Tag Archives: volcano

Knowledge: ভারতের একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি! কোথায় আছে জানেন? একটু দূর থেকে দেখেও আসতে পারেন

২০১৭ সালে ১৫০ বছরের ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরি ফের অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছিল। জ্বালামুখ থেকে গড়িয়ে পড়েছিল ফুটন্ত লাল লাভা। গরম ছাই-এ আকাশ হয়ে উঠেছিল ঘন কালো। ভারতের একমাত্র জীবিত আগ্নেয়গিরি ব্যারেন ফের গা ঝাড়া দিয়ে ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। গোয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসেনোগ্রাফি (এনআইও) এই খবর জানিয়েছিল।
২০১৭ সালে ১৫০ বছরের ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা আগ্নেয়গিরি ফের অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছিল। জ্বালামুখ থেকে গড়িয়ে পড়েছিল ফুটন্ত লাল লাভা। গরম ছাই-এ আকাশ হয়ে উঠেছিল ঘন কালো। ভারতের একমাত্র জীবিত আগ্নেয়গিরি ব্যারেন ফের গা ঝাড়া দিয়ে ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। গোয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসেনোগ্রাফি (এনআইও) এই খবর জানিয়েছিল।
আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি। ১৫০ বছর ধরে সুপ্ত থাকার পর ১৯৯১ সালে প্রথম জেগে ওঠে এটি। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই অগ্ন্যুৎপাত হতে দেখা যায়।

আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরি। ১৫০ বছর ধরে সুপ্ত থাকার পর ১৯৯১ সালে প্রথম জেগে ওঠে এটি। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই অগ্ন্যুৎপাত হতে দেখা যায়।
আন্দামান বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঝকঝকে নীল সাগরের বুকে সাজানো পান্না সবুজ দ্বীপগুলি। অপার রহস্যে মোড়া। না, শুধু সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য বা প্রাচীন জনজাতি নয়, বেশ কিছু দ্বীপে বিস্ময় বৈচিত্র্যের ডালি সাজিয়েছে নানা ধরনের আগ্নেয়গিরিও।
আন্দামান বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঝকঝকে নীল সাগরের বুকে সাজানো পান্না সবুজ দ্বীপগুলি। অপার রহস্যে মোড়া। না, শুধু সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য বা প্রাচীন জনজাতি নয়, বেশ কিছু দ্বীপে বিস্ময় বৈচিত্র্যের ডালি সাজিয়েছে নানা ধরনের আগ্নেয়গিরিও।
আন্দামানের ব্যারেন দ্বীপের আগ্নেয়গিরিটি ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সক্রিয় বা জীবন্ত  আগ্নেয়গিরি। যেটির থেকে নিয়মিতভাবে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে চলেছে। এটি উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরের ‘সুন্ডা ভলক্যানিক আর্ক সিস্টেম’ বা সুন্ডা আগ্নেয় বলয়ের অন্তর্গত একটি ‘স্ট্র্যাটো ভলক্যানো’ শ্রেণির আগ্নেয়গিরি। অর্থাৎ যে আগ্নেয়গিরিটি স্তরে স্তরে ছাই, লাভা ইত্যাদি জমে শঙ্কুর আকারে গড়ে উঠেছে।
আন্দামানের ব্যারেন দ্বীপের আগ্নেয়গিরিটি ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সক্রিয় বা জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। যেটির থেকে নিয়মিতভাবে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে চলেছে। এটি উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরের ‘সুন্ডা ভলক্যানিক আর্ক সিস্টেম’ বা সুন্ডা আগ্নেয় বলয়ের অন্তর্গত একটি ‘স্ট্র্যাটো ভলক্যানো’ শ্রেণির আগ্নেয়গিরি। অর্থাৎ যে আগ্নেয়গিরিটি স্তরে স্তরে ছাই, লাভা ইত্যাদি জমে শঙ্কুর আকারে গড়ে উঠেছে।
পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, ৩ কিলোমিটার চওড়া দ্বীপভূমির প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়েই রয়েছে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ। আগ্নেয়গিরিটি মাটির উপরে ৩৫৪ মিটার এবং মাটির নীচে ২ হাজার ২৫০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। জ্বালামুখটি তিনদিকে পাথরের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা থাকলেও পশ্চিম দিকটি খোলা। প্রায় ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে, ভূতাত্ত্বিক ‘প্লিস্টোসিন যুগ’-এর শেষ দিকে, কোনও বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাতে এই অংশটি ভেঙে গিয়েছে বলে অনুমান করা হয়। জ্বালামুখের এই খোলা অংশটি দিয়ে আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা গড়িয়ে সমুদ্রে পড়ে।
পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, ৩ কিলোমিটার চওড়া দ্বীপভূমির প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়েই রয়েছে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ। আগ্নেয়গিরিটি মাটির উপরে ৩৫৪ মিটার এবং মাটির নীচে ২ হাজার ২৫০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। জ্বালামুখটি তিনদিকে পাথরের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা থাকলেও পশ্চিম দিকটি খোলা। প্রায় ১১ হাজার ৭০০ বছর আগে, ভূতাত্ত্বিক ‘প্লিস্টোসিন যুগ’-এর শেষ দিকে, কোনও বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাতে এই অংশটি ভেঙে গিয়েছে বলে অনুমান করা হয়। জ্বালামুখের এই খোলা অংশটি দিয়ে আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা গড়িয়ে সমুদ্রে পড়ে।
বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ব্যারেন দ্বীপের আগ্নেয়গিরির প্রথম অগ্ন্যুৎপাত হয় প্রায় ১৬ লক্ষ বছর আগে! এরপর দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকার পরে আবার সক্রিয় হয় আগ্নেয়গিরিটি। খ্রিস্টপূর্ব আট হাজার বছর আগেও আগ্নেয়গিরিটি বেশ সক্রিয় ছিল। এর পরবর্তী সময়কালটিতে দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকার পর আগ্নেয়গিরিটি আবার জেগে ওঠে ১৭৫৭ সালে। তবে ১৮৫২ সালের পর দীর্ঘদিন কোনও অগ্ন্যুৎপাত না হলেও প্রায় ১৫০ বছর পর, ১৯৯১ সালে আবার জেগে ওঠে আগ্নেয়গিরিটি। তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই লাভা ও ছাই উগরাচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, ব্যারেন দ্বীপের আগ্নেয়গিরির প্রথম অগ্ন্যুৎপাত হয় প্রায় ১৬ লক্ষ বছর আগে! এরপর দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকার পরে আবার সক্রিয় হয় আগ্নেয়গিরিটি। খ্রিস্টপূর্ব আট হাজার বছর আগেও আগ্নেয়গিরিটি বেশ সক্রিয় ছিল। এর পরবর্তী সময়কালটিতে দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকার পর আগ্নেয়গিরিটি আবার জেগে ওঠে ১৭৫৭ সালে। তবে ১৮৫২ সালের পর দীর্ঘদিন কোনও অগ্ন্যুৎপাত না হলেও প্রায় ১৫০ বছর পর, ১৯৯১ সালে আবার জেগে ওঠে আগ্নেয়গিরিটি। তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই লাভা ও ছাই উগরাচ্ছে।
২০০৫ সালেও অগ্ন্যুত্পাতের ঘটনা ঘটে। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়া-সুমাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের অভিঘাতে প্রলয়ঙ্কর সুনামি ধেয়ে এসেছিল। এর সঙ্গে ২০০৫ সালের অগ্ন্যুত্পাতের ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান। আগ্নেয়গিরিটি শেষবার সক্রিয় ছিল ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৬ মে-র মধ্যে।
২০০৫ সালেও অগ্ন্যুত্পাতের ঘটনা ঘটে। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়া-সুমাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের অভিঘাতে প্রলয়ঙ্কর সুনামি ধেয়ে এসেছিল। এর সঙ্গে ২০০৫ সালের অগ্ন্যুত্পাতের ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান। আগ্নেয়গিরিটি শেষবার সক্রিয় ছিল ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৬ মে-র মধ্যে।
সুতরাং সাম্প্রতিক অতীতে বারে বারে মাঝারি থেকে নিচু মাত্রায় ছাই উগরেছে এবং উত্তপ্ত লাভা স্রোত বেরিয়ে এসেছে আগ্নেয়গিরিটির কেন্দ্রীয় প্রধান জ্বালামুখ ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য অপ্রধান জ্বালামুখ থেকে।
সুতরাং সাম্প্রতিক অতীতে বারে বারে মাঝারি থেকে নিচু মাত্রায় ছাই উগরেছে এবং উত্তপ্ত লাভা স্রোত বেরিয়ে এসেছে আগ্নেয়গিরিটির কেন্দ্রীয় প্রধান জ্বালামুখ ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য অপ্রধান জ্বালামুখ থেকে।
বন দফতরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে, দূর থেকে ব্যারেন দ্বীপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরিটিকে কিন্তু দেখে আসা যায়। জনশূন্য, প্রায় রুক্ষ, পাথুরে দ্বীপটির প্রতিকূল পরিবেশে এখনও কিছু পাখি, বাদুড়, ইঁদুর ও ছাগলের দেখা মেলে। যদিও কাউকে দ্বীপটিতে নামার অনুমতি দেওয়া হয় না।
বন দফতরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে, দূর থেকে ব্যারেন দ্বীপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরিটিকে কিন্তু দেখে আসা যায়। জনশূন্য, প্রায় রুক্ষ, পাথুরে দ্বীপটির প্রতিকূল পরিবেশে এখনও কিছু পাখি, বাদুড়, ইঁদুর ও ছাগলের দেখা মেলে। যদিও কাউকে দ্বীপটিতে নামার অনুমতি দেওয়া হয় না।

সমুদ্রের জল টপকে গ্রামে ঢুকছে লাভা, ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখলে আঁতকে উঠবেন

আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত। সমুদ্রের জল টপকে আগুন ঢুকে পড়ছে গ্রামে। ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখলে আঁতকে উঠবেন।