Tag Archives: Visa
Visa-Passport Support Online: ভিসা-পাসফোর্টের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া হয়ে গেল আরও সহজ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট, জানুন পদ্ধতি
কলকাতা: প্রবাসে চাকরি বা পড়াশোনার সুযোগ পেলেও দিনের পর দিন পাসফোর্ট – ভিসার বা ইমিগ্রেশনের জন্য ঘুরতে হয়। তাই এবারে জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য পুলিশের সিআইডির। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পিসিসি) জমা দিতে হয়। সেই কাজ এবার থেকে ঘরে ল্যাপটপ বা ডেস্ক টপে বসেই করা যাবে। এই রাজ্যে যে কোনও জেলায় বসে আপনি করতে পারবেন পিসিসি-র আবেদনের কাজ। রাজ্য পুলিশের সিআইডির উদ্যোগে শুক্রবার থেকে চালু হল নতুন পিসিসি পোর্টাল। লিঙ্ক – https://pcc.wb.gov. in.
এই পোর্টালে গিয়ে সাধারণ মানুষ যে কোনও জায়গায় বসে কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পরিষেবার জন্য ৩০০ টাকা ফি দিতে হবে, যা ফর্ম পূরণের সময় অনলাইনেই দেওয়া যাবে। আবেদন মঞ্জুর হলে সাত দিনের মধ্যে পিসিসি পেয়ে যাবেন আবেদনকারী। পোর্টাল থেকেই সেই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে।
এদিন ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন সিআইডি এডিজি রাজশেখরণ, আইজি (ট্রাফিক) সুকেশ জৈন। এছাড়া, ছিলেন এডিজি (হেড কোয়ার্টার) অজয় কুমার এবং এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।
আরও পড়ুন: এখন তো আয়ত্তের মধ্যে, কিন্তু বাড়ছে কি সরষের তেলের দাম? কী বলছে বাজার!
তাঁরা জানান, আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ভাড়াটেদের নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য ‘টেন্যান্ট ভেরিফিকেশন পোর্টাল’ চালু করা হবে। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের জন্যই পিসিসি পোর্টাল ছিল। এবার থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে পোর্টালটি চালু হয়ে গেল। রাজ্য পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও কোনও ব্যক্তি পিসিসি পোর্টালের লিঙ্ক পেয়ে যাবেন যে কেউ।
কীভাবে আবেদন করবেন? পুলিশ কর্তারা জানান, আবেদনকারীকে প্রথমে পোর্টালে ঢুকে ‘অ্যাপ্লাই ফর পিসিসি’-তে ক্লিক করতে হবে। তারপর নিজের ফোন নম্বর দিয়ে চার ডিজিটের ওটিপি যাচাই করাতে হবে। ওটিপি দিলে এপ্লিকেশন পেজ আসবে। এরপর একটি নতুন ড্যাশবোর্ড খুলবে। সেখানে একটি ফর্ম দেখা যাবে। ভিসা বা এমপ্লয়মেন্ট কিসের জন্য পিসিসি আবেদন সেটা জানাতে হবে। আপনার বিরুদ্ধে কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড বা ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের রেকর্ড আছে কি না, তা-ও এই সাইটে জানতে চাইবে ও তা দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: সায়ন্তিকা-রেয়াতের পরে সদ্য জয়ী চার বিধায়কের শপথ ঘিরেও ধোঁয়াশা, ফের শুরু চিঠির যুদ্ধ
ওই ফর্ম পূরণের শুরুতেই আবেদনকারীর আধার কার্ডের নম্বর দিতে হবে। তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফর্মটির অর্ধেকের বেশি শূন্যস্থান পূরণ হয়ে যাবে। বাকিটুকু নিজেকেই পূরণ করে, অনলাইনে ফি জমা করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করলেই হবে।
এরপর সেই আবেদন স্থানীয় থানা এবং ডিসি অথবা এসপি দফতরে পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে আবেদনপত্র যাচাইয়ের পর মঞ্জুর হলে আবেদনকারীর ফোনে মেসেজ যাবে। তারপর তিনি ওই পোর্টাল থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন। কোনও কারণে আবেদনপত্র খারিজ হলে সেটিও পোর্টালেই দেখা যাবে। ফলে এবারে থেকে হন্যে হয়ে দিনের পর দিন না ঘুরেও অতি সহজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে অনলাইনেই।