পুরুলিয়া:খরা প্রবণ জেলা পুরুলিয়া। এই জেলার মাটিতে চাষবাস খুব কমই হয়। এবার শ্রাবণ মাসেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা নেই জেলায়। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। রোহিনী উৎসবের সময় অনেকেই জমি হাল দিয়েছিলেন। সেই সমস্ত জমিতে ধানের চারা লাগানো হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে সেভাবে চাষ করা সম্ভব হয়নি।
অন্যান্য বছর শ্রাবণ মাসে মুষলধারায় বৃষ্টি হয়। কিন্তু এই বছর সেই তুলনায় বৃষ্টির দেখা নেই। এলাকায় সেভাবে কোনও সেচের ব্যবস্থা নেই। বছরে একবারই ধান চাষ হয় পুরুলিয়ার এইসব এলাকায়। তাই এই চাষ অনেকখানি বর্ষার উপর নির্ভরশীল। পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ঠিকঠাকভাবে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে চাষ না হলে গোটা বছর সংসার চলবে কি করে সেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন কৃষকরা।
এই বিষয়ে ঝালদা-১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ্য কবিতা মণ্ডল বলেন, বর্ষার পরিমাণ অনেকখানি কম রয়েছে। তাই চাষিরা চাইছেন যাতে খরা ঘোষণা করা হোক। আমার কাছে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা। এই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব।
পুরুলিয়া:টানা গরমের দাপট চলেছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সেভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি জেলা পুরুলিয়া। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জেলায় বৃষ্টি। অধীর আগ্রহে বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল জেলার মানুষেরা। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা।
পুরুলিয়া মফস্বল থানার পৃথক দু’টি এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ছয়টি ছাগল ও এক যুবকের। পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের গারাফুসর গ্রামের মাঠে ছাগলগুলি চড়ার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়। অন্যদিকে পুরুলিয়া দু’নম্বর ব্লকের বেলমা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালথোড় গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। জখম হয় আরও এক যুবক। মৃত যুবকের নাম সুশান্ত মাহাতো। বাজ পড়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই যুবক। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুস্তাউর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শোকে ভেঙে পড়ে যুবকের পরিবারের সদস্যরা। টানা গরমের পর সামান্য স্বস্তি পেয়েছে পুরুলিয়া জেলার মানুষ। কিন্তু সেই স্বস্তির মাঝেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জেলায় বৃষ্টির দেখা মিললেও এমন মর্মান্তিক ঘটনায় রীতিমত শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস ইতিপূর্বেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে সেভাবে বৃষ্টির দেখা মিলছিল না জেলায়। ভ্যাপসা গরমের দাপট বহাল ছিল। তবে এইদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির দেখা মিলেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে জেলাবাসী।