লাইফস্টাইল Uric Acid Control Tips: বাজারে দেখেও কিনছেন না? টক, মিষ্টি ফলেই কুপোকাত ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা! শরীরে অন্দরে জমে থাকা ময়লাও দূর হবে Gallery June 6, 2024 Bangla Digital Desk ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতোই বর্তমানে একটি অতি চেনা সমস্যা হল ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে জাঁকিয়ে বসে একাধিক রোগ। অনেক ধরনের সমস্যা হতে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ দেহে বাড়লে কিডনির ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্ভাবনা। কিডনিতে পাথর এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, বিপাকীয় সিন্ড্রোমের সঙ্গে যুক্ত। এগুলি এমন কিছু কারণ যা একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। কিন্তু দেহে ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে নজর দেওয়া বিশেষ জরুরি। বেশ কিছু ফল এবং সবজি রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। দেশের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ নিখিল বত্স জানালেন তেমনই একটি ফল সম্বন্ধে। গরমের অতি পরিচিত এই ফল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম টক, মিষ্টি অপূর্ব স্বাদের এই ফল হল আনারস। দেশের একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুষ্টিবিদ নিখিল বত্স জানিয়েছেন আনারস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ইউরিক অ্যাসিড। আনারস ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। টক, মিষ্টি স্বাদের এই ফল আট থেকে আশি, সবাই খেতে ভালবাসে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ফলটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ। খাবার হজম হওয়ার পর আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হতে শুরু করে, তাই আপনার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আনারস শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে। সকালে আনারসের রস খাওয়ার পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ নিখিল বত্স। আনারসে ব্রোমেলেন নামক একটি বায়োঅ্যাকটিভ এনজাইম পাওয়া যায়। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হজম প্রক্রিয়া দ্রুত করার পাশাপাশি এটি পিউরিন হজমেও সাহায্য করে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, লাইফস্টাইল Food: শসা নয়, দই-বেদানার সঙ্গে দিন এই রসালো সুস্বাদু ফলের টুকরো, এমন রায়তার স্বাদ জীবনে ভুলবেন না নিশ্চিত, রইল রেসিপি Gallery May 12, 2024 Bangla Digital Desk *এই রায়তা বানাতে লাগবে দই ১ কাপ। ছোট কিউব করে কাটা আনারস আধ কাপ। ডালিম, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো। *চিনি, লবণ, কাটা ধনে পাতা। প্রথমে একটি পাত্রে দই ফেটে নিতে হবে। দইয়ে মশলার গুঁড়ো, চিনি ও লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। *আনারসের মতো রসালো ফল খেতে খুবই সুস্বাদু। এতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। আনারসের রায়তা বানাতে দই ব্যবহার করা হয়। *এ বার খুব সহজেই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন আনারসের রায়তা চাটনি। এই চাটনি দই দিয়ে তৈরি করা হয়। *রায়তা তাড়াতাড়ি পরিবেশন করতে হবে। নাহলে স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, তাই বানানোর পরে বেশি দেরী না করাই ভাল পরিবেশনের ক্ষেত্রে। তাহলে আর দেরি কিসের বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন এই রায়তা। * এরপর তাতে কেটে রাখা আনারস দিয়ে দিতে হবে। কিছু ডালিমের দানা দিলেই তৈরি হয়ে যাবে রায়তা।
লাইফস্টাইল Diabetes Awareness: খেলেই চড়চড়িয়ে বাড়বে ব্লাড সুগার! এই ফল খাওয়ার আগে শতবার ভাবুন ডায়াবেটিকরা! নয়তো বিপদ চরম! Gallery April 16, 2024 Bangla Digital Desk ডায়াবেটিসকে বলা হয় মেটাবলিক ডিসঅর্ডার। এই অসুখ অনিয়ন্ত্রিত হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সঠিক পরিচর্যা না হলে চোখ, কিডনি, হার্ট-সহ একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ডায়াবেটিসে খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলতে হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেঁধে রাখতে বাদ দিতে হয় একাধিক খাবার। ব্লাড সুগারে ক্ষতিকর ফলের তালিকায় অন্যতম আনারস। মিষ্টি স্বাদের এই ফলে ডায়েটরি ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলের মতো পুষ্টিকর উপাদান প্রচুর পরিমাণে আছে। কিন্তু তার পরও ডায়াবেটিসে ক্ষতিকর আনারস। ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ রাজীব গুপ্তার মতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের জন্য আনারস খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে মধুমেহ রোগীদের। ক্রান্তীয় অঞ্চলের ফল আনারসে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, এনজাইম প্রচুর পরিমাণে আছে। ফলে ইনফ্লেম্যাশন কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। ডাক্তার রাজীব গুপ্তার মতে অন্য ফলের তুলনায় আনারস খেলে ব্লাড সুগারে বেড়ে যেতে পারে। তাই মধুমেহ রোগীদের খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। আনারসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১ থেকে ৭৩। সেটা মধ্যমাত্রার। ডাক্তারদের মতে ব্লাড সুগার থাকলে রোজ ১০০ গ্রামের বেশি আনারস খাওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে ডায়েটে প্রোটিনের অন্য খাবার রাখতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে দৈনিক ৩০ মিনিট শরীরচর্চাও করতে হবে।