নৌকায় বসে যাত্রীরা

Siliguri News: ‘ভীষণ ভয় করে…’ নৌকায় করে স্কুলে যেতে আতঙ্কিত গ্রামের পড়ুয়া!

শিলিগুড়ি: কলাবস্তির বাসিন্দারা এখনও শহরে যাবার জন্য নৌকা ব্যবহার করেন। বেঁচে থাকার তাগিদে রোজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে কেউ বাজারে যান, কেউ বা কাজে যান। পড়ুয়ারাও নৌকাতেই স্কুলে যায়। তবে নৌকায় নদী পার হওয়ার সময় নেই কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বর্ষার চার মাস এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় তাঁদের। শিলিগুড়িকে মডেল শহর রূপে গড়ে তুলতে তৎপর প্রশাসন। তৈরি হয়েছে একাধিক ফ্লাইওভার, চার লেনের রাস্তা, বড়ো বড়ো ব্রিজ। তবে এত কিছুর মাঝেও এখনও শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে হলে গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা নৌকা।

শিলিগুড়ির শক্তিগড় ও কলাবস্তির বাসিন্দারা বর্ষা এলেই নৌকায় করে এপার থেকে ওপার যাতায়াত করেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় কোনও সেতু নেই। যে সেতুটি রয়েছে তা অনেকটা দূরে। ফলে প্রতিনিয়ত কাজে যাওয়া মানুষদের থেকে শুরু করে ছোট ছোট পড়ুয়াদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে সময় বাঁচাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও সবাই নৌকায় যাতায়াত করেন। নৌকার মাঝি সুবল রায় বলেন, “বিগত ৪০ বছর ধরে আমি নৌকা করে যাত্রী পারাপার করছি। বহুদিন ধরে এখানে একটা ব্রিজের দাবি থাকলেও এখনও পর্যন্ত ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। যখন জল কম থাকে তখন আমরা কয়েকজন মিলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিই। সেখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে।”

আরও পড়ুন- ‘স্বর্গের রথে’র সারথি পূজা, শববহন করে দিন বদলাচ্ছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

স্কুলের এক ছাত্র বলে, ‘নৌকায় যাতায়াত করতে আমার ভীষণ ভয় করে। কিন্তু স্কুলে তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্য আমরা নৌকা করেই যাই। না হলে অনেকটা পথ ঘুরে আমাদের যেতে হয় স্কুলে যেতে। অনেক দেরি হয়ে যায়।” নৌকাযাত্রী পুষ্পা বালা গোস্বামী বলেন, “আমি বহুদিন ধরেই নৌকায় যাতায়াত করছি। বর্ষা এলেই আমরা নৌকাতেই যাতায়াত করি। আসা যাওয়া মিলিয়ে দশ টাকা নেওয়া হয়। আর নদীর জল কম থাকলে এলাকার বাসিন্দারাই বাঁশের সাঁকো বানিয়ে এপার ওপার যান। এই নদীতে সেতু তৈরির দাবি বহুদিন ধরেই রয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত কিছু হয়ে ওঠেনি।”

অনির্বাণ রায়