গুপ্তমনি মন্দির

Viral News: যা চাইবেন তাই পাবেন! সুতোয় বেঁধে দিন হাতি-ঘোড়া! এই মন্দিরে ছুটছে বহু মানুষ

ঝাড়গ্রাম: মনের ইচ্ছে জানিয়ে পুজো দিয়ে সুতোয় হাতি ঘোড়া বেঁধে দিয়ে এলে পূরণ হয় মনস্কামনা। এমনই বিশ্বাস সাধারণ মানুষের। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দিতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকে মন্দিরে পুজো। জঙ্গলমহল এলাকায় থাকা এই মন্দির ক্রমশ প্রচার লাভ করে। মন্দিরকে ঘিরে নানান ইতিহাস থাকলেও দেবীর মাহাত্ম্য এবং বিশ্বাস মিলে মিশে এক হয় এখানে। খড়গপুর মুম্বাই জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে গুপ্তমণি মন্দির। মন্দিরের মধ্যে ঘুটঘুটে অন্ধকার।জ্বলছে কয়েকটি ধূপ আর বেশ কয়েকটি মোমবাতি। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে পূজিতা হন দেবী।

মনস্কামনা পূরণের আশায় দুর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। বিশ্বাস আছে যে, যা মানত করা হয় তার সুফল জুটে। খড়গপুর থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই অবস্থিত দেবী গুপ্তমণির মন্দির। অনেক বিশ্বাস নিয়ে বহু দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। মনের ইচ্ছে জানিয়ে মানত করেন তারা। পেয়েছেন সুফলও। এভাবেই ব্যাপ্তি ঘটে দেবীর। প্রতিদিনের পাশাপাশি শনি, মঙ্গলবার এমনকি বছরে বেশ কিছু নির্দিষ্ট দিনে বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে। দেবী গুপ্তমনিকে নিয়ে মত প্রচলিত থাকলেও জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকশো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দির। ব্রাহ্মণ নয়, লোধা সম্প্রদায়ের মানুষরাই পুজো করেন দেবী গুপ্তমনিকে।দেবী দুর্গা রূপেই পূজিতা হন মা গুপ্তমনি। আজও এই মন্দির সন্ধ্যার পর নিমজ্জিত হয় গাড় অন্ধকারে।

আরও পড়ুন: বছরে মাত্র এক মাস পাওয়া যায় এই ফুল! ডায়াবেটিস, জন্ডিস-সহ বহু জটিল রোগের যম!

কোনও আলো জ্বালানো হয় না, এমনকি প্রদীপও।  প্রাচীন রীতি মেনে গুপ্তমণি মায়ের পুজো করেন লোধা সম্প্রদায়ের মানুষজন। কলকাতা থেকে মুম্বইগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মা গুপ্তমণির মন্দির। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার আর খড়গপুর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার। জাতীয় সড়কের পাশে অতি সাধারণ এই মন্দির। মনস্কামনা জানিয়ে, ভক্তরা এখানে মাটির হাতি ঘোড়া পুজো দিয়ে বেঁধে যান। পূরণ হয় মনের আশা। এছাড়াও অনেকেই নতুন কেনা গাড়ি বা বাইক নিয়ে এখানে পুজো দিতে আসেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মা গুপ্তমণি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী গুপ্তমণি হলেন রক্ষার দেবী। তিনি তুষ্ট থাকলে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ভক্তদের বিশ্বাস, কোনও হারানো জিনিস ফিরে পেতে গুপ্তমণি দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে, তা সহজেই ফিরে পাওয়া যায়। তবে, সেই হারানো জিনিস ফিরে পেতে মন্দির প্রাঙ্গণের গাছে বাঁধতে হয় মাটির হাতি ও ঘোড়া। দেবী গুপ্তমণির অবয়ব অবিকল দেবী দুর্গার মত। মকর সংক্রান্তি এবং দুর্গাপুজোর সময় এখানে বেশ বড় আকারে পুজো হয়। তবে জাতীয় সড়কের পাশে সবুজ গেছে ঘেরা এই মন্দির, বিশ্বাস থাকলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন এই মন্দির থেকে ।

রঞ্জন চন্দ