Tag Archives: Viswakarma Puja 2024
West Bardhaman News: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই খারাপ খবর! উৎসবের মরশুমে বিরাট চিন্তা বাড়ছে
পশ্চিম বর্ধমান: সপ্তাহ ঘুরলেই বিশ্বকর্মা পুজো। তারপর আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বাঙালির পুজো পুজো ভাব। কিন্তু উৎসবের মরশুমের আগেই খারাপ খবর। পুজোর ফুলে কি টান পড়বে? বাজারে ফুলের দাম অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফুল কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। পুজোর স্বার্থে যেটুকু ফুল না হলেই নয়, সেটুকু কিনছেন সবাই।
বিশেষ করে বাজারে গাঁদা ফুলের দাম এবং রজনীগন্ধার দাম আকাশ ছোঁয়া। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে এই ফুল দুটি বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে খোলা বাজারে। এক একটি গাঁদা ফুলের চেনের দাম যেখানে অন্যান্য সময় ১০ টাকা ১৫ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, এখন সেটি ৩০-৪০ টাকাতে পৌঁছে যাচ্ছে। গত অগাস্ট মাসে সেই দাম আরও বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। একই অবস্থা রজনীগন্ধার ক্ষেত্রেও।
কিন্তু হঠাৎ এমন অবস্থা হল কেন? ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছরের রজনীগন্ধার ফলন কম রয়েছে। যে কারণে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রজনীগন্ধার দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু গাঁদার ফলন ভাল রয়েছে বলেই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে তাদের অভিযোগ, কৃষকরা বেশি দামে পাইকারি বাজারের গাঁদা বিক্রি করছেন। ফলে ছোট ব্যবসায়ীদের সেই ফুল আরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ক্রেতাদের হাতে পৌঁছতে পৌঁছতে দাম আরও খানিকটা বাড়ছে।
আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন
এমন অবস্থায় বাড়ছে আশঙ্কা। উৎসবের মরশুমে ফুলে টান পড়তে পারে, সেই আশঙ্কাও বাড়ছে। কারণ অত্যাধিক দামের কারণে শুধুমাত্র প্রয়োজনের ফুলটুকু কিনছেন ক্রেতারা। বেশি দামের জন্য গাঁদা এবং রজনীগন্ধার বিক্রিও কমেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত গোলাপ, পদ্ম ফুলের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু এখন যে দামে ফুল বিক্রি হচ্ছে, সেই দাম পুজোর আগে কমার আশা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে পুজোর সময় ফুল কিনতে গিয়ে যে কিছুটা নাকাল হতে হবে, সেই বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই।
নয়ন ঘোষ
Viswakarma Puja Date & Time 2024: এ বছর বিশ্বকর্মা পুজো কবে? প্রতি বারের মতো বাঁধাধরা দিন নয়? চমকে যাবেন পুজোর দিনক্ষণ জানলে!
প্রতি বছর বিশ্বকর্মাপুজোয় ছোট-বড় কারখানা, দোকান, শিল্প, কোম্পানি এমনকী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও স্থপতি বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস, এই দিন বিশ্বকর্মার পুজো করলে সম্পত্তি এবং ব্যবসার বৃদ্ধি হয়। আর্থিক উন্নতি হয় ভক্তদের। লোকাল 18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হরিদ্বারের জ্যোতিষী পণ্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন ভগবান বিশ্বকর্মার কথা। তিনি জানান, ‘‘বিশ্বকর্মা হলেন ব্রহ্মার সপ্তম পুত্র। প্রতি বছর বাংলার ১ আশ্বিন তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। বিশ্বকর্মাকেই মহাবিশ্বের প্রথম স্থপতি, কারিগর এবং প্রকৌশলী বলে মনে করা হয়। এই দিনে ভগবান বিশ্বকর্মার আরাধনা করলে সকল মনস্কামনা পূরণ হয়। চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির সুযোগ লাভ হয় বলে বিশ্বাস ভক্তদের।
বিশ্বাস করা হয়, যন্ত্র, যানবাহন এবং সরঞ্জামে স্বয়ং বিশ্বকর্মা অধিষ্ঠান করেন। তাই এই দিন যন্ত্রপাতিরও পুজো করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এর ফলে কাজ নির্বিঘ্নে হয়, সময়ের অপচয় হয় না। সব কাজ সহজে সম্পন্ন হয়। ব্যবসা বা নির্মাণ সংক্রান্ত কাজে বাধা থাকলে কেটে যায় তাও। নিষ্ঠাভরে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করলে শিল্প ও ব্যবসার বৃদ্ধি হয়। মেলে আর্থিক লাভ।
আরও পড়ুন : ডিম ঝালমুড়ি! পাহাড়ে প্রকৃতির কোলে এই মুখরোচক চটপটা খেলে বেড়ানোর মজা জমজমাট
দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিংহ রাশিতে অবস্থান করবেন সূর্যদেব। পরদিন অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭.৫২ মিনিটে সূর্য প্রবেশ করবেন কন্যারাশিতে। জ্যোতিষীদের মতে, কন্যা সংক্রান্তিতে প্রকট হয়েছিলেন বিশ্বকর্মা। সূর্য যেহেতু ১৬ সেপ্টেম্বর কন্যা রাশিতে প্রবেশ করবেন তাই ওইদিন কন্যা সংক্রান্তি পালিত হবে। বিশ্বকর্মা পুজোও তাই হবে ওই দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২.১৬ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.২৫ মিনিট পর্যন্ত শুভ সময়। মহা পুণ্যকাল বিকাল ৪.২২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.২৫ মিনিট পর্যন্ত। আবার কোনও কোনও পঞ্জিকা মতে বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত হবে ১৭ সেপ্টেম্বর।