বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদির মনোনয়ন। রোড শো করে মনোনয়নে মোদি। মনোনয়নে হাজির মন্ত্রিসভা। সকাল থেকে বারাণসীতে একাধিক কর্মসূচি। দশাশ্বমেধ ঘাটে পুজো ও আরতি। কালভৈরব মন্দিরে পুজো নরেন্দ্র মোদির।
Tag Archives: Varanasi
গঙ্গার ঘাটে নেই কোনও কোলাহল, বারাণসী জুড়ে বিরাজ করছে যেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা; হঠাৎ কী এমন হল?
রেলস্টেশনে খিদে-তৃষ্ণায় কাতর যুবক; উদ্ধার করার পরে তাঁর পরিচয় জেনে চমকে গেলেন উদ্ধারকারীরা !
বারাণসী: বছর দু’য়েক আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক এসএসবি জওয়ান। আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁর খোঁজ মিলল বাড়ি থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। সেখানে এক হোটেলে বাসনকোসন মেজে তাঁকে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই এসএসবি জওয়ান আদতে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। আর তাঁর নাম হল প্রভু।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মাসখানেক আগে সঞ্জয় পাল নামে এক সমাজকর্মী ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক এসএসবি জওয়ানকে উদ্ধার করেছিলেন। স্টেশনে ওই জওয়ানকে ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কষ্ট পেতে দেখা গিয়েছিল। ফলে উদ্ধার করে ওই যুবককে নিজের আশ্রমে নিয়ে যান সমাজকর্মী সঞ্জয় পাল। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর আশ্রমেই চিকিৎসা চলেছে ওই জওয়ানের। যখন তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়, তখন জানা যায় যে, তিনি এসএসবি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। এরপর ২০২২ সালে তাঁর মানসিক অবস্থার অবনতির কারণে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।
এদিকে তামিলনাড়ুরই একটি থানায় ওই জওয়ানের নামে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল প্রায় ২ বছর আগে। সমাজকর্মী সঞ্জয় জানান, এসএসবি জওয়ান প্রভুর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সব কিছু জানা যায়। তারপরেই তাঁরা দক্ষিণ ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানে অরুণ কুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অরুণ কুমারকে এই জওয়ানের বিষয়ে জানানো হয়। সেখান থেকেই প্রভুর পরিবারের কাছে খবর যায়।
পুলিশের ইউনিফর্মে ছিনতাই ! দুর্বৃত্তকে হাতেনাতে ধরতেই ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
বারাণসী: সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দায়িত্বে সদা সচেতন বলেই নাগরিকের জীবনও সুরক্ষিত। দুর্নীতি সব জায়গাতেই থাকে, ফলে, অসৎ পুলিশকর্মীরাও মাঝে মাঝে খবরের শিরোনামে নিজেদের জায়গা করে নেন। কিন্তু এবার যাঁকে নিয়ে চাঞ্চল্য, সেই ঘটনা কিছুটা আলাদা।
জানা গিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকা এক ব্যক্তিতে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ, সংক্ষেপে জিআরপি। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসছিল অনেক দিন ধরেই। তদন্তে নেমে অবাক যান জিআরপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন– রাম নাম সত্য… দুর্বৃত্তদের শেষ হুঁশিয়ারি যোগী আদিত্যনাথের
রাজবীর যাদব নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির জীবনযাপন ছিল রীতিমতো বিলাসবহুল। এই বিলাসবহুল জীবন কাটানোর জন্য একটি পয়সাও যদিও তিনি কোনও দিন খরচ করেননি। তিনি শুধু একটি নকল পুলিশের ইউনিফর্ম তৈরি করিয়েছিলেন।
জেরায় রাজবীর বলেছেন যে প্রথম যখন ওই ইউনিফর্ম পরে এক চায়ের দোকানে যান, চা খাওয়ার পরে দোকানদার তার দাম নেননি। এতে তাঁর সাহস বাড়ে। পরের ধাপে তিনি এক রেস্তোরাঁয় যান, সেখানেও খেয়ে আসেন বিনামূল্যে। এর পরে তাঁর আত্মবিশ্বাস চরমে পৌঁছে যায়।
পুলিশকর্মীর প্রতি নাগরিকের শ্রদ্ধার সুযোগ তুলতে থাকেন রাজবীর। প্রতারণার কেন্দ্র হিসেবে তিনি বেছে নেন বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনকে। সেখানে পুলিশকর্মী সেজে নানা অভিযোগে যাত্রীদের হেনস্থা করে টাকা আদায় করা ছিল তাঁর নিত্য কাজ।
আরও পড়ুন– রাশিফল ৫ ফেব্রুয়ারি- ১১ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ
যে দল রাজবীরকে হাতেনাতে ধরতে সমর্থ হয়েছে, তার তরফে জিআরপি অফিসার কুনওয়ার প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত গাজিয়াবাদের বাসিন্দা এবং চুরির অভিযোগে জেলও গিয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়ে বেনারসে এসে পুলিশের ইউনিফর্মে চুরি ও জালিয়াতি শুরু করেন। ক্রমাগত অভিযোগ আসতে শুরু করে, তারপর শুরু হয় সিসিটিভি স্ক্যানিং। এরপর ফাঁস হয় ভুয়ো পুলিশের ব্যাপার।
রাজবীরকে ধরতে দুটি টিম গঠন করা হয় যাতে সাধারণ পোশাক ও ইউনিফর্মে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গতকাল রাতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন অভিযুক্ত। সিং বলেন, ভুয়ো কনস্টেবলের কাছ থেকে চুরি করা দামি ল্যাপটপ, আইপ্যাড, অ্যাপল মোবাইল এবং কিছু নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করে অভিযুক্তকে জেলে পাঠিয়েছে।
General Knowledge: মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা নয়! বলুন তো ভারতের সবচেয়ে পুরনো শহর কোনটি? ৯০% মানুষই কিন্তু জানেন না! আপনি জানেন?
রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবক; জিআরপি এসে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি খুলতেই এ কী কাণ্ড… চমকে গেলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
Varanasi: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া, এক বছর ধরে মৃত মায়ের দেহ আগলে দুই মেয়ে, দরজা খুলতেই….
বারাণসী: এক বছর ধরে মায়ের মৃতদেহ নিয়ে একঘরে বসবাস করছেন দুই মেয়ে। শিহরণ জাগানো এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের আত্মীয়রা আসার পর কেউ গেট না খোলায় তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ উদ্ধার করে মৃতা মায়ের কঙ্কাল। কিন্তু কেন মায়ের মৃতদেহ এইভাবে ঘরের মধ্যে বন্ধ রেখেছিল দুই সন্তান? কীভাবে মারা গেছিলেন ওই মহিলা? ঘটনার কারণ হিসেবে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ঘটনাটি লঙ্কা থানা এলাকার মাদারওয়া গ্রামের। দারোয়ার বাসিন্দা ঊষা ত্রিপাঠি ৮ ডিসেম্বর ২০২২ সালে মারা যান। তাঁর দুই মেয়ে পল্লবী এবং বৈশ্যিক ত্রিপাঠী। পল্লবী ত্রিপাঠী (২৭) একজন সাধু। এবং মৃতা উষা ত্রিপাঠীর ছোট মেয়ে বৈশ্যিক দশম শ্রেণির ছাত্রী।
আরও পড়ুন: উত্তরকাশীতে ‘হিরো’ এই ১২ র্যাট হোল মাইনার্স
মায়ের মৃতদেহ কেন আগলে রেখেছিল দুই মেয়ে? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বোনে জানায় শবদেহ সত্কারের অর্থ না থাকায় তাঁরা এই কাজ করেছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই বোনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে পুলিশবাহিনী।
উষা ত্রিপাঠীর লাশ বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে। মৃতার দুই কন্যা জানায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মারা গিয়েছেন তাঁদের মা। এবং আর্থিক অভাবের কারণেই তাঁরা মায়ের সত্কার করতে পারেননি। এক বছর ধরে কীভাবে নিজেদের ভরণ পোষণ চালিয়েছেন ওই দুই কন্যা? পুলিশ জেরার মুখে পল্লবী এবং বৈশ্যিক জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়ির গয়না, বাসন-সহ দামি জিনিসপত্র বিক্রি করেই খরচ চালিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই মৃতার কঙ্কাল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। উষা ত্রিপাঠীর মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লঙ্কা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, কঙ্কালের পোস্টমর্টেম করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলেই বিষয়টি জানা যাবে। তিনি এও জানান,‘‘মেয়ে দুটিকেও মানসিকভাবে অসুস্থ বলেই মনে হচ্ছে।’’