মুর্শিদাবাদ: তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা। এবার বৈশাখে কালবৈশাখীর দেখা নেই। উল্টে সূর্যের তীব্র তাপে চারদিক যেন ঝলসে যাচ্ছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে চাষাবাদেও। ফলে মাথায় হাত সবজি চাষিদের।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে মারাত্বক সঙ্কটে পড়েছেন হরিহরপাড়ার দস্তুরপাড়া, শ্রীহরিপুর, হোসেনপুর মাদারতলা রায়পুর সহ বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা। গরমে ঝলসে মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজি।
আরও পড়ুন: একটা বনসাইয়ের দাম ১০ লক্ষ টাকা! বাংলাতেই আছে সেই বিরল বাগান
কৃষকরা জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পটল, বেগুন, করলা, লঙ্কা, শসা সহ বিভিন্ন সবজি গাছ জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য সরকারি সাহায্যের আরজি জানান চাষিরা। কৃষকরা এও জানান, এত বেশি তাপমাত্রা মুর্শিদাবাদ জেলাতে আগে কোনওদিন লক্ষ্য করা যায়নি। এবার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রিতে সেলসিয়াসেও পৌঁছে গিয়েছিল। এর ফলে পটল, ঝিঙে, করলার মত সমস্ত সবজি মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘরে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। তীব্র তাপদাহে বার বার জল দিলেও মাটি শুকিয়ে ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড গরমে খাল, নদী, নালা শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের জন্য পর্যাপ্ত জলও পাওয়া যাচ্ছে না
চাষিদের পাশাপাশি চিন্তায় পড়ছে জেলা কৃষি এবং উদ্যাণ পালন দফতরও। রাজ্য থেকে জেলার কৃষি কর্তারা সকলেই মানছেন, তীব্র দাবদাহে ক্ষতির একটা আশঙ্কা তো থাকেই। জেলায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ চড়েছে ভালোই। ৪১-৪২-৪৩ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামছে না। তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্যাণ পালন দফতরের এক কর্তা বলেন, সবজি চাষ এত তাপমাত্রার জন্য ক্ষতি হবে এটা খুব স্বাভাবিক।
কৌশিক অধিকারী