প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল Sleeping Tips: রাতে মোবাইল হাতে এই ৭ কাজ ভুলেও করবেন না, ঘুমের বারোটা বাজবে সঙ্গে শরীরেরও Gallery June 18, 2024 Bangla Digital Desk আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া একমুহূর্ত চলে না। বিনোদন থেকে খবর, সবকিছুই হাতের মুঠোয়। কিন্তু তাই বলে সারাক্ষণ মোবাইলে মুখ গুঁজে বসে থাকা কাজের কথা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। শরীর তো বটেই, ঘুমের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। শুতে যাবার আগে এই ৭টি খারাপ অভ্যাস ছেঁটে ফেলতে হবে এখনই। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ বোলানো: শোওয়ার আগে অনেকেই একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ বুলিয়ে নেন। দেখে নেন, কে কী করছে। কিন্তু এর ফলে মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। তথ্য, ছবি এবং আপডেটের ক্রমাগত প্রবাহ মনকে সক্রিয় করে তোলে। ঘুমিয়ে পড়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে যায়। ইমেলের উত্তর: অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে আসতে নেই। আর শোবার ঘরে তো নয়ই। অফিসের ইমেইল আসতেই থাকে। কিন্তু শুতে যাওয়ার আগে সে সবের উত্তর দিতে বসলে চাপ এবং উদ্বেগ বাড়তে পারে। তখন সারাক্ষণ কাজের চিন্তায় মাথায় ঘুরবে। ঘুম আর আসবে না। বিছানায় এপাশ ওপাশ করেই কেটে যাবে রাত। উত্তেজিত কথোপকথন: ঝগড়া হোক বা তর্কবিতর্ক, স্ট্রেস লেভেলকে বাড়িয়ে দেয়। শুতে যাওয়ার আগে মেসেজিং অ্যাপে এই ধরনের কথোপকথন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। নাহলে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বাড়বে। ঘুম মাথায় উঠবে। ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিমিং: বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। এতেও ঘুমের দফারফা হয়। স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এই হরমোনই ঘুম এবং জাগরন চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। মোবাইল গেম: ঘুমনোর আগে মোবাইলে গেম খেললে মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বাড়ে। এই পরিস্থিতি থেকে মন ফের শান্ত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে ঘুমোতে দেরি হয়ে যায়। মোবাইলে অ্যালার্ম: মোবাইলে অ্যালার্ম দেওয়া সুবিধাজনক। অনেকেই দেন। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগে মোবাইলে অ্যালার্ম দিতে বসলে মনে ফোন ঘেঁটে নেওয়ার লোভ জাগতে পারে। তাই অ্যালার্ম অন্য সময় দেওয়াই ভাল। ইন্টারনেট ব্রাউজিং: ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে মন ব্যস্ত হয়ে যায়। বিপুল তথ্য মাথা ভারাক্রান্ত করে তোলে। এর ফলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
লাইফস্টাইল Sleeping Tips For Stay Young And Beautiful: রাতে কত ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন? এই ভুল করলে অকালেই যৌবন হারাবেন! কমবে শরীরী উত্তেজনা! Gallery April 25, 2024 Bangla Digital Desk শরীর সুস্থ রাখতে হলে ঘুম খুব জরুরি! গভীর ঘুম না হলে শরীর সুস্থ তো থাকবেই না। সেই সঙ্গে নানা অসুবিধে তৈরি হবে! সময়ের আগেই বুড়িয়ে যাবেন! যৌন জীবনেরও ইতি ঘটবে! photo source collected কিন্তু আমরা কি জানি ঠিক কতটা ঘুম আমাদের দরকার? বর্তমান দিনে কাজের চাপে খুব বেশি হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ঘুমোই আমরা! অনেকে আরও কম ঘুমান! এতে বিপদ ডেকে আনছেন নিজেই। photo source collected বয়স বাড়ার আগেই চুল পেকে যাবে। চুল ঝরতে থাকবে। স্ট্রেস কমবে না। কোনও কাজ ঠিক ভাবে করতে পারবেন না! ৪০-এই নিজেকে বয়স্ক মনে হবে! যৌন জীবন বলে কিছু থাকবে না! তবে এর সমাধান অবশ্যই আছে। photo source collected একটা সময় নির্ধারণ করে নিন। ঘড়ি ধরে ঠিক সেই সময় বিছানায় শুতে যান। বিছানায় শুয়ে থাকলেও ঘুম আসে না! এপাশ ওপাশ করেই সকাল হয়ে যায়! তার উপায়ও আছে! photo source collected প্রথমেই জেনে নিন আপনি যদি সুস্থ ও যৌবন ধরে রাখতে চান তাহলে রাতে কম করে সাত থেকে আট ঘন্টা গভীর ঘুম চাই! এর কম হলেই শরীরে প্রভাব পড়বে! ঘুমোতে গেলে কী করবেন? photo source collected প্রথমেই আরামদায়ক তোষক ও বালিশ ব্যবহার করুন। ঘুমোতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে মোবাইল দূরে সরিয়ে রাখুন! টিভি দেখা বন্ধ করুন এক ঘন্টা আগে। photo source collected ঘরের সব লাইট নিভিয়ে দিন। অন্ধকারে ঘুম আসতে বাধ্য! কয়েক দিন ঘুম আসতে একটু সময় লাগলেও ঠিক হয়ে যাবে! প্রতিদিন সকালে এক সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। ঘড়িতে টাইম সেট করে নিন! একমাসে নিজেকে একেবারে নতুন রূপে পাবেন! photo source collected
উত্তরবঙ্গ, লাইফস্টাইল Health Tips: রোজ কখন ঘুমোতে যান রাতে? ১২’টা বেজে যাচ্ছে কি? ছোট্ট ভুলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি Gallery April 25, 2024 Bangla Digital Desk *বর্তমানে ঘোড়া দৌড়ের জীবনে ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদ গ্রাস করছে বেশিরভাগ মানুষকে। এসবের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্যতম একটি কারণ। দৈনন্দিন জীবনে এটি দারুণ প্রভাব ফেলে চলেছে প্রতিনিয়ত। *অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “বর্তমানের দৌড়ঝাঁপের জীবনে সকলেই ব্যস্ত। অধিকাংশ মানুষ মধ্যরাত পার করে ঘুমোতে যান। তবে ছোট্ট এই অভ্যাসের বশেই স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করছেন। *মধ্যরাতের পর ঘুমোতে গেলে সার্কাডিয়ান ছন্দ ব্যহত হয়। ফলে শরীরের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ বাধা পায়। এ ছাড়া বিপাক ক্রিয়া ও শরীরের তাপমাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়। প্রয়োজনীয় কাজ ব্যহত হয়। *দীর্ঘ রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস থাকলে মস্তিক সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। ফলত স্মৃতিশক্তি ও মানসিক ভারসাম্য অনেকটাই ব্যহত হয়। ফলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে ও বুদ্ধির বিকাশ বাধা পায়। *মধ্যরাতে ঘুমনোর অভ্যাসের কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। তার মূল কারণ হল স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণ নিঃসরণ হওয়া। ফলে মানসিক অবসাদ বাড়ে অনেকটাই এবং ওজন অনিয়ন্ত্রিত হয়। *মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে কাটালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে দ্রুত যে কোনও রোগ আক্রমণ করে শরীরের মধ্যে, যা শরীরকে নানা রোগের সহজ আক্রমণের জায়গা করে দেয়। *মধ্যরাতের পর ঘুমোতে গেলে শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়া বাধা পায়। ফলে অ্যাসিড, গলা-বুক জ্বালা বেড়ে যেতে পারে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে আচমকাই ওজন বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা বেড়ে যায়। *সবচেয়ে বড় সমস্যা হল শরীরের মধ্যে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। ফলে মারাত্মক অসুখ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধতে পারে অনেক সহজে।