বসিরহাট: গত ১০ দিনে ৩টি অগ্নিকাণ্ড, এলাকার ফায়ার ব্রিগেডের দাবি স্থানীয়দের। একের পর এক লাগাতার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই প্রায় দোকান-সহ ১৪-১৫টি বাড়ি। বৈশাখের প্রথম দিনে সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌমাথাতে পরপর চার চারটি দোকানঘরে আগুন লাগে।
আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় দোকানের একাধিক মালপত্র। গতকাল, মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের জেরে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হল পুরো বাড়ি। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জের পুকুরিয়া এলাকায়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে একসঙ্গে পুড়ল ছ’টি ঘর। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির খাদ্যবস্তু, নগদ টাকা, আসবাবপত্র-সহ প্রয়োজনীয় নথি।
বসিরহাট মহকুমার ফায়ার স্টেশন থেকে হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন এলাকায় দ্বীপ অঞ্চলের দূরত্ব প্রায়ই ৭০ কিলোমিটার। কালিতলা, যোগেশগঞ্জ, সাহেবখালি, দুলদুলি, গোবিন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকাগুলিতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সেখানে পরপর এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত ফায়ার সার্ভিস পরিষেবা পৌঁছানোর আগে আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে যায়। সেজন্য সুন্দরবন এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিন হিঙ্গলগঞ্জের পুকুরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। উল্লেখ্য সন্দেশখালির আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ হিসাবে নজরে আসে রেখা পাত্র। তবে মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোর কথা ভুলছেন না তিনি। আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রেখা। তাঁদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। শুনলেন পরিবারের যন্ত্রণার কথা।
জুলফিকার মোল্যা