কলকাতা: ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে আইটি ও সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে ঢেলে সাজিয়ে তৃণমূল বুঝিয়ে দিচ্ছে, শুধু রাজনীতির ময়দানেই লড়াই নয়, জোর টক্কর চলবে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও।মিসড কলে নয়!সদস্যপদ মিলবে সোশ্যাল মিডিয়ার চার প্ল্যাটফর্মে যথাযথ অ্যাকাউন্ট থাকলেই।জানতে হবে সরকারের চালু করা বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে। তাহলেই মিলবে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেলের সদস্যপদ।
সদস্যপদ সংগ্রহে আবেদন জমা পড়েছে কয়েক লক্ষ।সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে আপাতত ১০ হাজার।ফ্যাক্ট চেকে গুরুত্ব দেখেই এই সদস্যপদ সংগ্রহ।লোকসভার আগে সোশাল মিডিয়ার লড়াইকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে, ‘জন কি বাত’ কর্মসূচি। প্রায় নিয়ম করে মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতি সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল।তৃণমূল নেতারা বরাবর বলে থাকেন, দল মমতার নেতৃত্বে আর অভিষেকের সেনাপতিত্বে চলবে। সেই বার্তাই যেন এদিনের সোশাল মিডিয়ার কভার ছবিতে স্পষ্ট হয়ে গেল।
বিজেপির আইটি সেল অত্যন্ত সক্রিয়। অমিত মালব্য়কে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যুতে তারা যেভাবে কখনও প্রচারক, কখনও বিরোধিতার সুর চড়ায় তার সঙ্গে পাল্লা দিতে সেভাবে কোনও রাজনৈতিক দলকেই দেখা যায় না।প্রসঙ্গত, এনডিএ বিরোধী জোট ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A) বিজেপি বিরোধিতায় বিশেষ জোর দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর। এর জন্য বিশেষ সোশ্যাল মিডিয়া কমিটিও তৈরি করেছে তারা। বিভিন্ন রকমের প্রচারেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে এই কমিটিকে। এবার তৃণমূলও আলাদা কমিটি গড়ল আইটি সেলের জন্য।
দেবাংশু ভট্টাচার্য আইটি সেলের ইনচার্জ জানিয়েছেন, মিসড কল দিয়ে আমাদের সদস্যপদ দেওয়া হয় না। তাতে সংগঠন বা দলের সাথে সেই ব্যক্তির আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয় না। আমরা দেখে নিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার চার প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট আছে কিনা। তার প্রেক্ষিতেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ৷ আবেদন জমা পড়েছে। আপাতত প্রায় ১০ হাজার জনকে আমরা সদস্য করেছি। ধাপে ধাপে বাড়বে।
ABIR GHOSHAL