আলিগড়: উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলায় রাতে হোক বা দিনে। বাইরে বেরোলেই নেকড়েদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে একটি নেকড়ে এসে দুই গ্রামবাসীসহ চার থেকে পাঁচটি শিশুকে হামলা করে। বন রেঞ্জার বলেছেন যে নেকড়েটির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটা অন্য কোনও প্রাণীর আক্রমণ হতে পারে। বর্তমানে বন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন এবং আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ফের হিংস্র জন্তুর আক্রমণের শিকার একাধিক, নেকড়ে না অন্য কিছু! চিন্তায় বন দপ্তর
সূত্রের খবর, ইগলাস এলাকার জহরাউলী গ্রামে রাতে ঘুমে ডুবেছিল সবাই। গ্রামবাসী ঘনশ্যাম সিং জানিয়েছেন, তিনি বাড়ির বাইরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাতের অন্ধকারে হঠাৎ নেকড়েটি তাঁকে আক্রমণ করে। সেই সময় তিনি হাত দিয়ে নেকড়ের চোয়ালটি চেপে ধরেছিলেন এবং সেটিকে ছুঁড়ে ফেলে দেন। প্রাণের ভয় নিয়ে এরপর বাড়ির দিকে ছুট লাগান।
গ্রামবাসীরা তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাতে প্রায় চার-পাঁচটি নেকড়ে আক্রমণ করেছে। ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন। আহত হয়েছে গৃহপালিত পশুরাও। শিশুরাও বাদ যায়নি নেকড়েদের আক্রমণ থেকে৷ গোটা গ্রাম এখন এতটাই আতঙ্কে রয়েছে যে, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা একা বাইরে যেতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে এখন।
আরও পড়ুন : প্রবল বন্যায় বাড়ি-ঘড় ছাড়া অগুনতি মানুষ, ভয়ঙ্কর অবস্থা এই রাজ্যে, একাধিক গ্রাম জলের তলায়
ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার ইগ্লাস সারবীর ভারতী অবশ্য অন্য কথা বলছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, হিংস্র জন্তুটি নেকড়েই কি না তা নিয়ে তাঁর যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ তদন্তের পর বন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা যেটিকে নেকড়ে বলে সন্দেহ করছে সেটা পাগলা কুকুরও হতে পারে। কারন, এখনও পর্যন্ত নেকড়েটির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি এলাকায়। এমন অবস্থায় বনকর্মীরা চুপচাপ বসে নেই৷ গ্রামে ক্যাম্প বসিয়েছে তারা৷ হিংস্র পশুটিকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।