Tag Archives: superfood
Super Food: সন্তানের সম্পূর্ণ পুষ্টির জন্য পাতে রাখতে হবে সুপারফুড, ডিম ও দুধের ঘাটতি মেটানো এখন আগের চেয়ে সহজ আর সুস্বাদু
কলকাতা: প্রতিদিনের ডায়েটে নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রোটিন রাখতেই হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। তবেই শরীর শক্তি পাবে। মন, মেজাজ থাকবে ফুরফুরে। শুধু শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য নয়, রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এখন অন্যান্য পুষ্টির চাহিদা বজায় রেখে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানোর উপায় কী? এক কথায় এর উত্তর হল সুপারফুড। একে পুষ্টির পাওয়ার হাউজ বললেও কম বলা হয়। বাড়ন্ত শিশু এবং বয়স্কদের জন্য সুপারফুড আশীর্বাদস্বরূপ।
সুপারফুডে দুটি শব্দ রয়েছে। সুপার এবং ফুড। অর্থাৎ এমন খাবার যা আক্ষরিক অর্থে শরীরকে শক্তি যোগায় এবং পুষ্টির চাহিদা মেটায়। দ্য স্পোর্টস নিউট্রিশন-এর লেখক এমি গডসন বলছেন, “সুপারফুডের কোনও আভিধানিক সংজ্ঞা নেই। তবে শরীর ভাল রাখার এবং সুস্থ থাকার জন্য বিশেষভাবে উপকারী বলে বিবেচিত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারকেই সুপারফুড বলা হয়।’’ এখন প্রশ্ন উঠতে পারে সুপারফুড ‘সুপার’ কেন? অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন, টিস্যু বিল্ডিং এবং পেশি তৈরিতে কার্যকরী ভূমিকা নেয় সুপারফুড। হাড়, ত্বক, এবং তরুণাস্থি গঠনের মূল মৌলিক উপাদান হিসাবেও একে বিবেচনা করা হয়।
গডসনের কথায়, “সাধারণ খাবার থেকে শরীর কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন বা মিনারেল পায়। কিন্তু সুপারফুড এর থেকে বেশি কিছু দেয়। এটা এমন খাবার যাতে পুষ্টিগুণ যুক্ত হয়েছে। যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা ওমেগা ৩। ফলে পুষ্টিগুণ একাধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। মৌলিক চাহিদা মেটানোর পরেও শরীর পায় বাড়তি পুষ্টি।’’ গোটা বিশ্বে জুড়ে কয়েকটি খাবারকে সুপারফুড আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল – চিকেন, টুনা, স্যামন, আখরোট, ডিম, পেস্তা, ডাল, ছোলা, পনির, দই এবং দুধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন এই খাবারগুলো পাতে রাখলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। রোগ কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
সবার পক্ষে প্রতিদিন সুপারফুড খাওয়া সম্ভব নয়। আবার বাচ্চাদের খাওয়া নিয়ে হাজার রকমের বায়নাক্কা থাকে। এই বিষয়কে মাথায় রেখে ‘সুপার এগ অ্যান্ড মিল্ক’ বিস্কুট নিয়ে এল আইটিসি-র সানফিস্ট (Sunfeast Super Egg & Milk Biscuit)। দুধ এবং ডিমের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আর হয় না। তাই এই দুয়ের পুষ্টিগুণকে একটা খাবারে ধরেছে তারা। ছোটরা বিস্কুট খেতে পছন্দ করে। তাই তাঁদের জন্যই বানানো হয় সুপারফুড বিস্কুট।
আইটিসি-র ‘সুপার এগ অ্যান্ড মিল্ক’ বিস্কুট লঞ্চের অনুষ্ঠানে আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান মদনমোহন মাইতি, আইডিএ ইস্ট জোনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. দুলাল চন্দ্র সেন, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট এবং লাইফস্টাইল কনসালটেন্ট ডা. অনন্যা ভৌমিক, অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নারিশিং স্কুলস ফাউন্ডেশনের কো-ফাউন্ডার ও সিইও অর্চনা সিনহা। আলোচনায় উঠে আসে, শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য দুধ এবং ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিটামিন এ, ডি, ই, আয়রন ইত্যাদির সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও রয়েছে।
দুধ এবং ডিম-কে এক সুতোয় গেঁথে তাই এই বিস্কুট তৈরি করেছে সানফিস্ট, যা সুপারফুডের চাহিদা মেটাবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সানফিস্ট সুপার এগ অ্যান্ড মিল্ক’ বিস্কুট। যাকে ‘গুডনেস অফ প্রোটিন’ বলা হচ্ছে। শিশুদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে মুচমুচেভাবে তৈরি করা হয়েছে এই বিস্কুট। মুখে দিলেই গলে যাবে। তাই এর ট্যাগলাইন রাখা হয়েছে, ‘সুপার কম্বো, সুপার টেস্টি’, যা ব্র্যান্ডের ট্যাগলাইন ‘গুড ফর ইউ’-এর সঙ্গে একেবারে মানানসই।
আইটিসি ফুডসের বিস্কুট এবং কেক ক্লাস্টারের সিওও আলি হ্যারিস শেরে (Ali Harris Shere, COO of Biscuits and Cakes Cluster, ITC Foods) বলেন, “আমরা গবেষণায় দেখেছি, মায়েরা ডিম এবং দুধকে শিশুদের জন্য অপরিহার্য খাদ্য বলে মনে করে। কিন্তু ছোটরা দুধ খেতে চায় না মোটেই। ডিম নিয়েও একই অবস্থা। বাড়ির বাইরে এই দুটো খাবার খাওয়াতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে যান মায়েরা। আবার বাজারে এই দুয়ের পুষ্টি একসঙ্গে যোগাতে পারে এমন কোনও খাবারও নেই। এই নিয়ে প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট টিমের সঙ্গে এই নিয়ে কাজ শুরু করি আমরা। এরপর দুটি খাবারের সমস্ত গুণ বিস্কুটের আকারে নিয়ে আসা হল। বাচ্চারা খেতে পছন্দ করবে, খাওয়াতেও সুবিধা হবে। ভারতে আমরাই প্রথম দুধ এবং ডিম দিয়ে পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ বিস্কুট বাজারে নিয়ে এলাম।’’
বিস্কুটের দাম রাখা হয়েছে নাগালের মধ্যে। যাতে সবাই সুপারফুডের চাহিদা মেটাতে পারেন। দক্ষিণ এবং পূর্ব ভারতে সানফিস্ট এগ অ্যান্ড মিল্ক বিস্কুট বিক্রি হবে ৫, ১০ এবং ৩০ টাকায়। আইটিসি জানিয়েছে, ‘হেল্প ইন্ডিয়া ইট বেটার’ ফ্রেমওয়ার্কের অংশ হিসেবে এই বিস্কুট স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে।
Superfoods to Control Insulin Resistance: ৫ খাবারের পঞ্চবাণে দূর ইনসুলিন-সমস্যা! এই চেনা ঘরোয়া খাবারেই কমবে ব্লাড সুগার
Thyroid Control Tips: থাইরয়েডে কমছেই না? নিয়মিত খান এই ৩ খাবার! আপনাকে ছেড়ে রোগ পালাবে বহুদূর
আধুনিক ব্যস্ততার দিনে জীবনযাপন বা লাইফস্টাইল সংক্রান্ত অসুখগুলির মধ্যে অন্যতম থাইরয়েড৷ থাইরয়েড সমস্যার শিকার এখন আধুনিক জীবনযাপনের অন্যতম বড় সমস্যা৷ ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক ডায়েটও৷ সম্প্রতি আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কিছু খাবারের কথা বলেছেন যাতে থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয়৷
তিনটি সুপারফুডের কথা দীক্ষা জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে৷ তাঁর মতে, এই জাদুসম খাবারের গুণে নিয়ন্ত্রিত হয় থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা৷ হাইপোথাইরয়েড, হাইপারথাইরয়েড, গয়টার, অটোইমিউন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করে এই খাবারগুলি৷
সুপারফুডগুলির মধ্যে দীক্ষা প্রথমেই বলেছেন ব্রাজিল নাট-এর কথা৷ এই জাতীয় বাদাম সেলেনিয়ামের মাত্রা বজায় রাখে শরীরে৷ স্বাস্থ্যকর থাইরয়েডের কার্যকারিতার জন্য সেলেনিয়াম গুরুত্বপূর্ণ৷ ব্রাজিল নাট শরীরে থাইরয়েড সংক্রান্ত সব সমস্যা দূর করে৷ অনিদ্রা সমস্যা দূর করা, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি, মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা সঠিক বজায় রাখে ব্রাজিল নাট৷ চুল পড়া, ইনফ্লেম্যাশন, মধুমেহ, খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা বশে রাখে ব্রাজিল নাট৷ সকালে খালি পেটে রোস্টেড ব্রাজিল নাট খাওয়ার উপকারিতার কথাও বলেছেন দীক্ষা৷
ফাইবার, মিনারেলস, আনস্যাচিওরেটেড ফ্যাটে ভরপুর পেস্তার কথাও বলেছেন দীক্ষা৷ রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে পেস্তার গুণাগুণ৷ রোস্টেড পেস্তা কার্যকর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও৷ কোষ্ঠকাঠিন্য, মুড স্যুইং, ইনসমনিয়া, স্ট্রেস সংক্রান্ত সমস্যাও কমায় পেস্তা৷ পাশাপাশি, আয়োডিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খেজুর কার্যকর থাইরয়েড ও থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে৷ ক্নান্তি দূর, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, মাথাব্যথা, গাঁটের যন্ত্রণা-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় খেজুর উপকারী৷
আরও পড়ুন : গরমে স্নানের সময় লুফাহ ব্যবহার করেন? হতে পারে ত্বকের জটিল সংক্রমণ! জানুন বাঁচার উপায়
রাতভর ভিজিয়ে রাখা ৩-৪ টি খেজুর সকালে খালি পেটে খাওয়ার কথা বলেছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা৷ তবে সকলের ক্ষেত্রে এই খাবার একইভাবে কার্যকর নাও হতে পারে৷ তাছাড়া বিভিন্ন খাবারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে৷ তাই ডায়েটে রাখার ক্ষেত্রে নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না৷