স্মার্টফোন ছাড়া আজকাল জীবন চলে না। বর্তমান যুগে আমরা প্রায় সবাই মোবাইল ব্যবহার করি। এখন ফোন ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন বললে ভুল হবে না। অনেকেই ব্যাঙ্কিং থেকে কেনাকাটা প্রায় সবকিছুতেই ফোন ব্যবহার করে থাকেন।ফোনের মাধ্যমে স্কুলের অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে অফিসের কাজও করা হয়। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ফোনের ব্যবহার প্রচণ্ডভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এর জন্য অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় ফোন নিয়ে কাটান।এমন পরিস্থিতিতে, ফোন সর্বদা সম্পূর্ণ চার্জ থাকাও প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, ফোনের ব্যাটারি কতটা চার্জ দেওয়া ভাল এবং কতটা চার্জ দিলে ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। তাই এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এর আসল কারণ এবং জেনে নেওয়া যাক ফোনের ব্যাটারি কতটা চার্জ দেওয়া যেতে পারে।সাধারণত ২৪ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করতে, ফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে চার্জ করা হয়। প্রায়ই এই প্রশ্ন করা হয়, ফোনের ব্যাটারি কতটা চার্জ করা উচিত, যাতে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট না হয়! আসলে কিন্তু যখন ফোনের ব্যাটারি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা হয়, তখন ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জেনে নেওয়া যাক কেন এমন হয়।মোবাইলের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন দিয়ে তৈরি। এই ব্যাটারি ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ চার্জিং হলে ভাল কাজ করে। কেউ যদি সবসময় এটি ১০০ শতাংশ চার্জ করে, তাহলে এটি সেই ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে।বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির জীবনকাল ২ থেকে ৩ বছর বলে মনে করা হয়। একটি স্মার্টফোনের ব্যাটারিতে ৩০০ থেকে ৫০০ চার্জ সার্কল থাকে। এর মানে হল ফোনের ব্যাটারি শূন্য থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৫০০ বার চার্জ করা যাবে।ব্যাটারি চার্জ করার সর্বোত্তম উপায় হল ব্যাটারির চার্জ যতটা সম্ভব মধ্যম পরিসরে রাখা। ব্যাটারির মাত্রা ০ শতাংশ বা ১০০ শতাংশের মতো হলে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
হাতের স্মার্টফোন আর তার জন্য বরাদ্দ চার্জার—এই দু’টি ছাড়া এক মুহূর্ত চলা সম্ভব নয়। বর্তমান পৃথিবীর অবস্থা এমনই। কিন্তু পরিস্থিতি কখনও এমন হতেই পারে যখন কোনও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর কাছে চার্জার নেই। এদিকে স্মার্টফোনের ব্যাটারিও কমে আসছে ক্রমশ। photo source collectedতবে এই পরিস্থিতিতেও খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এমন কিছু কৌশল আমরা ব্যবহার করতে পারি, যা চার্জার ছাড়াই ফোন চার্জ করতে সাহায্য করতে পারে। যদিও এই ভাবে চার্জ করার জন্য অন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হবে।photo source collectedরিভার্স চার্জিং— এমন পরিস্থিতিতে আমরা অনেক সময়ই পড়ি, যখন হাতের কাছে না থাকে চার্জার, না পাওয়ার ব্যাঙ্ক। এদিকে মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত কমে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় উদ্ধার করতে পারে রিভার্স চার্জিং পদ্ধিতে। এই পদ্ধতিতে নিজের স্মার্টফোনটি চার্জ করে নেওয়া সম্ভব।photo source collectedইদানীং, রিভার্স চার্জিং সাপোর্ট করে এমন প্রচুর স্মার্টফোন পাওয়া যায়। এমনকী বাজেট রেঞ্জেও পাওয়া যায় এই ধরনের ফোন। সেক্ষেত্রে বিপদে পড়লে রিভার্স চার্জিংয়ের জন্য আশেপাশের কোনও ব্যক্তির কাছে সাহায্য চাইতে হতে পারে। তবে এইভাবে চার্জ করার জন্যও একটি তারের প্রয়োজন হবে।photo source collected ওয়্যারলেস চার্জিং— সঙ্গে যদি তার না থাকে, তাহলে ওয়্যারলেস চার্জিং করতে হবে। কিন্তু, যদি কারও ফোন ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট না করে, তাহলে কী করা যাবে দেখে নেওয়া যাক—photo source collectedএকটি বিশেষ কৌশল করতে হবে। আশপাশে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে এমন ফোন খুঁজতে হবে। তার মাধ্যমেই যেকোনও জরুরি অবস্থায় ওয়্যারলেস চার্জিং করা সম্ভব। এখন Apple, Samsung এবং OnePlus-এর মতো অনেক স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থা তাদের ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট দিয়ে থাকে।photo source collectedইউএসবি পোর্ট চার্জিং— কারও কাছে যদি চার্জার না থাকে, তাহলে তিনি তাঁর ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে চার্জিং করতে পারেন। এর অর্থই হল, একটি ইউএসবি পোর্ট-সহ ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা অনুরূপ কোনও ডিভাইস থেকে নিজের ফোন চার্জ করে নেওয়া যায় যেকোনও সময়।photo source collected