শান্তিপুরের অন্যতম বিখ্যাত বাথনা কৃত্তিবাস রেলস্টেশন

Nadia News: থামে ট্রেন, রয়েছে টিকিট কাউন্টারও! কিন্তু সব গন্তব্যের টিকিট মেলে না এই স্টেশনে

নদিয়া:  শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর আসার আগের স্টেশন বাথনা কৃত্তিবাস। আগে হল্ট থাকলেও, বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের রূপ পেয়েছে সেখানে আপ এবং ডাউনের ট্রেন দাঁড়ায় প্রায় সব কটি। রয়েছে টিকিট কাউন্টারও। কিন্তু অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন কিংবা ম্যানুয়াল টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা কোনটাই নেই।  সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে নির্দিষ্ট টিকিট বৈধভাবেই রেলকর্মীরা ওই টিকিট কাউন্টার থেকে দিয়ে থাকেন। তবে নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনের। নিত্য যাত্রীদের অভিযোগ, শিয়ালদহ যাওয়ার ব্যারাকপুর নৈহাটি চাকদা এ ধরনের কয়েকটি স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার টিকিট রয়েছে ভাড়ার তারতম্য অনুসারে অর্থাৎ নৈহাটি যেতে যে ভাড়া লাগে ওই একই ভাড়াতে পরবর্তী দু-তিন স্টেশন পৌছাতে যদি একই ভাড়ার স্ল্যাব থাকে তাহলে সকলকেই ওই নৈহাটিরই টিকিট দেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে টিকিটে তারিখ উল্লেখ না থাকলেও বাথনা স্টেশন থেকে একটি স্টাম্প মেরে দেওয়া হয় ‌যাতে তারিখের উল্লেখ থাকে। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার যাত্রীরা বিতর্কে জড়িয়েছেন টিকিট পরীক্ষকদের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: ট্রেনে কিংবা প্লেনে নয়, দৌড়েই নদিয়া থেকে কাশ্মীর পাড়ি ফুলিয়ার যুবকের

নিত্য যাত্রীরা অভিযোগ করলেন কোনও কোনও দিন গন্তব্যের টিকিট না পেয়ে বাধ্যতামূলক তার থেকে দূরবর্তী কোনও স্টেশনের টিকিট কাটতে বাধ্য হন তারা। স্থানীয় যাত্রীরা অভিযোগ জানালেন কোনও কোনও ক্ষেত্রে, ট্রেন আসার আগে সময় ঠিকমতো কাউন্টার খোলেন না টিকিট বিক্রি করার বরাত পাওয়া বৃদ্ধ সত্য প্রিয় দাস। তবে এবার আরও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, প্রায় চার দিন ধরে বাথনা কৃত্তিবাস রেলওয়ে স্টেশনে নেই টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা! এমনই অভিযোগ রেলযাত্রীদের।গত দুদিন আগে গাংনাপুর থেকে বিশ্বজিৎ পাল নামে এক ব্যক্তি পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিয়ে শান্তিপুর থানার মোড় নিবাসী নিকট আত্মীয় অজয় পাল এর বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে বাথনা কৃত্তিবাস স্টেশনে আসেন। কিন্তু গতকাল ফিরে যাওয়ার সময় বাথনা রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর সাফ কথা,”আমাদের সাপ্লাই না দিলে আমরা দেবো কোথা থেকে!”

আরও পড়ুন:  ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন? শান্তিপুর কলেজে পড়ানো হচ্ছে এইসব বিষয়

যদিও ওই পরিবার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও করেন পরবর্তীতে টিকিট পরীক্ষককে অন্তত সেই প্রমাণ দেখিয়ে ফাইনের হাত থেকে রেহাই পান। তবে তাদের নিকট আত্মীয় শান্তিপুরের বাসিন্দা অজয় পাল প্রশ্ন তোলেন, বর্তমানে ঘোড়ালিয়া থানার মোড় সহ বাথনা রেলস্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ বেশ কিছু এলাকা থেকে এখন এই রেলওয়ে স্টেশনের ভরসা করেন অনেকেই, কিন্তু কোনরকম নোটিশ ছাড়াই এভাবে পরিষেবা বিঘ্নিত করা ঠিক নয় ,অবিলম্বে রেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিক বলেই দাবি করেন।  প্রশ্ন একটাই, যেখানে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন ঢেলে সাজানো হচ্ছে সেখানে তার আগের স্টেশন এ বেহাল দশা কাটবে কবে? রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সাধারণ যাত্রীরা কি মোটা টাকার ফাইন দেবেন? এমনই করছেন তারা প্রশ্ন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath