মৃত যুবক বিশ্বজিৎ

Beaten to Death: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন! কলকাতার পর এবার তারকেশ্বরে

হুগলি: কলকাতার হোস্টেলের পর এবার হুগলির তারকেশ্বর, আবারও চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। কলকাতায় পড়ুয়াদের হোস্টেলের সামনে ঘোরাঘুরি করা ব্যক্তিকে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তারকেশ্বরে চোর সন্দেহে বিশ্বজিৎ মান্না নামে ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।

তারকেশ্বর থানার নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাবাঁধ এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে নিজের বাড়িতে শুয়ে ছিলেন বছর ২৩-এর যুবক বিশ্বজিৎ। সে পেশায় গাড়িচালক। বিকাশ সামন্ত ও তাঁর ছেলে দেবকান্ত সামন্ত এই দু’জন বিশ্বজিৎকে বাড়িতে ডাকতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চুরির অভিযোগে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিকাশ ও দেবকান্ত, বাবা-ছেলে মিলে কলের পাইপ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

আর‌ও পড়ুন: গভীর রাতে ট্রাক-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ১, আহত ৩

জানা গিয়েছে, সামন্ত বাড়ির লকার থেকে সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছিল। সেই ঘটনাতেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে বিশ্বজিৎ মান্নার উপর। মারধোরের খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন বিশ্বজিতের স্ত্রী ও তার মা। তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিশ্বজিৎ বারংবার কাকুতি মিনতি করে জানায় যে সে কোন‌ওরকম চুরি করেনি। তার পরেও বেধড়ক মারধর করা হয় বিশ্বজিতকে। রবিবার রাত দুটো নাগদ বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পর তারকেশ্বর থানার পুলিশ বিকাশ সামন্ত ও দেবকান্ত সামন্তকে আটক করেছে। মৃত বিশ্বজিতের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁর স্ত্রী কথা বলতে গিয়ে বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন। তাঁর একটাই দাবি, স্বামীকে যারা পিটিয়ে খুন করেছে তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তজুড়ে একের পর এক পিটিয়ে মারার ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন। মানুষ যেভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাতে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে।

রাহী হালদার