কে প্রথম দেশের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী?

Women CM: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পশ্চিমবঙ্গের প্রথম, বলুন তো দেশের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কে? উত্তর দিতে হিমশিম অনেকেই

এখন পর্যন্ত ১৬ জন মহিলা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে, ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের মাঝে শুধু পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নারী। এখন পর্যন্ত ভারতে ১৩টি রাজ্যে নারীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ১৬ জন মহিলা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে, ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের মাঝে শুধু পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নারী। এখন পর্যন্ত ভারতে ১৩টি রাজ্যে নারীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
এর মধ্যে তামিলনাড়ু, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে দুজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, চারজন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং দুইজন সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গমের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হন।
এর মধ্যে তামিলনাড়ু, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে দুজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, চারজন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং দুইজন সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গমের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হন।
ভারতে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যাঁরা হয়েছেন, তাঁরা হলেন, সুচেতা কৃপালিনী, নন্দিনী শতপতি, শশিকলা কাকোড়কার, সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর, ভি এন জনকী, জয়ললিতা জয়রাম, মায়াবতী, রাজিন্দর কাউর ভাট্টাল, রাবড়ি দেবী, সুষমা স্বরাজ, শীলা দীক্ষিত, উমা ভারতী, বসুন্ধরা রাজে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মেহবুবা মুফতি।
ভারতে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যাঁরা হয়েছেন, তাঁরা হলেন, সুচেতা কৃপালিনী, নন্দিনী শতপতি, শশিকলা কাকোড়কার, সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর, ভি এন জনকী, জয়ললিতা জয়রাম, মায়াবতী, রাজিন্দর কাউর ভাট্টাল, রাবড়ি দেবী, সুষমা স্বরাজ, শীলা দীক্ষিত, উমা ভারতী, বসুন্ধরা রাজে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মেহবুবা মুফতি।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সকলের মধ্যে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন সুচেতা কৃপালিনী। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সকলের মধ্যে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন সুচেতা কৃপালিনী। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
তিনিই ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪২-তে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তার আগে ১৯৪০-তে কংগ্রেসের মহিলা শাখা তৈরি করেন সুচেতা কৃপালিনী।

তিনিই ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪২-তে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তার আগে ১৯৪০-তে কংগ্রেসের মহিলা শাখা তৈরি করেন সুচেতা কৃপালিনী।
তিনি বৃটিশ ভারতের পঞ্জাবের অধুনা হরিয়ানার আম্বালায় এক ব্রাহ্ম-পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পঞ্জাব-প্রবাসী ডাক্তার সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার। পাঞ্জাবের লাহোর শহরে শিক্ষারম্ভ হলেও পিতার বদলির চাকরির জন্য তাঁকে বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন স্কুলে যেতে হয়েছিল।
তিনি বৃটিশ ভারতের পঞ্জাবের অধুনা হরিয়ানার আম্বালায় এক ব্রাহ্ম-পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পঞ্জাব-প্রবাসী ডাক্তার সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার। পাঞ্জাবের লাহোর শহরে শিক্ষারম্ভ হলেও পিতার বদলির চাকরির জন্য তাঁকে বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন স্কুলে যেতে হয়েছিল।
তবে তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ পড়াশোনা করে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এম.এ পাশ করেন। তাঁর ছাত্রাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সে সময় জাতীয়তাবাদী ভাবনায় দেশবাসী উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তিনিও কেবল দৃঢচেতা মানসিক শক্তি নিয়ে জন্মান নি, তার মধ্যে অনুকরণীয় নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রকট ছিল।

তবে তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ পড়াশোনা করে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এম.এ পাশ করেন। তাঁর ছাত্রাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সে সময় জাতীয়তাবাদী ভাবনায় দেশবাসী উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তিনিও কেবল দৃঢচেতা মানসিক শক্তি নিয়ে জন্মান নি, তার মধ্যে অনুকরণীয় নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রকট ছিল।
স্বাধীনতার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৫২ সালে তিনি নতুন দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী মনমোহন সেহগলকে পরাস্ত করে কিষাণ মজদুর প্রজা পার্টি'র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন।

স্বাধীনতার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৫২ সালে তিনি নতুন দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী মনমোহন সেহগলকে পরাস্ত করে কিষাণ মজদুর প্রজা পার্টি’র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন।
এক বছর আগে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত অল্প সময়ের এই দলে যোগদান করেন। পাঁচ বছর পর ওই কেন্দ্র থেকেই পুনঃনির্বাচিত হন কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে। ১৯৬৭ সালে শেষবারের মতো উত্তর প্রদেশের গোণ্ডা লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন।
এক বছর আগে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত অল্প সময়ের এই দলে যোগদান করেন। পাঁচ বছর পর ওই কেন্দ্র থেকেই পুনঃনির্বাচিত হন কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে। ১৯৬৭ সালে শেষবারের মতো উত্তর প্রদেশের গোণ্ডা লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন।
ইতিমধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশের বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের শ্রম, সমষ্টি উন্নয়ন ও শিল্প দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।
ইতিমধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশের বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের শ্রম, সমষ্টি উন্নয়ন ও শিল্প দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।
১৯৬৩ সালের অক্টোবরে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। ভারতের কোনও রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তাঁর সময়কালে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৬২ দিনের ধর্মঘটের মোকাবিলা করাটা ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

১৯৬৩ সালের অক্টোবরে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। ভারতের কোনও রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তাঁর সময়কালে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৬২ দিনের ধর্মঘটের মোকাবিলা করাটা ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
যখন কংগ্রেস ভাগ হয়, তখন তিনি মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে সংগঠন কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং সংগঠন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে ১৯৭১ সালে ফৈজাবাদ লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হন। ১৯৭১ সালেই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নির্জনে কাটিয়েছন।
যখন কংগ্রেস ভাগ হয়, তখন তিনি মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে সংগঠন কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং সংগঠন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে ১৯৭১ সালে ফৈজাবাদ লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হন। ১৯৭১ সালেই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নির্জনে কাটিয়েছন।