জল নেই কলে

Water Crisis: গরম পড়তে না পড়তেই কিনে খেতে হচ্ছে জল, দূষণ ভুলে কেউ কেউ ভরসা রাখছেন নদীতে

পূর্ব বর্ধমান: ‘একটু জল পাই কোথায় বলতে পারেন?’ অবাক জলপানের এই প্রশ্নটাই কার্যত ঘুরপাক খাচ্ছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের মাথায়। গরমের শুরুতেই জল পাচ্ছেন না এখানকার মানুষ। তাই বাধ্য হয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। আর যাদের জল কেনার সামর্থ্য নেই তাঁরা স্বাস্থ্যের বিষয়টি ভুলে বাধ্য হচ্ছেন গঙ্গার জল পান করতে। অনেকে জলের অভাবে রান্নার কাজও গঙ্গার জল দিয়েই সারছেন। এমনই জলকষ্টের ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

গরমের শুরুতেই জল সঙ্কটের ভয়াবহ ছবি উঠে এল পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-২ ব্লকের অন্তর্গত তামাঘাটা গ্রামে। এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাদের অবস্থা এখন নাজেহাল। সাইকেল নিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে কিনে আনতে হচ্ছে জল। আবার কেউ কেউ নদী থেকে জল নিয়েই কাজ চালাচ্ছেন।

আর‌ও পড়ুন: এবার ভোট ময়দানে বাঘু

গ্রামের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই টাইমকলের পয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু জল নেই। গ্রামের এক মহিলা বলেন, জল আসছে না বলেই সমস্যা হচ্ছে। প্রায় ১ মাস ধরে এই সমস্যা হচ্ছে। এখন জল কিনে খেতে হচ্ছে। আর গঙ্গার জলে ভাত এবং সবজি রান্না করছি। অনেকে জানিয়েছেন জলের পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে। কখনও জল পড়ে, আবার কখনও জল পড়ে না কল থেকে। গ্রামের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দারা জানান, বাড়িতে টাইম কল বসানোর পর থেকে একদিনের জন্যও তাঁদের কলে জল আসেনি।

এই পরিস্থিতিতে ২০ লিটারের জল কোনও জায়গায় ১০ টাকা আবার কোথাও ১৫ টাকা দিয়ে কিনে পান করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এখন যদি আপনি তামাঘাটা গ্রামে যান তবে প্রবেশের মুখেই দেখতে পাবেন, বেশ কিছু জায়গায় ভ্যানে করে পানীয় জল বিক্রী হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তপন চ্যাটার্জি বলেন, মানুষের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। অনেকেই প্রয়োজনের বেশি জল নষ্ট করছেন। এখন বুঝতে পারছে না, আমরা তো জল পেলাম। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম জল পাবে না। মানুষ যতদিন না বুঝবে ততদিন হাজার চেষ্টা করেও কিছু করা যাবে না।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী