এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতির মধ্যে প্রথম ধাপই হল এই PoP সেন্টার খুঁজে বের করা। ২. সেখানে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। ৩. মোবাইল নম্বর, প্যান নম্বর এবং ই-মেল আইডি- এই সব তথ্য জমাদিতে হবে, অর্থাৎ কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ৪. টায়ার ১ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য টাকা জমা দিতে হবে, সেটা একেবারে ন্যূনতম রাশি ৫০০ টাকাও হতে পারে। কত জমা দেবেন, সেটা যিনি অ্যাকাউন্ট খুলছেন, তাঁর সুবিধার উপরে নির্ভরশীল। ৫. ফিল আপ করা ফর্মের সঙ্গে এবার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের সেলফ অ্যাটেস্টেড করা কপি জমা দিতে হবে।
কলকাতা: রাজ্যজুড়ে বার্ধক্যভাতা পেতে সমস্যায় পড়েছেন উপভোক্তারা। সেই সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে ডায়মন্ডহারবারে। এখানে ৭০ হাজার বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পাবেন এই ভাতা।
Just another WordPress site