Tag Archives: SSC Recruitment Scam

Supreme Court On Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি রাজ্যের, সিবিআই তদন্ত নিয়ে বড় নির্দেশ

নয়াদিল্লি: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানে অবশেষে সাময়িক স্বস্তি। বৃহস্পতিবার অন্তর্বতীকালিন স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। সব পক্ষকে নোটিস সার্ভ করার নির্দেশ বিচারপতি বি.আর.গাভাই এর ডিভিশন বেঞ্চ এর। মামলায় দু’সপ্তাহে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। মামলায় দু’সপ্তাহ পরে আগামী শুনানি।

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ এর আগে বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। সিবিআই অনুসন্ধানে রাজ্যের স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ইলেক্ট্রোলাইট থাকবে কন্ট্রোলে…! ডিহাইড্রেশন ছুঁতে পারবে না….! জলে মিশিয়ে দিন একচিমটি ‘ছোট্ট’ জিনিস! এক ‘ড্রিঙ্কে’ গরম জব্দ

উল্লেখ্য, ছদ্মনাম চিঠিতে পাহাড়ে নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই-কে ৯ এপ্রিল অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তারই বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায় গত ১৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন।

আরও পড়ুন: ইস্তেহার ‘আউটসোর্স করছে’ কংগ্রেস, ‘সংখ্যালঘু ও বামেদের থেকে….’ `বড় দাবি অমিত শাহের!

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখার পরেই সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সঙ্গে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদও। এর আগে সোমবার প্রধান বিচারপতির এজলাসেই হয় মামলার শুনানি। কিন্তু চাকরি বাতিলে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

SSC Scam Case: SSC কাণ্ডে নয়া মোড়, এবার CBI তদন্তের মুখে মমতার মন্ত্রিসভা? বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরিহারাদের ভাগ্য ঝুলেই রইল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সুপ্রিম নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গোটা বিষয়টিকে সম্পূর্ণ জালিয়াতি বলেই মনে করছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। শুনানিতে প্রশ্ন তোলা হল, কীভাবে এবং কেন তৈরি করা হল সুপার নিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ। এ দিনের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে, হাইকোর্টের বাকি রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতি’, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল চাকরিহারাদের ভাগ্য! আগামী সোমবার বড় কোনও রায়?

রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, এই সময় নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে তো পুরো মন্ত্রিসভা জেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, যা কার্যকর করা সম্ভব নয়। ওই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। এর পরেই সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: ফ্যানের হাওয়া গায়েই লাগছে না? গতি কমে ঠান্ডা হাওয়া উধাও? এই এক টিপসে আবার ফুল স্পিডে ঘুরবে পাখা

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি গিয়েছে বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না।

অর্ণব হাজরা

SSC Recruitment Scam Case in Supreme Court: ‘সম্পূর্ণ জালিয়াতি’, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল চাকরিহারাদের ভাগ্য! আগামী সোমবার বড় কোনও রায়?

নয়াদিল্লি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি গিয়েছে বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না।

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা শুনেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’

আরও পড়ুন: প্রথম ছবিতে ৫০০ কোটির ব্যবসা, তারপর? থ্রি ইডিয়টস-এর ‘সাইলেন্সর চতুর’ ওমি এখন কী করেন জানেন?

সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। সরকারের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন হল হাইকোর্ট কীভাবে একজন সরকারি কর্মীকে টার্মিনেট করতে পারে? তাঁরা তো কমপিটেন্ট অথরিটি নয়। ২৪ হাজার মানুষ কর্মহীন হলে তাঁদের পরিবারের কী হবে?’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’

আরও পড়ুন: ফ্যানের হাওয়া গায়েই লাগছে না? গতি কমে ঠান্ডা হাওয়া উধাও? এই এক টিপসে আবার ফুল স্পিডে ঘুরবে পাখা

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। ওএমআর শিট না পেলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীর বিচার হবে? সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্টের বাকি রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানাল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার। ততদিন চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকবে।

অর্ণব হাজরা
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য

SSC Recruitment Scam: শিক্ষিকা থেকে হঠাৎ বেকার! EMI-লোন-সংসার…বর্তমান বাংলার মুখ যেন এই দুই মহিলা!

উত্তর ২৪ পরগনা: সুখের সংসারে এক মুহূর্তে বদলে গিয়েছে সবকিছু। মাথার উপর ভেঙে পড়েছে আকাশ, চারদিক যেন অন্ধকার। কী হবে ভবিষ্যৎ? বুঝে উঠতে পারছেন না অশোকনগরের দুই শিক্ষিকা।

হাইকোর্টের রায়ে ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালে নিয়োগ নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্যানেল অবৈধ বলে বাতিল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে এই খবর শোনার পর থেকেই অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতো জীবন যেন উল্টো পথে চলতে শুরু করেছে ২০১৬ সালে পাওয়া অশোকনগরের দুই শিক্ষিকা স্বর্ণালি চক্রবর্তী ও শাওনি ভট্টাচার্যের।

চাকরির পরীক্ষা দেওয়া সেই ওএমআর শিট হাতে ধরে স্বর্ণালি চক্রবর্তী জানান, এই রায়ে যোগ্য শিক্ষকদের সামাজিক অসম্মান করা হয়েছে। আগামী দিনে কী ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে দাঁড়াবেন তাঁরা, জানা নেই। এর থেকে বিচার ব্যবস্থা যদি ফাঁসির রায় দিত তবে ভাল হত, অন্তত এমন অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হত না শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

আরও পড়ুন: ভোটের দিন, দার্জিলিং; আর কী চাই! পাহাড়ের রানিকে দেখে কী করলেন জওয়ানেরা?

এদিন, অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের শ্বশুর বাড়িতে দাঁড়িয়ে গৃহবধূর গলায় এমনই আক্ষেপের সুর শোনা গেল। শিক্ষিকার চাকরি পাওয়ার পরই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেই বাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে পরিবার পরিকল্পনার চিন্তাভাবনা গ্রহণ করেছিলেন অশোকনগরের আরেক প্রাক্তন শিক্ষিকা শাওনি ভট্টাচার্য।

কিন্তু এই রায়ের পর চাকরি চলে যাওয়ায় এখন ইএমআই থেকে শুরু করে নানা ধরনের লোন ও সংসার কীভাবে চালাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। পাড়া-প্রতিবেশীরাও নানা সময়ে কটূক্তি ছুড়ে দিচ্ছেন। বাড়ির বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রেও এখন আত্মসম্মানে লাগছে এই শিক্ষিকাদের।

আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ গরমের রেকর্ডের পথে কলকাতা, তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা! কতটা চড়বে পারদ? আবহাওয়ার বড় আপডেট

দীর্ঘদিন ধরে দিনরাত এক করে পড়াশোনার পর পরীক্ষায় বসে মিলেছিল সাফল্য, পেয়েছিলেন শিক্ষিকার চাকরি। আর এক রায়ে আজ তাঁরা চাকরিহারা। কিছু মানুষের জন্য কেন সবার চাকরি যাবে! এ কেমন বিচার ব্যবস্থা! মানুষ তাহলে কোথায় যাবে বিচার পেতে! চোখের কোণে জল যেন থামতেই চাইছে না এই পরিস্থিতিতে। কিছু মানুষের দুর্নীতির বলি কেন সকলকে হতে হবে!

এখন তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টায় বাতিল চাকরিপ্রার্থীরা। একজন দেগঙ্গার স্কুলে ও অপরজন মেদিনীপুরের একটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। চাকরি হারিয়ে মানসিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। স্বামী সন্তান পরিবার নিয়ে সুন্দর গোছানো জীবন যেন অগোছালো হয়ে গিয়েছে এক নিমেষে।

Rudra Narayan Roy

SSC Case Update: চাকরিহারাদের পাশে থাকছে রাজ্য, এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া হবে, তারপর? দেখুন আপডেট

এখনই চাকরিহারাদের বেতন বন্ধ নয়। চাকরিহারাদের এপ্রিলের বেতন দেবে রাজ্য। ২৫ হাজার চাকরিহারাকে বেতন দেবে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকায় বন্ধ নয় বেতন। শ্রম আইন মেনে সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ২০১৬ সালে এসএসসি দিয়ে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তাঁরা কি এপ্রিল ২০২৪-এর বেতন পাবেন? বেতন নিয়ে নিজেদের অবস্থা স্পষ্ট করল রাজ্য সরাকর। চাকরিহারাদের এপ্রিল মাসের বেতন দেবে রাজ্য সরকার। মানবিক কারণে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য। এখনই চাকরিহারাদের বেতন বন্ধ করা হচ্ছে না জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।

Murshidabad News: আদালতের নির্দেশের জের, এই স্কুলে একসঙ্গে চাকরি গেল ৩৬ শিক্ষকের! মাথায় হাত পড়ুয়াদের

মুর্শিদাবাদ: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা। তার জেরে সমস্যার মুখে স্কুলের পড়ুয়ারা। ঠিক তেমনই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাইস্কুলে সমস্যায় পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিলের জেরে অর্জুনপুর হাই স্কুলে চাকরি বাতিল হল ৩৬ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার।

জানা গিয়েছে, ফরাক্কা অর্জুনপুর হাইস্কুলের মোট শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা ৬০ জন। পার্শ্বশিক্ষক আছেন ৭ জন। মোট পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় দশ হাজারের বেশি। বাতিল হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা বাদ দিলে এখন মোট শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা ২৪ জন। সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়েছে ফরাক্কা অর্জুনপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা।

বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। সোমবার এসএসসি গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই এখন মাথায় হাত চাকরি বাতিল হওয়া মহম্মদ সাফিউল ইসলাম-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের।

চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষক সাফিউল ইসলাম জানান, আমি ২০১৯ নিয়োগ পত্র পেয়েছিলাম। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে যোগদান করি শিক্ষক হিসেবে। আলিপুরদুয়ারে যোগদান করলেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে অর্জুনপুর হাইস্কুলে যোগদান করেছিলাম। তবে যারা অপরাধী তাদের গুলো বাতিল হোক। কিন্তু নবম দশমে যাদের ভুল ত্রুটি হয়েছে এটা ঠিক তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু কিছু জনের জন্য সকলের প্যানেল বাতিল করল হাইকোর্ট, এটা কী ভাবে করা হল? এই নিয়ে আমরা খুব হতাশাগ্রস্ত বলেই জানান তিনি।”

যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সৌরভ আলি জানান, “স্কুলের পড়ুয়াদের সংখ্যা হল ১০ হাজারের অধিক। গ্রামে একটি মাত্র স্কুল। আর এই স্কুলের ওপরেই ভরসা পড়ুয়াদের। আমাদের স্কুলের ৩৬জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই স্কুলে প্রথম যোগদান করেন ২০ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকা। পরে ১৬জন মিউচুয়াল ট্রান্সফার হিসেবেই যোগদান করেছিলেন। তবে এতজন শিক্ষক না থাকলে স্কুলের পঠন পাঠনের ক্ষতি হবে। বর্তমানে ৩৬জন শিক্ষক বাতিল হওয়ার কারণে আগামী দিনে স্কুল চালানও কঠিন হবে” বলেই জানান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সৌরভ আলি। যার কারণে এবার চিন্তায় স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়ারা।

কৌশিক অধিকারী

SSC Recruitment Case: হাইকোর্টে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষ, এবার কী হবে? আশা-নিরাশায় চাকরিপ্রার্থীরা!

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে শেষ হয়েছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলল। আপাতত রায়দান স্থগিত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত হয় বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ।

গত ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মূল পর্বের শুনানি। প্রায় সাড়ে তিন মাস চলল এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। শেষ কয়েক সপ্তাহ কার্যত প্রতিদিন শুনানি চলেছে। এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, ‘এই নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে ভাল কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হাওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন: বাজারে খেজুরের নামে চিনা জুজুবি বিক্রি হয়! কীভাবে বুঝবেন? আসল খেজুর চেনার সহজ উপায় জানুন

আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘এটা সুপরিকল্পিত অপরাধ। ঘোষিত শূন্যপদের থেকেও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যে আধিকারিকরা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক। এই সব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত যদি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই অপরাধপ্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে। এই আদালত তো OMR দেখার সুযোগ দিয়েছিল। কজন এসে বলেছেন যে এই OMR আমার নয়?’

আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে চালু হচ্ছে নতুন ৪ বিমান, এর মধ্যে দু’টি আন্তর্জাতিক! জানুন

এরপরই বিচারপতি বসাক জানান, ‘বিধিবদ্ধ সংস্থার আধিকারিকদের জন্য ফৌজদারি মামলা তো আছেই।’ তখনই সওয়াল করেন বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী প্রমিত রায়। তিনি বলেন, ‘এসএসসি এবং CBI, কেউই বিশ্বাসযোগ্য নয়। আদালত নিজের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্বাস রাখুক।’

তাহলে কার ওপর আমরা বিশ্বাস করব?, প্রশ্ন বিচারপতির। তবে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতে রায়েরই ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

অর্ণব হাজরা

SSC Recruitment Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে ইমেল করলেন প্রসন্ন রায়, চাইলেন সময়

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে ইমেল করলেন প্রসন্ন রায়৷ হাজিরার নির্ধারিত সময় পার হওয়ার ইডিকে মেল করলেন প্রসন্ন রায়৷ ইমের করে সময় চাইলেন তিনি৷

ইডির তরফ থেকে যে সমস্ত নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল, সেই সমস্ত নথি প্রস্তুত করে হাজিরা দিতে তাঁকে আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হোক, ইমেল মারফত ইডির কাছে এই আর্জি করেন প্রসন্ন রায়৷

জানুয়ারি মাসে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাট ও অফিসে অভিযান চালায় ইডি। এরপর তাকে আজ ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, তিনি এদিন হাজিরা দেননি। ইমেল করে সময় চেয়েছেন । এ ছা়ড়াও তদন্ত সূত্রে উঠে এসেছে, রোহিত ঝা-কেও নিয়োগ দুর্নীতিতে ব্যবহার করেছেন প্রসন্ন রায়।

প্রসন্ন রায়ের সংস্থায় কর্মরত রোহিত৷ সূত্রের খবর, প্রদীপ সিং, রোহিত ঝায়ের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সরিয়েছেন প্রসন্ন। এখনও পর্যন্ত এমনই বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা হাত বদল ও লগ্নি হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দাবি তদন্তকারীদের৷