প্রত্যুষা পার্ক 

Travel Destination: শহরের কোলাহল ছেড়ে নিভৃতে সময় কাটাতে চান? বর্ষার মরশুমে এখানে গেলেই মন ভাল হয়ে যাবে

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘুরতে যেতে কমবেশি সকলেই ভালবাসেন। বর্ষার এই মরশুমে সারাদিনের ঝিমঝিমানি বৃষ্টির পর বিকেলে বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে একটু ঘুরে আসার প্ল্যান করেন প্রত্যেকে। দূরে হয়তো যেতে পারেন না অনেকে, তবে কাছে পিঠেই রয়েছে সুন্দর একটি সাজানো গোছানো পার্ক। প্রত্যন্ত নিবিড় এলাকায় চারিদিকে সবুজের ক্ষেত্র, ফুলের গাছ এবং শান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ, আপনাকে আলাদা মুগ্ধতা দেবে। প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষে দূর হয়ে যাবে। তাই যারা সপ্তাহান্তে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন এই বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক।

প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই বায়ো-ডাইভারসিটি চিলড্রেনস পার্ক। যার চারিদিকে সবুজ পরিবেশ। কলকাতা শহর থেকে মাত্র তিন ঘণ্টার দূরত্বে এবং খড়গপুর শহর থেকে একদম কাছে রয়েছে এই সুন্দর এই পার্ক। একদিকে যেমন বাচ্চাদের খেলার জায়গা অন্যদিকে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর দুর্দান্ত স্থান এটি। একদিকে যেমন গ্রামীণ পরিবেশের স্বাদ মিলবে, তেমনই শহরের যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে কিছুটা নিস্তার পাবেন এখানে।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামীণ ব্লক কেশিয়াড়ি। এই কেশিয়াড়ি বাজার থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে গড়ে তোলা হয়েছে প্রত্যুষা পার্ক। যেখানে রয়েছে একাধিক গাছ, রাজহাঁস, বিভিন্ন পাখি। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ। শুধু তাই নয়, বিশাল আকার জায়গায় রয়েছে সময় কাটানোর দুর্দান্ত জায়গা।

আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

যারা পরিবার পরিজন, বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে বিকেলের কিছুটা সময় কাটাতে চাইছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন এই জায়গা। রয়েছে বাচ্চাদের বিনোদনের নানা মাধ্যম। পার্কের জায়গায় পুকুরে রয়েছে বোটিং-এর ব্যবস্থা। কলকাতা থেকে ট্রেন বাস কিংবা প্রাইভেট গাড়ি করে আসা যাবে এখানে। ট্রেনে এলে নামতে হবে খড়গপুর স্টেশনে ।সেখান থেকে বাস কিংবা ছোট গাড়ি ধরে আসতে হবে কেশিয়াড়িতে। কেশিয়াড়ি বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে টোটো ধরে পৌঁছানো যাবে এই পার্কে।

রঞ্জন চন্দ