পাঁচমিশালি Street Dog: বলুন তো, কোন দেশে একটাও পথকুকুর নেই? উত্তর দিতে পারবেন না বেশিরভাগই…চ্যালেঞ্জ! Gallery October 7, 2024 Bangla Digital Desk কুকুর একমাত্র প্রাণী যে মানুষের সঙ্গ ভালবাসে। তাই যেখানে মানুষ, সেখানেই কুকুর। মানুষের মধ্যেও কুকুরপ্রেমীর অভাব নেই। প্রাচীন কালে প্রথম বন্য কুকুরকে প্রথম পোষ মানিয়েছিল মানুষ৷ তার পর বাকিটা ইতিহাস৷ সভ্যতার শুরু থেকেই কুকুর মানব জাতির বন্ধু৷ এই প্রাণী ঠাঁই পেয়েছে মহাকাব্যেও। মহাভারতেও যুধিষ্ঠিরের পাশাপাশি কুকুররূপী ধর্মকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। তবে কেউ কেউ আবার একেবারেই পছন্দ করেন না এই প্রাণীকে। কুকুর দেখলে ভয়ে শিউরে ওঠেন অনেকেই। এই বুঝি কামড়ে দিল— এই আশঙ্কায় ঢিল মেরে তাড়াতেও উদ্যত হন কোনও কুকুর কাছে ঘেঁষলেই। দেখে মনে না হলেও আমাদের দেশেও রাজ্যে রাজ্যে কমেছে পথকুকুরদের সংখ্যা৷ সম্প্রতি সামনে এসেছিল এই সংক্রান্ত একটি পরিসংখ্যান৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কুকুর৷ এই রাজ্যে পথকুকুরের সংখ্যা ৪১ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৪৫৷ তারপরেই কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, কেরল, রাজস্থানের নাম৷ গুজরাতেও পথ কুকুরের সংখ্যা বেশ বেশি৷ পশ্চিমবঙ্গে পথকুকুরের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৪০ হাজার ১৬৫৷ বিশ্বের একটা দেশের নাম করুন তো যেখানে আপনি হাজার খুঁজেও পথকুকুর দেখাতে পারবেন না? হ্যাঁ, বাজি রেখে বলা যায়, একটাও পাবেন না। ভাবুন ভাবুন… নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, লোক যাতে পথকুকুর পোষে, তার জন্য সরকারি প্রচার রয়েছে। কুকুরের ভ্যাকসিন তাঁদের জন্য ফ্রি। এমনকী কুকুরের নির্বীর্যকরণও নিখরচে। উলটো দিকে, কেউ পিওর ব্রিডের কুকুর পুষতে চাইলে গুনতে হবে উচ্চ কর। ডাচ নাগরিকদের দাবি, ট্যাক্সের ভয়ে নয়, সরকারি জোরাজুরিও নয়। শুধুমাত্র ভালোবেসেই তাঁরা রাস্তার কুকুরকে বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সরকারি সিস্টেমেই পশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় পথকুকুরকে। প্রতিটি কুকুরের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মাইক্রোচিফ। ডাচেরাও কি কেরলের মতো কুকুর-বিদ্বেষী? মাঝে কেরল সরকার পর্যটকদের দোহাই দিয়ে ফুটপাথ থেকে কুকুর সাফা করে দিয়েছিল। শ’য়ে শ’য়ে পথকুকুর নিকেশ করা হয়। এই দেশও কি সে পথেই এগিয়েছে? ঠিক ধরেছেন, দেশটির নাম নেদারল্যান্ডস। বিশ্বের এক ও একমাত্র দেশ, যেখানে রাস্তার কুকুর বলে কিছু নেই। কিন্তু কেন? ছোট্ট দেশটিতে পশুপ্রেমীর অভাব নেই। কেয়ার অফ ফুটপাথ নয়, সব পথকুকুরই ঠিকানা পেয়েছে। কারও না কারও বাড়িতে আশ্রয় জুটেছে। এর পিছনে অবশ্য ডাচ সরকারেরও একটা ভূমিকা রয়েছে। নেদারল্যান্ডে পশুনির্যাতন বিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। কোনও পশুকেই উত্ত্যক্ত করা যাবে না।