Tag Archives: transgender

Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের অধিকার তাঁদেরও, শত লাঞ্ছনার শিকার হয়েও ভোট উৎসবে সামিল হওয়ায় পিছপা নন

দুর্গাপুর: ছেলেবেলা থেকেই জীবনযুদ্ধে সামিল। সংগ্রামেই কাটে দিন। পরিবার পরিজনের কাছে চিরকালই তাঁরা অবহেলিত। সমাজের মানুষেরাও বাঁকা চোখে দেখে তাঁদের। রুটিরুজির টানে রোদ, জল, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। অনেক সময় মানুষের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় তাঁদের। কারণ তথাকথিত সমাজে তাঁরা তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ।

কিন্তু তাঁদেরও যে রয়েছে গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার। আর তাইতো ভোট উৎসবে তারাও শামিল হয়েছেন গণতন্ত্রে শরিক হতে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় চলছে চতুর্থ দফার ভোট। পশ্চিম বর্ধমানের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী এলাকায় বসবাস করেন প্রায় ২০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ভোটার তাঁরা। তাঁদের মধ্যে তিনজন দুর্গাপুরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিয়ে দিয়েছেন। যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁরা হলেন নাগেশ্বরী প্রসাদ রায়, তুলতুলি কিন্নার, সোনালী কিন্নার। এ বিষয়ে কিন্নর গোষ্ঠীর প্রধান নাগেশ্বরী প্রসাদ রায় জানান, দীর্ঘ প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে তিনি ভোট দিচ্ছেন। সরকারি বিশেষ সুযোগসুবিধা তিনি না পেলেও গণতন্ত্রের শরিক তিনি। সরকারের কাছে তাঁর বিশেষ কোনও চাহিদাও নেই। যেভাবে জীবন চলছে সেভাবেই চলবে।

আরও পড়ুন: হাতে আর বেশি সময় নেই… শুরু হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, ঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে দক্ষিণের জেলা ঝাড়গ্রামে! আবহাওয়ার জরুরি বার্তা

এ বিষয়ে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কি পাঁজা বলেন, প্রতিবারই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা নিজের ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করেন। এ বছরও তাঁরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছেন।

খাদ্যবস্ত্রের প্রয়োজনে রাস্তায়-রাস্তায় কাটে তাঁদের গোটা জীবন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। বহু লড়াইয়ের পর তাঁরা গণতন্ত্রের অধিকার পেয়েছেন। ‌তাই ভোটের এই উৎসবে তাঁরাও সমান ভাবে অংশীদার।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

বৃহন্নলাদের মৃতদেহ পোড়ানো হয় মাঝরাতে! সাধারণ মানুষের ‘নো-এন্ট্রি’ সেখানে, বড় রহস্য

কলকাতা: এই পৃথিবীতে যার জন্ম হয়েছে, তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত। এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় অপরিবর্তনীয় সত্য। এই সত্য থেকে কেউ পালাতে পারেনি। শেষকৃত্য নিয়ে আমাদের সমাজে বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে।

কিন্তু আপনি কি জানেন, সাধারণ নিয়মের বিপরীতে গিয়ে বৃহন্নলারা রাতে তাদের শবযাত্রা বের করেন। রাতের অন্ধকারে মৃতদেহের শেষকৃত্যও হয়। আপনার মনে নিশ্চয়ই এই প্রশ্ন জাগছে, বৃহন্নলারা কেন এমন করেন?

আসলে তাঁদের জীবন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো সহজ নয়। পদে পদে লড়াই করতে হয় তাঁদের। জন্মের সময় থেকে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তাঁদের এই লড়াই চলে।

আরও পড়ুন- গড়গড় করে বলতে থাকে কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র, সরস্বতী মন্ত্র! ছোট্ট একরত্তির প্রতিভা

কারও ঘরে সন্তান জন্ম নিলে তাঁরা এসে আশীর্বাদ করেন। বলা হয়, তাঁদের আশীর্বাদে সন্তানের ভবিষ্যৎ আলোকিত হয়। তবে তাঁদেরই জীবন-সংক্রান্ত গোপন রহস্য অধিকাংশ মানুষের কাছেই উন্মোচিত হয়নি। একজন বৃহন্নলা মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিজনরা মৃত্যুর উদযাপন করেন। পোশাক বিতরণ করা হয়। নাচ-গান হয়। এমনকী রাতের অন্ধকারে মৃতদেহের সৎকার করা হয়।

জ্যোতিষী-পণ্ডিত শত্রুঘ্ন ঝা জানান, এর পিছনে একটি বড় কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, বৃহন্নলারা সমাজের জন্য তাদের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁদের মৃত্যুর পরেও তাঁরা সমাজের জন্য উদ্বিগ্ন থাকেন। তিনি আরও বলেন, বৃহন্নলারা বিশ্বাস করেন, বৃহন্নলা হয়ে জন্ম নেওয়া তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। এই জীবন তাঁদের কাছে নরক যন্ত্রণার মতো।

একজন বৃহন্নলা মারা গেলে তাই তাঁরা উদযাপন করেন। আসলে তাঁরা ভাবেন, এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি হয়েছে। যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তিনি এই নারকীয় জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

আরও পড়ুন- ছোট্ট ‘এই’ কাজ করলেই হাতেহাতে কড়কড়ে ৫০০০টাকা! কী করতে হবে? কী ভাবে পাবেন টাকা?

শুধু তাই নয়, বৃহন্নলাদের শবযাত্রা সাধারণ মানুষকে দেখতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য রাতের আঁধারে তাদের শবযাত্রা বের করা হয়। এমনকী মৃতদেহও রাতেই সৎকার করা হয়।