দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনে একের পর এক আসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যার জেরে বারবার ভাঙে নদীবাঁধ। অধিকাংশ সময় দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই নদীবাঁধ মেরামত করে নেন। বারবার এই ছবি উঠে এসেছে, সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায়। নদীবাঁধ সারানোর জন্য স্থানীয়রা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেন। ঘূর্ণিঝড় রিমলেও সেই ছবি উঠে এসেছে।সুন্দরবনবাসীর দাবিএকটাই, কংক্রিটের নদীবাঁধ। এই নদীবাঁধ সংস্কারের জন্য বারবার বলা হলেও কোনওসময় কর্ণপাত করেনি কেউ। যার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনে। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতিই সার! বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন সুন্দরবন, তবু হয় না পাকা বাঁধ
তারা জানিয়েছেন, নদীবাঁধ সংস্কার করা হলে পুকুরে মাছ চাষ করা, পানের বরজ থেকে সহ অনেকরকম সবজি চাষ করতে পারা যায়। কিন্তু কেউ নদীবাঁধ সারানোর জন্য স্থায়ী সমাধান চায় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটের আগে এসেছে ঘূর্ণিঝড় রিমল, ফলে আবারও বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন অনেকেই। কিছু যায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। ফলে এই নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এখন নির্বাচনের পরে ফলাফলে কি হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
নবাব মল্লিক
সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকার এখনও দগ্ধ ঘূর্ণিঝড় আবারও সেই ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনেরা৷
আমফান ঝরের সময় কিছুই বাঁচাতে পারিনি। বাড়ির সব জিনিসপত্র খাওয়ার দাবার জলে ভেসে গিয়েছিল। সেই ভুল এবার আর করবে না।
গত বছর ঘূর্ণিঝড়ের সময় বহুদিন না খেয়ে থাকতে হয়েছিল উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনদের তাই এবার খাদ্য সামগ্রী তুলে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে রেখেছি।
তবে এগুলি সরিয়ে রাখা হলেও ঝড়ে সব উড়ে যেতে পারে তাই কোন ঝুঁকি না নিয়ে ঝড়ের মোকাবিলা করতে নিজেদের ঘর-বাড়ি বাঁচানোর জন্যে মাছ ধরার জাল দিয়েই ঘরের চাল আটকে রাখছে।
পাশাপাশি ঝড়ে যাতে তাদের গবাদি পশু খোয়া না যায় তার জন্য ঘরের মধ্যে এই ঝড়ের ঝুঁকি না নিয়ে তাদের জন্য ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখবেন গবাদি পশু। এমনটাই জানিয়েছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমল, আতঙ্কিত উপকূল তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভোটের মরশুমে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের চোখরাঙানি। বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। ইতিমধ্যেই রিমল আতঙ্কে আতঙ্কিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনেরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকায় এখনো দগ্ধ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের স্মৃতি। আবারও ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনেরা। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে ঘণ্টায় ১৪৫ বেগে ঝড় বইতে পারে। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলেও ঝড়ের তাণ্ডব দেখা যেতে পারে।
ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে কলকাতা শহরে। ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সাগরে ঘনীভূত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। এই গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। আজ, শুক্রবার তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শনিবার তা আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। রবিবার ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা।
রবিবার সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় রিমল। ঘূর্ণিঝড় আসার আগে ইতিমধ্যেই আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করার কাজ চালানো হচ্ছে।
পাশাপাশি যে সকল মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছে তাঁদের অবিলম্বে বন্দরে ফিরে আসার নির্দেশ জারি করেছে জেলা মৎস্য দফতর। শনিবার রাজ্যের ৮ কেন্দ্রে ভোট। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভোট রয়েছে ষষ্ঠ দফায়। তার আগে থেকেই ঘূর্ণঝড় রিমলের প্রভাব পড়তে শুরু করবে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
এমনই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সমুদ্রে শক্তি বাড়াচ্ছে রিমল। ইতিমধ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতাবার্তা। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলি।
সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় নদী বাঁধগুলিতে শুরু হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ। রিমল মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। (সুমন সাহা)
ঝড় নিয়ে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। বলা হয় ঝড়ের আগে প্রকৃতি অদ্ভুতরকম শান্ত থাকে।
উপকূলীয় এলাকার মানুষজনের সেই কথা মিলিয়ে দিয়ে আবারও ঝড় আসার আগে একেবারে শান্ত হয়ে গেল পরিবেশ।
বাতাসের গতিবেগ নেই বললেই চলে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তার আগে শান্ত হয়ে গিয়েছে পরিবেশ।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেই ছবি দেখা গিয়েছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় রিমল আসার আগেই বকখালি থেকে পাথরপ্রতিমা সমস্ত জায়গায় তৈরি হয়েছে শূন্যতা।
উপকূলীয় এলাকার পাথরপ্রতিমার জি-প্লট, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। শুক্রবার দুপুর থেকেই বকখালি শুনশান হয়ে গিয়েছে।
সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। গভীর নিম্নচাপের ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। মৎস্যজীবীদের সতর্ক কর হয়েছে ইতিমধ্যে।
Posts navigation
Just another WordPress site