Tag Archives: transport

Transport Fine: গাড়ির মালিকদের জন্য স্বস্তি! যানবাহন থেকে দূষণ ছড়ানোর ঘটনায় জরিমানা ১০ হাজার থেকে এক লপ্তে কমল অনেকটাই! জানুন এবার থেকে কত টাকা দিতে হবে

কলকাতা : গাড়ি থেকে দূষণ ছড়ানো সংক্রান্ত অভিযোগে যে জরিমানা প্রথমেই দশ হাজার টাকা ছিল, এ বার থেকে তা প্রথমবার দুই হাজার, দ্বিতীয়বার পাঁচ হাজার, সর্বশেষ সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা ফাইন হবে।জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’-এর অন্যতম আহ্বায়ক ও ‘অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন আর জরিমানা বাকি থাকার হিসাব দেখানো হচ্ছে না।’’ ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহার কথায়, ‘‘এর ফলে অনর্থক আর্থিক বোঝা কমবে।’’

একই মত স্কুলগাড়ি সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ দত্তের। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোটর ভেহিকলস্‌ আইনে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত যোগ হয়েছে। এর পরেই জরিমানা আদায়ে পরিবহণ দফতর বিষয়টি নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছে।পুজোর ঠিক আগে নির্দেশ দিয়ে পরিবহণ দফতর জানিয়েছিল, পথকর ছাড়াও রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জন্য ধার্য জরিমানা না মেটালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত শংসাপত্র মিলবে না। কিন্তু ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জন্য ধার্য জরিমানা সংক্রান্ত বিষয় নির্দেশিকা থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠন চিঠি লেখে পরিবহণ সচিবকে।

এর পরেই সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন দফতরের আধিকারিকেরা। তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে জরিমানার অঙ্ক যোগ করার বিষয়টি প্রত্যাহার হল।সম্প্রতি পরিবহণ দফতর, ময়দান তাঁবুতে বিভিন্ন বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সেখানে ওই সংগঠনের কর্তারা বলেছিলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় দূষণ মাপার স্বয়ংক্রিয় মেশিন (আরএসভি) বসানো হয়েছে। সেই মেশিনের আওতাধীন এলাকায় দিয়ে যাতায়াত করা বৈধ পিইউসি করা গাড়ির মালিকদের মোবাইলে জরিমানা সংক্রান্ত মেসেজ আসছে।

আরও পড়ুন : বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে? কলকাতায় কত দিন পর্যন্ত চলবে বর্ষণ? জানুন মেগা আপডেট

সে সময় জানানো হয়, সাতটি কাজের দিনের মধ্যে ওই গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষা না করালে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বাধ্যতামূলক। এই সিদ্ধান্তের কথা সামনে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর। অনেকেই বলেন, এই টাকা অনেকটাই বেশি। এই বিপুল পরিমাণ জরিমানা দেওয়ার সম্ভব নয়। সেই কারণে জরিমানার মূল্য কমানোর জন্য আবেদনও করা হয়। মোটর ভিকেল এক্ট ২০১৯ (Motor Vehicles (Amendment) Bill, 2019) ।

এই আইনানুসারে আপনাকে প্রচুর টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। এই নিয়মানুসারে কোনও নাবালক / নাবালিকা গাড়ি চালালে তার রেজিস্ট্রেশন তো বাতিল করে দেওয়াই হবে, সেইসঙ্গে জরিমানা স্বরূপ ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। যা আগে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা ছিল। দুই চাকার গাড়িতে দু-জনের বেশি বসলে ৫০০ টাকা জরিমানা, যা আগে ১০০ টাকা ছিল। দূষণ সার্টিফিকেট না থাকলে আগে ১০০ টাকা জরিমানা দিতে হত, এখন তার জন্য ৫০০ টাকা দিতে হবে।  লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে আগে জরিমানা ছিল ৫০০ টাকা, এখন সেটার জন্য ৫০০০ টাকা দিতে হবে।   বিপজ্জনক ভাবে ড্রাইভিং করলে এখন এক হাজারের বদলে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।  ড্রাইভিং করার সময় ফোনে কথা বললে ১ হাজারের পরিবর্তে ৫০০০ টাকা জরিমানা। রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেলে ১১০০-এর পরিবর্তে জরিমানা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০০-এ দাঁড়িয়েছে।  সিগন্যালে লালবাতি  অমান্য করার অপরাধে আপনাকে ১০০ টাকার বদলে ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সিটবেল্ট ছাড়া গাড়ি চললে জরিমানা হবে ১০০০ টাকা। এমার্জেন্সি গাড়ি গুলিকে অর্থাৎ অ্যাম্বুল্যান্স বা দমকলের গাড়িকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জায়গা না দিলে জরিমানা হবে ১০,০০০ টাকা।

GK: বলুন তো, দেশে সবচেয়ে বেশি সাইকেল চলে কোন রাজ্যে? নামটা জানলে কিন্তু বিশ্বাস হবে না!

যানবাহনের মধ্যে সাইকেল হল এমন একটি যান, আপনি খুব সহজেই স্বল্প খরচায় কিনতে পারবেন। সাইকেল চালিয়ে পৌঁছাতে পারবেন বহু জায়গায়। ভারতে এমন একটি রাজ্যও আছে যেখানে সাইকেল চালিয়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন, অফিস, স্কুল, কলেজ এমনকি হাট বাজারেও।
যানবাহনের মধ্যে সাইকেল হল এমন একটি যান, আপনি খুব সহজেই স্বল্প খরচায় কিনতে পারবেন। সাইকেল চালিয়ে পৌঁছাতে পারবেন বহু জায়গায়। ভারতে এমন একটি রাজ্যও আছে যেখানে সাইকেল চালিয়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন, অফিস, স্কুল, কলেজ এমনকি হাট বাজারেও।
ভারতের মতো দেশে সাইকেল নামক বাহনটির অবদান কিন্তু কম নয়। অনেকেই হয়তো জানেন না এই দেশে এমন একটি রাজ্য আছে যা সাইকেল রাজধানী নামে পরিচিত।
ভারতের মতো দেশে সাইকেল নামক বাহনটির অবদান কিন্তু কম নয়। অনেকেই হয়তো জানেন না এই দেশে এমন একটি রাজ্য আছে যা সাইকেল রাজধানী নামে পরিচিত।
বলতে পারবেন কোন রাজ্য? নামটা শুনলে আপনি নিশ্চয় চমকে উঠবেন। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে এই তকমা। ২০১৯ থেকে ২০২১ জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী। পশ্চিমবঙ্গের ৭৮.৯% পরিবারে আছে দু চাকার সাইকেল। রাজ্য সরকারের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের কারণে এই নজির।
বলতে পারবেন কোন রাজ্য? নামটা শুনলে আপনি নিশ্চয় চমকে উঠবেন। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে এই তকমা। ২০১৯ থেকে ২০২১ জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী। পশ্চিমবঙ্গের ৭৮.৯% পরিবারে আছে দু চাকার সাইকেল। রাজ্য সরকারের ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের কারণে এই নজির।
সারা দেশ জুড়ে ৫০.৪% মানুষ সাইকেল চালায়। বাংলায় সেখানে সাইকেল চালানোর হার ৭৮.৯% । বাংলার পরেই আছে উত্তর প্রদেশ। দেশের প্রথম সাইক্লিং হাইওয়ে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে ইটাওয়া পর্যন্ত। উত্তর প্রদেশে সাইকেল চালানোর হার ৭৫.৬% । তারপরে আছে ওড়িশা, ছত্তিসগড় ও অসম। ওড়িশায় সাইকেল চালানোর হার ৭২.৫% ।
সারা দেশ জুড়ে ৫০.৪% মানুষ সাইকেল চালায়। বাংলায় সেখানে সাইকেল চালানোর হার ৭৮.৯% । বাংলার পরেই আছে উত্তর প্রদেশ। দেশের প্রথম সাইক্লিং হাইওয়ে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে ইটাওয়া পর্যন্ত। উত্তর প্রদেশে সাইকেল চালানোর হার ৭৫.৬% । তারপরে আছে ওড়িশা, ছত্তিসগড় ও অসম। ওড়িশায় সাইকেল চালানোর হার ৭২.৫% ।
ছত্তিশগড়ে ৭০.৮% মানুষ সাইকেল চালায়। অসমে সাইকেল চালানোর হার ৭০.৩% । সাইকেল ব্যবহারে তারপরে আছে পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড ও বিহার। পঞ্জাবে ৬৭.৮% সাইকেলের ব্যবহার। ৬৬.৩% মানুষ ঝাড়খণ্ডে সাইকেল চালায়। বিহারে ৬৪.৮% মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে। দূষণ বিহীন পরিবহন মাধ্যম সাইকেল শরীরের জন্যও ভাল।
ছত্তিশগড়ে ৭০.৮% মানুষ সাইকেল চালায়। অসমে সাইকেল চালানোর হার ৭০.৩% । সাইকেল ব্যবহারে তারপরে আছে পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড ও বিহার। পঞ্জাবে ৬৭.৮% সাইকেলের ব্যবহার। ৬৬.৩% মানুষ ঝাড়খণ্ডে সাইকেল চালায়। বিহারে ৬৪.৮% মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে। দূষণ বিহীন পরিবহন মাধ্যম সাইকেল শরীরের জন্যও ভাল।
শরীরের দিকে খেয়াল রাখলে সাইকেল চালানো সত্যিই উপকারী। ওজন কমাতে হলে সাইক্লিং করার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকে। পাশাপাশি নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের পেশী শক্তি হয়।
শরীরের দিকে খেয়াল রাখলে সাইকেল চালানো সত্যিই উপকারী। ওজন কমাতে হলে সাইক্লিং করার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকে। পাশাপাশি নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের পেশী শক্তি হয়।
শরীরের গঠন ঠিক রাখা, স্বাস্থ্য উন্নতি এসব বাদ দিয়েও সাইকেল হলো পরিবেশ বান্ধব। জ্বালানির প্রয়োজন না পড়ায় বায়ু দূষণ কমে। ঠিক তেমনই অর্থ সঞ্চয়ও কম যায়।
শরীরের গঠন ঠিক রাখা, স্বাস্থ্য উন্নতি এসব বাদ দিয়েও সাইকেল হলো পরিবেশ বান্ধব। জ্বালানির প্রয়োজন না পড়ায় বায়ু দূষণ কমে। ঠিক তেমনই অর্থ সঞ্চয়ও কম যায়।