আলিপুরদুয়ার: প্রকৃতির কোলে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়েছে জয়গাঁর গেরিগাঁও এলাকায়। এখানে দেবীর নয়টি রূপের পুজো হয়।মহালয়ার পর থেকে শুরু হয়ে যায় পুজো। দশমীর দিন শেষ হয় পুজো। এই পুজো দেখতে বিভিন্ন প্রান্তের দর্শনার্থীরা আসেন জয়গাঁর গেরিগাঁও-তে।গেরিগাঁও সেবা সংঘ দ্বারা আয়োজিত এই পুজো এবছর পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করল।
ভুটান পাহাড় ঘেষা পাহাড়ি গ্রাম গেঁরিগাও। শহরের যানযট, দূষণ থেকে দুরে সবুজে ভরপুর এই গ্রামটি ইতিমধ্যে জয়গাঁর একটি পর্যটনস্থল। জয়গাঁ এলেই এখানে আসেন পর্যটকেরা। পর্যটকদের সঙ্গে দেবী দুর্গার আগমনের আনন্দ ভাগ করে নিতে এবছরও দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে গেরিগাঁওবাসীরা। পুজোর আয়োজন করা হয়েছে গেরিগাঁও ভিউ পয়েন্টেই।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে কেমন আবহাওয়া কলকাতায়? গরমের অস্বস্তি নাকি ফের বৃষ্টি? আবহাওয়ার বড় আপডেট
তথাকথিত থিমের পুজো নয় এটি। ফটোশ্যুটের জন্য আদর্শ স্থান হয়ে উঠছে গেরিগাঁও। বিশেষ করে যুবক-যুবতীরা ভিড় জমান এখানে।নবরাত্রির নিয়ম মেনে পুজো শুরু হচ্ছে এখানে। পুজো চলাকালীন প্রতিদিন দেওয়া হবে ভোগ। অভুক্ত অবস্থায় কোনও পর্যটককে যেতে হবে না বলে দাবি পুজো কমিটির সদস্যদের।
আরও পড়ুন: গাছের ২টি পাতা, অযত্নের আগাছা ডায়াবেটিসের ‘মৃত্যুবাণ’! এভাবে খেলেই নামবে ব্লাড সুগার
গেরিগাঁও সেবা সংঘের পক্ষে দীপক লামা জানান, “পর্যটকেরা যাতে এলাকায় আসে তার জন্য আমরা নিজেদের চেষ্টায় সাজিয়ে রাখি গেরিগাঁও-কে। পুরো জয়গাঁ শহর, তোর্ষা নদী দেখা যায় এই ভিউ পয়েন্ট থেকে।পর্যটকের ভিড় প্রতি সময় দেখা যায়। আমাদের দুর্গাপুজো তারা প্রতি বছর দেখতে আসেন, তা দেখে আমরা পুজো করার উৎসাহ পাই।”
এই এলাকায় বসবাস হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের, যার কারণে নবরাত্রি পুজো হয়।দেবীর নয় রূপের পুজো হয়। এই এলাকার মানুষদের আগে পাহাড় থেকে নিচে নেমে জয়গাঁ শহরের পুজোগুলিতে পুজো দিতে হত। তারপর গেরিগাঁও এলাকার বাসিন্দারা এই স্থানেই পুজোর আয়োজন করেন। পাঁচ বছর ধরে চলছে পুজো। এই এলাকার পুজো দেখতে ডুয়ার্স-সহ কোচবিহার, শিলিগুড়ি বিভিন্ন এলাকার মানুষেরা আসেন।
Annanya Dey