পশ্চিম মেদিনীপুর: দু’দিকে বন্ধ ব্যস্ত জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের সামান্য উপর দিয়ে বেশ কয়েকবার চক্কর কাটল যুদ্ধবিমান। তা দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছিল জাতীয় সড়কের উপর। যদিও সফলভাবে জাতীয় সড়কের আপদকালীন রানওয়েতে বিমান ল্যান্ডিং করা সম্ভব হয়নি। সামান্য কিছুটা উপর দিয়েই চক্কর কেটে মহড়া শেষ করল যুদ্ধবিমান। তবে আপদকালীন ক্ষেত্রে যে কোনও সময়ে জাতীয় সড়কে উঠানামা করতে পারে যুদ্ধবিমান। একবার নয় এ নিয়ে দু’বার মহড়া করল ভারতীয় বায়ু সেনা।
খড়গপুর-বালেশ্বর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পোক্তাপুল থেকে শ্যামপুরা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের পথকে আপৎকালীন যুদ্ধবিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই রানওয়ে প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে যেকোনও সময়ে ওঠানামা করতে পারে বিমান। তবে রবিবার দুপুরে জাতীয় সড়ক থেকে সামান্য উচ্চতায় দুটি জেট প্লেন সহ মোট তিনটি বিমান চক্কর কাটে। সবকিছু ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও বেশ কিছু কারণে রানওয়েতে ল্যান্ডিং করানো সম্ভব হয়নি।
এদিন দুপুর থেকেই ভারতীয় বায়ু সেনা জওয়ানেরা জাতীয় সড়কের উপর জাতীয় পতাকা হাতে মার্চ শুরু করে। কিছুটা সময় পর জাতীয় সড়ক বরাবর দীর্ঘ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘিরে ফেলে তারা। এরপর সমস্ত প্রস্তুতি নেয় ভারতীয় বায়ু সেনার আধিকারিকেরা। সূর্য সামান্য কিছুটা পশ্চিমে যেতেই আকাশের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে জাতীয় সড়ক বরাবর সামান্য উচ্চতায় চক্কর কাটে দুটি জেট ফাইটার প্লেন সহ মোট তিনটি যুদ্ধবিমান। প্রসঙ্গত দীর্ঘ এই পাঁচ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক পথকে আপৎকালীনভাবে যুদ্ধবিমান ওঠানামা জন্য রানওয়ে তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে। তবে জানা গিয়েছিল, রবিবার এই জাতীয় সড়কের রানওয়েতে ল্যান্ডিং করেনি যুদ্ধবিমানগুলি। সকাল থেকেই সমস্ত ব্যবস্থাপনা নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সবকিছু ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও কোনও কারণে ল্যান্ডিং করানো সম্ভব হয়নি।
এদিন জাতীয় সড়কে, ভারতীয় বায়ুসেনা বিমানের ল্যান্ডিং দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসুক জনতা। তাদের বক্তব্য আগামীতে যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন ক্ষেত্রে বিমান ওঠানামা করবে রানওয়েতে। স্বাভাবিকভাবে সামরিক শক্তিতে জোর কেন্দ্রের। আগামীতে যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দেবে এই রানওয়ে।
রঞ্জন চন্দ