পশ্চিম মেদিনীপুর: সারাদিন হাপর টেনে লোহাকে গরম করে, তা পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেন তারা। সারাদিন সামান্য কটা টাকা রোজগার করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় তাদের। তবে বর্তমানে তাদের ব্যবসা তথৈবচ অবস্থায়। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা পরিবারে। বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা বদল করে নিয়েছেন তাদের পেশাও। তবে এখনও বেশ কিছুজন তাদের পূর্বপুরুষের এই কামারের পেশাকে টিকিয়ে রেখেছেন। তবে সংসার চালাতে ভোটের আগে তাদের একাধিক দাবি রয়েছে লোকসভা নির্বাচল ২০২৪ এর প্রার্থীদের কাছে।
লোহাকে গরম করে তাকে পিটিয়ে কখনও কুড়ুল, কাস্তে, হাতুড়ি, ছেনি সহ একাধিক জিনিস তৈরি করেন কামারেরা। বেশ কিছু বছর পিছনে গেলে দেখা যাবে তাদের ব্যবসা বেশ ভালোই চলত। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সেভাবে বিক্রি নেই কাস্তে, হাতুড়ি, দা, কোদাল কিংবা বিভিন্ন লোহার তৈরি জিনিসের। স্বাভাবিকভাবে সংসার চালাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কামারদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ১ ব্লকের মানিকড়া এলাকায় রয়েছে একাধিক কামার পরিবার।
আরও পড়ুন : ট্রেনের স্টপেজের দাবি, আবেদন জমা পড়ল রেলমন্ত্রীর কাছে
বেশ কিছু জন তাদের পূর্বপুরুষের পেশা চালিয়ে রাখলেও সে অর্থে তাদের আয় নেই। হাপর টেনে সারাদিনের সংসার চালানোর অর্থ উপার্জন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। চাষবাস কিংবা গৃহস্থালির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিক্রিও প্রায় বন্ধ। গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে গিয়ে কোনও জিনিস বিক্রি, ততটা সম্ভব হচ্ছে না তাদের। সম্ভব হলেও আয় বেশ কম।
আরও পড়ুন : প্রকৃতির আজব লীলা! প্রতিবছর বসন্তকালে একইগাছে বাসা বোনে এই পাখি
স্বাভাবিকভাবে তাদের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দাবি, সরকারি নানা সুযোগ সুবিধার প্রদানের। কিংবা স্থানীয় এলাকায় বাজার তৈরি এবং সরকারি সুবিধা দিয়ে বিভিন্ন লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া।দিন কয়েক পরেই নির্বাচন। নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদে গিয়ে সাধারণ মানুষের নানান কথা তুলে ধরবেন জনপ্রতিনিধিরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে আদৌ কি দাবি মিটবে কামারদের সে প্রশ্ন এখন তাদের মনে।
রঞ্জন চন্দ