সংগ্রহ করছেন কুলেখাড়া 

West Medinipur News: সামান্য আয়ের আশায় ভিন জেলায় শাক সংগ্রহ জঙ্গলমহলের মহিলাদের, এটাই ওদের রুজি

পশ্চিম মেদিনীপুর : প্রতিটি মানুষের সারাদিনের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই জারি থাকে। কেউ সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দু টাকা আয় রোজগার করে সংসারে অন্যান্যদের মুখে তুলে দেন দুমুঠো অন্ন। কেউ আবার সরকারি অফিসে কর্মচারী, কেউ কর্পোরেট হাউসে চাকরি করে। এভাবেই প্রতিদিনের প্রতিটি মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে, বিভিন্ন জায়গায় অযত্নে গজিয়ে ওঠা এই বিশেষ শাক সংগ্রহ করে বাজারে মাত্র পাঁচ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করে সামান্য আয়ে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন জঙ্গলমহলের মহিলারা। তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা চমকে দেবে আপনাকে।

জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন গ্রামীন এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় অযত্নে গজিয়ে ওঠা কুলেখাড়া সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে সামান্য আয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন জঙ্গলমহলের গ্রামীণ এলাকার আদিবাসী মহিলারা। প্রতি আঁটি বিক্রি করছেন মাত্র পাঁচ টাকায়। নিজেদের জেলা ছাড়িয়ে অন্য জেলায় এসে কুলেখাড়া সংগ্রহ করে বস্তাবন্দী করে বিক্রি করছেন ঝাড়গ্রাম জেলার পাঁচ মাথার মোড়ে।

আরও পড়ুন : গা ছমছমে ইতিহাস, দীপাবলির ছুটিতে এই নীলকুঠি ঘুরে আসুন, শিহরিত হবেন নিশ্চিত

প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের মূলবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের আয়- রোজগারের অন্যতম উৎস জঙ্গল। তবে নানাবিধ কারণে জঙ্গলের উপর ভরসা না করে নিজেদের জেলা ছাড়িয়ে অন্য জেলায় এসে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে তারা সংগ্রহ করছেন কুলেখাড়া। বস্তা বন্দি করে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের গন্তব্যে। সেখানে আঁটি বেঁধে বিক্রি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা।

আরও পড়ুন : মিটতে চলেছে সাধারণের দাবি, বেলদা কেশিয়াড়ি মোড় এর উপর তৈরি হবে ওভার ব্রিজ

তবেএমন নয় যে কোনও লাভ হচ্ছে না তাদের। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তারা সংগ্রহ করেন এই কুলেখাড়া শাক। প্রতিদিন হয়তশ’খানেক কুলেখাড়া শাকের গাছ সংগ্রহ করেন তারা। এভাবেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন চলছে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের। কষ্ট করেই তাদের দিন যাপন করতে হচ্ছে।

রঞ্জন চন্দ