Tag Archives: Public Service Commission

UPSC Success Story in Bengal: UPSC-তে নজরকাড়া সাফল্য বাংলার তিন পড়ুয়ার! পাহাড়-কন্যা জয়শ্রী থেকে কৃষকের ছেলে… গর্বিত রাজ্য!

দার্জিলিং: ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চমক দিলেন বাংলার কন্যে। মেধাতালিকায় ৫২ নম্বর জায়গা করে নিয়েছেন দার্জিলিং জেলার জয়শ্রী প্রধান। জয়শ্রীর সাফল্যে পাহাড়জুড়ে খুশির হাওয়া। দার্জিলিং শহরের সেভেন রবার্টসন রোডের বাসিন্দা জয়শ্রী।

দার্জিলিংয়ের লোরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা জয়শ্রীর। এরপর বেঙ্গালুরুর কর্ণাটক ল ইউনিভার্সিটি থেকে আইনবিদ্যা নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। পড়াশোনার বাইরে গানবাজনাও তাঁর বেশ ভাল লাগে। তবে দেশের প্রশাসনিক জগতে প্রবেশ করার ইচ্ছে ছিল জয়শ্রীর। তাই ইউপিএসসির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দার্জিলিংয়ে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন: শুকনো লঙ্কা-পেঁয়াজ হাতে চটকে পান্তাভাত মাখলেন জয়া! মেনুতে বাঙাল পদের আরও কী কী! বৈশাখী পান্তার ছবি দেখুন

কঠোর অধ্যাবসায়ের পর সিভিল সার্ভিসে সফল হন জয়শ্রী। বাবা জোসেফের সঙ্গে বসে জয়শ্রী ইন্টারনেটে নিজের ফল দেখে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। মেয়ের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত জোসেফ বলেন, ‘‘আমি মিউনিসিপ্যালে কাজ করি। আমার মেয়ের স্বপ্নপূরণের জন্য সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। মেয়ের এই সাফল্যে আজ আমি ভীষণ খুশি।’’

জয়শ্রীর কথায়, ‘আইনের ছাত্রী হওয়ায় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে খানিকটা সুবিধা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তবে ক্যাডার অ্যালোকেশন না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে (ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন) ইউপিএসসি-র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফল। এবার এই পরীক্ষার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, নজর কেড়েছে দার্জিলিং জেলারই আরও দুই কৃতী। ৩৯১ র‌্যাংক করে নজর কেড়েছেন দার্জিলিং জেলার বাগডোগরার বাসিন্দা গৌতম ঠাকুরি।

মেধাতালিকায় ৪৯৪ নম্বর জায়গায় রয়েছেন এমএম তরাইয়ের অজয় মোক্তান। কৃষক পরিবারের ছেলে অজয় তরুণদের কাছে যেন আজ আইকন। দেশের সর্বাধিক কঠিন পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। দেশে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার একাধিক নজির রয়েছে। অনেকেই বছরের পর বছর পরিশ্রম করেও সাফল্যের মুখ দেখতে পারেন না। সেই জায়গায় জেলার এই তিন কৃতীর সাফল্যে আগামী প্রজন্ম আরও উদ্বুদ্ধ হবে বলে ধারণা শিক্ষমহলের।

অনির্বাণ রায়