বাঁকুড়ায় বিশ্ব জল দিবস

World Water Day 2024: ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে গলা, বিশ্ব জল দিবসে সঙ্কট নিয়ে গভীর আলোচনা

বাঁকুড়া: ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস। পৃথিবী তিন ভাগ জল, মাত্র এক ভাগ স্থল। তবুও দিনে দিনে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠছে। এখনও গরম পড়েনি, এরই মধ্যে বেঙ্গালুরু বা আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বাঁকুড়ায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালিত হল বিশ্ব জল দিবস।

জল শব্দটা যেন বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার সবচেয়ে বড় সঙ্কটগুলির একটিতে পরিণত হয়েছে। তপ্ত গ্রীষ্মে এই সঙ্কট আরও প্রকট হয় বাঁকুড়ায়। তবে করণীয় কী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিশ্ব জল দিবসের দিন বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের রসায়ন বিভাগের তরফে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: ওদের জন্য এবার আদিবাসীরাও ভোট দেবে

গবেষণায় দেখা গেছে আমরা যে বোতলের জল পান করছি তার মধ্যেও বিষাক্ত মাইক্রো প্লাস্টিক আছে। এছাড়াও ফ্লুরাইড, আর্সেনিক, মার্কারি জল দূষণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। এই বিষয়গুলি বিশেষভাবে উঠে আসে আলোচনা সভায়। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকা অর্থাৎ বাঁকুড়ার জনসঙ্কটের সমস্যা নিরূপণে কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়।

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সুশোভন ভৌমিক বলেন, সকালে গিয়ে দেখলাম নদী শুকিয়ে মরুভূমির মত হয়ে গিয়েছে। নালা দিয়ে যে জল যাচ্ছে সেটা কালো হয়ে গেছে। গ্রীষ্ম পড়লেই দেখা যায় কলের সামনে ৫০-৬০ জন মহিলা বসে আছেন লাইন দিয়ে। অর্থাৎ সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে জলের ভূমিকা বিরাট।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গ্রীষ্মের দাবদাহে পাম্প ব্যাবহার করেও জল পাওয়া যায় না বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। ১০ থেকে ২০ ফুট দূরত্বের মধ্যে দুটি আলাদা পাম্পের চরিত্র ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে। ভৌম জলস্তর পৌঁছে যায় অনেকটা নিচে। এই সকল সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব না হলেও বিশ্ব জল দিবসকে উপলক্ষ করে এই বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে এদিন আলোচনা করা হয়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী